ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে চলছে শিক্ষার্থী ধর্মঘট। আজ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া সরকারের দুর্বল জলবায়ুনীতির প্রতিবাদে এই ধর্মঘট হয়। শিক্ষার্থীদের এই ধর্মঘটে যেন অন্যরাও যোগ দিতে পারে, সে জন্য দেশটির প্রায় ৪০০ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আজ ছুটি ঘোষণা করেছে।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধর্মঘটে অস্ট্রেলিয়া প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তরুণ কর্মীরা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষেরা। একটি শক্তিশালী জলবায়ু নীতির দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে চলা তরুণদের আন্দোলনে এটি নতুন সংযোজন।
কার্বন নিঃসরণ কমাতে অস্ট্রেলিয়া সরকার যথেষ্ট আন্তরিক নয় বলে দেশটির জনগণের তরফ থেকে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। কিন্তু তারপরও অস্ট্রেলিয়ার সরকার নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্নসহ বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলে শিক্ষার্থীরা পথে নেমে আসে নানা স্লোগানসংবলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে। কোনোটিতে লেখা—‘তোমরা মরবে বুড়িয়ে গিয়ে, আর আমরা জলবায়ুর কারণে’, আবার কোনোটিতে লেখা—‘প্রেমিককে উষ্ণ দেখতে চাই, পৃথিবীকে নয়’। আবার কেউ কেউ একেবারে সোজাসাপ্টা স্লোগান দিচ্ছে—‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নাও’ বলে।
আজকের এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ডেভিড সোরিয়ানো। বিবিসিকে ডেভিড বলে, সে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সরকার তরুণদের এই আন্দোলনের দিকে নজর দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উদ্যোগী হোক—এটাই তার চাওয়া। তার সোজা কথা—‘আমরা উদ্বিগ্ন এবং ভীত। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কোনো ভবিষ্যৎই হয়তো সঞ্চিত নেই। আমাদের জন্যও আছে কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি যে স্লোগান নজরে পড়েছে, তা হলো—‘নো কোল’। কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগুলো অবিলম্বে বন্ধের জোর দাবি জানানো হয় আন্দোলন থেকে। এই দাবির প্রেক্ষাপটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের নামও। ভারতের আদানি এন্টারপ্রাইজ অস্ট্রেলিয়ায় তাপভিত্তিক কয়লা প্রকল্প করার কারণে ভীষণভাবে সমালোচিত। আজকের আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা জ্বালানি খাতকে শতভাগ নবায়নযোগ্য করার দাবি জানায়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের জলবায়ুনীতি গোটা বিশ্বেই ভীষণভাবে সমালোচিত হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে এ নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। বিশেষত কার্বন নিঃসরণ কমাতে তাঁর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন দেশটির জনগণ। মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ হার বিবেচনায় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ অস্ট্রেলিয়া। এ অবস্থায় গত মাসে হওয়া জলবায়ু সম্মেলনে মরিসন যখন নিঃসরণ হার কমানোর আরও বড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিপক্ষে ভেটো দেন, তখন এই ক্ষোভ আরও বেড়ে ওঠে। এই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ আজকের এই আন্দোলন।
শিক্ষার্থীদের ডাকা এই ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন হাজারো মানুষ। দেশটির প্রায় ৪০০ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিতে আজ নিজেদের প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়েছে। এ সম্পর্কিত এক ঘোষণাপত্রে সই করেছে দেশটির ৩৮২টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে আটলাসিয়ান, ব্যাংক অস্ট্রেলিয়া, প্যাটাগোনিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানও। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছিলেন ফিউচার সুপারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান সিমন শেখ।
এমন পদক্ষেপের কারণ হিসেবে সিমন শেখ অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এমন ইস্যুতে ধর্মঘটে মানুষের যোগ দিতে না চাওয়ার কারণ মহামারি নয়। মূল কারণ চাকরি চলে যাওয়ার ভয়। এ ক্ষেত্রে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে আমরা অস্ট্রেলিয়ার মানুষের আকাঙ্ক্ষার পাশেই দাঁড়িয়েছি। আর তা হলো—একটি কার্যকর জলবায়ুনীতি।
ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে চলছে শিক্ষার্থী ধর্মঘট। আজ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া সরকারের দুর্বল জলবায়ুনীতির প্রতিবাদে এই ধর্মঘট হয়। শিক্ষার্থীদের এই ধর্মঘটে যেন অন্যরাও যোগ দিতে পারে, সে জন্য দেশটির প্রায় ৪০০ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আজ ছুটি ঘোষণা করেছে।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধর্মঘটে অস্ট্রেলিয়া প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তরুণ কর্মীরা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষেরা। একটি শক্তিশালী জলবায়ু নীতির দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে চলা তরুণদের আন্দোলনে এটি নতুন সংযোজন।
কার্বন নিঃসরণ কমাতে অস্ট্রেলিয়া সরকার যথেষ্ট আন্তরিক নয় বলে দেশটির জনগণের তরফ থেকে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। কিন্তু তারপরও অস্ট্রেলিয়ার সরকার নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্নসহ বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলে শিক্ষার্থীরা পথে নেমে আসে নানা স্লোগানসংবলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে। কোনোটিতে লেখা—‘তোমরা মরবে বুড়িয়ে গিয়ে, আর আমরা জলবায়ুর কারণে’, আবার কোনোটিতে লেখা—‘প্রেমিককে উষ্ণ দেখতে চাই, পৃথিবীকে নয়’। আবার কেউ কেউ একেবারে সোজাসাপ্টা স্লোগান দিচ্ছে—‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নাও’ বলে।
আজকের এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ডেভিড সোরিয়ানো। বিবিসিকে ডেভিড বলে, সে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সরকার তরুণদের এই আন্দোলনের দিকে নজর দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উদ্যোগী হোক—এটাই তার চাওয়া। তার সোজা কথা—‘আমরা উদ্বিগ্ন এবং ভীত। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কোনো ভবিষ্যৎই হয়তো সঞ্চিত নেই। আমাদের জন্যও আছে কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি যে স্লোগান নজরে পড়েছে, তা হলো—‘নো কোল’। কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগুলো অবিলম্বে বন্ধের জোর দাবি জানানো হয় আন্দোলন থেকে। এই দাবির প্রেক্ষাপটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের নামও। ভারতের আদানি এন্টারপ্রাইজ অস্ট্রেলিয়ায় তাপভিত্তিক কয়লা প্রকল্প করার কারণে ভীষণভাবে সমালোচিত। আজকের আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা জ্বালানি খাতকে শতভাগ নবায়নযোগ্য করার দাবি জানায়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের জলবায়ুনীতি গোটা বিশ্বেই ভীষণভাবে সমালোচিত হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে এ নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। বিশেষত কার্বন নিঃসরণ কমাতে তাঁর সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন দেশটির জনগণ। মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ হার বিবেচনায় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ অস্ট্রেলিয়া। এ অবস্থায় গত মাসে হওয়া জলবায়ু সম্মেলনে মরিসন যখন নিঃসরণ হার কমানোর আরও বড় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিপক্ষে ভেটো দেন, তখন এই ক্ষোভ আরও বেড়ে ওঠে। এই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ আজকের এই আন্দোলন।
শিক্ষার্থীদের ডাকা এই ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন হাজারো মানুষ। দেশটির প্রায় ৪০০ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিতে আজ নিজেদের প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়েছে। এ সম্পর্কিত এক ঘোষণাপত্রে সই করেছে দেশটির ৩৮২টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে আটলাসিয়ান, ব্যাংক অস্ট্রেলিয়া, প্যাটাগোনিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানও। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছিলেন ফিউচার সুপারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান সিমন শেখ।
এমন পদক্ষেপের কারণ হিসেবে সিমন শেখ অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এমন ইস্যুতে ধর্মঘটে মানুষের যোগ দিতে না চাওয়ার কারণ মহামারি নয়। মূল কারণ চাকরি চলে যাওয়ার ভয়। এ ক্ষেত্রে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে আমরা অস্ট্রেলিয়ার মানুষের আকাঙ্ক্ষার পাশেই দাঁড়িয়েছি। আর তা হলো—একটি কার্যকর জলবায়ুনীতি।
তেহরানে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলায় ইরানের শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী সাইয়্যেদ মোস্তাফা সাদাতি-আরমাকি ও তাঁর পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসনিম। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞানীর স্ত্রী, তিন সন্তান এবং শ্বশুর-শাশুড়ি।
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পকে প্রভাবিত করতে ওই বার্তায় প্রশংসা বা তোষামোদের কোনো কমতি রাখেননি রুটে। বার্তায় বেশ করেই রুটের এই আচরণ প্রকাশ পেয়েছে। বলা যায়, এতটা খোলাখুলি প্রশংসা সচরাচর দেখা যায় না।
৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। শেষ মুহূর্তের এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। এসব হামলা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এরপর দুই পক্ষকে রীতিমতো অনুরোধ জানিয়েছেন হামলা না চালাতে।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায় আজ মঙ্গলবার এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। শহরটিতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও প্রয়াত নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির বিশাল পোস্টারের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর ছুটে চলছে।
১২ ঘণ্টা আগে