আজকের পত্রিকা ডেস্ক
করোনা মহামারির পর ২০২২ সালে সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে কর্মরত বাংলাদেশির সংখ্যা ৮ লাখেরও বেশি। এতে বিদেশি শ্রমশক্তি সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ডেইলি সানের খবরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে দেওয়া লিখিত জবাবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২২ সালে সীমান্ত পুনরায় চালুর পর ৪৯ হাজার ৩৫৩ জন বাংলাদেশি দেশটিতে প্রবেশ করে। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে সরকারের ‘ফরেন ওয়ার্কার রিক্রুটমেন্ট রিল্যাক্সেশন প্ল্যানের’ আওতায় নিয়োগ পান আরও ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪৮ জন কর্মী।
অন্যদিকে, একই সময়ে কর্মচুক্তি বাতিল হওয়ায় বহু বাংলাদেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০২২ সালে ২০ হাজার ৩৩১ জন এবং ২০২৩ সালে ২৩ হাজার ৬৫ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানায় মন্ত্রণালয়। অবৈধ অবস্থান নিয়ে গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ভিসার মেয়াদ শেষে মালয়েশিয়ায় থেকে যাওয়া এবং অবৈধ অভিবাসী হয়ে পড়ার কারণে মোট ৭৯০ জন বাংলাদেশি আটক হয়েছেন।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগে নিবন্ধিত সক্রিয় বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৩২ জন। তাঁরা সবাই অস্থায়ী চাকরির ভিসা (পিএলকেএস) নিয়ে কাজ করছেন। এই সংখ্যা মালয়েশিয়ার মোট বিদেশি শ্রমশক্তির ৩৭ শতাংশ। ফলে দেশটির স্বল্প দক্ষ শ্রমিক নিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস দেশ এখন বাংলাদেশ।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের উপস্থিতি মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখলেও অবৈধ অভিবাসন ও চুক্তি বাতিলের মতো সমস্যাও ক্রমশ সামনে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো গেলে এসব সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
অপরদিকে, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে বৈধ বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (এমইভি) চালুর ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিয়ন বিন ইসমাইল। এর ফলে শ্রমিকেরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে নিজ দেশে ফেরার পর পুনরায় মালয়েশিয়ায় ফিরে যেতে পারবেন, প্রতিবার নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ পদক্ষেপকে ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের প্রতি মালয়েশিয়ার কৃতজ্ঞতার প্রতীক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মালয়েশিয়ায় সফররত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি সফরের অংশ হিসেবে এ ঘোষণা আসে। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, হালাল খাত, শিক্ষা, গবেষণা, সেমিকন্ডাক্টর ও নীল অর্থনীতি নিয়ে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক এবং তিনটি নোট অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্বাক্ষর হয়।
সাইফুদ্দিন নাসুতিয়ন বলেন, এমইভি চালুর উদ্যোগ মালয়েশিয়ার বৈদেশিক শ্রম ব্যবস্থাপনায় আরও মানবিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এটি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে।
করোনা মহামারির পর ২০২২ সালে সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে কর্মরত বাংলাদেশির সংখ্যা ৮ লাখেরও বেশি। এতে বিদেশি শ্রমশক্তি সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম ডেইলি সানের খবরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে দেওয়া লিখিত জবাবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২২ সালে সীমান্ত পুনরায় চালুর পর ৪৯ হাজার ৩৫৩ জন বাংলাদেশি দেশটিতে প্রবেশ করে। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে সরকারের ‘ফরেন ওয়ার্কার রিক্রুটমেন্ট রিল্যাক্সেশন প্ল্যানের’ আওতায় নিয়োগ পান আরও ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪৮ জন কর্মী।
অন্যদিকে, একই সময়ে কর্মচুক্তি বাতিল হওয়ায় বহু বাংলাদেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০২২ সালে ২০ হাজার ৩৩১ জন এবং ২০২৩ সালে ২৩ হাজার ৬৫ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানায় মন্ত্রণালয়। অবৈধ অবস্থান নিয়ে গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ভিসার মেয়াদ শেষে মালয়েশিয়ায় থেকে যাওয়া এবং অবৈধ অভিবাসী হয়ে পড়ার কারণে মোট ৭৯০ জন বাংলাদেশি আটক হয়েছেন।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগে নিবন্ধিত সক্রিয় বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৩২ জন। তাঁরা সবাই অস্থায়ী চাকরির ভিসা (পিএলকেএস) নিয়ে কাজ করছেন। এই সংখ্যা মালয়েশিয়ার মোট বিদেশি শ্রমশক্তির ৩৭ শতাংশ। ফলে দেশটির স্বল্প দক্ষ শ্রমিক নিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস দেশ এখন বাংলাদেশ।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের উপস্থিতি মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখলেও অবৈধ অভিবাসন ও চুক্তি বাতিলের মতো সমস্যাও ক্রমশ সামনে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো গেলে এসব সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
অপরদিকে, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে বৈধ বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (এমইভি) চালুর ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিয়ন বিন ইসমাইল। এর ফলে শ্রমিকেরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে নিজ দেশে ফেরার পর পুনরায় মালয়েশিয়ায় ফিরে যেতে পারবেন, প্রতিবার নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ পদক্ষেপকে ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের প্রতি মালয়েশিয়ার কৃতজ্ঞতার প্রতীক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মালয়েশিয়ায় সফররত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি সফরের অংশ হিসেবে এ ঘোষণা আসে। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, হালাল খাত, শিক্ষা, গবেষণা, সেমিকন্ডাক্টর ও নীল অর্থনীতি নিয়ে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক এবং তিনটি নোট অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্বাক্ষর হয়।
সাইফুদ্দিন নাসুতিয়ন বলেন, এমইভি চালুর উদ্যোগ মালয়েশিয়ার বৈদেশিক শ্রম ব্যবস্থাপনায় আরও মানবিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এটি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে।
ইন্দোনেশিয়ার সংসদ সদস্যদের বিলাসবহুল ভাতা প্রদানের বিরুদ্ধে রাজধানী জাকার্তায় বিক্ষোভ করছে হাজারো শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা দেশটির সংসদ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং জল কামান ব্যবহার করে দাঙ্গা পুলিশ। গতকাল সোমবার এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
৪ মিনিট আগেজরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকটের মুখে বতসোয়ানা সরকার দেশজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সোমবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট দুমা বোকো এই ঘোষণা দেন।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চলতি বছরের মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের সময় সাতটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, এ বছরের শুরুর দিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য এক পারমাণবিক সংঘাত ঠেকাতে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ালে এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। গতকাল সোমবার এমন একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদেশ স্বাক্ষরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘পতাকা পোড়ালে আপনার এক বছরের জন্য জেল হবে। কোনো
২ ঘণ্টা আগে