Ajker Patrika

দুই সপ্তাহে ৫২ বেসামরিককে হত্যা করেছে কঙ্গোর বিদ্রোহীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৫: ৫৮
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চলতি মাসে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আইএসআইএলের হামলায় ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে ৫২ বেসামরিক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মনুসকোর (এমওএনএসসিও) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। মনুসকোর তথ্য অনুযায়ী, ৯ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত দেশটির পূর্বাঞ্চলের উত্তর কিভু প্রদেশের বেনি ও লুবেরো এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়।

এসব হামলার পেছনে অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের মদদ রয়েছে বলেও জানিয়েছে মনুসকো। এসব হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। কঙ্গোর সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ এর মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে বেড়েছে এমন হামলা। যদিও দুপক্ষের মধ্যে সম্প্রতি একাধিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সরকার ও এম২৩ গোষ্ঠী ১৮ আগস্টের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি সই করতে সম্মত হয়েছিল, কিন্তু সোমবার পর্যন্ত কোনো চুক্তি ঘোষণা করা হয়নি।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের মুখপাত্র জানান, এই হামলায় হত্যার পাশাপাশি অনেকে অপহরণও করেছে হামলাকারীরা। আগুন দিয়েছে বহু বাড়ি-ঘর, যানবাহন এবং মোটরসাইকেলে। বহু লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এমন নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মনুসকো।

কঙ্গো সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট এলঙ্গো কিয়ন্ডওয়া মার্ক বলেন, ডিআরসি বাহিনীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালিয়েছে এডিএফ। আরেক কর্মকর্তা জানান, মাঝরাতে ঘুম থেকে তুলে নৃশংসভাবে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে বাসিন্দারা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ঘুমন্ত বাসিন্দাদের জাগিয়ে এক জায়গায় জড়ো করে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। পরে তাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে কোদালের মতো ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক হত্যা করা শুরু করে।’

গত কয়েক মাস ধরে কিছুটা শান্তই ছিল কঙ্গো। তারপর হঠাৎ গত মাসে ইতুরির কোমন্ডা শহরে এডিএফ-এর হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হন। তারা একটি ক্যাথলিক গির্জায় উপাসনারত মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। নারী ও শিশুসহ উপাসকদের ওপর গুলি চালিয়েছিল।

১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে উগান্ডায় উত্থান ঘটে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এডিএফের। তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনির বিরুদ্ধে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী একত্র হয়ে গঠিত হয় এই গোষ্ঠী। পরে ২০০২ সালে উগান্ডার সামরিক অভিযান এড়াতে তারা পাশের দেশ কঙ্গোতে কার্যক্রম স্থানান্তর করে। বর্তমানে তারা ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটবদ্ধ এবং পূর্ব আফ্রিকায় একটি ইসলামি সরকার গঠনের লক্ষ্যে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরেই ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর সশস্ত্র বাহিনী (এফএআরডিসি) বিদ্রোহী গোষ্ঠী এডিএফ-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। তবে সম্প্রতি রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ গোষ্ঠীর নতুন করে আক্রমণ শুরুর পর পূর্বাঞ্চলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

এনবিআর কর্মকর্তার কাণ্ড: কৃত্রিম অঙ্গের ঘোষণা দিয়ে ৪৫০ টন গয়না আমদানি

ঢাবিতে পাঁচ প্যানেলে ভোটের যুদ্ধ

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এনসিপির মাহিন সরকারকে বহিষ্কার

তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হবে: সেনাপ্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত