ডা. শুভাগত চৌধুরী
হৃদ্রোগ হওয়ার আগে জীবনযাত্রায় কিছু রদবদল করে ওষুধবিহীনভাবে ঝুঁকি কমানো যায়। এর জন্য ১৫টি পরামর্শ দিতে চাই, মানলে উপকৃত হবেন আপনি নিজেই।
১. হাঁটবেন। মাত্র ৪০ মিনিট করে প্রতি সপ্তাহে তিন বা চার দিন হাঁটুন, দ্রুত কদমে। অথবা ২৫ মিনিট করে আরেকটু কঠোর ব্যায়াম, যেমন জগিং করুন। এতে কমে যাবে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল আর দেহের ওজন। নতুন হাঁটুরে হলে শুরু হোক ধীরে ধীরে। সঙ্গে নিন বন্ধু বা জীবনসঙ্গী।
২. পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করুন দুপুরের খাবারের সময়। সত্যিই বন্ধু বা জীবনসঙ্গী হার্টকে ভালো রাখতে পারে। গবেষণা বলছে, একা বা একাকিত্বের অনুভবে হার্ট ভালো থাকে না। হৃদ্যন্ত্রের জন্য ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ব্যায়াম না করার মতোই খারাপ এই একাকিত্ব। কেবল কতবার দেখা হয়, তা নয়। কত যুক্ত তাদের সঙ্গে, সেটাই বড় কথা। তাই পুরোনো বন্ধু বা নতুন বন্ধুর সঙ্গে বসে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৩. বেশি বেশি ফল ও সবজি খাবেন। এতে আছে পুষ্টি উপকরণ, আঁশ, কম ক্যালরি আর কম চর্বি। এগুলো অনেক ভালো হার্টের জন্য। এ ছাড়া আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহের কোষ চাঙা রাখে।
৪. বাদাম দিয়ে নাশতা করুন। বাদামে আছে দারুণ সব জিনিস, যেমন আঁশ, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আর ওমেগা ৩। এগুলো প্রদাহ কমায়, রক্তনালির গায়ে চর্বি জমতে দেয় না। এটি সুরক্ষা দেয় ব্লাড ক্লট আর স্ট্রোক থেকে। যেকোনো বাদাম সপ্তাহে চার মুষ্টি খেয়ে নিন।
৫. তৈলাক্ত মাছ খাবেন। সামুদ্রিক মাছ, যেমন স্যামন, ম্যাকারেল, টুনা হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এগুলো বেশ সুলভও। এ ছাড়া আছে ইলিশ ও বোয়াল মাছ।
৬. জিমের বাইরে হোক দেহচর্চা। সারা দিন শরীর সচল রাখতে হাঁটুন, বাগানে কাজ করুন, ঘরের কাজ করুন, শিশুদের সঙ্গে খেলা করুন, লিফট দিয়ে না উঠে সিঁড়ি বেয়ে উঠুন।
৭. করুন যোগব্যায়াম। এক দিন ব্যায়াম করলে হবে না। সারা জীবন খেলাতে হবে শরীর। ইয়োগা কেবল ব্যায়াম নয়, এ হলো মনের চর্চা আর মানসিক চাপ কমানোর উপায়। এতে কমে হার্টের স্পন্দনের হার ও রক্তচাপ। এগুলো হার্টের জন্য ভালো। আছে ধ্যান, প্রাণায়াম ও শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম।
৮. রাতে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমাবেন। শরীর চায় দীর্ঘ সময়ের গভীর বিশ্রাম। সাত ঘণ্টার কম ঘুমানোর অভ্যাস হলে হার্ট একে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলবে। কম ঘুমালে বাড়ে প্রদাহ আর রক্তের সুগার। দুটিই মন্দ হৃদ্যন্ত্রের জন্য।
৯. ভীষণ শব্দ করে নাক ডাকেন আর শ্বাস রোধ হয়ে জাগেন, এমন হয় কি? এর ফলে সারা দিন লাগে ক্লান্ত। দেখা করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ আর স্ট্রোকের।
১০. ছাড়তে হবে ধূমপান। এতে বাড়ে রক্তচাপ, ব্লাড ক্লট হয় সহজে আর স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ে।
১১. স্বামী-স্ত্রীর মিলনে হয় হৃদয়ের সুখ। নিয়মিত বিরতিতে যৌনমিলন হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা দেয়।
১২. স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন। দেহে বাড়তি ওজন বাড়ায় রক্তচাপ, কোলেস্টেরল আর সুগার। তবে আহামরি ওজন কমানোর প্ল্যান বা চাঞ্চল্যকর ডায়েটে কান দেবেন না। শ্রেষ্ঠ উপায় হলো শরীরচর্চা আর সঠিক খাবার খাওয়া।
১৩. নেবেন ফ্লু শর্ট। এটি নিলে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে, এমন জানা গেছে। তবে কারণ জানা যায়নি।
১৪. সব সময় বসে থাকবেন না। মাঝেমধ্যে উঠে হাঁটুন বা পায়চারি করুন। শরীর সচল রাখতে ঘণ্টায় একবার হাঁটুন বা পায়চারি করুন।
১৫. চাই নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, সুগার মেপে দেখবেন। এগুলোর সঠিক পরিমাণ যত আগে জানা যাবে, তত মঙ্গল। এমন কিছু থাকলে ওষুধ বা লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
হৃদ্রোগ হওয়ার আগে জীবনযাত্রায় কিছু রদবদল করে ওষুধবিহীনভাবে ঝুঁকি কমানো যায়। এর জন্য ১৫টি পরামর্শ দিতে চাই, মানলে উপকৃত হবেন আপনি নিজেই।
১. হাঁটবেন। মাত্র ৪০ মিনিট করে প্রতি সপ্তাহে তিন বা চার দিন হাঁটুন, দ্রুত কদমে। অথবা ২৫ মিনিট করে আরেকটু কঠোর ব্যায়াম, যেমন জগিং করুন। এতে কমে যাবে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল আর দেহের ওজন। নতুন হাঁটুরে হলে শুরু হোক ধীরে ধীরে। সঙ্গে নিন বন্ধু বা জীবনসঙ্গী।
২. পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করুন দুপুরের খাবারের সময়। সত্যিই বন্ধু বা জীবনসঙ্গী হার্টকে ভালো রাখতে পারে। গবেষণা বলছে, একা বা একাকিত্বের অনুভবে হার্ট ভালো থাকে না। হৃদ্যন্ত্রের জন্য ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ব্যায়াম না করার মতোই খারাপ এই একাকিত্ব। কেবল কতবার দেখা হয়, তা নয়। কত যুক্ত তাদের সঙ্গে, সেটাই বড় কথা। তাই পুরোনো বন্ধু বা নতুন বন্ধুর সঙ্গে বসে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৩. বেশি বেশি ফল ও সবজি খাবেন। এতে আছে পুষ্টি উপকরণ, আঁশ, কম ক্যালরি আর কম চর্বি। এগুলো অনেক ভালো হার্টের জন্য। এ ছাড়া আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহের কোষ চাঙা রাখে।
৪. বাদাম দিয়ে নাশতা করুন। বাদামে আছে দারুণ সব জিনিস, যেমন আঁশ, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আর ওমেগা ৩। এগুলো প্রদাহ কমায়, রক্তনালির গায়ে চর্বি জমতে দেয় না। এটি সুরক্ষা দেয় ব্লাড ক্লট আর স্ট্রোক থেকে। যেকোনো বাদাম সপ্তাহে চার মুষ্টি খেয়ে নিন।
৫. তৈলাক্ত মাছ খাবেন। সামুদ্রিক মাছ, যেমন স্যামন, ম্যাকারেল, টুনা হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এগুলো বেশ সুলভও। এ ছাড়া আছে ইলিশ ও বোয়াল মাছ।
৬. জিমের বাইরে হোক দেহচর্চা। সারা দিন শরীর সচল রাখতে হাঁটুন, বাগানে কাজ করুন, ঘরের কাজ করুন, শিশুদের সঙ্গে খেলা করুন, লিফট দিয়ে না উঠে সিঁড়ি বেয়ে উঠুন।
৭. করুন যোগব্যায়াম। এক দিন ব্যায়াম করলে হবে না। সারা জীবন খেলাতে হবে শরীর। ইয়োগা কেবল ব্যায়াম নয়, এ হলো মনের চর্চা আর মানসিক চাপ কমানোর উপায়। এতে কমে হার্টের স্পন্দনের হার ও রক্তচাপ। এগুলো হার্টের জন্য ভালো। আছে ধ্যান, প্রাণায়াম ও শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম।
৮. রাতে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমাবেন। শরীর চায় দীর্ঘ সময়ের গভীর বিশ্রাম। সাত ঘণ্টার কম ঘুমানোর অভ্যাস হলে হার্ট একে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলবে। কম ঘুমালে বাড়ে প্রদাহ আর রক্তের সুগার। দুটিই মন্দ হৃদ্যন্ত্রের জন্য।
৯. ভীষণ শব্দ করে নাক ডাকেন আর শ্বাস রোধ হয়ে জাগেন, এমন হয় কি? এর ফলে সারা দিন লাগে ক্লান্ত। দেখা করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ আর স্ট্রোকের।
১০. ছাড়তে হবে ধূমপান। এতে বাড়ে রক্তচাপ, ব্লাড ক্লট হয় সহজে আর স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ে।
১১. স্বামী-স্ত্রীর মিলনে হয় হৃদয়ের সুখ। নিয়মিত বিরতিতে যৌনমিলন হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা দেয়।
১২. স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন। দেহে বাড়তি ওজন বাড়ায় রক্তচাপ, কোলেস্টেরল আর সুগার। তবে আহামরি ওজন কমানোর প্ল্যান বা চাঞ্চল্যকর ডায়েটে কান দেবেন না। শ্রেষ্ঠ উপায় হলো শরীরচর্চা আর সঠিক খাবার খাওয়া।
১৩. নেবেন ফ্লু শর্ট। এটি নিলে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমে, এমন জানা গেছে। তবে কারণ জানা যায়নি।
১৪. সব সময় বসে থাকবেন না। মাঝেমধ্যে উঠে হাঁটুন বা পায়চারি করুন। শরীর সচল রাখতে ঘণ্টায় একবার হাঁটুন বা পায়চারি করুন।
১৫. চাই নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, সুগার মেপে দেখবেন। এগুলোর সঠিক পরিমাণ যত আগে জানা যাবে, তত মঙ্গল। এমন কিছু থাকলে ওষুধ বা লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বাংলাদেশে গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা এ তথ্য আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৯ ঘণ্টা আগেঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ) নামের সমস্যায় ভোগেন বিশ্বের বহু মানুষ। তবে নিয়মিত শঙ্খ বাজালে এ সমস্যা কমে যেতে পারে বলে দাবি করছেন গবেষকেরা।
১৭ ঘণ্টা আগেবিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিলে সভাপতি, মহাসচিবসহ পূর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছেন হারুন-শাকিল প্যানেল। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে মধ্যরাতে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
১ দিন আগেচিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। অস্ত্রোপচারের পর ক্ষত সারাতে সেলাই বা স্ট্যাপলারের ব্যবহারের বদলে এবার আলোর মাধ্যমে সক্রিয় হওয়া বডি গ্লু বা শরীরবান্ধব আঠা ব্যবহার করার পথে এগোচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
২ দিন আগে