নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর চারটি রূপ রয়েছে। সাধারণ হলো ডেঙ্গু জ্বর। যেখানে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও ত্বকে র্যাশ দেখা দেয় এবং বেশির ভাগ রোগী এই পর্যায়েই সেরে ওঠেন। জটিল রূপ-ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (ডিএইচএফ)। এতে শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হয়, মাড়ি, নাক বা মলদ্বার থেকে রক্ত পড়তে পারে, ত্বকে লাল দাগ দেখা দেয় এবং প্লাটিলেট দ্রুত কমে যায়। তরল জমে পেট ও ফুসফুসে সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং চিকিৎসা না হলে শকের ঝুঁকি বাড়ে। সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (ডিএসএস)। যেখানে রক্তচাপ হঠাৎ নেমে যায়, হাত-পা ঠান্ডা হয়, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং কিডনি, লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে চিকিৎসকেরা এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমের (ইডিএস) কথাও উল্লেখ করছেন। যেখানে হৃৎপিণ্ড, লিভার, কিডনি বা মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়ে রোগীর অবস্থা দ্রুত জটিল হয়। বিশেষ করে যাদের কোমরবিডিটি (একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগ) রয়েছে, তাদের ইডিএসের ঝুঁকি বেশি।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ওই ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন। সচেতন না হলে ভোগান্তি কমানো যাবে না। আমরা মৃত্যু বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অর্ধেকের বেশি মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যে। বাকিদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের মৃত্যু হয়েছে দ্বিতীয় দিনে।’
ডা. আবু জাফর আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুতে মৃতদের ডেথ রিভিউ চলছে। হাসপাতালগুলোতে ডেথ রিভিউ কমিটি রয়েছে। তারা রিভিউ করে আমাদের কাছে তথ্য পাঠায়, কেন্দ্রীয়ভাবে রিভিউ হয় না। রিভিউতে দেখা গেছে, আগে ডেঙ্গুতে যারা মারা যেত, তারা মূলত হেমোরেজে মারা যেত। এখন শক সিনড্রোমে বেশি মারা যাচ্ছে।’
সরকার ডেঙ্গুবিষয়ক যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে, তাতে সব রোগী ও মৃতদের তথ্য থাকে না—এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকৃত কারণ ও রোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এখন সবারই জানা। রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যুর তথ্য পুরোপুরি না দিলেও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় তারতম্য হয় না। আমরা সব তথ্য দিতে পারছি না, এটা সত্য। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ ডেঙ্গু রোগীদের ডেথ রিভিউ তুলে ধরেন। তিনি জানান, চলতি বছরে ১১৪টি ডেথ রিভিউ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর চলতি বছরে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। বর্তমানে জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় মৃত্যু বেশি, এরপর বরগুনায়। হাসপাতালভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বয়সভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ২০ থেকে ৩০ বছরের রোগীরা। এরপর শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যু বেশি। রিভিউ হওয়া ওই ১১৪টি মৃত্যুর মধ্যে ৫৭ জন মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। মৃতদের ৪০ শতাংশের কোমরবিডিটি ছিল, যা ডেঙ্গুর জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ৫৬ জন মারা গেছে শক সিনড্রোমে। এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমে মারা গেছে ৩৬ জন।
ডা. মো. হালিমুর রশিদ বলেন, ‘বেশির ভাগ রোগী হাসপাতালে আসছে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে। এক দিন বা দুই দিনের মধ্যে খুব বেশি রোগী হাসপাতালে আসে না। এটা আমাদের সংক্ষেপে ডেথ অ্যানালাইসিস।’
এদিকে ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় মশাবাহিত এ রোগের চিকিৎসায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়।
গতকালের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘এখন ডেঙ্গুর চিকিৎসা একটি হাসপাতালে এক বিশেষজ্ঞ দলের অধীনে হবে। একই ওয়ার্ডে বা একই স্থানে একই চিকিৎসক দল চিকিৎসা করবেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮১ জনে। এ ছাড়া গত এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে ৬৭৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার বিকেলে ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মোট দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (১৪৯ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৬ জন ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ১১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ১৮১ জন মারা গেছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪২ হাজার ৫০৯ জন।
দেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর চারটি রূপ রয়েছে। সাধারণ হলো ডেঙ্গু জ্বর। যেখানে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও ত্বকে র্যাশ দেখা দেয় এবং বেশির ভাগ রোগী এই পর্যায়েই সেরে ওঠেন। জটিল রূপ-ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (ডিএইচএফ)। এতে শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হয়, মাড়ি, নাক বা মলদ্বার থেকে রক্ত পড়তে পারে, ত্বকে লাল দাগ দেখা দেয় এবং প্লাটিলেট দ্রুত কমে যায়। তরল জমে পেট ও ফুসফুসে সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং চিকিৎসা না হলে শকের ঝুঁকি বাড়ে। সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (ডিএসএস)। যেখানে রক্তচাপ হঠাৎ নেমে যায়, হাত-পা ঠান্ডা হয়, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং কিডনি, লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে চিকিৎসকেরা এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমের (ইডিএস) কথাও উল্লেখ করছেন। যেখানে হৃৎপিণ্ড, লিভার, কিডনি বা মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়ে রোগীর অবস্থা দ্রুত জটিল হয়। বিশেষ করে যাদের কোমরবিডিটি (একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগ) রয়েছে, তাদের ইডিএসের ঝুঁকি বেশি।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ওই ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন। সচেতন না হলে ভোগান্তি কমানো যাবে না। আমরা মৃত্যু বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অর্ধেকের বেশি মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যে। বাকিদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের মৃত্যু হয়েছে দ্বিতীয় দিনে।’
ডা. আবু জাফর আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুতে মৃতদের ডেথ রিভিউ চলছে। হাসপাতালগুলোতে ডেথ রিভিউ কমিটি রয়েছে। তারা রিভিউ করে আমাদের কাছে তথ্য পাঠায়, কেন্দ্রীয়ভাবে রিভিউ হয় না। রিভিউতে দেখা গেছে, আগে ডেঙ্গুতে যারা মারা যেত, তারা মূলত হেমোরেজে মারা যেত। এখন শক সিনড্রোমে বেশি মারা যাচ্ছে।’
সরকার ডেঙ্গুবিষয়ক যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে, তাতে সব রোগী ও মৃতদের তথ্য থাকে না—এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকৃত কারণ ও রোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এখন সবারই জানা। রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যুর তথ্য পুরোপুরি না দিলেও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় তারতম্য হয় না। আমরা সব তথ্য দিতে পারছি না, এটা সত্য। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ ডেঙ্গু রোগীদের ডেথ রিভিউ তুলে ধরেন। তিনি জানান, চলতি বছরে ১১৪টি ডেথ রিভিউ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর চলতি বছরে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। বর্তমানে জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় মৃত্যু বেশি, এরপর বরগুনায়। হাসপাতালভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বয়সভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ২০ থেকে ৩০ বছরের রোগীরা। এরপর শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যু বেশি। রিভিউ হওয়া ওই ১১৪টি মৃত্যুর মধ্যে ৫৭ জন মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। মৃতদের ৪০ শতাংশের কোমরবিডিটি ছিল, যা ডেঙ্গুর জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ৫৬ জন মারা গেছে শক সিনড্রোমে। এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমে মারা গেছে ৩৬ জন।
ডা. মো. হালিমুর রশিদ বলেন, ‘বেশির ভাগ রোগী হাসপাতালে আসছে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে। এক দিন বা দুই দিনের মধ্যে খুব বেশি রোগী হাসপাতালে আসে না। এটা আমাদের সংক্ষেপে ডেথ অ্যানালাইসিস।’
এদিকে ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় মশাবাহিত এ রোগের চিকিৎসায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়।
গতকালের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘এখন ডেঙ্গুর চিকিৎসা একটি হাসপাতালে এক বিশেষজ্ঞ দলের অধীনে হবে। একই ওয়ার্ডে বা একই স্থানে একই চিকিৎসক দল চিকিৎসা করবেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮১ জনে। এ ছাড়া গত এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে ৬৭৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার বিকেলে ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মোট দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (১৪৯ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৬ জন ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ১১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ১৮১ জন মারা গেছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪২ হাজার ৫০৯ জন।
দেশে ডেঙ্গু ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চলতি সেপ্টেম্বরে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিদিন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৪০ জন রোগী।
১৭ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; যা এক দিনের মধ্যে এ বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যা। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৪০ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও এক দিনে সর্বোচ্চ।
১ দিন আগেডেঙ্গুতে দুদিনে মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে ছয়জন নারী ও ছয়জন পুরুষ। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিনজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দুজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছে।
১ দিন আগেদেশের মানুষের দীর্ঘমেয়াদি ও অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিবছর যত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মারা যাচ্ছেন এসব রোগের কারণে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশের প্রায় ৫৩ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন সদস্য কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত।
২ দিন আগে