নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর চারটি রূপ রয়েছে। সাধারণ হলো ডেঙ্গু জ্বর। যেখানে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও ত্বকে র্যাশ দেখা দেয় এবং বেশির ভাগ রোগী এই পর্যায়েই সেরে ওঠেন। জটিল রূপ-ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (ডিএইচএফ)। এতে শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হয়, মাড়ি, নাক বা মলদ্বার থেকে রক্ত পড়তে পারে, ত্বকে লাল দাগ দেখা দেয় এবং প্লাটিলেট দ্রুত কমে যায়। তরল জমে পেট ও ফুসফুসে সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং চিকিৎসা না হলে শকের ঝুঁকি বাড়ে। সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (ডিএসএস)। যেখানে রক্তচাপ হঠাৎ নেমে যায়, হাত-পা ঠান্ডা হয়, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং কিডনি, লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে চিকিৎসকেরা এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমের (ইডিএস) কথাও উল্লেখ করছেন। যেখানে হৃৎপিণ্ড, লিভার, কিডনি বা মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়ে রোগীর অবস্থা দ্রুত জটিল হয়। বিশেষ করে যাদের কোমরবিডিটি (একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগ) রয়েছে, তাদের ইডিএসের ঝুঁকি বেশি।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ওই ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন। সচেতন না হলে ভোগান্তি কমানো যাবে না। আমরা মৃত্যু বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অর্ধেকের বেশি মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যে। বাকিদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের মৃত্যু হয়েছে দ্বিতীয় দিনে।’
ডা. আবু জাফর আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুতে মৃতদের ডেথ রিভিউ চলছে। হাসপাতালগুলোতে ডেথ রিভিউ কমিটি রয়েছে। তারা রিভিউ করে আমাদের কাছে তথ্য পাঠায়, কেন্দ্রীয়ভাবে রিভিউ হয় না। রিভিউতে দেখা গেছে, আগে ডেঙ্গুতে যারা মারা যেত, তারা মূলত হেমোরেজে মারা যেত। এখন শক সিনড্রোমে বেশি মারা যাচ্ছে।’
সরকার ডেঙ্গুবিষয়ক যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে, তাতে সব রোগী ও মৃতদের তথ্য থাকে না—এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকৃত কারণ ও রোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এখন সবারই জানা। রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যুর তথ্য পুরোপুরি না দিলেও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় তারতম্য হয় না। আমরা সব তথ্য দিতে পারছি না, এটা সত্য। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ ডেঙ্গু রোগীদের ডেথ রিভিউ তুলে ধরেন। তিনি জানান, চলতি বছরে ১১৪টি ডেথ রিভিউ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর চলতি বছরে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। বর্তমানে জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় মৃত্যু বেশি, এরপর বরগুনায়। হাসপাতালভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বয়সভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ২০ থেকে ৩০ বছরের রোগীরা। এরপর শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যু বেশি। রিভিউ হওয়া ওই ১১৪টি মৃত্যুর মধ্যে ৫৭ জন মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। মৃতদের ৪০ শতাংশের কোমরবিডিটি ছিল, যা ডেঙ্গুর জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ৫৬ জন মারা গেছে শক সিনড্রোমে। এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমে মারা গেছে ৩৬ জন।
ডা. মো. হালিমুর রশিদ বলেন, ‘বেশির ভাগ রোগী হাসপাতালে আসছে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে। এক দিন বা দুই দিনের মধ্যে খুব বেশি রোগী হাসপাতালে আসে না। এটা আমাদের সংক্ষেপে ডেথ অ্যানালাইসিস।’
এদিকে ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় মশাবাহিত এ রোগের চিকিৎসায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়।
গতকালের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘এখন ডেঙ্গুর চিকিৎসা একটি হাসপাতালে এক বিশেষজ্ঞ দলের অধীনে হবে। একই ওয়ার্ডে বা একই স্থানে একই চিকিৎসক দল চিকিৎসা করবেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮১ জনে। এ ছাড়া গত এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে ৬৭৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার বিকেলে ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মোট দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (১৪৯ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৬ জন ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ১১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ১৮১ জন মারা গেছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪২ হাজার ৫০৯ জন।

দেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর চারটি রূপ রয়েছে। সাধারণ হলো ডেঙ্গু জ্বর। যেখানে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও ত্বকে র্যাশ দেখা দেয় এবং বেশির ভাগ রোগী এই পর্যায়েই সেরে ওঠেন। জটিল রূপ-ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (ডিএইচএফ)। এতে শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হয়, মাড়ি, নাক বা মলদ্বার থেকে রক্ত পড়তে পারে, ত্বকে লাল দাগ দেখা দেয় এবং প্লাটিলেট দ্রুত কমে যায়। তরল জমে পেট ও ফুসফুসে সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং চিকিৎসা না হলে শকের ঝুঁকি বাড়ে। সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (ডিএসএস)। যেখানে রক্তচাপ হঠাৎ নেমে যায়, হাত-পা ঠান্ডা হয়, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং কিডনি, লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে চিকিৎসকেরা এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমের (ইডিএস) কথাও উল্লেখ করছেন। যেখানে হৃৎপিণ্ড, লিভার, কিডনি বা মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়ে রোগীর অবস্থা দ্রুত জটিল হয়। বিশেষ করে যাদের কোমরবিডিটি (একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগ) রয়েছে, তাদের ইডিএসের ঝুঁকি বেশি।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ওই ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন। সচেতন না হলে ভোগান্তি কমানো যাবে না। আমরা মৃত্যু বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অর্ধেকের বেশি মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যে। বাকিদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের মৃত্যু হয়েছে দ্বিতীয় দিনে।’
ডা. আবু জাফর আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুতে মৃতদের ডেথ রিভিউ চলছে। হাসপাতালগুলোতে ডেথ রিভিউ কমিটি রয়েছে। তারা রিভিউ করে আমাদের কাছে তথ্য পাঠায়, কেন্দ্রীয়ভাবে রিভিউ হয় না। রিভিউতে দেখা গেছে, আগে ডেঙ্গুতে যারা মারা যেত, তারা মূলত হেমোরেজে মারা যেত। এখন শক সিনড্রোমে বেশি মারা যাচ্ছে।’
সরকার ডেঙ্গুবিষয়ক যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে, তাতে সব রোগী ও মৃতদের তথ্য থাকে না—এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকৃত কারণ ও রোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এখন সবারই জানা। রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যুর তথ্য পুরোপুরি না দিলেও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় তারতম্য হয় না। আমরা সব তথ্য দিতে পারছি না, এটা সত্য। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ ডেঙ্গু রোগীদের ডেথ রিভিউ তুলে ধরেন। তিনি জানান, চলতি বছরে ১১৪টি ডেথ রিভিউ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর চলতি বছরে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। বর্তমানে জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় মৃত্যু বেশি, এরপর বরগুনায়। হাসপাতালভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বয়সভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ২০ থেকে ৩০ বছরের রোগীরা। এরপর শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যু বেশি। রিভিউ হওয়া ওই ১১৪টি মৃত্যুর মধ্যে ৫৭ জন মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। মৃতদের ৪০ শতাংশের কোমরবিডিটি ছিল, যা ডেঙ্গুর জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ৫৬ জন মারা গেছে শক সিনড্রোমে। এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমে মারা গেছে ৩৬ জন।
ডা. মো. হালিমুর রশিদ বলেন, ‘বেশির ভাগ রোগী হাসপাতালে আসছে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে। এক দিন বা দুই দিনের মধ্যে খুব বেশি রোগী হাসপাতালে আসে না। এটা আমাদের সংক্ষেপে ডেথ অ্যানালাইসিস।’
এদিকে ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় মশাবাহিত এ রোগের চিকিৎসায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়।
গতকালের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘এখন ডেঙ্গুর চিকিৎসা একটি হাসপাতালে এক বিশেষজ্ঞ দলের অধীনে হবে। একই ওয়ার্ডে বা একই স্থানে একই চিকিৎসক দল চিকিৎসা করবেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮১ জনে। এ ছাড়া গত এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে ৬৭৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার বিকেলে ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মোট দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (১৪৯ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৬ জন ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ১১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ১৮১ জন মারা গেছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪২ হাজার ৫০৯ জন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর চারটি রূপ রয়েছে। সাধারণ হলো ডেঙ্গু জ্বর। যেখানে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও ত্বকে র্যাশ দেখা দেয় এবং বেশির ভাগ রোগী এই পর্যায়েই সেরে ওঠেন। জটিল রূপ-ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (ডিএইচএফ)। এতে শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হয়, মাড়ি, নাক বা মলদ্বার থেকে রক্ত পড়তে পারে, ত্বকে লাল দাগ দেখা দেয় এবং প্লাটিলেট দ্রুত কমে যায়। তরল জমে পেট ও ফুসফুসে সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং চিকিৎসা না হলে শকের ঝুঁকি বাড়ে। সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (ডিএসএস)। যেখানে রক্তচাপ হঠাৎ নেমে যায়, হাত-পা ঠান্ডা হয়, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং কিডনি, লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে চিকিৎসকেরা এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমের (ইডিএস) কথাও উল্লেখ করছেন। যেখানে হৃৎপিণ্ড, লিভার, কিডনি বা মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়ে রোগীর অবস্থা দ্রুত জটিল হয়। বিশেষ করে যাদের কোমরবিডিটি (একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগ) রয়েছে, তাদের ইডিএসের ঝুঁকি বেশি।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ওই ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন। সচেতন না হলে ভোগান্তি কমানো যাবে না। আমরা মৃত্যু বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অর্ধেকের বেশি মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যে। বাকিদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের মৃত্যু হয়েছে দ্বিতীয় দিনে।’
ডা. আবু জাফর আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুতে মৃতদের ডেথ রিভিউ চলছে। হাসপাতালগুলোতে ডেথ রিভিউ কমিটি রয়েছে। তারা রিভিউ করে আমাদের কাছে তথ্য পাঠায়, কেন্দ্রীয়ভাবে রিভিউ হয় না। রিভিউতে দেখা গেছে, আগে ডেঙ্গুতে যারা মারা যেত, তারা মূলত হেমোরেজে মারা যেত। এখন শক সিনড্রোমে বেশি মারা যাচ্ছে।’
সরকার ডেঙ্গুবিষয়ক যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে, তাতে সব রোগী ও মৃতদের তথ্য থাকে না—এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকৃত কারণ ও রোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এখন সবারই জানা। রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যুর তথ্য পুরোপুরি না দিলেও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় তারতম্য হয় না। আমরা সব তথ্য দিতে পারছি না, এটা সত্য। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ ডেঙ্গু রোগীদের ডেথ রিভিউ তুলে ধরেন। তিনি জানান, চলতি বছরে ১১৪টি ডেথ রিভিউ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর চলতি বছরে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। বর্তমানে জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় মৃত্যু বেশি, এরপর বরগুনায়। হাসপাতালভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বয়সভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ২০ থেকে ৩০ বছরের রোগীরা। এরপর শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যু বেশি। রিভিউ হওয়া ওই ১১৪টি মৃত্যুর মধ্যে ৫৭ জন মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। মৃতদের ৪০ শতাংশের কোমরবিডিটি ছিল, যা ডেঙ্গুর জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ৫৬ জন মারা গেছে শক সিনড্রোমে। এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমে মারা গেছে ৩৬ জন।
ডা. মো. হালিমুর রশিদ বলেন, ‘বেশির ভাগ রোগী হাসপাতালে আসছে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে। এক দিন বা দুই দিনের মধ্যে খুব বেশি রোগী হাসপাতালে আসে না। এটা আমাদের সংক্ষেপে ডেথ অ্যানালাইসিস।’
এদিকে ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় মশাবাহিত এ রোগের চিকিৎসায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়।
গতকালের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘এখন ডেঙ্গুর চিকিৎসা একটি হাসপাতালে এক বিশেষজ্ঞ দলের অধীনে হবে। একই ওয়ার্ডে বা একই স্থানে একই চিকিৎসক দল চিকিৎসা করবেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮১ জনে। এ ছাড়া গত এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে ৬৭৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার বিকেলে ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মোট দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (১৪৯ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৬ জন ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ১১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ১৮১ জন মারা গেছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪২ হাজার ৫০৯ জন।

দেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর চারটি রূপ রয়েছে। সাধারণ হলো ডেঙ্গু জ্বর। যেখানে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও ত্বকে র্যাশ দেখা দেয় এবং বেশির ভাগ রোগী এই পর্যায়েই সেরে ওঠেন। জটিল রূপ-ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (ডিএইচএফ)। এতে শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হয়, মাড়ি, নাক বা মলদ্বার থেকে রক্ত পড়তে পারে, ত্বকে লাল দাগ দেখা দেয় এবং প্লাটিলেট দ্রুত কমে যায়। তরল জমে পেট ও ফুসফুসে সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং চিকিৎসা না হলে শকের ঝুঁকি বাড়ে। সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ হলো ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (ডিএসএস)। যেখানে রক্তচাপ হঠাৎ নেমে যায়, হাত-পা ঠান্ডা হয়, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং কিডনি, লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে চিকিৎসকেরা এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমের (ইডিএস) কথাও উল্লেখ করছেন। যেখানে হৃৎপিণ্ড, লিভার, কিডনি বা মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়ে রোগীর অবস্থা দ্রুত জটিল হয়। বিশেষ করে যাদের কোমরবিডিটি (একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগ) রয়েছে, তাদের ইডিএসের ঝুঁকি বেশি।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ওই ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন। সচেতন না হলে ভোগান্তি কমানো যাবে না। আমরা মৃত্যু বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অর্ধেকের বেশি মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক দিনের মধ্যে। বাকিদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের মৃত্যু হয়েছে দ্বিতীয় দিনে।’
ডা. আবু জাফর আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুতে মৃতদের ডেথ রিভিউ চলছে। হাসপাতালগুলোতে ডেথ রিভিউ কমিটি রয়েছে। তারা রিভিউ করে আমাদের কাছে তথ্য পাঠায়, কেন্দ্রীয়ভাবে রিভিউ হয় না। রিভিউতে দেখা গেছে, আগে ডেঙ্গুতে যারা মারা যেত, তারা মূলত হেমোরেজে মারা যেত। এখন শক সিনড্রোমে বেশি মারা যাচ্ছে।’
সরকার ডেঙ্গুবিষয়ক যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে, তাতে সব রোগী ও মৃতদের তথ্য থাকে না—এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকৃত কারণ ও রোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এখন সবারই জানা। রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যুর তথ্য পুরোপুরি না দিলেও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় তারতম্য হয় না। আমরা সব তথ্য দিতে পারছি না, এটা সত্য। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ ডেঙ্গু রোগীদের ডেথ রিভিউ তুলে ধরেন। তিনি জানান, চলতি বছরে ১১৪টি ডেথ রিভিউ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর চলতি বছরে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। বর্তমানে জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় মৃত্যু বেশি, এরপর বরগুনায়। হাসপাতালভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বয়সভিত্তিক তথ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ২০ থেকে ৩০ বছরের রোগীরা। এরপর শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী রোগীদের মৃত্যু বেশি। রিভিউ হওয়া ওই ১১৪টি মৃত্যুর মধ্যে ৫৭ জন মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। মৃতদের ৪০ শতাংশের কোমরবিডিটি ছিল, যা ডেঙ্গুর জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ৫৬ জন মারা গেছে শক সিনড্রোমে। এক্সপ্যান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমে মারা গেছে ৩৬ জন।
ডা. মো. হালিমুর রশিদ বলেন, ‘বেশির ভাগ রোগী হাসপাতালে আসছে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে। এক দিন বা দুই দিনের মধ্যে খুব বেশি রোগী হাসপাতালে আসে না। এটা আমাদের সংক্ষেপে ডেথ অ্যানালাইসিস।’
এদিকে ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় মশাবাহিত এ রোগের চিকিৎসায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়।
গতকালের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘এখন ডেঙ্গুর চিকিৎসা একটি হাসপাতালে এক বিশেষজ্ঞ দলের অধীনে হবে। একই ওয়ার্ডে বা একই স্থানে একই চিকিৎসক দল চিকিৎসা করবেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮১ জনে। এ ছাড়া গত এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে ৬৭৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার বিকেলে ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মোট দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (১৪৯ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৬ জন ছাড়াও ঢাকা বিভাগে ১১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ১৮১ জন মারা গেছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪২ হাজার ৫০৯ জন।

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
৫ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেআইসিডিডিআরবির গবেষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা এবং পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
হাসপাতাল সূত্রে ঘটা সংক্রমণ (এইচএআই) এখন বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এসব সংক্রমণের জন্য দায়ী রোগজীবাণু বা পরজীবীর একটি হচ্ছে ক্যান্ডিডা অরিস নামের ছত্রাক। ‘ক্যান্ডিডা’ গণের আওতায় অরিসসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক রয়েছে। সাম্প্রতিককালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ছত্রাক সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ক্যান্ডিডা অরিস।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্ডিডা অরিস দেশের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। আইসিডিডিআরবি এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) যৌথ উদ্যোগে চালানো হয়েছে গবেষণাটি। এতে অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হওয়ায় অরিস ছত্রাককে সিডিসিই ২০১৯ সালে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি থাকা ৩৭৪টি নবজাতকের ওপর ওপরের গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দেখা যায়, ৩২টি (৯ শতাংশ) নবজাতক ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল। একজনের রক্তেও সংক্রমণ প্রবেশ করে। এদের মধ্যে ১৪টি নবজাতক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছত্রাকে আক্রান্ত ছিল। আর ১৮টি নবজাতক সংক্রমিত হয় ভর্তি হওয়ার পর। আক্রান্ত ৩২টি নবজাতকের মধ্যে রক্তে সংক্রমিতসহ ৭টি নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। গবেষকেরা বলছেন, এই ফল ইঙ্গিত দেয়, এনআইসিইউর ভেতরেই প্রায়শ ছত্রাকটির সংক্রমণ ঘটছে।
আইসিডিডিআরবির আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, এর আওতায় পর্যবেক্ষণ করা রোগীদের কেউই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে ক্যান্ডিডা অরিসে আক্রান্ত হয়নি।
নতুন গবেষণায় সংগৃহীত ছত্রাকের নমুনার ৮২ শতাংশই ফ্লুকোনাজোল নামের একটি ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ছিল। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এই ছত্রাকের চিকিৎসায় ওষুধটির কার্যকারিতা বিভিন্ন মাত্রায় কমে যেতে পারে। অথচ ক্যান্ডিডা অরিসের বিরুদ্ধে ফ্লুকোনাজোল প্রথম সারির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমআরএসের মতো ‘সুপারবাগ’ (অতি প্রাণঘাতী জীবাণু) কোনো ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধটি কার্যত পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়া। আর ক্যান্ডিডা অরিসকে আইসিডিডিআরবির বিশেষজ্ঞ ফাহমিদা চৌধুরী ‘সুপারবাগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমিত নবজাতকদের ৮১ শতাংশেরই জন্ম হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে ডেলিভারির পর নবজাতক তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অবস্থান করায় এই ছত্রাকের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইসিডিডিআরবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যান্ডিডা অরিস এমন এক ধরনের ছত্রাক, যা মানুষের ত্বকে কোনো লক্ষণ ছাড়াই অবস্থান করতে এবং দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অবস্থান সংক্রমণে রূপ নেয়; বিশেষ করে যখন এটি রক্তের মতো জীবাণুমুক্ত অংশে প্রবেশ করে এবং রোগটিকে অত্যন্ত প্রাণঘাতী করে তোলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশে ক্যান্ডিডা অরিসজনিত রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭০ শতাংশ। দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি, গুরুতর অসুস্থ রোগী এবং অপরিণত নবজাতকেরা এই সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের এএমআর গবেষণা শাখার প্রধান ফাহমিদা চৌধুরী বলেন, ‘এই গবেষণা নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ বাচ্চাদের মধ্যে সুপারবাগ সংক্রমণের গুরুতর প্রমাণ দিয়েছে। প্রশাসনিক ও নীতিগতভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার গবেষণাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সুপারিশ হিসেবে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নত করার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এনআইসিইউতে ক্যান্ডিডা অরিস সংক্রমণের ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এতে আক্রান্ত নবজাতকদের দ্রুত শনাক্ত এবং আলাদা করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

দেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর...
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।
৭ নভেম্বর মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেডের (বিএমআইএস) প্রশিক্ষণকক্ষে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এর আয়োজন করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) এর অঙ্গসংগঠন ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশ (আইপিসিবি)। পিসিএসবি-এর সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়ার পরিকল্পনায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে রিয়েল ভিউর প্রধান ব্যক্তিত্ব ফাহিমা খাতুন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে রিয়েল ভিউ নামের এই সংগঠনটি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিসিবির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, পিসিএসবির কোষাধ্যক্ষ সালাহউদ্দীন আহমাদ, ডা. নূরজাহান বেগম, ডা. তাসনিম জেরিন, ডা. সীমা রানী সরকার, ডা. নাদিয়া ফারহীন, লেখক আসিফ নবী, খালিদ আরাফাত অব্যয়, ফারজানা মালা, শাহাদৎ রুমন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্যালিয়েটিভ কেয়ারে যুক্ত করা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের অধ্যক্ষ গ্লোরিয়া চন্দ্রানী বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন মানবিক প্রশিক্ষণের অংশ হতে পেরে গৌরব অনুভব করছি। এই উদ্যোগ শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনুপ্রেরণা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সালে রেভা. ভেরনিকা এন ক্যাম্পবেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এই ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশের প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আবাসিক সুবিধাও দেয়। এখান থেকে প্রথম ব্রেইল বইয়ের প্রচলন শুরু হয় বাংলাদেশে।’
ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ কেয়ার-বাংলাদেশের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সত্যিই আজ আমি অভিভূত। বিশ্বে যেখানে কেউ এই বিশেষ সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে ভাবেনি, সেখানে আমরা এই বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ মানুষদের নিয়ে একটি বিশেষায়িত সেবার প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই সাফল্যের মূল কৃতিত্ব অবশ্যই প্রশিক্ষণার্থীদের। তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশের এই ধারণা ভবিষ্যতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করবে।’
অনুষ্ঠান শেষে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা।

দেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর...
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭৮, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২২০, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, রাজশাহী বিভাগে ১১৩ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ বছরের ছেলে শিশু রয়েছে। এ ছাড়া তিনজন নারী ও বাকি দুজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৫, ৩২, ৭০, ৪৮ ও ৪০ বছর।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ ও অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর...
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
৫ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
৭ ঘণ্টা আগে
ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
২ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
ডায়াবেটিস ভালো হয় না—বিষয়টি রোগীদের বেশি চিন্তিত করে তোলে। এই দুশ্চিন্তা থেকে রোগীরা অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেন না। সেই সঙ্গে রোগীরা খাওয়া নিয়েও অনেক ভুল ধারণা পোষণ করেন।
কিটো ডায়েটে ডায়াবেটিস ভালো হয়
কথাটি বহুল প্রচলিত। বেশির ভাগ ডায়াবেটিস রোগী কিটো ডায়েটে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করেন; কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর আর পেরে ওঠেন না। কিটো ডায়েটে রক্তের সুগার বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু একটা লম্বা সময় কিটো ডায়েট করলে আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সৃষ্টি হয়। ফলে শরীরের অন্য অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কিটো ডায়েটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার ও কিডনি। তাই এসব বিষয়ে প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর সচেতন থাকতে হবে।
কিটো ডায়েটে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তার মানে এই নয় যে আপনার ডায়াবেটিস সেরে যাবে। আপনি যখন কিটো ডায়েট ছেড়ে আবার স্বাভাবিক ডায়েটে আসবেন, তখন আপনার রক্তের সুগার আবারও বেড়ে যাবে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস হয়
এই তথ্যও একেবারে সঠিক নয়। আপনার ডায়াবেটিস যদি হয়, তাহলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। ডায়াবেটিস না থাকলে খাওয়া যেতে পারে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিমিতভাবে। তবে অতিরিক্ত যদি খান, তাহলে অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তি মিষ্টিজাতীয় তৈরি খাবার প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম খেতে পারেন।
ডাল ও বীজজাতীয় খাবার নয়
অনেকে বলে থাকেন, ডায়াবেটিস রোগীদের ডাল ও বিভিন্ন বীজজাতীয় খাবার নিষেধ। এটিও ভুল তথ্য। ডাল এবং বীজজাতীয় খাবার অবশ্যই পরিমিত খাওয়া যাবে। শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত যেকোনো খাবার ক্ষতিকর। তবে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলে ডাল ও বীজজাতীয় খাবার বন্ধ থাকবে।
মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেতে হয়
বহুল প্রচলিত বাণী এটি। মাঝেমধ্যে মিষ্টি না খেলে ডায়াবেটিস নীল হয়ে যায়—এটা ভুল তথ্য। এতে ডায়াবেটিস বেড়ে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। তবে রক্তের সুগার (হাইপোগ্লাইসিমিয়া) স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে কিছুটা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হয়। তবে রুটিনমাফিক খাবার খেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে রক্তের সুগার কমে যাওয়ার শঙ্কা খুব কম।
হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে, তখন ৩ চা-চামচ চিনি অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে।
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশু বুকের দুধ খেতে পারবে না
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলেও তিনি শিশুকে নিশ্চিন্তে বুকের দুধ পান করাতে পারেন। বরং বুকের দুধ পান না করালেই শিশু অপুষ্টিতে ভুগবে। তার সঠিক বৃদ্ধি হবে না। জন্মের প্রথম ৬ মাস শিশুর সব পুষ্টির চাহিদা শুধু মায়ের বুকের দুধ থেকে পূরণ হয়। অন্য কোনো উপায়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয়।
ভুল ধারণা
ডায়াবেটিস সেরে যায়
ডায়াবেটিস রোগ কখনো সেরে যায় না। এই রোগীদের এ ধরনের দুর্বলতার সুযোগ অনেক অসাধু ব্যক্তি নিয়ে থাকে। ‘ডায়াবেটিস ভালো হয়’ এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। এতে রোগীরা আকৃষ্ট হন। সেসব জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার পর ডায়াবেটিস তো ভালো হয়ই না; উল্টো রোগীদের ডায়াবেটিসের অন্যান্য জটিলতা আও বেড়ে যায়।
অনেকে বলেন, হোমিওপ্যাথি বা কবিরাজি চিকিৎসায় ডায়াবেটিস ভালো হয়। এগুলোও ভুল তথ্য। ডায়াবেটিস ভালো করার কোনো ফর্মুলা যদি আবিষ্কৃত হয়, তাহলে সে খবর সবার আগে দেশের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ও ডায়াবেটিস হাসপাতালগুলো জানবে। তাই এমন চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে নিজের স্বাস্থ্য আর কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট করবেন না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

ডায়াবেটিস রোগের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ডায়েট বা খাবার ব্যবস্থাপনা। এটি একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ। তাই এই রোগ হলে লাইফস্টাইলে নানা পরিবর্তন আনতে হয় সুস্থ থাকতে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবস্থাপনা এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ থাকা যায় ডায়াবেটিস থেকে।
ডায়াবেটিস ভালো হয় না—বিষয়টি রোগীদের বেশি চিন্তিত করে তোলে। এই দুশ্চিন্তা থেকে রোগীরা অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেন না। সেই সঙ্গে রোগীরা খাওয়া নিয়েও অনেক ভুল ধারণা পোষণ করেন।
কিটো ডায়েটে ডায়াবেটিস ভালো হয়
কথাটি বহুল প্রচলিত। বেশির ভাগ ডায়াবেটিস রোগী কিটো ডায়েটে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা করেন; কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর আর পেরে ওঠেন না। কিটো ডায়েটে রক্তের সুগার বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু একটা লম্বা সময় কিটো ডায়েট করলে আমাদের শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সৃষ্টি হয়। ফলে শরীরের অন্য অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কিটো ডায়েটে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার ও কিডনি। তাই এসব বিষয়ে প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর সচেতন থাকতে হবে।
কিটো ডায়েটে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তার মানে এই নয় যে আপনার ডায়াবেটিস সেরে যাবে। আপনি যখন কিটো ডায়েট ছেড়ে আবার স্বাভাবিক ডায়েটে আসবেন, তখন আপনার রক্তের সুগার আবারও বেড়ে যাবে।
মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস হয়
এই তথ্যও একেবারে সঠিক নয়। আপনার ডায়াবেটিস যদি হয়, তাহলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। ডায়াবেটিস না থাকলে খাওয়া যেতে পারে মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিমিতভাবে। তবে অতিরিক্ত যদি খান, তাহলে অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তি মিষ্টিজাতীয় তৈরি খাবার প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম খেতে পারেন।
ডাল ও বীজজাতীয় খাবার নয়
অনেকে বলে থাকেন, ডায়াবেটিস রোগীদের ডাল ও বিভিন্ন বীজজাতীয় খাবার নিষেধ। এটিও ভুল তথ্য। ডাল এবং বীজজাতীয় খাবার অবশ্যই পরিমিত খাওয়া যাবে। শরীরের চাহিদার অতিরিক্ত যেকোনো খাবার ক্ষতিকর। তবে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকলে ডাল ও বীজজাতীয় খাবার বন্ধ থাকবে।
মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেতে হয়
বহুল প্রচলিত বাণী এটি। মাঝেমধ্যে মিষ্টি না খেলে ডায়াবেটিস নীল হয়ে যায়—এটা ভুল তথ্য। এতে ডায়াবেটিস বেড়ে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। তবে রক্তের সুগার (হাইপোগ্লাইসিমিয়া) স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে কিছুটা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হয়। তবে রুটিনমাফিক খাবার খেলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে রক্তের সুগার কমে যাওয়ার শঙ্কা খুব কম।
হাইপোগ্লাইসিমিয়া হলে, তখন ৩ চা-চামচ চিনি অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে।
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে শিশু বুকের দুধ খেতে পারবে না
মায়ের ডায়াবেটিস থাকলেও তিনি শিশুকে নিশ্চিন্তে বুকের দুধ পান করাতে পারেন। বরং বুকের দুধ পান না করালেই শিশু অপুষ্টিতে ভুগবে। তার সঠিক বৃদ্ধি হবে না। জন্মের প্রথম ৬ মাস শিশুর সব পুষ্টির চাহিদা শুধু মায়ের বুকের দুধ থেকে পূরণ হয়। অন্য কোনো উপায়ে তা পূরণ করা সম্ভব নয়।
ভুল ধারণা
ডায়াবেটিস সেরে যায়
ডায়াবেটিস রোগ কখনো সেরে যায় না। এই রোগীদের এ ধরনের দুর্বলতার সুযোগ অনেক অসাধু ব্যক্তি নিয়ে থাকে। ‘ডায়াবেটিস ভালো হয়’ এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। এতে রোগীরা আকৃষ্ট হন। সেসব জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার পর ডায়াবেটিস তো ভালো হয়ই না; উল্টো রোগীদের ডায়াবেটিসের অন্যান্য জটিলতা আও বেড়ে যায়।
অনেকে বলেন, হোমিওপ্যাথি বা কবিরাজি চিকিৎসায় ডায়াবেটিস ভালো হয়। এগুলোও ভুল তথ্য। ডায়াবেটিস ভালো করার কোনো ফর্মুলা যদি আবিষ্কৃত হয়, তাহলে সে খবর সবার আগে দেশের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ও ডায়াবেটিস হাসপাতালগুলো জানবে। তাই এমন চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে নিজের স্বাস্থ্য আর কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট করবেন না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনার চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

দেশে বর্তমানে যেসব ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যুর কারণ শক সিনড্রোম। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি মারা যাচ্ছে হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যে। দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর...
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ক্যান্ডিডা অরিস নামের একধরনের সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক (ফাঙ্গাস) ছড়িয়ে পড়ছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে। ‘অরিস’ জাতের ছত্রাকটি একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় একে ‘অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি’ হিসেবে ঘোষ
৫ ঘণ্টা আগে
‘টোয়েন্টি আওয়ার ট্রেইনিং ফর কেয়ারার’ সম্পন্ন করলেন ১৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলে আরও ছিলেন ৩ জন সহকারী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকেরা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সন্তানদের মায়েরা।...
৭ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৯৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগে