ডা. দেলোয়ার হোসেন
করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি স্কুলগুলো কবে নাগাদ খুলতে পারে। এই দীর্ঘ সময় নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস করছে শিশুরা। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা বাড়ছে। শিশুরা বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ সময় তারা পড়াশোনার প্রতিও অমনোযোগী হয়ে পড়েছে।
অনলাইন ক্লাস করার কারণে দীর্ঘ সময় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এতে শিশুদের মাথাব্যথার সমস্যা বাড়ছে। টানা কম্পিউটার স্ক্রিন বা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে বাড়ছে চোখের সমস্যা।
শিশুরা যখন অনলাইনে ক্লাস করে, তখন তারা বসার ভঙ্গি ঠিক রাখে না। বিদ্যালয়ে বসার জন্য যে বেঞ্চ ও চেয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোতে সঠিকভাবে বসার কারণে ব্যাকপেইন বা মেরুদণ্ডের সমস্যা হয় না। কিন্তু বাসায় শিশুরা ঠিকভাবে বসে না। কুঁজো হয়ে থাকে। শুয়ে-বসে ক্লাস করে। এতে তাদের কোমরের ব্যথা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
বিদ্যালয়ে ক্লাস করার সময় ক্লাসে শিক্ষক থাকলে শিশুরা শিক্ষকের কথা শোনে। মনোযোগ দেয়। শিক্ষককে সম্মান করে। কিন্তু অনলাইনে ক্লাস করলে শিশুদের মধ্যে কিছু বদভ্যাস গড়ে ওঠে। যেমন: আঙুল চোষা, দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানো, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানো ইত্যাদি। কারণ, তাদের সামনে কোনো শিক্ষক থাকেন না।
ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস করলে শিশুদের হাঁটাচলা হয় না। তাদের শরীর সঞ্চালনের কাজগুলো কমে যায়। এ কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্থূলতা শিশুদের জন্য ভালো নয়।
সারা দিন ঘরে থাকার কারণে শিশুরা রোদের সংস্পর্শ পায় না। এতে তাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দিতে পারে।
অনলাইন ক্লাসে যেহেতু শিশুদের পর্যবেক্ষণ করার মতো কেউ থাকে না, তাদের মধ্যে দায়বদ্ধতা কমে যায়। ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তারা ক্যামেরা অফ করে বসে থাকে। তাদের মধ্যে একধরনের হতাশা চলে আসে। তারা ভাবে, ‘আর কি ক্লাসে যেতে পারব না’, ‘শিক্ষকদের সান্নিধ্য পাব না’, ‘বন্ধুদের দেখা পাব না’! এতে তাদের মনের ওপর চাপ তৈরি হয়।
যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
লেখক: পরিচালক, ঢাকা ইম্পিরিয়াল হাসপাতাল।
করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি স্কুলগুলো কবে নাগাদ খুলতে পারে। এই দীর্ঘ সময় নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস করছে শিশুরা। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা বাড়ছে। শিশুরা বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এ সময় তারা পড়াশোনার প্রতিও অমনোযোগী হয়ে পড়েছে।
অনলাইন ক্লাস করার কারণে দীর্ঘ সময় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এতে শিশুদের মাথাব্যথার সমস্যা বাড়ছে। টানা কম্পিউটার স্ক্রিন বা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে বাড়ছে চোখের সমস্যা।
শিশুরা যখন অনলাইনে ক্লাস করে, তখন তারা বসার ভঙ্গি ঠিক রাখে না। বিদ্যালয়ে বসার জন্য যে বেঞ্চ ও চেয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোতে সঠিকভাবে বসার কারণে ব্যাকপেইন বা মেরুদণ্ডের সমস্যা হয় না। কিন্তু বাসায় শিশুরা ঠিকভাবে বসে না। কুঁজো হয়ে থাকে। শুয়ে-বসে ক্লাস করে। এতে তাদের কোমরের ব্যথা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
বিদ্যালয়ে ক্লাস করার সময় ক্লাসে শিক্ষক থাকলে শিশুরা শিক্ষকের কথা শোনে। মনোযোগ দেয়। শিক্ষককে সম্মান করে। কিন্তু অনলাইনে ক্লাস করলে শিশুদের মধ্যে কিছু বদভ্যাস গড়ে ওঠে। যেমন: আঙুল চোষা, দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানো, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানো ইত্যাদি। কারণ, তাদের সামনে কোনো শিক্ষক থাকেন না।
ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস করলে শিশুদের হাঁটাচলা হয় না। তাদের শরীর সঞ্চালনের কাজগুলো কমে যায়। এ কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্থূলতা শিশুদের জন্য ভালো নয়।
সারা দিন ঘরে থাকার কারণে শিশুরা রোদের সংস্পর্শ পায় না। এতে তাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দিতে পারে।
অনলাইন ক্লাসে যেহেতু শিশুদের পর্যবেক্ষণ করার মতো কেউ থাকে না, তাদের মধ্যে দায়বদ্ধতা কমে যায়। ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তারা ক্যামেরা অফ করে বসে থাকে। তাদের মধ্যে একধরনের হতাশা চলে আসে। তারা ভাবে, ‘আর কি ক্লাসে যেতে পারব না’, ‘শিক্ষকদের সান্নিধ্য পাব না’, ‘বন্ধুদের দেখা পাব না’! এতে তাদের মনের ওপর চাপ তৈরি হয়।
যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
লেখক: পরিচালক, ঢাকা ইম্পিরিয়াল হাসপাতাল।
মাত্র তিন মিনিটে ভাঙা হাড় জোড়া লাগানো যাবে—এমন একধরনের চিকিৎসা-প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এই ‘বোন গ্লু’ বা ‘হাড়ের আঠা’ শরীরে প্রাকৃতিকভাবে শোষিত হয়ে যায়, ফলে ধাতব ইমপ্ল্যান্টের মতো এটি অপসারণের জন্য দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের দরকার হয় না।
১৩ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ আরও ২৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেসরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন থেকে তাঁরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন, মোট পাঁচ ঘণ্টার জন্য।
১ দিন আগেহৃদ্রোগের পর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি হলো ব্যায়াম। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ শুধু শক্তি এবং উদ্যমই বাড়ায় না, বরং হৃদ্রোগে মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে।
২ দিন আগে