Ajker Patrika

কর্মক্ষেত্রে চাপমুক্ত থাকবেন যেভাবে

ফিচার ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কর্মক্ষেত্রে উন্নতির জন্য মানসিকভাবে ভালো থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ কাজ করে। আমরা যেখানে কাজ করি তা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত করতে পারে। যেহেতু আমাদের জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আমরা কর্মক্ষেত্রে ব্যয় করি। ফলে কাজের ক্ষেত্রটিতে ইতিবাচক পরিবেশ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুস্থ কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ গড়ে তোলা একজন নিয়োগকর্তার দায়িত্ব। তবে ব্যক্তি হিসেবে কীভাবে নিজেকে প্রকাশ করছেন এবং আপনার চারপাশের লোকদের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হচ্ছেন, তার ওপরও এটি নির্ভর করে। কর্মক্ষেত্রে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারা ইতিবাচক কর্ম পরিবেশ তৈরি করতে পারে।

কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে সময় লাগে। এমনকি বিষয়টি সব সময় সহজ মনে নাও হতে পারে। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে পারেন। যেমন

  • নিজের সুস্বাস্থ্যের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিন।
  • কাজের সময় কিছুটা বিরতি নিন।
  • অতিরিক্ত কাজ করার সক্ষমতা না থাকলে ‘না’ বলতে শিখুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
  • একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা বজায় রাখুন।
  • সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করুন।
  • সময়মতো কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন।

আপনার কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে একটি স্পষ্ট সীমা তৈরি করার জন্য একটি রুটিন তৈরি করাও সহায়ক হতে পারে। এটি আপনাকে আরও সহজে মানসিক চাপমুক্ত থাকতে সহায়তা করবে।

  • স্বাস্থ্যকর কর্ম পরিবেশ তৈরি
  • ইতিবাচক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করুন।
  • অনুমানের ওপরে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
  • পেশাদার মনোভাব বজায় রাখুন।
  • সহকর্মীদের নিয়ে গসিপ করা এড়িয়ে চলুন।
  • সহকর্মীদের জয় বা কঠোর পরিশ্রমকে উৎসাহ দিন।
  • সহকর্মীদের জন্য নির্ভরযোগ্য হওয়ার চেষ্টা করুন।
  • অন্যদের সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন।
  • অন্যরা কথা বলার সময় বাধা দেওয়া এড়িয়ে চলুন।

মাইক্রোঅ্যাগ্রেশন এড়িয়ে চলুন

মাইক্রোঅ্যাগ্রেশন হলো, অচেতন বা অনিচ্ছাকৃত আচরণ, কথা বা পরিবেশগত বার্তা, যা প্রান্তিক বা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর কোনো ব্যক্তির প্রতি নেতিবাচক, বৈষম্যমূলক বা অপমানজনক মনোভাব প্রকাশ করে। বিষয়টি সরাসরি বর্ণবাদ বা বৈষম্যের মতো স্পষ্ট আক্রমণ নয়। বরং ছোট ছোট দৈনন্দিন কাজ বা মন্তব্যের মাধ্যমে ঘটে। এসব কাজ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোনো ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যে গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কর্মক্ষেত্রে একজন সহানুভূতিশীল শ্রোতা হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ তাদের অভিজ্ঞতার মাইক্রোঅ্যাগ্রেশনের কথা জানায়, তবে তাদের উড়িয়ে দেওয়া বা রক্ষণাত্মক হওয়া এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে কিছুটা সময় নিন।

সূত্র: হেলথ লাইন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসরায়েলের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক জলসীমায় গাজা অভিমুখী ৫০ নৌযান

সুপার ওভারে শ্রীলঙ্কাকে হারাল ভারত

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি: ইসলামী ব্যাংকের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা কাল

জুলাই যোদ্ধা মামুনুর রশীদকে অপহরণের ঘটনায় গুপ্ত মহলের কাঁচা নাটক ব্যর্থ হয়েছে: তারিকুল

যশোরের ভবদহ: উৎসবহীন পূজার আয়োজন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত