আলমগীর আলম

দাওয়াতে গেলেন, খাবারের আয়োজন বেশ। মাছ-মাংস সবই খেলেন। খাওয়া শেষে একটু দই না খেলে কি হয়? খাওয়ার পরে দই খাওয়া আমাদের খাদ্য-সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আপনি জেনে আঁতকে উঠতে পারেন যে এই মাছ-মাংস খাওয়ার সঙ্গে দই খাওয়া শরীর-বিরুদ্ধ। এটি আপনার শরীরে কফ তৈরি করবে, হজমে গন্ডগোল পাকাবে। অথচ আমরা দই খাই হজম ভালো হওয়ার জন্য। আধুনিক বিজ্ঞান আবার এটাকে সমর্থন করে না।
আয়ুর্বেদে খাদ্য সংমিশ্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। যাকে ‘বিরুদ্ধ আহার’ বলা হয়। এতে বিশ্বাস করা হয় যে কিছু খাবার একসঙ্গে খেলে শরীরে বাত, পিত্ত ও কফের মতো দোষ হয়, হজম বা অগ্নি দুর্বল হয় এবং অমা বা টক্সিন তৈরি হয়; যা রোগের কারণ হতে পারে। ঝাল ও তৈলাক্ত মাংসের মতো ভারী ও গরম খাবার খাওয়ার পরে শীতল, অম্ল ও কফ বর্ধক দই খাওয়া সাধারণত অসামঞ্জস্য বলে বিবেচিত হয়।
দোষের অসমতুল্য: ঝাল ও তৈলাক্ত মাংস শরীরে পিত্ত ও কফের দোষ বাড়ায়। দই শীতল ও ভারী হওয়ায় এটি কফ বাড়ায় এবং পিত্তকে অসমতুল্য করে। এই সংমিশ্রণ হজমে বাধা দেয়। কারণ, উভয়ই ‘গুরু’ বা ভারী গুণসম্পন্ন। ফলে পেট ফাঁপা, অম্লতা, বমি বা হজমশক্তি দুর্বল হতে পারে।
বিরুদ্ধ আহারের উদাহরণ: ‘চরক সংহিতা’র মতো আয়ুর্বেদ গ্রন্থগুলোর মতে, মাছ বা মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে দই খাওয়া উচিত নয়। এতে টক্সিন তৈরি হয়। তৈলাক্ত খাবারের সঙ্গে দই মেশালে হজম আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এসব কারণে দইকে উরদ ডাল, পেঁয়াজ, আম বা তৈলাক্ত খাবারের সঙ্গে খেতে নিষেধ করা হয়।
সামগ্রিকভাবে আয়ুর্বেদে এটি ‘মন্দ’ বলে বিবেচিত। এতে চর্মরোগ, আর্থ্রাইটিস বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হওয়ার মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হতে পারে।
আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ
আধুনিক বিজ্ঞানে খাদ্য সংমিশ্রণকে হজম, পুষ্টিগুণ ও শারীরিক প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করা হয়। ক্যাপসাইসিনসমৃদ্ধ ঝাল ও চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত মাংস খেলে মুখে জ্বালা, পেটে অম্লতা বা হজমে সমস্যা হতে পারে। দই প্রোবায়োটিকস, প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার বলে এটি হজমে সাহায্য করে। ফলে আধুনিক বিজ্ঞান ঝাল মাংস খাওয়ার পর দই খাওয়া সমর্থন করে।
ঝাল কমানোর সুবিধা: ঝাল খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন মুখের রিসেপ্টরকে উত্তেজিত করে। দইয়ের ক্যাসিন প্রোটিন এই ক্যাপসাইসিনকে বেঁধে ফেলে বলে জ্বালা কমে। এটি পানির চেয়ে ভালো কাজ করে। কারণ, পানি ক্যাপসাইসিন ছড়িয়ে দেয়। ভারতীয় খাবারে দইকে ঝালের সঙ্গে মিলিয়ে খাওয়া হয় এই কারণে।
হজম ও পুষ্টির সুবিধা: দইয়ের প্রোবায়োটিকস অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ভালো রাখে। এটি পেটের প্রদাহ কমায় ও হজমশক্তি বাড়ায়। ফলে ঝাল মাংসের পর দই খাওয়া আধুনিক বিজ্ঞান সমর্থন করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দই হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
সম্ভাব্য ঝুঁকি: যদি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে, তাহলে দই খেলে পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়া হতে পারে। তৈলাক্ত খাবারের পরে দই খেলে কোনো বড় ঝুঁকি নেই। কিন্তু অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর দই খেলে ক্যালরি বাড়তে পারে। কিছু গবেষণায় মাংস ও দইয়ের সংমিশ্রণকে হার্টের জন্য ইতিবাচক বলে উল্লেখ করতে দেখা গেছে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে বিজ্ঞানে দই ‘ভালো’ খাবার বলে বিবেচিত। এতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি মেলে এবং হজম ভালো হয়। তবে এতে অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
ব্যতিক্রম ও পরামর্শ: কিছু ক্ষেত্রে মাংসকে দই দিয়ে ম্যারিনেট করে রান্না করা যায়। কিন্তু খাওয়ার পরে আলাদাভাবে দই খাওয়া ভালো নয়। আয়ুর্বেদে দইকে লস্যি বা পাতলা করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু রাতে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় এটি এড়িয়ে চলা উচিত। যদি খেতে হয়, তাহলে ঝাল কমিয়ে বা দই গরম করে খান।
আয়ুর্বেদে ঝাল মাংসের সঙ্গে দইয়ের সংমিশ্রণ মন্দ হিসেবে বিবেচিত। কারণ, এতে দোষ অসমতুল্য ও হজমে সমস্যা হয়। অন্যদিকে আধুনিক বিজ্ঞানে এটি ভালো। কারণ, দই ঝাল কমায় ও হজমে সাহায্য করে। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিন। যদি পিত্ত বা কফপ্রধান হন, সে ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ অনুসরণ করুন। অন্যথায় বিজ্ঞানের সুবিধা নিন।
সিদ্ধান্ত আপনার, ঝাল মাংস ও দই খাওয়ায় সমস্যা হলে বাদ দিন। আর সমস্যা না হলে উপভোগ করুন।
লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র।

দাওয়াতে গেলেন, খাবারের আয়োজন বেশ। মাছ-মাংস সবই খেলেন। খাওয়া শেষে একটু দই না খেলে কি হয়? খাওয়ার পরে দই খাওয়া আমাদের খাদ্য-সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আপনি জেনে আঁতকে উঠতে পারেন যে এই মাছ-মাংস খাওয়ার সঙ্গে দই খাওয়া শরীর-বিরুদ্ধ। এটি আপনার শরীরে কফ তৈরি করবে, হজমে গন্ডগোল পাকাবে। অথচ আমরা দই খাই হজম ভালো হওয়ার জন্য। আধুনিক বিজ্ঞান আবার এটাকে সমর্থন করে না।
আয়ুর্বেদে খাদ্য সংমিশ্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। যাকে ‘বিরুদ্ধ আহার’ বলা হয়। এতে বিশ্বাস করা হয় যে কিছু খাবার একসঙ্গে খেলে শরীরে বাত, পিত্ত ও কফের মতো দোষ হয়, হজম বা অগ্নি দুর্বল হয় এবং অমা বা টক্সিন তৈরি হয়; যা রোগের কারণ হতে পারে। ঝাল ও তৈলাক্ত মাংসের মতো ভারী ও গরম খাবার খাওয়ার পরে শীতল, অম্ল ও কফ বর্ধক দই খাওয়া সাধারণত অসামঞ্জস্য বলে বিবেচিত হয়।
দোষের অসমতুল্য: ঝাল ও তৈলাক্ত মাংস শরীরে পিত্ত ও কফের দোষ বাড়ায়। দই শীতল ও ভারী হওয়ায় এটি কফ বাড়ায় এবং পিত্তকে অসমতুল্য করে। এই সংমিশ্রণ হজমে বাধা দেয়। কারণ, উভয়ই ‘গুরু’ বা ভারী গুণসম্পন্ন। ফলে পেট ফাঁপা, অম্লতা, বমি বা হজমশক্তি দুর্বল হতে পারে।
বিরুদ্ধ আহারের উদাহরণ: ‘চরক সংহিতা’র মতো আয়ুর্বেদ গ্রন্থগুলোর মতে, মাছ বা মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে দই খাওয়া উচিত নয়। এতে টক্সিন তৈরি হয়। তৈলাক্ত খাবারের সঙ্গে দই মেশালে হজম আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এসব কারণে দইকে উরদ ডাল, পেঁয়াজ, আম বা তৈলাক্ত খাবারের সঙ্গে খেতে নিষেধ করা হয়।
সামগ্রিকভাবে আয়ুর্বেদে এটি ‘মন্দ’ বলে বিবেচিত। এতে চর্মরোগ, আর্থ্রাইটিস বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হওয়ার মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হতে পারে।
আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ
আধুনিক বিজ্ঞানে খাদ্য সংমিশ্রণকে হজম, পুষ্টিগুণ ও শারীরিক প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করা হয়। ক্যাপসাইসিনসমৃদ্ধ ঝাল ও চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত মাংস খেলে মুখে জ্বালা, পেটে অম্লতা বা হজমে সমস্যা হতে পারে। দই প্রোবায়োটিকস, প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার বলে এটি হজমে সাহায্য করে। ফলে আধুনিক বিজ্ঞান ঝাল মাংস খাওয়ার পর দই খাওয়া সমর্থন করে।
ঝাল কমানোর সুবিধা: ঝাল খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন মুখের রিসেপ্টরকে উত্তেজিত করে। দইয়ের ক্যাসিন প্রোটিন এই ক্যাপসাইসিনকে বেঁধে ফেলে বলে জ্বালা কমে। এটি পানির চেয়ে ভালো কাজ করে। কারণ, পানি ক্যাপসাইসিন ছড়িয়ে দেয়। ভারতীয় খাবারে দইকে ঝালের সঙ্গে মিলিয়ে খাওয়া হয় এই কারণে।
হজম ও পুষ্টির সুবিধা: দইয়ের প্রোবায়োটিকস অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ভালো রাখে। এটি পেটের প্রদাহ কমায় ও হজমশক্তি বাড়ায়। ফলে ঝাল মাংসের পর দই খাওয়া আধুনিক বিজ্ঞান সমর্থন করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দই হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
সম্ভাব্য ঝুঁকি: যদি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে, তাহলে দই খেলে পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়া হতে পারে। তৈলাক্ত খাবারের পরে দই খেলে কোনো বড় ঝুঁকি নেই। কিন্তু অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর দই খেলে ক্যালরি বাড়তে পারে। কিছু গবেষণায় মাংস ও দইয়ের সংমিশ্রণকে হার্টের জন্য ইতিবাচক বলে উল্লেখ করতে দেখা গেছে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে বিজ্ঞানে দই ‘ভালো’ খাবার বলে বিবেচিত। এতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি মেলে এবং হজম ভালো হয়। তবে এতে অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
ব্যতিক্রম ও পরামর্শ: কিছু ক্ষেত্রে মাংসকে দই দিয়ে ম্যারিনেট করে রান্না করা যায়। কিন্তু খাওয়ার পরে আলাদাভাবে দই খাওয়া ভালো নয়। আয়ুর্বেদে দইকে লস্যি বা পাতলা করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু রাতে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় এটি এড়িয়ে চলা উচিত। যদি খেতে হয়, তাহলে ঝাল কমিয়ে বা দই গরম করে খান।
আয়ুর্বেদে ঝাল মাংসের সঙ্গে দইয়ের সংমিশ্রণ মন্দ হিসেবে বিবেচিত। কারণ, এতে দোষ অসমতুল্য ও হজমে সমস্যা হয়। অন্যদিকে আধুনিক বিজ্ঞানে এটি ভালো। কারণ, দই ঝাল কমায় ও হজমে সাহায্য করে। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিন। যদি পিত্ত বা কফপ্রধান হন, সে ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ অনুসরণ করুন। অন্যথায় বিজ্ঞানের সুবিধা নিন।
সিদ্ধান্ত আপনার, ঝাল মাংস ও দই খাওয়ায় সমস্যা হলে বাদ দিন। আর সমস্যা না হলে উপভোগ করুন।
লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র।
আলমগীর আলম

দাওয়াতে গেলেন, খাবারের আয়োজন বেশ। মাছ-মাংস সবই খেলেন। খাওয়া শেষে একটু দই না খেলে কি হয়? খাওয়ার পরে দই খাওয়া আমাদের খাদ্য-সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আপনি জেনে আঁতকে উঠতে পারেন যে এই মাছ-মাংস খাওয়ার সঙ্গে দই খাওয়া শরীর-বিরুদ্ধ। এটি আপনার শরীরে কফ তৈরি করবে, হজমে গন্ডগোল পাকাবে। অথচ আমরা দই খাই হজম ভালো হওয়ার জন্য। আধুনিক বিজ্ঞান আবার এটাকে সমর্থন করে না।
আয়ুর্বেদে খাদ্য সংমিশ্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। যাকে ‘বিরুদ্ধ আহার’ বলা হয়। এতে বিশ্বাস করা হয় যে কিছু খাবার একসঙ্গে খেলে শরীরে বাত, পিত্ত ও কফের মতো দোষ হয়, হজম বা অগ্নি দুর্বল হয় এবং অমা বা টক্সিন তৈরি হয়; যা রোগের কারণ হতে পারে। ঝাল ও তৈলাক্ত মাংসের মতো ভারী ও গরম খাবার খাওয়ার পরে শীতল, অম্ল ও কফ বর্ধক দই খাওয়া সাধারণত অসামঞ্জস্য বলে বিবেচিত হয়।
দোষের অসমতুল্য: ঝাল ও তৈলাক্ত মাংস শরীরে পিত্ত ও কফের দোষ বাড়ায়। দই শীতল ও ভারী হওয়ায় এটি কফ বাড়ায় এবং পিত্তকে অসমতুল্য করে। এই সংমিশ্রণ হজমে বাধা দেয়। কারণ, উভয়ই ‘গুরু’ বা ভারী গুণসম্পন্ন। ফলে পেট ফাঁপা, অম্লতা, বমি বা হজমশক্তি দুর্বল হতে পারে।
বিরুদ্ধ আহারের উদাহরণ: ‘চরক সংহিতা’র মতো আয়ুর্বেদ গ্রন্থগুলোর মতে, মাছ বা মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে দই খাওয়া উচিত নয়। এতে টক্সিন তৈরি হয়। তৈলাক্ত খাবারের সঙ্গে দই মেশালে হজম আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এসব কারণে দইকে উরদ ডাল, পেঁয়াজ, আম বা তৈলাক্ত খাবারের সঙ্গে খেতে নিষেধ করা হয়।
সামগ্রিকভাবে আয়ুর্বেদে এটি ‘মন্দ’ বলে বিবেচিত। এতে চর্মরোগ, আর্থ্রাইটিস বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হওয়ার মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হতে পারে।
আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ
আধুনিক বিজ্ঞানে খাদ্য সংমিশ্রণকে হজম, পুষ্টিগুণ ও শারীরিক প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করা হয়। ক্যাপসাইসিনসমৃদ্ধ ঝাল ও চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত মাংস খেলে মুখে জ্বালা, পেটে অম্লতা বা হজমে সমস্যা হতে পারে। দই প্রোবায়োটিকস, প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার বলে এটি হজমে সাহায্য করে। ফলে আধুনিক বিজ্ঞান ঝাল মাংস খাওয়ার পর দই খাওয়া সমর্থন করে।
ঝাল কমানোর সুবিধা: ঝাল খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন মুখের রিসেপ্টরকে উত্তেজিত করে। দইয়ের ক্যাসিন প্রোটিন এই ক্যাপসাইসিনকে বেঁধে ফেলে বলে জ্বালা কমে। এটি পানির চেয়ে ভালো কাজ করে। কারণ, পানি ক্যাপসাইসিন ছড়িয়ে দেয়। ভারতীয় খাবারে দইকে ঝালের সঙ্গে মিলিয়ে খাওয়া হয় এই কারণে।
হজম ও পুষ্টির সুবিধা: দইয়ের প্রোবায়োটিকস অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ভালো রাখে। এটি পেটের প্রদাহ কমায় ও হজমশক্তি বাড়ায়। ফলে ঝাল মাংসের পর দই খাওয়া আধুনিক বিজ্ঞান সমর্থন করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দই হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
সম্ভাব্য ঝুঁকি: যদি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে, তাহলে দই খেলে পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়া হতে পারে। তৈলাক্ত খাবারের পরে দই খেলে কোনো বড় ঝুঁকি নেই। কিন্তু অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর দই খেলে ক্যালরি বাড়তে পারে। কিছু গবেষণায় মাংস ও দইয়ের সংমিশ্রণকে হার্টের জন্য ইতিবাচক বলে উল্লেখ করতে দেখা গেছে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে বিজ্ঞানে দই ‘ভালো’ খাবার বলে বিবেচিত। এতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি মেলে এবং হজম ভালো হয়। তবে এতে অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
ব্যতিক্রম ও পরামর্শ: কিছু ক্ষেত্রে মাংসকে দই দিয়ে ম্যারিনেট করে রান্না করা যায়। কিন্তু খাওয়ার পরে আলাদাভাবে দই খাওয়া ভালো নয়। আয়ুর্বেদে দইকে লস্যি বা পাতলা করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু রাতে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় এটি এড়িয়ে চলা উচিত। যদি খেতে হয়, তাহলে ঝাল কমিয়ে বা দই গরম করে খান।
আয়ুর্বেদে ঝাল মাংসের সঙ্গে দইয়ের সংমিশ্রণ মন্দ হিসেবে বিবেচিত। কারণ, এতে দোষ অসমতুল্য ও হজমে সমস্যা হয়। অন্যদিকে আধুনিক বিজ্ঞানে এটি ভালো। কারণ, দই ঝাল কমায় ও হজমে সাহায্য করে। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিন। যদি পিত্ত বা কফপ্রধান হন, সে ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ অনুসরণ করুন। অন্যথায় বিজ্ঞানের সুবিধা নিন।
সিদ্ধান্ত আপনার, ঝাল মাংস ও দই খাওয়ায় সমস্যা হলে বাদ দিন। আর সমস্যা না হলে উপভোগ করুন।
লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র।

দাওয়াতে গেলেন, খাবারের আয়োজন বেশ। মাছ-মাংস সবই খেলেন। খাওয়া শেষে একটু দই না খেলে কি হয়? খাওয়ার পরে দই খাওয়া আমাদের খাদ্য-সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আপনি জেনে আঁতকে উঠতে পারেন যে এই মাছ-মাংস খাওয়ার সঙ্গে দই খাওয়া শরীর-বিরুদ্ধ। এটি আপনার শরীরে কফ তৈরি করবে, হজমে গন্ডগোল পাকাবে। অথচ আমরা দই খাই হজম ভালো হওয়ার জন্য। আধুনিক বিজ্ঞান আবার এটাকে সমর্থন করে না।
আয়ুর্বেদে খাদ্য সংমিশ্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। যাকে ‘বিরুদ্ধ আহার’ বলা হয়। এতে বিশ্বাস করা হয় যে কিছু খাবার একসঙ্গে খেলে শরীরে বাত, পিত্ত ও কফের মতো দোষ হয়, হজম বা অগ্নি দুর্বল হয় এবং অমা বা টক্সিন তৈরি হয়; যা রোগের কারণ হতে পারে। ঝাল ও তৈলাক্ত মাংসের মতো ভারী ও গরম খাবার খাওয়ার পরে শীতল, অম্ল ও কফ বর্ধক দই খাওয়া সাধারণত অসামঞ্জস্য বলে বিবেচিত হয়।
দোষের অসমতুল্য: ঝাল ও তৈলাক্ত মাংস শরীরে পিত্ত ও কফের দোষ বাড়ায়। দই শীতল ও ভারী হওয়ায় এটি কফ বাড়ায় এবং পিত্তকে অসমতুল্য করে। এই সংমিশ্রণ হজমে বাধা দেয়। কারণ, উভয়ই ‘গুরু’ বা ভারী গুণসম্পন্ন। ফলে পেট ফাঁপা, অম্লতা, বমি বা হজমশক্তি দুর্বল হতে পারে।
বিরুদ্ধ আহারের উদাহরণ: ‘চরক সংহিতা’র মতো আয়ুর্বেদ গ্রন্থগুলোর মতে, মাছ বা মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে দই খাওয়া উচিত নয়। এতে টক্সিন তৈরি হয়। তৈলাক্ত খাবারের সঙ্গে দই মেশালে হজম আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এসব কারণে দইকে উরদ ডাল, পেঁয়াজ, আম বা তৈলাক্ত খাবারের সঙ্গে খেতে নিষেধ করা হয়।
সামগ্রিকভাবে আয়ুর্বেদে এটি ‘মন্দ’ বলে বিবেচিত। এতে চর্মরোগ, আর্থ্রাইটিস বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হওয়ার মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হতে পারে।
আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ
আধুনিক বিজ্ঞানে খাদ্য সংমিশ্রণকে হজম, পুষ্টিগুণ ও শারীরিক প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করা হয়। ক্যাপসাইসিনসমৃদ্ধ ঝাল ও চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত মাংস খেলে মুখে জ্বালা, পেটে অম্লতা বা হজমে সমস্যা হতে পারে। দই প্রোবায়োটিকস, প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার বলে এটি হজমে সাহায্য করে। ফলে আধুনিক বিজ্ঞান ঝাল মাংস খাওয়ার পর দই খাওয়া সমর্থন করে।
ঝাল কমানোর সুবিধা: ঝাল খাবারে থাকা ক্যাপসাইসিন মুখের রিসেপ্টরকে উত্তেজিত করে। দইয়ের ক্যাসিন প্রোটিন এই ক্যাপসাইসিনকে বেঁধে ফেলে বলে জ্বালা কমে। এটি পানির চেয়ে ভালো কাজ করে। কারণ, পানি ক্যাপসাইসিন ছড়িয়ে দেয়। ভারতীয় খাবারে দইকে ঝালের সঙ্গে মিলিয়ে খাওয়া হয় এই কারণে।
হজম ও পুষ্টির সুবিধা: দইয়ের প্রোবায়োটিকস অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ভালো রাখে। এটি পেটের প্রদাহ কমায় ও হজমশক্তি বাড়ায়। ফলে ঝাল মাংসের পর দই খাওয়া আধুনিক বিজ্ঞান সমর্থন করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দই হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
সম্ভাব্য ঝুঁকি: যদি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকে, তাহলে দই খেলে পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়া হতে পারে। তৈলাক্ত খাবারের পরে দই খেলে কোনো বড় ঝুঁকি নেই। কিন্তু অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর দই খেলে ক্যালরি বাড়তে পারে। কিছু গবেষণায় মাংস ও দইয়ের সংমিশ্রণকে হার্টের জন্য ইতিবাচক বলে উল্লেখ করতে দেখা গেছে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে বিজ্ঞানে দই ‘ভালো’ খাবার বলে বিবেচিত। এতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি মেলে এবং হজম ভালো হয়। তবে এতে অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
ব্যতিক্রম ও পরামর্শ: কিছু ক্ষেত্রে মাংসকে দই দিয়ে ম্যারিনেট করে রান্না করা যায়। কিন্তু খাওয়ার পরে আলাদাভাবে দই খাওয়া ভালো নয়। আয়ুর্বেদে দইকে লস্যি বা পাতলা করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু রাতে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় এটি এড়িয়ে চলা উচিত। যদি খেতে হয়, তাহলে ঝাল কমিয়ে বা দই গরম করে খান।
আয়ুর্বেদে ঝাল মাংসের সঙ্গে দইয়ের সংমিশ্রণ মন্দ হিসেবে বিবেচিত। কারণ, এতে দোষ অসমতুল্য ও হজমে সমস্যা হয়। অন্যদিকে আধুনিক বিজ্ঞানে এটি ভালো। কারণ, দই ঝাল কমায় ও হজমে সাহায্য করে। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিন। যদি পিত্ত বা কফপ্রধান হন, সে ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ অনুসরণ করুন। অন্যথায় বিজ্ঞানের সুবিধা নিন।
সিদ্ধান্ত আপনার, ঝাল মাংস ও দই খাওয়ায় সমস্যা হলে বাদ দিন। আর সমস্যা না হলে উপভোগ করুন।
লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

দাওয়াতে গেলেন, খাবারের আয়োজন বেশ। মাছ-মাংস সবই খেলেন। খাওয়া শেষে একটু দই না খেলে কি হয়? খাওয়ার পরে দই খাওয়া আমাদের খাদ্য-সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আপনি জেনে আঁতকে উঠতে পারেন যে এই মাছ-মাংস খাওয়ার সঙ্গে দই খাওয়া শরীর-বিরুদ্ধ। এটি আপনার শরীরে কফ তৈরি করবে, হজমে গন্ডগোল পাকাবে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

দাওয়াতে গেলেন, খাবারের আয়োজন বেশ। মাছ-মাংস সবই খেলেন। খাওয়া শেষে একটু দই না খেলে কি হয়? খাওয়ার পরে দই খাওয়া আমাদের খাদ্য-সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আপনি জেনে আঁতকে উঠতে পারেন যে এই মাছ-মাংস খাওয়ার সঙ্গে দই খাওয়া শরীর-বিরুদ্ধ। এটি আপনার শরীরে কফ তৈরি করবে, হজমে গন্ডগোল পাকাবে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

দাওয়াতে গেলেন, খাবারের আয়োজন বেশ। মাছ-মাংস সবই খেলেন। খাওয়া শেষে একটু দই না খেলে কি হয়? খাওয়ার পরে দই খাওয়া আমাদের খাদ্য-সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আপনি জেনে আঁতকে উঠতে পারেন যে এই মাছ-মাংস খাওয়ার সঙ্গে দই খাওয়া শরীর-বিরুদ্ধ। এটি আপনার শরীরে কফ তৈরি করবে, হজমে গন্ডগোল পাকাবে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

দাওয়াতে গেলেন, খাবারের আয়োজন বেশ। মাছ-মাংস সবই খেলেন। খাওয়া শেষে একটু দই না খেলে কি হয়? খাওয়ার পরে দই খাওয়া আমাদের খাদ্য-সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আপনি জেনে আঁতকে উঠতে পারেন যে এই মাছ-মাংস খাওয়ার সঙ্গে দই খাওয়া শরীর-বিরুদ্ধ। এটি আপনার শরীরে কফ তৈরি করবে, হজমে গন্ডগোল পাকাবে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে