প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
মানুষের বিভিন্ন মানসিক ব্যাধির মধ্যে একটি ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি চুল, ভ্রু বা শরীরের অন্য অংশ থেকে লোম টেনে তোলার চেষ্টা করে। এই বাতিক এতটাই অপ্রতিরোধ্য যে রোগী সচেতনভাবে চাইলেও চুল টানা বন্ধ করতে পারেন না।
এভাবে চুল টেনে ছেঁড়ার ফলে মাথার ত্বকে ছোপ ছোপ টাক দেখা যায়। এই ব্যাধি দৈনন্দিন কাজ, স্কুল ও সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। টাক লুকানোর জন্য এসব রোগী নানা অদ্ভুত পদ্ধতির আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারেন।
অনেকে এই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। চুল টানা কমাতে বা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি সাহায্য করতে পারে।
ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ার উপসর্গ
১. কোনো কারণ ছাড়াই অবচেতনে বা ইচ্ছা করে মাথার চুল, ভ্রু বা চোখের পাপড়ি থেকে বারবার লোম ছেঁড়া এই রোগের একটি উপসর্গ। অনেক সময় দেহের অন্যান্য স্থান থেকে চুল টানার প্রবণতা দেখা যায়।
২. চুল টানার আগে বা এই তাগিদ এড়ানোর সময় মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।
৩. চুল টানার পর আনন্দ বা স্বস্তির অনুভূতি হয়।
৪. মাঝেমধ্যেই চুল ছেঁড়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে সেই লক্ষণ স্পষ্ট হয়। যেমন—মাথার বা শরীরের বিভিন্ন অংশে চুল পাতলা বা টাক হয়ে যাওয়া। ভ্রু বা চোখের পাপড়ির অনুপস্থিতিও চোখে পড়তে পারে।
৫. বারবার একই স্থানের চুল টেনে তুলে ফেলা।
৬. চুল কামড়ানো বা খাওয়া।
৭. টেনে ওঠানো চুলগুলো নিয়ে খেলা করা বা মুখ ও ঠোঁটে চুলগুলো ঘষা।
৮. বারবার চুল টানার ইচ্ছা প্রতিহত করার চেষ্টা করা। তবে এই চেষ্টায় সফল না হওয়া।
ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর মধ্যে চুল টানাসহ অন্য প্রবণতাও দেখা দিতে পারে। যেমন—ত্বক টানাটানি করা, দাঁত দিয়ে নখ কাটা ও ঠোঁট কামড়ানো। আবার নিজের পুতুল বা পোষা প্রাণীর চুল টানা ও কাপড় বা কম্বল থেকে সুতা টেনে ফেলাও ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ার উপসর্গ।
অনেকেই প্রবণতাগুলো লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। এই রোগের প্রতিটি পর্ব কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
চুল টানার প্রবণতা দুই ধরনের হতে পারে—
স্বয়ংক্রিয়: অনেকেই অবচেতনভাবে চুল টানতে পারে। যেমন—টিভি দেখা, বই পড়ার সময় বা অবসর সময়ে চুল টানতে পারে।
ফোকাসড বা মনোযোগ দিয়ে: আবার এই রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী উদ্বিগ্ন বা মানসিক চাপ বোধ করলে সচেতনভাবেই নিজের চুল ছিঁড়ে। এ জন্য অনেকে নির্দিষ্ট অভ্যাসও গড়ে তোলেন। যেমন—কাঙ্ক্ষিত স্থানে চুল খুঁজে বের করে সেটি নিয়ে খেলা, কামড় দেওয়া বা খাওয়া।
তবে একই ব্যক্তি স্বয়ংক্রিয় বা ইচ্ছাকৃত দুই পদ্ধতিতেই চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলতে পারেন। কারও ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিবেশ বা কাজ চুল টানার প্রবণতার সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
আবেগের সঙ্গে ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ার সম্পর্ক
নেতিবাচক অনুভূতি: চুল টেনে তোলা নেতিবাচক বা অস্বস্তিকর অনুভূতি, যেমন—মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উত্তেজনা, একঘেয়েমি, একাকিত্ব, ক্লান্তি বা হতাশা মোকাবিলার একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।
ইতিবাচক অনুভূতি: অনেকেই চুল টানার পর তৃপ্তি ও কিছুটা স্বস্তি পান। ফলে অনেকে এই ইতিবাচক অনুভূতি পেতে চুল টানা চালিয়ে যেতে পারেন।
ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যাধি। এই রোগের সঠিক চিকিৎসা না হলে এটি কয়েক সপ্তাহ, মাস বা বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লক্ষণগুলোর মাত্রা তীব্র হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পিরিয়ডের (ঋতুচক্র) সময় নারীদের হরমোনের পরিবর্তনের প্রভাবে এসব লক্ষণ আরও বেশি দেখা যেতে পারে।
চিকিৎসকের শরণাপন্ন যখন হতে হবে
যদি কেউ চুল টানা বন্ধ করতে না পারেন এবং এর ফলে নিজের চেহারা দেখে বিব্রত বা লজ্জিত বোধ করেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া শুধু একটি খারাপ অভ্যাস নয়, এটি একটি মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা। আর এটি চিকিৎসা ছাড়া ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
রোগের কারণ
ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া হওয়ার কারণ স্পষ্ট নয়। কিন্তু রোগটি সম্ভবত বংশগত ও প্রভাবিত হওয়ার কারণগুলোর সংমিশ্রণ থেকে হতে পারে।
এই রোগের ঝুঁকির কারণ
পারিবারিক ইতিহাস: বংশগতি ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। এই রোগ পরিবারের কোনো সদস্যদের বা পূর্বপুরুষদের মধ্যে থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
স্বাস্থ্যের অবস্থা: কিছু মানুষ নিজের চুল বা ত্বক নিয়ে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। এর ফলে এই রোগ চুল বা লোম টানতে বা মাথার চুল টেনে তোলার দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারে।
বয়স: ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া সাধারণত ১০ থেকে ১৩ বছর বয়সীদের মধ্যে হয়। প্রায়ই বয়ঃসন্ধির ঠিক আগে বা এই সময়ে রোগটি বিকশিত হয়। এই সমস্যা আজীবন থাকতে পারে। শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। পরবর্তী সময় এর তীব্রতা কমতেও পারে এবং চিকিৎসা ছাড়াই ঠিক হয়ে যেতে পারে।
অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য অবস্থা: ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ার সঙ্গে বিষণ্নতা, উদ্বেগ বা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিস-অর্ডারের (ওসিডি) মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে।
উদ্বেগ: গুরুতর চাপপূর্ণ পরিস্থিতি বা ঘটনা কিছু লোকের মধ্যে ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া রোগের সূচনা করতে পারে।
পরিবেশ: একঘেয়েমি, বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্ব প্রায়ই চুল টানার প্রবণতা তৈরি করতে পারে। পুরুষের তুলনায় নারীরা ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া রোগের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
রোগটি থেকে সৃষ্ট জটিলতা
ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া গুরুতর মনে নাও হতে পারে, কিন্তু এটি মানুষের জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
মানসিক উদ্বেগ: চুল টানার ফলে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত, লজ্জিত ও বিব্রতবোধ করতে পারেন। এর ফলে ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে। এই প্রবণতার জন্য অনেকই বিষণ্নতা, উদ্বেগের মতো মানসিক চাপ অনুভব করেন।
সামাজিক জীবন ও কর্মস্থল: চুল টানার অভ্যাসের কারণে কেউ সামাজিক এবং স্কুলের কার্যক্রম এড়িয়ে চলতে পারেন। অনেকেই চাকরির সুযোগ হারাতে পারেন। আবার নিজের অবস্থা লুকানোর জন্য অনেকেই মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলেন। কেউ কেউ টাক ঢেকে রাখতে পরচুলা পরেন।
ত্বক ও চুলের ক্ষতি: ঘন ঘন চুল টেনে তোলার কারণে মাথার ত্বকে বা যে জায়গা থেকে লোম টেনে তোলা হয়, সেখানে স্থায়ী দাগ, সংক্রমণসহ ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি চুলের বৃদ্ধিকে স্থায়ীভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
পরিপাকতন্ত্রে চুল: এই রোগে আক্রান্ত অনেকে চুল খেয়ে ফেলেন। কয়েক বছর ধরে পেটে এসব চুল থাকলে ওজন হ্রাস, বমি, বিভিন্ন অন্ত্র ব্লক হয়ে যাওয়া, এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।
মানুষের বিভিন্ন মানসিক ব্যাধির মধ্যে একটি ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি চুল, ভ্রু বা শরীরের অন্য অংশ থেকে লোম টেনে তোলার চেষ্টা করে। এই বাতিক এতটাই অপ্রতিরোধ্য যে রোগী সচেতনভাবে চাইলেও চুল টানা বন্ধ করতে পারেন না।
এভাবে চুল টেনে ছেঁড়ার ফলে মাথার ত্বকে ছোপ ছোপ টাক দেখা যায়। এই ব্যাধি দৈনন্দিন কাজ, স্কুল ও সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। টাক লুকানোর জন্য এসব রোগী নানা অদ্ভুত পদ্ধতির আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারেন।
অনেকে এই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। চুল টানা কমাতে বা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি সাহায্য করতে পারে।
ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ার উপসর্গ
১. কোনো কারণ ছাড়াই অবচেতনে বা ইচ্ছা করে মাথার চুল, ভ্রু বা চোখের পাপড়ি থেকে বারবার লোম ছেঁড়া এই রোগের একটি উপসর্গ। অনেক সময় দেহের অন্যান্য স্থান থেকে চুল টানার প্রবণতা দেখা যায়।
২. চুল টানার আগে বা এই তাগিদ এড়ানোর সময় মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।
৩. চুল টানার পর আনন্দ বা স্বস্তির অনুভূতি হয়।
৪. মাঝেমধ্যেই চুল ছেঁড়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে সেই লক্ষণ স্পষ্ট হয়। যেমন—মাথার বা শরীরের বিভিন্ন অংশে চুল পাতলা বা টাক হয়ে যাওয়া। ভ্রু বা চোখের পাপড়ির অনুপস্থিতিও চোখে পড়তে পারে।
৫. বারবার একই স্থানের চুল টেনে তুলে ফেলা।
৬. চুল কামড়ানো বা খাওয়া।
৭. টেনে ওঠানো চুলগুলো নিয়ে খেলা করা বা মুখ ও ঠোঁটে চুলগুলো ঘষা।
৮. বারবার চুল টানার ইচ্ছা প্রতিহত করার চেষ্টা করা। তবে এই চেষ্টায় সফল না হওয়া।
ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর মধ্যে চুল টানাসহ অন্য প্রবণতাও দেখা দিতে পারে। যেমন—ত্বক টানাটানি করা, দাঁত দিয়ে নখ কাটা ও ঠোঁট কামড়ানো। আবার নিজের পুতুল বা পোষা প্রাণীর চুল টানা ও কাপড় বা কম্বল থেকে সুতা টেনে ফেলাও ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ার উপসর্গ।
অনেকেই প্রবণতাগুলো লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। এই রোগের প্রতিটি পর্ব কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
চুল টানার প্রবণতা দুই ধরনের হতে পারে—
স্বয়ংক্রিয়: অনেকেই অবচেতনভাবে চুল টানতে পারে। যেমন—টিভি দেখা, বই পড়ার সময় বা অবসর সময়ে চুল টানতে পারে।
ফোকাসড বা মনোযোগ দিয়ে: আবার এই রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী উদ্বিগ্ন বা মানসিক চাপ বোধ করলে সচেতনভাবেই নিজের চুল ছিঁড়ে। এ জন্য অনেকে নির্দিষ্ট অভ্যাসও গড়ে তোলেন। যেমন—কাঙ্ক্ষিত স্থানে চুল খুঁজে বের করে সেটি নিয়ে খেলা, কামড় দেওয়া বা খাওয়া।
তবে একই ব্যক্তি স্বয়ংক্রিয় বা ইচ্ছাকৃত দুই পদ্ধতিতেই চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলতে পারেন। কারও ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিবেশ বা কাজ চুল টানার প্রবণতার সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
আবেগের সঙ্গে ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ার সম্পর্ক
নেতিবাচক অনুভূতি: চুল টেনে তোলা নেতিবাচক বা অস্বস্তিকর অনুভূতি, যেমন—মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উত্তেজনা, একঘেয়েমি, একাকিত্ব, ক্লান্তি বা হতাশা মোকাবিলার একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।
ইতিবাচক অনুভূতি: অনেকেই চুল টানার পর তৃপ্তি ও কিছুটা স্বস্তি পান। ফলে অনেকে এই ইতিবাচক অনুভূতি পেতে চুল টানা চালিয়ে যেতে পারেন।
ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যাধি। এই রোগের সঠিক চিকিৎসা না হলে এটি কয়েক সপ্তাহ, মাস বা বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লক্ষণগুলোর মাত্রা তীব্র হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পিরিয়ডের (ঋতুচক্র) সময় নারীদের হরমোনের পরিবর্তনের প্রভাবে এসব লক্ষণ আরও বেশি দেখা যেতে পারে।
চিকিৎসকের শরণাপন্ন যখন হতে হবে
যদি কেউ চুল টানা বন্ধ করতে না পারেন এবং এর ফলে নিজের চেহারা দেখে বিব্রত বা লজ্জিত বোধ করেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া শুধু একটি খারাপ অভ্যাস নয়, এটি একটি মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা। আর এটি চিকিৎসা ছাড়া ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
রোগের কারণ
ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া হওয়ার কারণ স্পষ্ট নয়। কিন্তু রোগটি সম্ভবত বংশগত ও প্রভাবিত হওয়ার কারণগুলোর সংমিশ্রণ থেকে হতে পারে।
এই রোগের ঝুঁকির কারণ
পারিবারিক ইতিহাস: বংশগতি ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। এই রোগ পরিবারের কোনো সদস্যদের বা পূর্বপুরুষদের মধ্যে থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
স্বাস্থ্যের অবস্থা: কিছু মানুষ নিজের চুল বা ত্বক নিয়ে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। এর ফলে এই রোগ চুল বা লোম টানতে বা মাথার চুল টেনে তোলার দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারে।
বয়স: ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া সাধারণত ১০ থেকে ১৩ বছর বয়সীদের মধ্যে হয়। প্রায়ই বয়ঃসন্ধির ঠিক আগে বা এই সময়ে রোগটি বিকশিত হয়। এই সমস্যা আজীবন থাকতে পারে। শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। পরবর্তী সময় এর তীব্রতা কমতেও পারে এবং চিকিৎসা ছাড়াই ঠিক হয়ে যেতে পারে।
অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য অবস্থা: ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ার সঙ্গে বিষণ্নতা, উদ্বেগ বা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিস-অর্ডারের (ওসিডি) মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে।
উদ্বেগ: গুরুতর চাপপূর্ণ পরিস্থিতি বা ঘটনা কিছু লোকের মধ্যে ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া রোগের সূচনা করতে পারে।
পরিবেশ: একঘেয়েমি, বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্ব প্রায়ই চুল টানার প্রবণতা তৈরি করতে পারে। পুরুষের তুলনায় নারীরা ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া রোগের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
রোগটি থেকে সৃষ্ট জটিলতা
ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া গুরুতর মনে নাও হতে পারে, কিন্তু এটি মানুষের জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
মানসিক উদ্বেগ: চুল টানার ফলে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত, লজ্জিত ও বিব্রতবোধ করতে পারেন। এর ফলে ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে। এই প্রবণতার জন্য অনেকই বিষণ্নতা, উদ্বেগের মতো মানসিক চাপ অনুভব করেন।
সামাজিক জীবন ও কর্মস্থল: চুল টানার অভ্যাসের কারণে কেউ সামাজিক এবং স্কুলের কার্যক্রম এড়িয়ে চলতে পারেন। অনেকেই চাকরির সুযোগ হারাতে পারেন। আবার নিজের অবস্থা লুকানোর জন্য অনেকেই মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলেন। কেউ কেউ টাক ঢেকে রাখতে পরচুলা পরেন।
ত্বক ও চুলের ক্ষতি: ঘন ঘন চুল টেনে তোলার কারণে মাথার ত্বকে বা যে জায়গা থেকে লোম টেনে তোলা হয়, সেখানে স্থায়ী দাগ, সংক্রমণসহ ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি চুলের বৃদ্ধিকে স্থায়ীভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
পরিপাকতন্ত্রে চুল: এই রোগে আক্রান্ত অনেকে চুল খেয়ে ফেলেন। কয়েক বছর ধরে পেটে এসব চুল থাকলে ওজন হ্রাস, বমি, বিভিন্ন অন্ত্র ব্লক হয়ে যাওয়া, এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।
আশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
৯ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
২১ ঘণ্টা আগেভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, বিষণ্নতাজনিত রোগ, রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয়, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, কম ওজনে জন্ম নেওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব
১ দিন আগে