Ajker Patrika

ব্রণে কেমন খাবার, জেনে নিন

ইতি খন্দকার
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ৪৬
ব্রণে কেমন খাবার, জেনে নিন

ব্রণ কী এবং কেন হয় এ বিষয়টি বোঝা দরকার। ব্রণ হচ্ছে আমাদের শরীরের ত্বকে ফলিকলের একধরনের দীর্ঘমেয়াদি রোগ। সাধারণত মুখমণ্ডল, গলা, পিঠ ও হাতের উপরিভাগে ব্রণ হয়ে থাকে। বয়ঃসন্ধিকালে হরমোন টেস্টোস্টেরন ও প্রোজেস্টেরনের প্রভাবে ত্বকের সিবেসিয়াস গ্রন্থি বেশি করে তেল নিঃসরণ শুরু করে। কোনো কারণে সিবেসিয়াস গ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি হয় এবং তা ভেতরে জমে ফুলে ওঠে, যা ব্রণ নামে পরিচিত।

ব্রণ হওয়ার জন্য মূলত হরমোনের ভারসাম্যহীনতাকে দায়ী করা হয়ে থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিকস, স্টেরয়েড কিংবা অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন ডি গ্রহণের ফলেও ব্রণ হতে পারে। বিভিন্ন প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহারের ফলে ব্রণ হয়ে থাকে। আবার অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসও ব্রণ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। ব্রণ থেকে বাঁচতে কিছু খাবার খেতে হবে বেশি করে। আবার কিছু খাবার বাদ দিতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে।

যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, মিষ্টি ও দুগ্ধজাতীয় যেকোনো খাবার, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট। এসব খাবার শরীরে কিছু বিশেষ হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা ত্বককে তৈলাক্ত করে। 
তৈলাক্ত ত্বকে মূলত ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি হয়ে থাকে। এ ছাড়া ট্রান্স ফ্যাটজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত মসলা, লবণজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে গরুর দুধ খেতে নিষেধ করা হয়, তাই এর পরিবর্তে ওটমিল্ক কিংবা ছাগলের দুধ খাওয়া যেতে পারে।

তালিকায় রাখবেন যেসব খাবার

  • দৈনিক খাদ্যের তালিকায় অবশ্যই টাটকা শাকসবজি, ফলমূল এবং আঁশযুক্ত খাবার রাখতে হবে। যেখানে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই ও বিটা ক্যারোটিন থাকবে। এ ধরনের ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার ব্রণ ও ব্রণের দাগ কমায়। এ ছাড়া পোরস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আঁশযুক্ত খাবার রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখে, যা ব্রণ কমাতে উপকারী ভূমিকা পালন করে।
  • তালিকায় জিঙ্ক ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। কারণ এগুলো কোষের ক্ষয়রোধ ও সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া এ ধরনের খাবার হরমোন ও ত্বক ভালো রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা-থ্রিসমৃদ্ধ খাবার তালিকাভুক্ত করতে হবে।
  • সাধারণত দুগ্ধজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে বলা হয়ে থাকে। কিন্তু টক দই এ ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিকস হিসেবে কাজ করবে, তাই খাবারের তালিকায় টক দই রাখতে হবে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দূর করতে দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

চিকিৎসা

  • ওষুধের পাশাপাশি বর্তমান সময়ে ব্রণের সমস্যা সমাধানে লেজার ট্রিটমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই ভালো ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিন।
  • অবশ্যই অনিয়মিত লাইফস্টাইল একটি নিয়মিত রুটিনে নিয়ে আসতে হবে এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসে নিজেকে অভ্যস্ত করতে হবে।

লেখক: পুষ্টিবিদ, লেজার ট্রিট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত