Ajker Patrika

রপ্তানি বাণিজ্যে ঋণসীমা বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ৩৫
রপ্তানি বাণিজ্যে ঋণসীমা বাড়ল

বৈদেশিক বাণিজ্যে নীতিসহায়তা কর্মসূচির আওতায় একক প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণসীমা বাড়ল ৫০ লাখ ইউএস ডলার। এ ঋণের সীমা আড়াই কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩ কোটি ডলার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বিকেএমইএভুক্ত যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা কারখানা কর্তৃপক্ষ এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। সরকারের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে স্বল্প সময়ের জন্য নামমাত্র সুদে ঋণ সুবিধা পায় আমদানি এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহ। দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য গতিশীল করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে বৈদেশিক বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সব ব্যাংকের নির্বাহীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছে। ফরেন এক্সচেঞ্জ নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী রফিকুল হাসান স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যিক লেনদেনবিষয়ক স্বল্প সুদের ঋণসহায়তার সময়সীমা ৬ মাস বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। নীতিসহায়তা কর্মসূচির অধীন সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্সরা তাঁদের ক্রেডিটের আওতায় শিল্পের কাঁচামাল, রপ্তানিখাতের ব্যাক টু ব্যাক আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানির ক্ষেত্রে পরিশোধের সময় ১৮০ দিনের পরিবর্তে ২৭০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে বৈদেশিক বাণিজ্যে নীতিসহায়তার সময়সীমা ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ নীতি বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার পর দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সম্প্রতি আমদানি ও রপ্তানি বেড়ে গেছে। এজন্য সরকারের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল থেকে স্বল্প সময়ের জন্য দেওয়া সুদে ঋণের সীমানা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এতে আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহ বাড়তি অর্থের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নির্দশনা জারি করে ব্যবসায়ীদের নামেমাত্র সুদে ঋণ দিয়ে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসাকে আরও গতিশীল করতে চায়। আমদানি-রপ্তানির সার্বিক চিত্র পর্যালোচনা করে যেকোনো সময় এ সুবিধা বৃদ্ধি বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে জুনের আগে কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং পরবর্তী সময়ে এ সুবিধা আরও বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহসভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনোর পর দেশের অর্থনীতি গতিশীল হচ্ছে। গত মাসে রপ্তানি বেড়েছে। আর আমদানি তো অনেক আগেই বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বেগবান করতে সাম্প্রতিক লেনদেন তথা আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের লেনদেন পর্যালোচনা করে ঋণের সীমা এবং সময় বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক গৃহীত ব্যবস্থা বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি দেবে। একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত