সম্পাদকীয়
একসময় আমাদের দেশের কৃষকেরা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে ধান চাষ করতেন। এখনো আমন ধান চাষ প্রকৃতিনির্ভর। কিন্তু বোরো মৌসুমে ধান চাষ কোনোভাবেই প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে করা সম্ভব নয়। তবে নদ-নদী-অধ্যুষিত অঞ্চলে এখনো অনেক কৃষক নদ-নদীর পানি দিয়ে বোরো চাষ করে থাকেন। যেমন নওগাঁর মান্দা উপজেলা।
কিন্তু সেখানে নাব্যতা না থাকার কারণে একসময়ের খরস্রোতা আত্রাই নদ শুকিয়ে গেছে। ফলে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে উপজেলার তিন শতাধিক সেচপাম্পের আওতাধীন প্রায় ৪৫ হাজার বিঘা জমির বোরো আবাদ। কারণ ওই এলাকার কৃষকেরা সেচপাম্পের মাধ্যমে আত্রাই নদের পানি দিয়ে জমিতে সেচ দিয়ে থাকেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় বুধবার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, আত্রাই নদের পানি দিয়ে সব মৌসুমে কৃষকেরা ধানসহ সব ধরনের ফসলের আবাদ করে থাকেন। কিন্তু প্রতিবছর এই সময়ে নদের পানি কমে যায়। আশির দশক পর্যন্ত নদটির ভরা যৌবন থাকলেও, নব্বইয়ের দশক থেকে এটি তার তারুণ্য হারাতে শুরু করে। মূলত এই নদ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, নদপাড়ের মাটি কেটে নেওয়া এবং উজান থেকে কাঙ্ক্ষিত পানি না পাওয়া নাব্যতা হারানোর কারণ। আবার দীর্ঘদিন ধরে নদটি সংস্কারও করা হচ্ছে না। ফলে নদটি নাব্যতার পাশাপাশি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক গতিও। তাই কৃষকেরা বোরো ধান চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
অবশ্য নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেছেন অন্য কথা—নাব্যতা হারানোর জন্য আত্রাই নদের দিনাজপুর এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে একটি রাবার ড্যাম তৈরি করার জন্য এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাবার ড্যাম তুলে নিলে নদটি আবার ভরা যৌবনপ্রাপ্ত হবে।
আমাদের দেশে এখন বোরো, আমন ও আউশের চাষাবাদের ওপর মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা অনেকাংশেই নির্ভরশীল; বিশেষ করে সেচভিত্তিক বোরো ধান প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। আর দেশের মোট খাদ্যচাহিদার সিংহভাগ জোগান আসে বোরো ধানের বদৌলতে। বোরোর চাষাবাদ পুরোটাই সেচনির্ভর। আর এই সেচনির্ভর বোরো চাষাবাদে উত্তরাঞ্চলের মধ্যে নওগাঁ জেলার ভূমিকা অনেক বেশি।
আমাদের দেশে কৃষকদের কাছে কৃষি প্রযুক্তি এসেছে। আর সরকারও নানা প্রযুক্তি ও সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। তাই নদ-নদীনির্ভর চাষের পানির ওপর নির্ভর না করে আধুনিক প্রযুক্তির দিকে কৃষকদের অগ্রসর হওয়া দরকার। সে জন্য ওই এলাকার কৃষকদের সেচের জন্য নদের পানির বিকল্প হিসেবে শ্যালো মেশিনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
এই মুহূর্তে উজানের পানিপ্রাপ্তির পরিমাণ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে প্রায় ৪৫ হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই আত্রাই নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য দিনাজপুরের রাবার ড্যামটি বন্ধ করে দিতে হবে। বৃহৎ মান্দা উপজেলার কৃষকদের স্বার্থেই সেটা করতে হবে।
একসময় আমাদের দেশের কৃষকেরা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে ধান চাষ করতেন। এখনো আমন ধান চাষ প্রকৃতিনির্ভর। কিন্তু বোরো মৌসুমে ধান চাষ কোনোভাবেই প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে করা সম্ভব নয়। তবে নদ-নদী-অধ্যুষিত অঞ্চলে এখনো অনেক কৃষক নদ-নদীর পানি দিয়ে বোরো চাষ করে থাকেন। যেমন নওগাঁর মান্দা উপজেলা।
কিন্তু সেখানে নাব্যতা না থাকার কারণে একসময়ের খরস্রোতা আত্রাই নদ শুকিয়ে গেছে। ফলে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে উপজেলার তিন শতাধিক সেচপাম্পের আওতাধীন প্রায় ৪৫ হাজার বিঘা জমির বোরো আবাদ। কারণ ওই এলাকার কৃষকেরা সেচপাম্পের মাধ্যমে আত্রাই নদের পানি দিয়ে জমিতে সেচ দিয়ে থাকেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় বুধবার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, আত্রাই নদের পানি দিয়ে সব মৌসুমে কৃষকেরা ধানসহ সব ধরনের ফসলের আবাদ করে থাকেন। কিন্তু প্রতিবছর এই সময়ে নদের পানি কমে যায়। আশির দশক পর্যন্ত নদটির ভরা যৌবন থাকলেও, নব্বইয়ের দশক থেকে এটি তার তারুণ্য হারাতে শুরু করে। মূলত এই নদ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, নদপাড়ের মাটি কেটে নেওয়া এবং উজান থেকে কাঙ্ক্ষিত পানি না পাওয়া নাব্যতা হারানোর কারণ। আবার দীর্ঘদিন ধরে নদটি সংস্কারও করা হচ্ছে না। ফলে নদটি নাব্যতার পাশাপাশি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক গতিও। তাই কৃষকেরা বোরো ধান চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
অবশ্য নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেছেন অন্য কথা—নাব্যতা হারানোর জন্য আত্রাই নদের দিনাজপুর এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে একটি রাবার ড্যাম তৈরি করার জন্য এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাবার ড্যাম তুলে নিলে নদটি আবার ভরা যৌবনপ্রাপ্ত হবে।
আমাদের দেশে এখন বোরো, আমন ও আউশের চাষাবাদের ওপর মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা অনেকাংশেই নির্ভরশীল; বিশেষ করে সেচভিত্তিক বোরো ধান প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। আর দেশের মোট খাদ্যচাহিদার সিংহভাগ জোগান আসে বোরো ধানের বদৌলতে। বোরোর চাষাবাদ পুরোটাই সেচনির্ভর। আর এই সেচনির্ভর বোরো চাষাবাদে উত্তরাঞ্চলের মধ্যে নওগাঁ জেলার ভূমিকা অনেক বেশি।
আমাদের দেশে কৃষকদের কাছে কৃষি প্রযুক্তি এসেছে। আর সরকারও নানা প্রযুক্তি ও সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। তাই নদ-নদীনির্ভর চাষের পানির ওপর নির্ভর না করে আধুনিক প্রযুক্তির দিকে কৃষকদের অগ্রসর হওয়া দরকার। সে জন্য ওই এলাকার কৃষকদের সেচের জন্য নদের পানির বিকল্প হিসেবে শ্যালো মেশিনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
এই মুহূর্তে উজানের পানিপ্রাপ্তির পরিমাণ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে প্রায় ৪৫ হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই আত্রাই নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য দিনাজপুরের রাবার ড্যামটি বন্ধ করে দিতে হবে। বৃহৎ মান্দা উপজেলার কৃষকদের স্বার্থেই সেটা করতে হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১০ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫