Ajker Patrika

প্রাণ পাচ্ছে ভাড়ানী খাল

বরগুনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ০৯
প্রাণ পাচ্ছে ভাড়ানী খাল

বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ ‘প্রাণ’ হিসেবে পরিচিত ভাড়ানী খাল। উপকূলীয় জেলা শহর বরগুনা সদরের জন্য নির্ভরযোগ্য নৌরুট এটি। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতা এবং দখলে সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া খালটি পুনরায় দখলমুক্ত ও খননে উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। দুদিকের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর খননকাজও এখন শেষের পথে।

২০১৭ সালে দখলদারদের হাত থেকে খালটি দখলমুক্ত করে পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে পরিবেশবাদী ও সচেতন মহল।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর খাল উদ্ধারে আইনি সহায়তা চেয়ে একটি আবেদন করেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে খালটির দখল উচ্ছেদ ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে বেলা উচ্চ আদালতে জনস্বার্থে মামলা করে। আদালত প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১৯-এর ৭ জানুয়ারি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিব আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বরগুনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বরগুনা জেলা প্রশাসন ভূমি অফিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ৮ ও ৯ এপ্রিলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে এবং ডিসেম্বরে কার্যক্রম শেষ হয়। এরপর বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড খালটি পুনর্খননের প্রকল্প গ্রহণ করে।

পাউবো কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে খালটি খননের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। চট্টগ্রাম জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গরীবে নেওয়াজ ও পটুয়াখালী জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল মামুন এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এ খাল খননের প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। বরাদ্দকৃত এই কাজের দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার ও প্রস্থ স্থানভেদে ২৬-৩০ মিটার বা ৮৫ থেকে ১০০ ফুট ও নিম্নস্তরের প্রস্থ ১২ মিটার বা ৩৯ দশমিক ৩৬ ফুট, গভীরতা ১ দশমিক ৫ মিটার থেকে ২ মিটার পর্যন্ত বা ৫ ফুট থেকে ৬ দশমিক ৫০ ফুট। গত বছরের আগস্ট মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খননকাজ শুরু করে। বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় কাজ বন্ধ থাকলেও শীত মৌসুমের শুরু থেকে আবার শুরু হয়। বর্তমানে খালটির খনন প্রায় শেষ পর্যায়ে।

বরগুনা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি, খাল দখলমুক্ত হয়েছে এবং খননকাজও প্রায় শেষ।’

বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘খালটি দখলমুক্ত করতে আমরা আন্তরিক চেষ্টা করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডেও খননকাজ শেষ হলে এটি ঘিরে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা যায় কি না, সে বিষয়ে পৌর মেয়রকে নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ফ্লাইট থেকে সরানো হলো দুই কেবিন ক্রু

নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি: মাহমুদুর রহমান

প্রাথমিকে আবার চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৯৪৭ থেকে ২০২৫: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ও ফলাফল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত