নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে নিহত যুবদল কর্মী শাওন (২১) এখন আলোচনার কেন্দ্র। সংঘর্ষের দিন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেকের মিছিলে অগ্রভাগেই ছিলেন শাওন। পুলিশের দিকে ঢিল ছোড়া ও সংঘর্ষে সামনের সারিতে থাকার একাধিক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে যেই নেতার হাত ধরে মিছিলে এসেছিলেন শাওন, তাঁকে সংঘর্ষের ঘটনায় করা পুলিশের মামলায় আসামি করা হয়নি।
২ সেপ্টেম্বর পুলিশের উপপরিদর্শক কামরুজ্জামানের করা মামলায় ৭১ জন আসামির মধ্যে নেই সাদেকুর রহমান সাদেকের নাম। এ নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাঁদের মতে, সংঘর্ষে না জড়িয়েও কয়েকজন মামলার আসামি হয়েছেন, আবার সংঘর্ষের নেতৃত্ব দিয়েও মামলার আসামি হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন অনেকে।
১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় শোভাযাত্রার আয়োজন করে দলটির জেলা ও মহানগর পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ডিআইটি এলাকা থেকে দুই নম্বর রেলগেটের দিকে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। সে সময় পুলিশের সঙ্গে প্রথমে নেতা-কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষের একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান যুবদল কর্মী শাওন।
এই মৃত্যুর পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রথমে শাওনের পরিচয় নিয়ে দোটানা চললেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় শাওনকে। সেখানে দেখা যায়, শাওন পুলিশকে লক্ষ করে ঢিল ছুড়ছেন সামনের সারিতে থেকে। ছিলেন সংঘাতের সামনের সারিতে। এ ছাড়া একটি মিছিলের অগ্রভাগে থাকার ছবি প্রকাশিত হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শনাক্ত করেন, এটি কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেকের মিছিল। আর এই সাদেকের ডাকেই বক্তাবলী থেকে ছুটে এসেছিলেন শাওন।
সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এতে আসামি করা হয় আব্দুস সাত্তার, মজিবুর রহমান, রঞ্জন কুমার দেবনাথ, রাজিব, জনি, বাদল, আবুল কালাম ভূঁইয়া, রিমন, ইমন, সোহানসহ ৭১ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ৯০০ জনকে। এর মধ্যে নেই সাদেকুর রহমান সাদেকের নাম। যেই শাওনকে নিয়ে এত আলোচনা এবং যেই শাওনকে ডেকে আনলেন যুবদল নেতা, তাঁর নাম মামলায় না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমার কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। যেই নেতা শাওনকে ডেকে নিয়ে এল, যেই নেতার মিছিলে থেকে শাওন মৃত্যুবরণ করল, তাকেই তো অন্যতম আসামি করা দরকার ছিল।’
এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা যুবদলের এক নেতা বলেন, ‘এই মামলায় সাদেক ভাইয়ের মতো অনেক নেতারই নাম আসেনি, যারা সেদিন সক্রিয় ছিলেন। আমি তো চাইব না বিএনপির কেউ মামলার আসামি হোক। তবে সাদেক ভাইয়ের নাম না আসাটা কিছুটা অবাক করার মতো।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। এই বিষয়ে মন্তব্য করার রাইটস আমার নেই।’
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে নিহত যুবদল কর্মী শাওন (২১) এখন আলোচনার কেন্দ্র। সংঘর্ষের দিন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেকের মিছিলে অগ্রভাগেই ছিলেন শাওন। পুলিশের দিকে ঢিল ছোড়া ও সংঘর্ষে সামনের সারিতে থাকার একাধিক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে যেই নেতার হাত ধরে মিছিলে এসেছিলেন শাওন, তাঁকে সংঘর্ষের ঘটনায় করা পুলিশের মামলায় আসামি করা হয়নি।
২ সেপ্টেম্বর পুলিশের উপপরিদর্শক কামরুজ্জামানের করা মামলায় ৭১ জন আসামির মধ্যে নেই সাদেকুর রহমান সাদেকের নাম। এ নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাঁদের মতে, সংঘর্ষে না জড়িয়েও কয়েকজন মামলার আসামি হয়েছেন, আবার সংঘর্ষের নেতৃত্ব দিয়েও মামলার আসামি হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন অনেকে।
১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় শোভাযাত্রার আয়োজন করে দলটির জেলা ও মহানগর পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ডিআইটি এলাকা থেকে দুই নম্বর রেলগেটের দিকে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। সে সময় পুলিশের সঙ্গে প্রথমে নেতা-কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষের একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান যুবদল কর্মী শাওন।
এই মৃত্যুর পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রথমে শাওনের পরিচয় নিয়ে দোটানা চললেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় শাওনকে। সেখানে দেখা যায়, শাওন পুলিশকে লক্ষ করে ঢিল ছুড়ছেন সামনের সারিতে থেকে। ছিলেন সংঘাতের সামনের সারিতে। এ ছাড়া একটি মিছিলের অগ্রভাগে থাকার ছবি প্রকাশিত হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শনাক্ত করেন, এটি কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেকের মিছিল। আর এই সাদেকের ডাকেই বক্তাবলী থেকে ছুটে এসেছিলেন শাওন।
সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এতে আসামি করা হয় আব্দুস সাত্তার, মজিবুর রহমান, রঞ্জন কুমার দেবনাথ, রাজিব, জনি, বাদল, আবুল কালাম ভূঁইয়া, রিমন, ইমন, সোহানসহ ৭১ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ৯০০ জনকে। এর মধ্যে নেই সাদেকুর রহমান সাদেকের নাম। যেই শাওনকে নিয়ে এত আলোচনা এবং যেই শাওনকে ডেকে আনলেন যুবদল নেতা, তাঁর নাম মামলায় না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমার কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। যেই নেতা শাওনকে ডেকে নিয়ে এল, যেই নেতার মিছিলে থেকে শাওন মৃত্যুবরণ করল, তাকেই তো অন্যতম আসামি করা দরকার ছিল।’
এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা যুবদলের এক নেতা বলেন, ‘এই মামলায় সাদেক ভাইয়ের মতো অনেক নেতারই নাম আসেনি, যারা সেদিন সক্রিয় ছিলেন। আমি তো চাইব না বিএনপির কেউ মামলার আসামি হোক। তবে সাদেক ভাইয়ের নাম না আসাটা কিছুটা অবাক করার মতো।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। এই বিষয়ে মন্তব্য করার রাইটস আমার নেই।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৬ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫