Ajker Patrika

মশাল নিয়ে মহাবিপাকে তানসেন

গনেশ দাস, বগুড়া
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০২: ০৩
মশাল নিয়ে মহাবিপাকে তানসেন

উপনির্বাচনে মশাল মার্কা নিয়ে আওয়ামী লীগকে সঙ্গে পাচ্ছেন না জেলা জাসদ সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন। আওয়ামী লীগের কর্মীরা মশাল মার্কার স্লোগান দিতে চাইছেন না। ফলে নির্বাচনী মাঠে মার্কা নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে।

বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত নন্দীগ্রাম-কাহালু উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৪ আসনটি ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপি ধরে রেখেছিল। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় জাসদ প্রার্থী হিসেবে রেজাউল করিম তানসেন ২২ হাজার ২০৩ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেবার আওয়ামী লীগ এই আসনে দলীয় প্রার্থী দেয়নি, তাঁর মার্কা ছিল মশাল। তবে ২০১৮ সালে নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট করে পরাজিত হন তানসেন।

বগুড়া-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও এবার নৌকা এবং ধানের শীষ মার্কা না থাকায় ভোটারদের আগ্রহ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেছেন, তাঁরা নৌকা মার্কার লোক হয়ে মশাল মার্কার স্লোগান দেবেন না। এমনকি ভোটারদের কাছেও তাঁরা মশাল মার্কার ভোট চাইবেন না। তাঁরা আশা করেছিলেন, উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দেবে। দলীয় প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজেদের নির্বাচন থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এ আসনে তানসেন ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন নন্দীগ্রাম পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল (কুড়াল), জাকের পার্টির আব্দুর রশিদ সরদার (গোলাপ ফুল), কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির তাজ উদ্দিন মণ্ডল (ডাব)।

নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংসদ সদস্য প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেননি। এ কারণে তাঁর সঙ্গে অনেকেই থাকতে চাইছেন না।

নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফি উদ্দিন বলেন, গত নির্বাচনের পর থেকে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগণের খোঁজখবর রাখেননি। অথচ আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করেই ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন রেজাউল করিম তানসেন।

নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলেও কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজ বলেন, ‘দেরিতে হলেও গত সোমবার রাতে রেজাউল করিম তানসেন এসেছিলেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলে গেছেন।’

উপনির্বাচন নিয়ে রেজাউল করিম তানসেনের বক্তব্য জানার জন্য বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ পশারি বলেন, আওয়ামী লীগের নৈতিক দায়িত্ব রেজাউল করিম তানসেনের পক্ষে কাজ করা। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বুঝতে হবে জাসদ তাঁদের শরিক দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

‘তেলের ক্রেতা’ হিসেবে ভারতকে আর পাবে না রাশিয়া, জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান: ভারতীয় দুই কোম্পানির ব্যাংক গ্যারান্টি প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ

মহিলা মাদ্রাসা থেকে দুই শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

রাবির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত