সম্পাদকীয়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিএনপির এক দফার আন্দোলন এখন শেষ ধাপে আছে বলে বলা হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে। শোনা যাচ্ছে, ওই দিন থেকে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত টানা কর্মসূচি দেবে দলটি। কর্মসূচির মধ্যে থাকতে পারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা অভিমুখে পদযাত্রা, ঘেরাও এবং সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ।
বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের কথা বললেও, শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠবে না—এমন নিশ্চয়তা কে দিতে পারে? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতিমধ্যেই বলেছেন, বিএনপিকে কোথাও দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। অবরোধ ডাকলে তাদেরই অবরোধ করা হবে। এমনকি শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশের চেয়েও করুণ পরিণতি বিএনপির জন্য অপেক্ষা করছে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোভাবও কঠোর। ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল, মানুষ খুন করা দল হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘তারা প্রতিদিন আমাদের পদত্যাগ চায়। সে দাবিতে প্রতিদিন আন্দোলন করছে। করুক। আমার আছে জনগণ। আমরাও সারা জীবন আন্দোলন করেই আজ ক্ষমতায় এসেছি। তারা ক্ষমতায় আসতে আন্দোলন করছে, তা করুক। কিন্তু আন্দোলনের নামে মানুষের ক্ষতি যেন করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও বক্তব্য দিতে দিতে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল এখন মুখোমুখি অবস্থানে এসেছে। যেকোনো সময় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রশ্ন হলো, রাজনৈতিক নেতৃত্ব কি শুভবুদ্ধির পরিচয় না দিয়ে পারস্পরিক বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজটি অব্যাহতভাবে করে যাবেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বড় দুই দলের নেতারা কোথাও বসে একটু ঠান্ডা মাথায় কথাবার্তা বললে তো কোনো ক্ষতি নেই। কথা বললে একটি সমাধানের পথ হয়তো বেরও হতে পারে।
দুই দলই নিজেদের জনপ্রিয় বলে মনে করে। আওয়ামী লীগ মনে করে বিএনপির জনসমর্থন তেমন নেই। আবার বিএনপি মনে করে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা পরিমাপের উপায় হলো নির্বাচন। বিএনপির যদি নিজেদের জনপ্রিয়তার ওপর শতভাগ আস্থা থাকে, তাহলে তো দলটির উচিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করা।
বলা হচ্ছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে, ভোটে ব্যাপক কারচুপির সুযোগ থাকে। নানা অনিয়মের মাধ্যমে ভোটের ফলাফল পাল্টিয়ে দেওয়ার কথাও আমরা জানি। তবে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়া-সংক্রান্ত একটি কথাও তো আছে। যেকোনো রাজনৈতিক দলই বাছাই করে ভোটকেন্দ্র পাহারার ব্যবস্থা করতে পারে। ভোট কারচুপি হবে, সে জন্য ভোটে যাব না, এটা সুস্থ চিন্তার প্রকাশ হতে পারে না। অন্যদিকে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভেতর থেকে একেক সময় একেক বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিএনপির এক দফার আন্দোলন এখন শেষ ধাপে আছে বলে বলা হচ্ছে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে। শোনা যাচ্ছে, ওই দিন থেকে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত টানা কর্মসূচি দেবে দলটি। কর্মসূচির মধ্যে থাকতে পারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা অভিমুখে পদযাত্রা, ঘেরাও এবং সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ।
বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের কথা বললেও, শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠবে না—এমন নিশ্চয়তা কে দিতে পারে? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতিমধ্যেই বলেছেন, বিএনপিকে কোথাও দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। অবরোধ ডাকলে তাদেরই অবরোধ করা হবে। এমনকি শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশের চেয়েও করুণ পরিণতি বিএনপির জন্য অপেক্ষা করছে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোভাবও কঠোর। ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল, মানুষ খুন করা দল হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘তারা প্রতিদিন আমাদের পদত্যাগ চায়। সে দাবিতে প্রতিদিন আন্দোলন করছে। করুক। আমার আছে জনগণ। আমরাও সারা জীবন আন্দোলন করেই আজ ক্ষমতায় এসেছি। তারা ক্ষমতায় আসতে আন্দোলন করছে, তা করুক। কিন্তু আন্দোলনের নামে মানুষের ক্ষতি যেন করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও বক্তব্য দিতে দিতে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল এখন মুখোমুখি অবস্থানে এসেছে। যেকোনো সময় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রশ্ন হলো, রাজনৈতিক নেতৃত্ব কি শুভবুদ্ধির পরিচয় না দিয়ে পারস্পরিক বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজটি অব্যাহতভাবে করে যাবেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বড় দুই দলের নেতারা কোথাও বসে একটু ঠান্ডা মাথায় কথাবার্তা বললে তো কোনো ক্ষতি নেই। কথা বললে একটি সমাধানের পথ হয়তো বেরও হতে পারে।
দুই দলই নিজেদের জনপ্রিয় বলে মনে করে। আওয়ামী লীগ মনে করে বিএনপির জনসমর্থন তেমন নেই। আবার বিএনপি মনে করে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা পরিমাপের উপায় হলো নির্বাচন। বিএনপির যদি নিজেদের জনপ্রিয়তার ওপর শতভাগ আস্থা থাকে, তাহলে তো দলটির উচিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করা।
বলা হচ্ছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে, ভোটে ব্যাপক কারচুপির সুযোগ থাকে। নানা অনিয়মের মাধ্যমে ভোটের ফলাফল পাল্টিয়ে দেওয়ার কথাও আমরা জানি। তবে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়া-সংক্রান্ত একটি কথাও তো আছে। যেকোনো রাজনৈতিক দলই বাছাই করে ভোটকেন্দ্র পাহারার ব্যবস্থা করতে পারে। ভোট কারচুপি হবে, সে জন্য ভোটে যাব না, এটা সুস্থ চিন্তার প্রকাশ হতে পারে না। অন্যদিকে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভেতর থেকে একেক সময় একেক বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫