Ajker Patrika

৭ মেয়র প্রার্থীর ৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত

ঝিকরগাছা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৫৫
৭ মেয়র প্রার্থীর ৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত

যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচনে ৭ মেয়র পদপ্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গত রোববার অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনের ভোটে তাঁরা জামানত হারিয়েছেন।

যদিও জামানত হারানো প্রার্থীদের একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ভোটের আগে নৌকা প্রতীকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ান। তবুও তাঁর চামচ প্রতীকে ৮৯ ভোট পড়েছে।

জামানত হারানো অপর তিন মেয়র পদপ্রার্থী হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম আমানুল কাদির টুল্লু। তাঁর নারিকেল গাছ প্রতীক পেয়েছে এক হাজার ১০ ভোট। যুবলীগ কর্মী ইমতিয়াজ আহমেদ শিপন মোবাইল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৮৭ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উদ্ভাবক আব্দুল্লাহ আল সাঈদের রেল ইঞ্জিন প্রতীকে পড়েছে ১ হাজার ১১ ভোট।

নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীকে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়া তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। সেই হিসাবে ঝিকরগাছা পৌরসভা নির্বাচনের চারজন মেয়র প্রার্থী তাঁদের জামানত রক্ষা করতে পারেননি।

রোববারের নির্বাচনে ঝিকরগাছা পৌরসভায় ২৫ হাজার ৯৩৯ ভোটের মধ্যে মোট ভোট পড়েছে ১৭ হাজার ৪৭৪। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৭৫ ভোট।

তাঁর নিকটতম প্রার্থী ইমরান হাসান সামাদ নিপুণ পেয়েছেন ৬ হাজার ১২৬ ভোট।

এ দিকে পৌরসভা নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন আরিফুর রহমান আরিফ। তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। আরিফ ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মরহুম কফিল উদ্দিনের ছেলে।

আরিফের বাবা কফিল উদ্দিন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ১৯ বছর ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি এই ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য হিসেবে ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। আরিফুর রহমানের জন্ম ১৯৯৪ সালে।

২০০১ সালে ঝিকরগাছা পৌরসভায় প্রথম নির্বাচন হয়। সে সময় পৌরসভার সর্বোচ্চ পদ ছিল চেয়ারম্যান। পরে সীমানা জটিলতা নিয়ে করা মামলায় দীর্ঘ ২০ বছর নির্বাচন আটকে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত