বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম সত্যেন সেন। একই সঙ্গে তিনি ঔপন্যাসিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃৎ, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর পুরো নাম সত্যেন্দ্রমোহন সেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে শরীর সচল থাকা পর্যন্ত তিনি বিরতি দেননি সাংগঠনিক কাজে। জীবনভর স্বপ্ন দেখেছেন একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। আর এর জন্য শ্রমিক, কৃষকসহ সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
তাঁর জন্ম বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলার (আদি বিক্রমপুর) টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে। কলেজে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গেই তিনি যুক্ত হয়ে পড়েন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম যুগান্তর দলে। একজন আত্মনিবেদিত কর্মী হিসেবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি হয়ে ওঠেন সবার প্রিয়। বিপ্লব আর পড়াশোনা একসঙ্গেই চলতে থাকে। এফএ ও বিএ পাস করার পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে এমএতে ভর্তি হন। ১৯৩১ সালে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে কারাবরণ করেন। জেল থেকেই তিনি এমএ পাস করেন। জেল থেকে মুক্ত হয়ে বিক্রমপুরে ফিরে তিনি কৃষক আন্দোলনে যোগ দেন। চল্লিশের দশকে একজন পুরোদস্তুর কৃষক আন্দোলনের কর্মীতে পরিণত হন। একই সঙ্গে ঢাকার আশপাশের নানা কারখানায় শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নে সংগঠিত করার কাজে উদ্যোগী হন।
তিনি ব্রিটিশ শাসনামলে তিনবার কারাবরণ করেছেন। শেষবার পাঁচ বছর জেল খাটেন। ১৯৩৮ সালে মুক্ত হওয়ার পর ভাষাতত্ত্বে গবেষণার জন্য শান্তিনিকেতন থেকে তিনি ‘গবেষণা বৃত্তি’ পান। এরপর তিনি ১৯৪৯ ও ১৯৫৪ সালে আবার গ্রেপ্তার হন। জেল থেকে বের হয়ে ১৯৫৪ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। আবারও ১৯৫৮ ও ১৯৬৫ সালে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটেন।
ষাটের দশকে তিনি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ার দিকে মনোনিবেশ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৯ সালে রণেশ দাশগুপ্ত, শহীদুল্লা কায়সারসহ একঝাঁক তরুণকে নিয়ে উদীচী প্রতিষ্ঠা করেন।
মহান এই মানুষটি ১৯৮১ সালের ৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম সত্যেন সেন। একই সঙ্গে তিনি ঔপন্যাসিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃৎ, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর পুরো নাম সত্যেন্দ্রমোহন সেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে শরীর সচল থাকা পর্যন্ত তিনি বিরতি দেননি সাংগঠনিক কাজে। জীবনভর স্বপ্ন দেখেছেন একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। আর এর জন্য শ্রমিক, কৃষকসহ সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
তাঁর জন্ম বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলার (আদি বিক্রমপুর) টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে। কলেজে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গেই তিনি যুক্ত হয়ে পড়েন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম যুগান্তর দলে। একজন আত্মনিবেদিত কর্মী হিসেবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি হয়ে ওঠেন সবার প্রিয়। বিপ্লব আর পড়াশোনা একসঙ্গেই চলতে থাকে। এফএ ও বিএ পাস করার পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে এমএতে ভর্তি হন। ১৯৩১ সালে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে কারাবরণ করেন। জেল থেকেই তিনি এমএ পাস করেন। জেল থেকে মুক্ত হয়ে বিক্রমপুরে ফিরে তিনি কৃষক আন্দোলনে যোগ দেন। চল্লিশের দশকে একজন পুরোদস্তুর কৃষক আন্দোলনের কর্মীতে পরিণত হন। একই সঙ্গে ঢাকার আশপাশের নানা কারখানায় শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নে সংগঠিত করার কাজে উদ্যোগী হন।
তিনি ব্রিটিশ শাসনামলে তিনবার কারাবরণ করেছেন। শেষবার পাঁচ বছর জেল খাটেন। ১৯৩৮ সালে মুক্ত হওয়ার পর ভাষাতত্ত্বে গবেষণার জন্য শান্তিনিকেতন থেকে তিনি ‘গবেষণা বৃত্তি’ পান। এরপর তিনি ১৯৪৯ ও ১৯৫৪ সালে আবার গ্রেপ্তার হন। জেল থেকে বের হয়ে ১৯৫৪ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। আবারও ১৯৫৮ ও ১৯৬৫ সালে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটেন।
ষাটের দশকে তিনি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ার দিকে মনোনিবেশ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৯ সালে রণেশ দাশগুপ্ত, শহীদুল্লা কায়সারসহ একঝাঁক তরুণকে নিয়ে উদীচী প্রতিষ্ঠা করেন।
মহান এই মানুষটি ১৯৮১ সালের ৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৫ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫