চৌগাছা প্রতিনিধি
যশোর সদরে বিদ্যুতায়িত ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে ১৪ বছর বয়সী ছেলে রুহুল আমিনকে হত্যা করেন নুরুল ইসলাম। বড় ছেলে রুহুল আমিনের মৃত্যু নিশ্চিত করেই বাড়ির পাশের হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আট বছর বয়সী ছোট ছেলে আলামিনকেও হত্যার জন্য আনতে যান, কিন্তু অনেক রাত হওয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষক ‘নেশাগ্রস্ত’ বাবার হাতে ছেলেকে না দেওয়ায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় আলামিন।
সদরের ফতেপুর ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদপাড়া গ্রামে নির্মমভাবে ছেলেকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাবা নুরুল ইসলামের জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত সোমবার যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নূরুল ইসলাম। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত রোববার গভীর রাতে যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত রুহুল আমিনের মা শান্তনা বেগম জানান, পারিবারিক কলহের জের এবং দুই ছেলের নামে থাকা সম্পত্তির দলিল ও এক লাখ টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য নিজ সন্তানকে হত্যা করেন নুরুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে চাঁদপাড়া জামে মসজিদে রুহুলের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় স্বামী নুরুলকে আসামি করে মামলা করেন স্ত্রী শান্তনা বেগম।
রুহুল আমিনের মা শান্তনা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নেশাগ্রস্ত। নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য তিনি জমি-গাছ বিক্রি করতেন। পরিবারের সম্পত্তি বিক্রির নেশায় এখন শুধু বসতবাড়ির ৬ শতক জমি ছাড়া কিছু নেই। জমিগুলো বাঁচাতে ভাশুরদের সঙ্গে কথা বলে বসতবাড়ির সেই জমিটুকু দুই ছেলের নামে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছি। সেই ক্ষোভেই স্বামী বিভিন্ন সময়ে আমাকে ও দুই ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করেন। একাধিকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে আমাদের ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শান্তা বেগম বলেন, ঘটনার দিন বড় ছেলে রুহুল আমিন নিজ ঘরে একা ঘুমিয়ে থাকার সময়ে তাঁর বাবা নুরুল ছেলের বাঁ পায়ে বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে ইলেকট্রিক শক দেয়। পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। বড় ছেলেকে মেরে ফেলে ছোট ছেলেকেও হত্যার জন্য মাদ্রাসা থেকে আনতে যান। অনেক রাতে মাদ্রাসার হুজুর ছোট ছেলেকে না দেওয়ায় তাকে হত্যা করতে পারেননি।
এর আগে নুরুল ছোট ছেলে আলামিনকেও মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে এনে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেন বলে জানান তাঁর স্ত্রী।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে নুরুল ইসলাম তাঁর ছেলে রুহুল আমিনকে হত্যা করেন। নুরুল প্রথমে ছেলের বাঁ পায়ে বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে ইলেকট্রিক শক দেন। এতে মৃত্যু না হওয়ায় পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আধা ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করে হত্যা করেন বলে তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন। পরে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
যশোর সদরে বিদ্যুতায়িত ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে ১৪ বছর বয়সী ছেলে রুহুল আমিনকে হত্যা করেন নুরুল ইসলাম। বড় ছেলে রুহুল আমিনের মৃত্যু নিশ্চিত করেই বাড়ির পাশের হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আট বছর বয়সী ছোট ছেলে আলামিনকেও হত্যার জন্য আনতে যান, কিন্তু অনেক রাত হওয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষক ‘নেশাগ্রস্ত’ বাবার হাতে ছেলেকে না দেওয়ায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় আলামিন।
সদরের ফতেপুর ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদপাড়া গ্রামে নির্মমভাবে ছেলেকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাবা নুরুল ইসলামের জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত সোমবার যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নূরুল ইসলাম। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত রোববার গভীর রাতে যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত রুহুল আমিনের মা শান্তনা বেগম জানান, পারিবারিক কলহের জের এবং দুই ছেলের নামে থাকা সম্পত্তির দলিল ও এক লাখ টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য নিজ সন্তানকে হত্যা করেন নুরুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে চাঁদপাড়া জামে মসজিদে রুহুলের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় স্বামী নুরুলকে আসামি করে মামলা করেন স্ত্রী শান্তনা বেগম।
রুহুল আমিনের মা শান্তনা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নেশাগ্রস্ত। নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য তিনি জমি-গাছ বিক্রি করতেন। পরিবারের সম্পত্তি বিক্রির নেশায় এখন শুধু বসতবাড়ির ৬ শতক জমি ছাড়া কিছু নেই। জমিগুলো বাঁচাতে ভাশুরদের সঙ্গে কথা বলে বসতবাড়ির সেই জমিটুকু দুই ছেলের নামে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছি। সেই ক্ষোভেই স্বামী বিভিন্ন সময়ে আমাকে ও দুই ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করেন। একাধিকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে আমাদের ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শান্তা বেগম বলেন, ঘটনার দিন বড় ছেলে রুহুল আমিন নিজ ঘরে একা ঘুমিয়ে থাকার সময়ে তাঁর বাবা নুরুল ছেলের বাঁ পায়ে বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে ইলেকট্রিক শক দেয়। পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করেন। বড় ছেলেকে মেরে ফেলে ছোট ছেলেকেও হত্যার জন্য মাদ্রাসা থেকে আনতে যান। অনেক রাতে মাদ্রাসার হুজুর ছোট ছেলেকে না দেওয়ায় তাকে হত্যা করতে পারেননি।
এর আগে নুরুল ছোট ছেলে আলামিনকেও মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে এনে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেন বলে জানান তাঁর স্ত্রী।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে নুরুল ইসলাম তাঁর ছেলে রুহুল আমিনকে হত্যা করেন। নুরুল প্রথমে ছেলের বাঁ পায়ে বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে ইলেকট্রিক শক দেন। এতে মৃত্যু না হওয়ায় পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আধা ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করে হত্যা করেন বলে তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন। পরে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫