হাবিবুল বাশার সুমন
নিজের আগমনী বার্তাটা তামিম আসলে প্রথম দিয়েছিল আমাদের সঙ্গে প্রথম তার জিম্বাবুয়ে সফরে (২০০৭)। তার আগে কী খেলেছে, কী খেলেনি, সে হিসাব ভুলিয়ে হারারের এক ম্যাচে দুর্দান্ত খেলল। নতুন বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলল। পেটাল বোলারদের।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা এই তামিমই নিজেকে হাজির করল ২০০৭ বিশ্বকাপে। ওই টুর্নামেন্টে ভারতের সঙ্গে ম্যাচে সে শুধু নিজেকেই মেলে ধরেনি, মেলে ধরেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটকেও। একটা মাইন্ডসেটের ব্যাপার ছিল। ও ভিন্ন কিছু দেখাল। তখন তো আসলে আমাদের ব্যাটসম্যানদের কেউ ওই কাজটাই করত না।
ওপেনিংয়ে ব্যাটারদের কাজ ছিল দেখেশুনে বোলারদের খেলা কিংবা উইকেট নিরাপদে রেখে রান করার চেষ্টা করা। তবে ওপেনিং ব্যাটসম্যান যে ওপেনিং বোলারকে ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে মারবে, এটা বাংলাদেশে দেখাই যেত না। আসলে তামিম ওই দিনই বার্তাটা দিয়েছিল। এরপর তো লম্বা সময় পার হয়েছে।
ওর ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন এসেছে, আরও ম্যাচিউরড ব্যাটিং করেছে। ও অনেক বড় বড়, লম্বা ইনিংস খেলেছে। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। ওর মতো ব্যাটসম্যান পেতে আমাদের আরও অনেক সময় লাগবে। ছোট তামিম যখন দলে এল, তখন খুবই নিরীহ—আমার মনে আছে, আমাদের ফিজিও নিয়ম করছিল কোক খাওয়া যাবে না। কোক নিষিদ্ধ হয়ে গেল। তামিম কোক খুব পছন্দ করত। একদিন তো নিয়ম ভেঙে ও কোক খেয়েই ফেলল। কী আর করার, তাকে রক্ষার দায়িত্বও এসে পড়েছিল কাঁধে।
অধিনায়ক হিসেবে সে খুব ভালো করছিল। ওকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সব সময় মনে রাখবে। আমি আশ্চর্য হয়েছি ওর অবসরের সিদ্ধান্তে। ভাবতে পারিনি যে, ও খেলাই ছেড়ে দেবে।
তার অনেক ইনিংস আছে, মনে দাগ কাটার মতো। তারপরও আমি মনে করি, ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের যে সেঞ্চুরিটা ওটা খুবই বিশেষ কিছু ছিল। কারণ, উইকেট খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। এটা আমার কাছে মনে হয়। আরেকটা ইনিংস, ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার্লস কভেন্ট্রির জবাব দিয়ে ১৫০+ (১৫৪), ওই ইনিংসটা খুব স্পেশাল ছিল। এ রকম হিসাব করলে আসলে ওর অনেক ইনিংস আছে।
তামিমের মতো ওপেনার পেতে হলে বাংলাদেশকে ভাগ্যবান হতে হবে। অপেক্ষাও করতে হবে অনেক। কারণ, এই মাপের খেলোয়াড় সব সময় তো তৈরি করা যায় না। শচীন টেন্ডুলকার বানানো যায় না, জন্মায়। বিরাট কোহলি কিন্তু জন্মায়। কোচিং করলে খুঁজে পেতে সাহায্য করে তবে এই ধরনের খেলোয়াড় আসলে জন্মায়। সুতরাং তামিম ইকবালের মতো খেলোয়াড় পেতে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশকে আরও অপেক্ষা করতে হবে।
লেখক: সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক
নিজের আগমনী বার্তাটা তামিম আসলে প্রথম দিয়েছিল আমাদের সঙ্গে প্রথম তার জিম্বাবুয়ে সফরে (২০০৭)। তার আগে কী খেলেছে, কী খেলেনি, সে হিসাব ভুলিয়ে হারারের এক ম্যাচে দুর্দান্ত খেলল। নতুন বলে ডাউন দ্য উইকেটে খেলল। পেটাল বোলারদের।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা এই তামিমই নিজেকে হাজির করল ২০০৭ বিশ্বকাপে। ওই টুর্নামেন্টে ভারতের সঙ্গে ম্যাচে সে শুধু নিজেকেই মেলে ধরেনি, মেলে ধরেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটকেও। একটা মাইন্ডসেটের ব্যাপার ছিল। ও ভিন্ন কিছু দেখাল। তখন তো আসলে আমাদের ব্যাটসম্যানদের কেউ ওই কাজটাই করত না।
ওপেনিংয়ে ব্যাটারদের কাজ ছিল দেখেশুনে বোলারদের খেলা কিংবা উইকেট নিরাপদে রেখে রান করার চেষ্টা করা। তবে ওপেনিং ব্যাটসম্যান যে ওপেনিং বোলারকে ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে মারবে, এটা বাংলাদেশে দেখাই যেত না। আসলে তামিম ওই দিনই বার্তাটা দিয়েছিল। এরপর তো লম্বা সময় পার হয়েছে।
ওর ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন এসেছে, আরও ম্যাচিউরড ব্যাটিং করেছে। ও অনেক বড় বড়, লম্বা ইনিংস খেলেছে। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। ওর মতো ব্যাটসম্যান পেতে আমাদের আরও অনেক সময় লাগবে। ছোট তামিম যখন দলে এল, তখন খুবই নিরীহ—আমার মনে আছে, আমাদের ফিজিও নিয়ম করছিল কোক খাওয়া যাবে না। কোক নিষিদ্ধ হয়ে গেল। তামিম কোক খুব পছন্দ করত। একদিন তো নিয়ম ভেঙে ও কোক খেয়েই ফেলল। কী আর করার, তাকে রক্ষার দায়িত্বও এসে পড়েছিল কাঁধে।
অধিনায়ক হিসেবে সে খুব ভালো করছিল। ওকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সব সময় মনে রাখবে। আমি আশ্চর্য হয়েছি ওর অবসরের সিদ্ধান্তে। ভাবতে পারিনি যে, ও খেলাই ছেড়ে দেবে।
তার অনেক ইনিংস আছে, মনে দাগ কাটার মতো। তারপরও আমি মনে করি, ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের যে সেঞ্চুরিটা ওটা খুবই বিশেষ কিছু ছিল। কারণ, উইকেট খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। এটা আমার কাছে মনে হয়। আরেকটা ইনিংস, ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার্লস কভেন্ট্রির জবাব দিয়ে ১৫০+ (১৫৪), ওই ইনিংসটা খুব স্পেশাল ছিল। এ রকম হিসাব করলে আসলে ওর অনেক ইনিংস আছে।
তামিমের মতো ওপেনার পেতে হলে বাংলাদেশকে ভাগ্যবান হতে হবে। অপেক্ষাও করতে হবে অনেক। কারণ, এই মাপের খেলোয়াড় সব সময় তো তৈরি করা যায় না। শচীন টেন্ডুলকার বানানো যায় না, জন্মায়। বিরাট কোহলি কিন্তু জন্মায়। কোচিং করলে খুঁজে পেতে সাহায্য করে তবে এই ধরনের খেলোয়াড় আসলে জন্মায়। সুতরাং তামিম ইকবালের মতো খেলোয়াড় পেতে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশকে আরও অপেক্ষা করতে হবে।
লেখক: সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৩ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫