Ajker Patrika

ট্রাফিক সংকেত অমান্যে এগিয়ে মোটরসাইকেল

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ মে ২০২২, ১৫: ৩৫
ট্রাফিক সংকেত অমান্যে এগিয়ে মোটরসাইকেল

ব্যস্ততম নগরী নারায়ণগঞ্জে যানবাহনের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। কর্মদিবসগুলোতে যানজট লেগেই থাকে নগরজুড়ে। সড়কে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হিমশিম খেতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে চালকদের আইন অমান্যের প্রবণতা। বিশেষ করে ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করায় গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। আর সবচেয়ে বেশি সিগন্যাল অমান্য করছেন মোটরসাইকেলচালকেরা।

ট্রাফিক সার্জেন্টরা বলছেন, পেশাদার, অপেশাদার উভয় মোটরসাইকেলচালকই আইন অমান্য করেন। সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার চেয়ে দ্রুত মোড় পার হওয়ার জন্য বেপরোয়া থাকেন তাঁরা। ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা এবং সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। এ ছাড়া বেপরোয়া গতিতে চলাচল করা বাইকাররা সিগন্যালের পাশাপাশি আইন অমান্য করেন।

সরেজমিনে চাষাঢ়া মোড়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বের হওয়ার পথে যথারীতি সিগন্যাল দেয় পুলিশ। নির্ধারিত স্টপেজের চেয়ে অনেকটাই সামনে গিয়ে গাড়ি থামান চালকেরা। ফলে সংকুচিত হয়ে পড়ে বিপরীত দিক থেকে চলাচল করা যানবাহনের পথ। বিপরীত লেন থেকে যানবাহন দ্রুতগতিতে ছুটে এলেই কেউ কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে সেই সিগন্যালে প্রবেশ করছেন। এদিক-ওদিক পাশ কাটিয়ে পার হন মোড়। ফলে সড়কে যেমন বাড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি, তেমনি বিশৃঙ্খলার কারণে যান চলাচল করে ধীরগতিতে।

শুধু তা-ই নয়, মূল সড়কে হেলমেটবিহীন যাত্রা, বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলা এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল আরোহীদের পুলিশ বিভিন্ন আইনে জরিমানা করলেও তাতে পরোয়া নেই কারও।

চাষাঢ়া মোড়ে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, ‘মোটরসাইকেলচালকেরা কিছুতেই আইন মানতে চান না। ছোট বাহন বিধায় দ্রুত পার হয়ে যান। তাঁদের দেখাদেখি বিভিন্ন ইজিবাইক ও রিকশাচালকেরাও আইন অমান্য করেন। মাঝে মাঝে কিছু যানকে শাস্তির আওতায় আনা গেলেও অধিকাংশই পার পেয়ে যায়। ব্যস্ততম নগরীর ভেতর এত আইন অমান্যকারীকে আটক করা আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য।’

সিগন্যাল অমান্যের শীর্ষে মোটরসাইকেল এমন তথ্য স্বীকার করেন চাষাঢ়া পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত টিএসআই সুজন। তিনি বলেন, ‘মোটরসাইকেলচালকেরা সিগন্যাল অমান্য করেন বেশি। মাঝে মাঝে আমরা বাইকের রং ও নম্বর পরবর্তী পুলিশ স্টপেজে জানিয়ে দিই। কিন্তু মাঝপথে তাঁদের কেউ কেউ রাস্তা পরিবর্তন করে ফেলায় ধরা কঠিন হয়ে যায়। তা ছাড়া ধাওয়া করে তাঁদের ধরতে যাওয়াটাও কষ্টসাধ্য। কারণ, শহরের যান নিয়ন্ত্রণ ফেলে দূরে যাওয়া সম্ভব হয় না। এসব বিষয়ে চালকদের অনেক বেশি সচেতন ও সহায়ক ভূমিকা রাখা উচিত।’

নাম না প্রকাশের শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সড়কের আইন মানার জন্য নারায়ণগঞ্জের মতো ব্যস্ততম নগরীতে আরও বেশি ট্রাফিক পুলিশ সদস্য দরকার। শুধু মোটরসাইকেল নয়, শহরের যানজট, ইজিবাইক, অবৈধ পার্কিংসহ অন্যান্য আইন অমান্য করা হয় নগরজুড়ে। এসবের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মামলা, জরিমানা অব্যাহত রাখা গেলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে সড়কের শৃঙ্খলা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত