শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৫০ থানায় এক মাসে গ্রেপ্তার করা আসামির হিসাবে গরমিল দেখা দিয়েছে। থানাগুলোর মর্নিং রিপোর্টে গ্রেপ্তার আসামির যে সংখ্যা আছে, তার চেয়ে পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে ১৮২ জন কম দেখাচ্ছে। কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে ডিএমপির এক থানারই ৫৯ জন আসামি গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোনো থানায় প্রতিদিন সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আসামি গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়, তাকে বলা হয় মর্নিং রিপোর্ট।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার হিসেবে অফিশিয়ালি (সরকারিভাবে) ক্রাইম ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই (সিডিএমএস) অনুসরণ করা হয়। তাই সিডিএমএসে কোনো আসামির তথ্য না থাকলে ভবিষ্যতে তাকে অভিযুক্ত হিসেবে শনাক্ত করাই কঠিন হয়ে পড়বে। এমনকি সেই আসামির পক্ষে অপরাধজীবন থেকে নিজেকে আড়াল করারও সুযোগ তৈরি হবে।
ডিএমপি সদর দপ্তর ও বিভিন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি আমলে নিয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা, আট বিভাগের ডিসি ও অপরাধ শাখাকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে এসব তথ্য সিডিএমএসে যথাযথভাবে যুক্ত করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে ডিএমপি সদর দপ্তর নির্দেশ দিয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আসামি গ্রেপ্তারসংক্রান্ত তথ্যের এই গরমিল প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়।
সূত্রমতে, ওই সভায় একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মর্নিং রিপোর্টে গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যার সঙ্গে সিডিএমএস সফটওয়্যারের সংখ্যায় অনেক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে ডিএমপির ৫০টি থানার মর্নিং রিপোর্টে গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যার চেয়ে সিডিএমএসে ১৮২ আসামির সংখ্যা কম দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মোহাম্মদপুর থানারই ৫৯ জন আসামির তথ্য সিডিএমএসে নেই।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মো. মাহফুজুল হক ভূঞা অবশ্য তাঁর থানার ৫৯ আসামির তথ্যের হিসাব না মেলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি হয়তো সঠিক নয়। আপনি ভুল শুনে থাকতে পারেন।’
ডিএমপির ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় বলেন, মামলাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য যথাযথভাবে সিডিএমএসে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। অফিসার ইনচার্জ, জোনাল এসিদের সিডিএমএস কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকি করার দায়িত্ব থাকলেও তাঁরা সেটা করছেন না। ফলে সিডিএমএসের সঙ্গে মর্নিং রিপোর্টের অসামঞ্জস্যতা দেখা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে দুটো বিষয় হয়ে থাকতে পারে। অবহেলায় ভুল হয়ে থাকতে পারে। আবার পুলিশ সদস্যরা ইচ্ছা করেও আসামির তথ্য গোপন করে থাকতে পারেন। ফলে তথ্য না থাকা ব্যক্তিদের অনলাইনে অপরাধের কোনো চিহ্ন থাকবে না।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় নয়। একই সংখ্যা দুই জায়গায় হালনাগাদ করতে গেলে এমন কমবেশি হতেই পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৫০ থানায় এক মাসে গ্রেপ্তার করা আসামির হিসাবে গরমিল দেখা দিয়েছে। থানাগুলোর মর্নিং রিপোর্টে গ্রেপ্তার আসামির যে সংখ্যা আছে, তার চেয়ে পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে ১৮২ জন কম দেখাচ্ছে। কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারে ডিএমপির এক থানারই ৫৯ জন আসামি গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোনো থানায় প্রতিদিন সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আসামি গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়, তাকে বলা হয় মর্নিং রিপোর্ট।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার হিসেবে অফিশিয়ালি (সরকারিভাবে) ক্রাইম ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই (সিডিএমএস) অনুসরণ করা হয়। তাই সিডিএমএসে কোনো আসামির তথ্য না থাকলে ভবিষ্যতে তাকে অভিযুক্ত হিসেবে শনাক্ত করাই কঠিন হয়ে পড়বে। এমনকি সেই আসামির পক্ষে অপরাধজীবন থেকে নিজেকে আড়াল করারও সুযোগ তৈরি হবে।
ডিএমপি সদর দপ্তর ও বিভিন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি আমলে নিয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা, আট বিভাগের ডিসি ও অপরাধ শাখাকে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে এসব তথ্য সিডিএমএসে যথাযথভাবে যুক্ত করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে ডিএমপি সদর দপ্তর নির্দেশ দিয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আসামি গ্রেপ্তারসংক্রান্ত তথ্যের এই গরমিল প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়।
সূত্রমতে, ওই সভায় একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মর্নিং রিপোর্টে গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যার সঙ্গে সিডিএমএস সফটওয়্যারের সংখ্যায় অনেক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে ডিএমপির ৫০টি থানার মর্নিং রিপোর্টে গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যার চেয়ে সিডিএমএসে ১৮২ আসামির সংখ্যা কম দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মোহাম্মদপুর থানারই ৫৯ জন আসামির তথ্য সিডিএমএসে নেই।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মো. মাহফুজুল হক ভূঞা অবশ্য তাঁর থানার ৫৯ আসামির তথ্যের হিসাব না মেলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি হয়তো সঠিক নয়। আপনি ভুল শুনে থাকতে পারেন।’
ডিএমপির ওই সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় বলেন, মামলাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য যথাযথভাবে সিডিএমএসে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। অফিসার ইনচার্জ, জোনাল এসিদের সিডিএমএস কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকি করার দায়িত্ব থাকলেও তাঁরা সেটা করছেন না। ফলে সিডিএমএসের সঙ্গে মর্নিং রিপোর্টের অসামঞ্জস্যতা দেখা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে দুটো বিষয় হয়ে থাকতে পারে। অবহেলায় ভুল হয়ে থাকতে পারে। আবার পুলিশ সদস্যরা ইচ্ছা করেও আসামির তথ্য গোপন করে থাকতে পারেন। ফলে তথ্য না থাকা ব্যক্তিদের অনলাইনে অপরাধের কোনো চিহ্ন থাকবে না।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় নয়। একই সংখ্যা দুই জায়গায় হালনাগাদ করতে গেলে এমন কমবেশি হতেই পারে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫