Ajker Patrika

পদচারী সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

বেরোবি সংবাদদাতা
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৯
পদচারী সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সামনে পদচারী সেতু না থাকায় ব্যস্ততম ঢাকা-কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট মহাসড়ক পার হতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের উল্টো পাশের বাসা ও মেস থেকে ক্যাম্পাসে আসতে হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাসের প্রধান দুটি ফটকই মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। বুড়িমারী ও সোনাহাট স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সংযোগকারী ব্যস্ততম এই সড়কে বিরামহীনভাবে চলাচল করে দূরপাল্লার ও আন্তজেলার বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ ভারী সব যানবাহন। এসব গাড়ির বেপরোয়া গতিতে বিপাকে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আশপাশে মহাসড়ক পারাপারের জন্য যেমন পদচারী সেতু নেই, তেমনি নেই ফুটপাত। ফলে অনেক ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার ও পাশ দিয়ে চলতে হয় শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধার অভাবে অধ্যয়নরত প্রায় সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকাংশরাই মহাসড়কের আশপাশের মেস ও বাসাতে অবস্থান করছেন। ক্যাম্পাসে প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত দুটি ফটকই এই মহাসড়কের পাশে হওয়ায় সেখানে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর ফটকসংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ত্রিমুখী সংযোগস্থল, যেখানে দুর্ঘটনার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। অথচ এই স্থানে নেই কোনো গতিরোধক কিংবা সতর্কতার জন্য সাইনবোর্ড। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হিসেবে পরিচিত মডার্ন মোড় থেকে কামারের মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার মহাসড়কেও কোনো সতর্ক ব্যবস্থা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সালমা সীমা বলেন, প্রতিদিন ক্লাসে যাওয়ার জন্য এই সড়ক পারাপার হতে হয়। এ ছাড়া রাস্তার পাশে কোনো ফুটপাত না থাকায় রাস্তার ওপর দিয়েই চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য এই মহাসড়কে ফুটপাত ও পদচারী সেতু নির্মাণ করা উচিত।

মহাসড়কে পার্কের মোড় এলাকায় পদচারী সেতু নির্মাণের পক্ষে মত দিয়েছেন প্রদীপ কুমার নামে এক শিক্ষার্থী। তরিকুর রহমান মুবিন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সামনেই মহাসড়ক। কোনো স্পিড ব্রেকার নেই, বাস ট্রাক স্লো তো করেই না, কোনো স্টুডেন্ট রাস্তা পার হচ্ছে দেখে গাড়ির স্পিড আরও বাড়িয়ে দেয়। যেকোনো মুহূর্তে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যেতে পারে। বেরোবি ক্যাম্পাস এরিয়ায় মহাসড়কে অন্তত তিনটি স্পিড ব্রেকার দেওয়া উচিত চকবাজারে, পার্কের মোড়ে আর এক নম্বর গেটের সামনে।’

লোক প্রশাসন বিভাগের সিদ্দিকুর রহমান শ্যামল বলেন, ‘আমি যখন এই রাস্তা পারাপার হই তখন অনেকটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে। কখন কোথা থেকে গাড়ি চলে আসে, খুব সাবধানে দেখতে হয়।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক নুরুজ্জামান খান নয়া জানান, রাস্তায় চারটি গতিরোধক স্থাপনের জন্য সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে চিঠি দেওয়ার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। আর শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী পদচারী সেতু স্থাপনের জন্যও কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ‘প্রশ্নটা যখন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার, তখন ন্যূনতম সময় নষ্ট না করে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব। এ জন্য যা যা করা দরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত