আল-আমিন রাজু, ঢাকা
ভরা বর্ষায় তুরাগ নদে পানির প্রবাহ বেশ জোরালো। নৌকা ও কার্গোর আনাগোনা সাবলীল। বাস টার্মিনালের পশ্চিম দিকে তুরাগের ওপর যে সেতু, তার ওপর দাঁড়িয়ে দক্ষিণে তাকালে এখন দেখা যায় শুধু শামিয়ানা—লাল, নীল কিংবা সাদা। কান পাতলেই শোনা যায় গরু-মহিষ আর ছাগল-ভেড়ার চিৎকার। অসহ্য গরমে ভিড় ঠেলতে ঠেলতে সামনের দিকে এগিয়ে চললাম। যেতে যেতে চোখে পড়ল, ১০-১২ বছরের এক কিশোর নিজের ওজনের প্রায় ১০ গুণ বেশি এক ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর দড়ি ধরে টেনে চলেছে বড় ভাই আর বাবার সঙ্গে। পাশেই রঙিন কাগজের মালার দোকান। ভিড়ে মিশে যেতে যেতে দেখি, কিশোরটি গরু নিয়ে হারিয়ে গেল গরু-মহিষের সাগরে। চোখ ফেরালাম ডানে। বিশাল সাইনবোর্ড চোখে পড়ল। তাতে লেখা ‘গাবতলীর ঐতিহ্যবাহী বিশাল গরুর হাট’।
রাজধানীর মিরপুর দারুস সালাম এলাকায় দেশের অন্যতম বড় গবাদিপশুর হাট গাবতলী। এখানে গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত গবাদিপশু বিক্রি করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন ব্যাপারী ও গৃহস্থরা।
গাবতলী হাট বিষয়ে অনেক গল্প ঘুরে বেড়ায় আশপাশে। একসময় ঢাকা শহর থেকে পাঁচ মাইল উত্তরে ছিল মিরপুর গ্রাম। এটি ছিল শহর থেকে বিচ্ছিন্ন। মিরপুর এলাকার জমিদার মুন্সিলাল মিয়া ১৯১৮ সালের দিকে মিরপুর গ্রামের পাশে গাবতলীতে পশুর হাট প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুর দিকে প্রতি শনিবার গাবতলীর হাট বসত মিরপুরের মাজার রোড এলাকায় জমিদার বাড়ির পাশের মাঠে। জমিদার মুন্সিলাল মিয়ার এস্টেটের আয়ের বড় উৎস ছিল গাবতলীর এই হাটের খাজনা। প্রবীণ ব্যাপারীরা বলেন, গাবতলীর পশুর হাটে একসময় নরসিংদীর পুইট্টা বাজারের গরু দিয়ে ঢাকার মানুষের মাংসের চাহিদা মেটাতেন ব্যবসায়ীরা।
১৯৭৩ সালে হাটটি সরকার জাতীয়করণ করলে তখন থেকে প্রতিদিন এখানে হাট বসতে শুরু করে। বদলে যায় হাসিল আদায়ের প্রথা। হাটের শুরুর দিকে গরুপ্রতি চার আনা হাসিল আদায় করা হতো। ওয়াক্ফ এস্টেটের আওতায় থাকায় শেষ দিকে যা এক টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। ১৯৮৬ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) উদ্যোগে তুরাগ নদের তীরবর্তী বর্তমান জায়গায় গবাদিপশুর হাটটির কার্যক্রম শুরু হয়। এখানে প্রতিবছর ডাকের মাধ্যমে হাট ইজারা দেয় সিটি করপোরেশন। গাবতলী পশুর হাট বড় করার পেছনে লালু ব্যাপারী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বড় অবদান আছে বলে জানিয়েছেন হাটের পশু ব্যবসায়ীরা। মূলত আশির দশকের মাঝামাঝি তাঁরা হাটটি বড় করার পেছনে শ্রম দেন।
এখন গাবতলীর পশুর হাটে শুধু ঢাকা নয়, বিভিন্ন এলাকার লোকজন কোরবানির পশু কিনতে আসেন। হাটে আসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের কেউ কেউ কয়েক প্রজন্ম ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছেন। তবে সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছেন প্রবীণ ব্যাপারীরা। পুরোনো যে কয়েকজন এখনো এ হাটে ব্যবসা করছেন, তাঁদের একজন ৬৩ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ ব্যাপারী। বাবার হাত ধরে মাত্র ১৪ বছর বয়সে গাবতলীতে এসেছিলেন তিনি। সেই থেকে গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছেন এ হাটে।
ভরা বর্ষায় তুরাগ নদে পানির প্রবাহ বেশ জোরালো। নৌকা ও কার্গোর আনাগোনা সাবলীল। বাস টার্মিনালের পশ্চিম দিকে তুরাগের ওপর যে সেতু, তার ওপর দাঁড়িয়ে দক্ষিণে তাকালে এখন দেখা যায় শুধু শামিয়ানা—লাল, নীল কিংবা সাদা। কান পাতলেই শোনা যায় গরু-মহিষ আর ছাগল-ভেড়ার চিৎকার। অসহ্য গরমে ভিড় ঠেলতে ঠেলতে সামনের দিকে এগিয়ে চললাম। যেতে যেতে চোখে পড়ল, ১০-১২ বছরের এক কিশোর নিজের ওজনের প্রায় ১০ গুণ বেশি এক ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর দড়ি ধরে টেনে চলেছে বড় ভাই আর বাবার সঙ্গে। পাশেই রঙিন কাগজের মালার দোকান। ভিড়ে মিশে যেতে যেতে দেখি, কিশোরটি গরু নিয়ে হারিয়ে গেল গরু-মহিষের সাগরে। চোখ ফেরালাম ডানে। বিশাল সাইনবোর্ড চোখে পড়ল। তাতে লেখা ‘গাবতলীর ঐতিহ্যবাহী বিশাল গরুর হাট’।
রাজধানীর মিরপুর দারুস সালাম এলাকায় দেশের অন্যতম বড় গবাদিপশুর হাট গাবতলী। এখানে গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত গবাদিপশু বিক্রি করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন ব্যাপারী ও গৃহস্থরা।
গাবতলী হাট বিষয়ে অনেক গল্প ঘুরে বেড়ায় আশপাশে। একসময় ঢাকা শহর থেকে পাঁচ মাইল উত্তরে ছিল মিরপুর গ্রাম। এটি ছিল শহর থেকে বিচ্ছিন্ন। মিরপুর এলাকার জমিদার মুন্সিলাল মিয়া ১৯১৮ সালের দিকে মিরপুর গ্রামের পাশে গাবতলীতে পশুর হাট প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুর দিকে প্রতি শনিবার গাবতলীর হাট বসত মিরপুরের মাজার রোড এলাকায় জমিদার বাড়ির পাশের মাঠে। জমিদার মুন্সিলাল মিয়ার এস্টেটের আয়ের বড় উৎস ছিল গাবতলীর এই হাটের খাজনা। প্রবীণ ব্যাপারীরা বলেন, গাবতলীর পশুর হাটে একসময় নরসিংদীর পুইট্টা বাজারের গরু দিয়ে ঢাকার মানুষের মাংসের চাহিদা মেটাতেন ব্যবসায়ীরা।
১৯৭৩ সালে হাটটি সরকার জাতীয়করণ করলে তখন থেকে প্রতিদিন এখানে হাট বসতে শুরু করে। বদলে যায় হাসিল আদায়ের প্রথা। হাটের শুরুর দিকে গরুপ্রতি চার আনা হাসিল আদায় করা হতো। ওয়াক্ফ এস্টেটের আওতায় থাকায় শেষ দিকে যা এক টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। ১৯৮৬ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) উদ্যোগে তুরাগ নদের তীরবর্তী বর্তমান জায়গায় গবাদিপশুর হাটটির কার্যক্রম শুরু হয়। এখানে প্রতিবছর ডাকের মাধ্যমে হাট ইজারা দেয় সিটি করপোরেশন। গাবতলী পশুর হাট বড় করার পেছনে লালু ব্যাপারী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বড় অবদান আছে বলে জানিয়েছেন হাটের পশু ব্যবসায়ীরা। মূলত আশির দশকের মাঝামাঝি তাঁরা হাটটি বড় করার পেছনে শ্রম দেন।
এখন গাবতলীর পশুর হাটে শুধু ঢাকা নয়, বিভিন্ন এলাকার লোকজন কোরবানির পশু কিনতে আসেন। হাটে আসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের কেউ কেউ কয়েক প্রজন্ম ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছেন। তবে সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছেন প্রবীণ ব্যাপারীরা। পুরোনো যে কয়েকজন এখনো এ হাটে ব্যবসা করছেন, তাঁদের একজন ৬৩ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ ব্যাপারী। বাবার হাত ধরে মাত্র ১৪ বছর বয়সে গাবতলীতে এসেছিলেন তিনি। সেই থেকে গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছেন এ হাটে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫