Ajker Patrika

হোটেলের ২০ তলা থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৩৩
হোটেলের ২০ তলা থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ তারকা হোটেল র‍্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর নিচ থেকে আরিফ কবির (২৪) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। র‍্যাডিসন ব্লুর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, হোটেলটির ২০ তলা থেকে লাফিয়ে পড়েছেন ওই যুবক। গত সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ বলছে, নিহত ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। পরিবার অবশ্য বলেছে, আরিফ অভিমান করে বাড়ি ছেড়েছিলেন।

মৃত আরিফ কবির রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার তাজমহল রোডের এনামুল কবিরের ছেলে। তিনি স্কলাস্টিকার এ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পারিবারিক সূত্র বলেছে, আরিফের বাবা এনামুল কবির ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। প্রায় ৩ বছর আগে তিনি মারা গেছেন। মোহাম্মদপুরে যে ভবনে আরিফ ও তাঁর পরিবার থাকেন, সেটির মালিক তাঁর নানা শামসুজ্জোহা। তিনি থাকেন চারতলায়। তিনতলায় সন্তানদের নিয়ে থাকেন আরিফের মা ফারহানা দোজা। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে আরিফ বড়।

হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) চৌধুরী রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আরিফ কবির নামের ওই যুবক সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ওই হোটেলে প্রবেশ করেন। হোটেলটির ২০ তলা ওপেন স্পেস। সেখানে গিয়ে ওই যুবক নাশতার অর্ডার করেন। ধীরে ধীরে নাশতা করছিলেন তিনি। খাওয়ার মাঝেই হঠাৎ ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে নিচে লাফ দেন। তিনি বলেন, তাঁকে উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, আরিফ যখন লাফ দেন, ওই সময় দুজন বিদেশি নাগরিকও সেখানে ছিলেন। তাঁরা বলেছেন, যুবকটি হঠাৎ লাফ দিয়েছেন। তবুও অধিকতর তদন্ত করছে পুলিশ।

আরিফের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর মা ফারহানা দোজা চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক শিমুল চন্দ্র দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বিকেলের দিকে আরিফের মা থানায় আসেন। শিমুল চন্দ্র দাশ জানান, আরিফের বয়স যখন ১৫ বছর, তখন থেকে তিনি অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি) রোগে ভুগছিলেন। প্রায় সময়ই কাউকে না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যেতেন।

ফারহানা দোজার বরাত দিয়ে উপপরিদর্শক শিমুল চন্দ্র দাশ বলেন, ৯ নভেম্বর মায়ের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরে বাসা থেকে বের হয়ে যান আরিফ। পরদিন তিনি গুলশানে এক বন্ধুর বাসায় আছেন বলে তাঁর মাকে জানান। পরের তিন দিন তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল। ১৪ নভেম্বর কক্সবাজারে যান তিনি।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আরিফ ও তাঁর পরিবার যে ফ্ল্যাটে থাকেন, সেখান থেকে প্রায়ই চিৎকার-চেঁচামেচি শোনা যেত। তবে আরিফের নানা শামসুজ্জোহা বলেন, ‘আমার নাতি অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সে আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: বাকের মজুমদার

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

চাকরিতে কোটা: সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আসছে সমান সুযোগ

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কারণে এক্সে তোপের মুখে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ও তাঁর মেয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত