কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কয়েক হাত দূরে মেঘনা নদী। বিদ্যালয়টি ১০ বছরে পাঁচবার ভাঙনের কবলে পড়েছে। সর্বশেষ গত পাঁচ বছর এটি তিনবার সরিয়ে নিতে হয়েছে। এতে ঝরে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা বলছেন, উপকূলীয় জেলে ও কৃষক পরিবারের সন্তানদের বিদ্যালয়মুখী মনোভাব এমনিতেই কম। নতুন কোনো স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তর হলেও আগের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এ ছাড়া নদীভাঙনে পরিবারের সঙ্গে বাস্তুচ্যুত শিশুদের বসতিও স্থানান্তর হচ্ছে। এভাবে উপকূলীয় এলাকার শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে চর কালকিনি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে মেঘনার ভাঙনের দৃশ্য। নদীপাড়ে থাকা তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে অবকাঠামো রয়েছে, তা খুলে ফেলা হচ্ছে। কোথাও জমি নির্ধারণ হলে, সেখানে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হবে। সেখানে থাকা আরেকটি কওমি মাদ্রাসাও নদীর খুব কাছাকাছি অবস্থানে দেখা গেছে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগুলো খুলে অন্যত্র নিয়ে রাখা হচ্ছে। আর পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণিকক্ষ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে।
সহকারী শিক্ষক মো. নুরুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসংখ্যা ৬৫। কিন্তু স্থানান্তর করার পর প্রতিদিন গড়ে ২০ জনের মতো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। বাকিরা মাদ্রাসা বা অন্য কোনো পেশায় চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া নদীর খুব কাছে থাকায় বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ঘর ভেঙে ফেলার জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। শিগগির সেটি সরিয়ে ফেলা হবে। আর নতুন নির্মিত শ্রেণিকক্ষের অবকাঠামো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যেখানে জায়গার ব্যবস্থা হবে, সেখানে বিদ্যালয়ের ঘর তোলা হবে।
নদীতীরে দেখা হয় বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিদার হোসেন, দুর্জয় চন্দ্র ভক্ত ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তামিমের সঙ্গে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ভাঙনের কবলে পড়ায় মন খারাপ তাদের।
তারা বলে, বাড়ির কাছেই স্কুল ছিল। আসা-যাওয়াতে কোনো সমস্যা হয়নি। এখন দূরের একটি স্কুলে যেতে হয়। এতে অনেকেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আর তাদের বাড়িও নদীতে ভেঙে যাবে, কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবে, লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে কি না, তা নিয়ে তারা চিন্তিত।
তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে নাছিরগঞ্জ দারুল আরকাম কাওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা। প্রতিষ্ঠানটির খুব কাছেই এখন মেঘনা নদীর অবস্থান। যেকোনো মুহূর্তে মাদ্রাসার জমিটি গিলে খাবে রাক্ষুসে মেঘনা। তাই এ প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোও সরিয়ে নিতে হবে।
চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহ বলেন, এ এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ আছে। এগুলোর জমি যেকোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। বিদ্যালয়টি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, মাদ্রাসা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বসতবাড়ির পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও হারাতে হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কয়েক হাত দূরে মেঘনা নদী। বিদ্যালয়টি ১০ বছরে পাঁচবার ভাঙনের কবলে পড়েছে। সর্বশেষ গত পাঁচ বছর এটি তিনবার সরিয়ে নিতে হয়েছে। এতে ঝরে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা বলছেন, উপকূলীয় জেলে ও কৃষক পরিবারের সন্তানদের বিদ্যালয়মুখী মনোভাব এমনিতেই কম। নতুন কোনো স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তর হলেও আগের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এ ছাড়া নদীভাঙনে পরিবারের সঙ্গে বাস্তুচ্যুত শিশুদের বসতিও স্থানান্তর হচ্ছে। এভাবে উপকূলীয় এলাকার শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে চর কালকিনি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে মেঘনার ভাঙনের দৃশ্য। নদীপাড়ে থাকা তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে অবকাঠামো রয়েছে, তা খুলে ফেলা হচ্ছে। কোথাও জমি নির্ধারণ হলে, সেখানে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হবে। সেখানে থাকা আরেকটি কওমি মাদ্রাসাও নদীর খুব কাছাকাছি অবস্থানে দেখা গেছে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগুলো খুলে অন্যত্র নিয়ে রাখা হচ্ছে। আর পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণিকক্ষ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে।
সহকারী শিক্ষক মো. নুরুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসংখ্যা ৬৫। কিন্তু স্থানান্তর করার পর প্রতিদিন গড়ে ২০ জনের মতো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। বাকিরা মাদ্রাসা বা অন্য কোনো পেশায় চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া নদীর খুব কাছে থাকায় বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ঘর ভেঙে ফেলার জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। শিগগির সেটি সরিয়ে ফেলা হবে। আর নতুন নির্মিত শ্রেণিকক্ষের অবকাঠামো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যেখানে জায়গার ব্যবস্থা হবে, সেখানে বিদ্যালয়ের ঘর তোলা হবে।
নদীতীরে দেখা হয় বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিদার হোসেন, দুর্জয় চন্দ্র ভক্ত ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তামিমের সঙ্গে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ভাঙনের কবলে পড়ায় মন খারাপ তাদের।
তারা বলে, বাড়ির কাছেই স্কুল ছিল। আসা-যাওয়াতে কোনো সমস্যা হয়নি। এখন দূরের একটি স্কুলে যেতে হয়। এতে অনেকেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আর তাদের বাড়িও নদীতে ভেঙে যাবে, কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবে, লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে কি না, তা নিয়ে তারা চিন্তিত।
তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে নাছিরগঞ্জ দারুল আরকাম কাওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা। প্রতিষ্ঠানটির খুব কাছেই এখন মেঘনা নদীর অবস্থান। যেকোনো মুহূর্তে মাদ্রাসার জমিটি গিলে খাবে রাক্ষুসে মেঘনা। তাই এ প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোও সরিয়ে নিতে হবে।
চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লাহ বলেন, এ এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ আছে। এগুলোর জমি যেকোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। বিদ্যালয়টি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, মাদ্রাসা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বসতবাড়ির পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও হারাতে হচ্ছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫