সম্পাদকীয়
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় মুসলমানদের রাজনৈতিক জাগরণের উদ্যোক্তা ছিলেন সৈয়দ আমীর আলী। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষক, ইতিহাস লেখক, সমাজসংস্কারক এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলিম বিচারপতি।
১৮৪৯ সালের ৬ এপ্রিল ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের কটকে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ আমীর আলী। শৈশবে গৃহশিক্ষকের কাছে কোরআন, আরবি ও ফারসি শেখেন তিনি। পরে কলকাতা ও হুগলি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। ১৮৬৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ১৮৬৮ সালে ইতিহাসে এমএ পাস করেন। এলএলবি শেষ করে সরকারি বৃত্তি নিয়ে লন্ডনে পড়তে যান।
১৯৭৩ সালে ভারতে ফিরে আইন পেশা শুরু করেন কলকাতা হাইকোর্টে। পরের বছর প্রেসিডেন্সি কলেজে ইসলামি আইন বিভাগের প্রভাষক পদে যোগ দেন। ১৮৭৮ সালে তিনি বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য হন। ১৮৮১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হন।
সৈয়দ আমীর আলী ১৮৭৭ সালে ‘সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মুসলিম নারীদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। একজন প্রগতিশীল মানুষ হিসেবে তিনি সব সময় ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকারের বিষয় নিয়ে বলতেন এবং লিখতেন।
তিনি ১৮৮৪ সালে লন্ডনের এক গির্জায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ইসাবেলা ইডা কনস্ট্যামকে বিয়ে করেন। তাঁর জীবনে ইসাবেলার প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি।
সৈয়দ আমীর আলীর গ্রন্থের মধ্যে ‘দ্য স্পিরিট অব ইসলাম’ ও ‘আ শর্ট হিস্টোরি অব দ্য সারাসিনস’ বিখ্যাত। এই দুটি গ্রন্থ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। অন্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো—‘এথিক্স অব ইসলাম’, ‘ইসলাম’, ‘মোহামেডান ল’, ‘দ্য পার্সোনাল ল অব দ্য মোহামেডান’, ‘দ্য লিগ্যাল পজিশন অব উইমেন ইন ইসলাম’, ‘সিভিল প্রসিডিউর ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’, ‘আ কমেন্ট্রারি অন দ্য বেঙ্গল টেনান্সি অ্যাক্ট’ ও ‘দ্য ল অব এভিডেন্স অ্যাপলিকেবল অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’ ইত্যাদি।
মুসলিম সমাজসংস্কারক এই মানুষটি ১৯২৮ সালের ৩ আগস্ট ৭৯ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে মৃত্যুবরণ করেন।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতীয় মুসলমানদের রাজনৈতিক জাগরণের উদ্যোক্তা ছিলেন সৈয়দ আমীর আলী। তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষক, ইতিহাস লেখক, সমাজসংস্কারক এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলিম বিচারপতি।
১৮৪৯ সালের ৬ এপ্রিল ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের কটকে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ আমীর আলী। শৈশবে গৃহশিক্ষকের কাছে কোরআন, আরবি ও ফারসি শেখেন তিনি। পরে কলকাতা ও হুগলি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। ১৮৬৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ১৮৬৮ সালে ইতিহাসে এমএ পাস করেন। এলএলবি শেষ করে সরকারি বৃত্তি নিয়ে লন্ডনে পড়তে যান।
১৯৭৩ সালে ভারতে ফিরে আইন পেশা শুরু করেন কলকাতা হাইকোর্টে। পরের বছর প্রেসিডেন্সি কলেজে ইসলামি আইন বিভাগের প্রভাষক পদে যোগ দেন। ১৮৭৮ সালে তিনি বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য হন। ১৮৮১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হন।
সৈয়দ আমীর আলী ১৮৭৭ সালে ‘সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মুসলিম নারীদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। একজন প্রগতিশীল মানুষ হিসেবে তিনি সব সময় ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকারের বিষয় নিয়ে বলতেন এবং লিখতেন।
তিনি ১৮৮৪ সালে লন্ডনের এক গির্জায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ইসাবেলা ইডা কনস্ট্যামকে বিয়ে করেন। তাঁর জীবনে ইসাবেলার প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি।
সৈয়দ আমীর আলীর গ্রন্থের মধ্যে ‘দ্য স্পিরিট অব ইসলাম’ ও ‘আ শর্ট হিস্টোরি অব দ্য সারাসিনস’ বিখ্যাত। এই দুটি গ্রন্থ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। অন্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো—‘এথিক্স অব ইসলাম’, ‘ইসলাম’, ‘মোহামেডান ল’, ‘দ্য পার্সোনাল ল অব দ্য মোহামেডান’, ‘দ্য লিগ্যাল পজিশন অব উইমেন ইন ইসলাম’, ‘সিভিল প্রসিডিউর ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’, ‘আ কমেন্ট্রারি অন দ্য বেঙ্গল টেনান্সি অ্যাক্ট’ ও ‘দ্য ল অব এভিডেন্স অ্যাপলিকেবল অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’ ইত্যাদি।
মুসলিম সমাজসংস্কারক এই মানুষটি ১৯২৮ সালের ৩ আগস্ট ৭৯ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে মৃত্যুবরণ করেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫