Ajker Patrika

চাহিদার চেয়ে পশু বেশি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাহিদার চেয়ে পশু বেশি

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বগুড়ার শিবগঞ্জ ও নওগাঁর নিয়ামতপুরে জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর হাট। ক্রেতাদের মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদাই বেশি বলে জানিয়েছেন হাট-সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে চাহিদার তুলনায় গরু বেশি আমদানি হওয়ায় শিবগঞ্জে এবার স্থিতিশীল রয়েছে কোরবানির পশুর বাজার। দাম সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় পছন্দের গরু কিনতে পেরে সন্তুষ্ট ক্রেতারা।

গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে শিবগঞ্জের মহাস্থান হাটে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাক ও ভটভটিতে করে গরু নিয়ে আসা হচ্ছে। কেউ কেউ গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন হেঁটে। এই হাটে বড় গরুর তুলনায় মাঝারি আকৃতির গরু কেনার চাহিদা বেশি লক্ষ করা গেছে। 
শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের টেপাগাড়ি গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘আমি ৬০ থেকে ৭০ হাজারের মধ্যে একটা গরু কিনব। হাটে গরুর দাম তুলনামূলক ভালো। বেশিও না কমও না।’

হাটে গরু কিনতে আসা বগুড়া শহরের আজমল হোসেন নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘মহাস্থান হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হয়েছে। আমি ৮০ হাজারের মধ্যে একটি ষাঁড় কিনব। গরুর দাম আমার দৃষ্টিতে ঠিকই আছে।’

কথা হয় মনিরুজ্জামান মটু নামের হাট কমিটির এক সদস্যের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শনিবার ও বুধবার সপ্তাহে দুই দিন কোরবানির পশুর হাট বসে এখানে। ক্রেতা বিক্রেতার সুবিধার কথা ভেবে পুরো হাটে আলোর ব্যবস্থা করেছি। সেই সঙ্গে রয়েছে জাল নোট শনাক্ত ও ভেটেরিনারি সার্জন টিম।’

শিবগঞ্জের মহাস্থান, বুড়িগঞ্জ, দাড়িদহসহ বগুড়ার মোট ২০টি পশুর হাটে নিয়মিত কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। 
এদিকে, চাহিদার তুলনায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পশু বেশি রয়েছে শিবগঞ্জে। এমন তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাফরিন রহমান। তিনি বলেন, উপজেলায় সর্বমোট ৪ হাজার ৪৬০ খামারি রয়েছেন। যাঁদের কাছে ৪৩ হাজার ৮৪৫টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। কোরবানির জন্য এই উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ৩৬ হাজার ৩৪৯টি গবাদিপশুর। তাই চাহিদা পূরণের পরও ৭ হাজার ৪৯৬টি গরু উদ্বৃত্ত থাকবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, কোরবানির চাহিদা পূরণ করেও ৫০ হাজার গবাদিপশু বগুড়া থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা যাবে। চাহিদার তুলনায় বেশি পশু থাকায় কোরবানির বাজার স্থিতিশীল আছে।

এদিকে, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা সদরের শাংসৈলে গতকাল শনিবার বসে সাপ্তাহিক হাট। এখানে দেশি, ক্রস, জার্সি গরুর সরবরাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। একইভাবে সরবরাহ ছিল ছাগলের। হাট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানেও বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।

চন্ডীপুর গ্রামের গরু বিক্রেতা সোনাবর বলেন, ‘দুটি গরু নিয়ে এসেছিলাম হাটে। এর মধ্যে একটি ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আরেকটি গরুর দাম ৫৫ হাজার টাকা হাঁকাচ্ছি। ৫০ হলে ছেড়ে দেব। ক্রেতা ৪৮ হাজার টাকা হাঁকাচ্ছে।’

গরুর খামারি আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এবার ছোট ও মাঝারি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় লাভবান হচ্ছি।’ 
জানতে চাইলে হাটের দায়িত্বে থাকা জাফর ইকবাল বলেন, হাটে প্রচুর গরু উঠেছে। সেই সঙ্গে ক্রেতাসমাগমও ভালো হচ্ছে। গরু বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। হাটের শেষ দিন পর্যন্ত গরু বেচাকেনা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত