জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
মাসে মাত্র চার দিন অফিস করেন তিনি। তাও বন্ধের দিন শনিবার। সর্বশেষ গত ১৪ দিনে এক দিনও অফিসে আসেননি। তবুও মাস শেষে ঠিকই তুলছেন পুরো বেতন। এসব অভিযোগ বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। তাঁর অনিয়মের বিষয়টি একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। নিয়মিত অফিস না করায় প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে এতে।
আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদক গত ২০ থেকে ২৮ মার্চ প্রতিদিন সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রধান আইন কর্মকর্তার অফিস না করার বিষয়টির প্রমাণও পেয়েছেন। সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এক দিনও সেন্ট্রাল রেলওয়ে ভবনের (সিআরবি) আইন দপ্তরে আসেননি তিনি। অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক বছর ধরে সপ্তাহে শুধু শনিবার অফিসে আসেন সালাউদ্দিন। যদিও ওই দিন সরকারি অফিস বন্ধ।
এদিকে, রেলের পূর্বাঞ্চলের আইন দপ্তরে দুই সহকর্মীর মধ্যে জুতা ছোড়াছুড়ি ও অশালীন গালাগাল দেওয়ার ঘটনায় একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। গত ১২ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। এই কমিটিতে ছিলেন রেল পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত সিএমই, অতিরিক্ত সিওপিএস ও ডেপুটি সিসিএমআর। তদন্ত কমিটিও প্রমাণ পায় প্রধান আইন কর্মকর্তা সপ্তাহে দু-এক দিন অফিস করেন।
আইন কর্মকর্তা অফিস না করায় এই অফিসে হযবরল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে তদন্ত কমিটি মনে করে। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত এক বছরে দুই দফা তদন্ত হয়েছে। তদন্ত কমিটি সুপারিশও করেছে; কিন্তু সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় না। এ কারণে আইন শাখায় শান্তি ফিরছে না। মূলত প্রধান আইন কর্মকর্তার নিয়মিত অফিস না করার কারণে এ বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত প্রতিবেদনে যা আছে
আইন দপ্তরে দুটি পক্ষ। এক পক্ষে মাকসুদা আক্তার লিখি এবং অন্য পক্ষে জিনিয়া নাসরিন ও নাজমুল আলম সিদ্দিকী। সম্প্রতি নাজমুল ও জিনিয়ার বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক হয়রানির অভিযোগ আনেন মাকসুদা। জিনিয়ার বিরুদ্ধে হাজিরা খাতায় অনিয়ম এবং অফিসে বাবার ক্ষমতা প্রদর্শনের অভিযোগ করা হয়। অন্যদিকে নাজমুল ও জিনিয়া অভিযোগ করেন, মাকসুদা প্রায়ই বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, মাকসুদা আক্তার লিখির বিরুদ্ধে মৌখিক ও শারীরিক হেনস্তা এবং সহকর্মীদের প্রতি দুর্ব্যবহারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে, মাকসুদার সঙ্গে বিবাদের ফলে আইন দপ্তরে কর্মরত মজুমদার খসরু নামের একজনকে অন্যত্র বদলি করা হয়। ওই ঘটনায় মাকসুদা নিজেও শাস্তি পান।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আইন দপ্তরের কর্মচারীরা অভিযোগ তুলেছেন, মাকসুদার পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করেন আইন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন। বিভিন্ন ঘটনায় তিনি মাকসুদার পক্ষে সাক্ষী দেন। অন্যদিকে নাজমুল, জিনিয়া ও খসরুকে দোষারোপ করেন।
আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ের এ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চলমান, যা নিরসনে আইন কর্মকর্তা উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আইন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন চট্টগ্রামে নিয়মিত অফিস করেন না। সপ্তাহে এক বা দুদিন অফিস করেন। তিনি প্রায়ই বন্ধের দিন শনিবার অফিস করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সালাউদ্দিনের মুভমেন্ট সম্পর্কে আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাঁর অফিশিয়াল মুভমেন্টেরও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ আইন কর্মকর্তা (পূর্ব) নিয়ন্ত্রণহীনভাবে নিজের খুশিমতো অফিস বা চলাফেরা করেন। তাঁর এমন অনিয়মিত অফিস উপস্থিতির জন্য আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আইন দপ্তর নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তার প্রতিবেদনও দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা-ই নেওয়া হচ্ছে। অফিস না করার বিষয়টিও দেখছি আমরা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে ঢাকায় ছিলাম। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছেন, ওই আলোকে নিউজ করেন সমস্যা নেই। হাইকোর্টে কাজ থাকে—এ জন্য ঢাকায় থাকতে হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ভুয়া।’
মাসে মাত্র চার দিন অফিস করেন তিনি। তাও বন্ধের দিন শনিবার। সর্বশেষ গত ১৪ দিনে এক দিনও অফিসে আসেননি। তবুও মাস শেষে ঠিকই তুলছেন পুরো বেতন। এসব অভিযোগ বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। তাঁর অনিয়মের বিষয়টি একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। নিয়মিত অফিস না করায় প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে এতে।
আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদক গত ২০ থেকে ২৮ মার্চ প্রতিদিন সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রধান আইন কর্মকর্তার অফিস না করার বিষয়টির প্রমাণও পেয়েছেন। সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এক দিনও সেন্ট্রাল রেলওয়ে ভবনের (সিআরবি) আইন দপ্তরে আসেননি তিনি। অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক বছর ধরে সপ্তাহে শুধু শনিবার অফিসে আসেন সালাউদ্দিন। যদিও ওই দিন সরকারি অফিস বন্ধ।
এদিকে, রেলের পূর্বাঞ্চলের আইন দপ্তরে দুই সহকর্মীর মধ্যে জুতা ছোড়াছুড়ি ও অশালীন গালাগাল দেওয়ার ঘটনায় একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। গত ১২ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। এই কমিটিতে ছিলেন রেল পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত সিএমই, অতিরিক্ত সিওপিএস ও ডেপুটি সিসিএমআর। তদন্ত কমিটিও প্রমাণ পায় প্রধান আইন কর্মকর্তা সপ্তাহে দু-এক দিন অফিস করেন।
আইন কর্মকর্তা অফিস না করায় এই অফিসে হযবরল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে তদন্ত কমিটি মনে করে। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত এক বছরে দুই দফা তদন্ত হয়েছে। তদন্ত কমিটি সুপারিশও করেছে; কিন্তু সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় না। এ কারণে আইন শাখায় শান্তি ফিরছে না। মূলত প্রধান আইন কর্মকর্তার নিয়মিত অফিস না করার কারণে এ বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত প্রতিবেদনে যা আছে
আইন দপ্তরে দুটি পক্ষ। এক পক্ষে মাকসুদা আক্তার লিখি এবং অন্য পক্ষে জিনিয়া নাসরিন ও নাজমুল আলম সিদ্দিকী। সম্প্রতি নাজমুল ও জিনিয়ার বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক হয়রানির অভিযোগ আনেন মাকসুদা। জিনিয়ার বিরুদ্ধে হাজিরা খাতায় অনিয়ম এবং অফিসে বাবার ক্ষমতা প্রদর্শনের অভিযোগ করা হয়। অন্যদিকে নাজমুল ও জিনিয়া অভিযোগ করেন, মাকসুদা প্রায়ই বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, মাকসুদা আক্তার লিখির বিরুদ্ধে মৌখিক ও শারীরিক হেনস্তা এবং সহকর্মীদের প্রতি দুর্ব্যবহারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে, মাকসুদার সঙ্গে বিবাদের ফলে আইন দপ্তরে কর্মরত মজুমদার খসরু নামের একজনকে অন্যত্র বদলি করা হয়। ওই ঘটনায় মাকসুদা নিজেও শাস্তি পান।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আইন দপ্তরের কর্মচারীরা অভিযোগ তুলেছেন, মাকসুদার পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করেন আইন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন। বিভিন্ন ঘটনায় তিনি মাকসুদার পক্ষে সাক্ষী দেন। অন্যদিকে নাজমুল, জিনিয়া ও খসরুকে দোষারোপ করেন।
আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ের এ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চলমান, যা নিরসনে আইন কর্মকর্তা উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আইন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন চট্টগ্রামে নিয়মিত অফিস করেন না। সপ্তাহে এক বা দুদিন অফিস করেন। তিনি প্রায়ই বন্ধের দিন শনিবার অফিস করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সালাউদ্দিনের মুভমেন্ট সম্পর্কে আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাঁর অফিশিয়াল মুভমেন্টেরও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ আইন কর্মকর্তা (পূর্ব) নিয়ন্ত্রণহীনভাবে নিজের খুশিমতো অফিস বা চলাফেরা করেন। তাঁর এমন অনিয়মিত অফিস উপস্থিতির জন্য আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আইন দপ্তর নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তার প্রতিবেদনও দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা-ই নেওয়া হচ্ছে। অফিস না করার বিষয়টিও দেখছি আমরা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে ঢাকায় ছিলাম। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছেন, ওই আলোকে নিউজ করেন সমস্যা নেই। হাইকোর্টে কাজ থাকে—এ জন্য ঢাকায় থাকতে হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ভুয়া।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫