Ajker Patrika

পুকুর থেকে ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

চারঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ০৪
পুকুর থেকে ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) একটি ভোটকেন্দ্রের পাশের পুকুর থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ব্যালট ছিনতাই হয়েছে মর্মে গত বুধবার রাতে চারঘাট মডেল থানায় মামলাটি করেন শলুয়ার বামনদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম। এই কেন্দ্রের পাশের পুকুর থেকেই গত ২৮ ডিসেম্বর ব্যালট উদ্ধার করা হয়েছিল।

মামলায় ইউপি সদস্য প্রার্থী আফাজ আলীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করা হয়।

২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন হয়। এর এক দিন পর ২৮ ডিসেম্বর বামনদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের পাশের পুকুর থেকে দুই শতাধিক সিল মারা ব্যালট পেপার ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের ফলাফলের কাগজ উদ্ধার করা হয়। এতে উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৬ ডিসেম্বর বামনদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পর গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এরপর রাত ৮টার দিকে নির্বাচনী মালামাল গাড়িতে ওঠানোর সময় পরাজিত সাধারণ সদস্য প্রার্থী আফাজ আলীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ ব্যক্তি রামদা, হাতুড়ি, চাপাতি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। তাঁরা নির্বাচনী মালামালসহ ব্যালট পেপারের বস্তা ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে রাত ১০টার দিকে প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যালট পেপার ও নির্বাচনী মালামাল উদ্ধার করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়। তবে মামলার এজাহারে নির্বাচনের দুই দিন পর পুকুর থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী রেজাউল করিম বলেন, ‘ভোটের দিন ব্যালট পেপার ও নির্বাচনী সামগ্রী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা করেছি। ছিনতাইকৃত ব্যালট পেপার ও মালামাল পরে সেদিন রাতেই উদ্ধার করে সিলগালা করে জমা দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ জন্য দেরি হয়েছে। পুকুর থেকে ব্যালট ও ফলাফলের কাগজ উদ্ধারের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এ জন্য সেটি মামলায় উল্লেখ করা হয়নি।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, ‘মামলায় পুকুর থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধারের কথা উল্লেখ নেই। তবে ভোটের দিন ব্যালট ছিনতাই ও পুকুর থেকে ব্যালট উদ্ধারের পর সার্বিক ঘটনা মিলেই মামলা করা হয়েছে।’

মামলার প্রধান আসামি আফাজ আলী বলেন, ‘আমি নির্বাচনে সাধারণ সদস্য প্রার্থী ছিলাম। ফলাফল ঘোষণায় আমি তৃতীয় হয়েছি। রেজাল্ট শুনে মনের কষ্টে বাড়ি চলে এসেছি। ভোটকেন্দ্রে কে বা কারা হামলা করেছে জানি না। অথচ আমাকে প্রধান আসামি বানানো হয়েছে। জড়িতদের বাঁচাতে আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ভোটের দুই দিন পর উদ্ধার করা ব্যালট পেপার নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত