রিপন চন্দ্র রায়, রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রতিবছর বেশ কিছু বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হননি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ৩৪ জন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকলেও এর পরের বছর থেকেই এ সংখ্যা কমতে শুরু করে। এ বছর তা শূন্যের কোঠায় গিয়ে ঠেকেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিদেশি শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা মনে করছেন। এ কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের মর্যাদা হারাচ্ছে বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ সেশনে দুজন নেপালি শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যাত্রা শুরু হয়। পরের বছর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ৩ জন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ১০ জন এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ১১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। তবে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ায় ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি একসঙ্গে ৫ জন নেপালি শিক্ষার্থী গোপনে দেশ ছাড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এরপর ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে মোট চারজন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মাত্র একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। তবে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে আর কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হননি। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভারত থেকে একজন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করলেও পরে ভর্তি হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রেণিকক্ষে বাংলায় পাঠদান, বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকা, কোর্স না করানো, আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রমের অনুপস্থিতি, বই-নোটসহ বেশির ভাগ শিক্ষা উপকরণ বাংলায় থাকার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের অসহযোগিতার কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ক্লাসে বাংলায় লেকচার দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো বুঝতে পারেন না। ফলে তাঁরা পরীক্ষার খাতায় যথাযথ উত্তর করতে পারেন না। এতে অধিকাংশ বিদেশি শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হন। বাধ্য হয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা না করেই শিক্ষার্থী ভর্তি করান। কিন্তু তাঁরা ক্লাসের লেকচার ঠিকমতো বুঝতে পারেন না, ফলে তাঁরা ঝরে পড়েন। বিভিন্ন সময় বিদেশিরা প্রশাসনের কাছে তাঁদের অসুবিধার বিষয়ে অভিযোগ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটা আন্তর্জাতিক। এমনকি আমেরিকান অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীর চেয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বেশি। আমাদের বিদেশি শিক্ষার্থীর দরকারটা অনেক বেশি। যদি একটি দেশের বা এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বজনীন চেহারা ধারণ করতে পারে না। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা ও সংকট রয়েছে, তা নিরসন করা দরকার।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি এই জায়গাটা ঠিক করার জন্য। কিছুদিন আগে আমাদের যে ব্রুশিয়ারগুলো বানানো হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে অনেক ভুল থেকে গেছে। এই ব্রুশিয়ারগুলো যদি আমরা সুন্দরভাবে করতে পারি, তবে তা বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে পাঠানো হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রতিবছর বেশ কিছু বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হননি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ৩৪ জন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকলেও এর পরের বছর থেকেই এ সংখ্যা কমতে শুরু করে। এ বছর তা শূন্যের কোঠায় গিয়ে ঠেকেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিদেশি শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা মনে করছেন। এ কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের মর্যাদা হারাচ্ছে বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ সেশনে দুজন নেপালি শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যাত্রা শুরু হয়। পরের বছর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ৩ জন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ১০ জন এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ১১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। তবে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ায় ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি একসঙ্গে ৫ জন নেপালি শিক্ষার্থী গোপনে দেশ ছাড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এরপর ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে মোট চারজন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মাত্র একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। তবে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে আর কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হননি। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভারত থেকে একজন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করলেও পরে ভর্তি হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রেণিকক্ষে বাংলায় পাঠদান, বিদেশি শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকা, কোর্স না করানো, আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রমের অনুপস্থিতি, বই-নোটসহ বেশির ভাগ শিক্ষা উপকরণ বাংলায় থাকার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের অসহযোগিতার কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ক্লাসে বাংলায় লেকচার দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো বুঝতে পারেন না। ফলে তাঁরা পরীক্ষার খাতায় যথাযথ উত্তর করতে পারেন না। এতে অধিকাংশ বিদেশি শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হন। বাধ্য হয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা না করেই শিক্ষার্থী ভর্তি করান। কিন্তু তাঁরা ক্লাসের লেকচার ঠিকমতো বুঝতে পারেন না, ফলে তাঁরা ঝরে পড়েন। বিভিন্ন সময় বিদেশিরা প্রশাসনের কাছে তাঁদের অসুবিধার বিষয়ে অভিযোগ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটা আন্তর্জাতিক। এমনকি আমেরিকান অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীর চেয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বেশি। আমাদের বিদেশি শিক্ষার্থীর দরকারটা অনেক বেশি। যদি একটি দেশের বা এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বজনীন চেহারা ধারণ করতে পারে না। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা ও সংকট রয়েছে, তা নিরসন করা দরকার।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি এই জায়গাটা ঠিক করার জন্য। কিছুদিন আগে আমাদের যে ব্রুশিয়ারগুলো বানানো হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে অনেক ভুল থেকে গেছে। এই ব্রুশিয়ারগুলো যদি আমরা সুন্দরভাবে করতে পারি, তবে তা বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে পাঠানো হবে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫