মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপা আমন চাষে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। যদিও মৌসুমের শুরু থেকে খরা ও অনাবৃষ্টির ফলে আমন চাষে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এবং রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। তবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমন আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৭৪ ভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯২৩ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী রয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ২১৫ হেক্টর, স্থানীয় ৮৩ হাজার ৬৩৮ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৭০ হেক্টর। মৌসুমের প্রায় শেষ মুহূর্তে এসে রোপা আমন আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৬ হেক্টর। অর্থাৎ ৭৪ দশমিক ১ ভাগ জমিতে আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার বাকি ৩৭ হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কৃষকসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, মির্জাগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার ৪৮ ভাগ, বাউফলে ৮৪ দশমিক ৯ ভাগ, গলাচিপায় ৯৭ দশমিক ৯ ভাগ, কলাপাড়ায় ৯৫ দশমিক ৮ ভাগ, দশমিনায় ৮৯ দশমিক ৯ ভাগ, দুমকিতে
৫৫ দশমিক ৮ ভাগ, রাঙ্গাবালীতে ৭৩ দশমিক ৯ ভাগ ও সদর উপজেলায় ৪৭ দশমিক ৪ ভাগ রোপা আমন আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে পটুয়াখালীর ৮টি উপজেলা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জ্যেষ্ঠ মাস থেকে আমন আবাদের মৌসুম শুরু হয় এবং ভাদ্র-আশ্বিন পর্যন্ত চলে। কিন্তু শ্রাবণ মাসের শেষ সপ্তাহে এবং ভাদ্রের প্রথম দিকে রোপা আমন আবাদের জন্য আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে আসে। দেরি হলেও মাঠজুড়ে চলছে রোপা আমন আবাদে কৃষকের ব্যস্ততা।
সদর উপজেলার বাহেরচরের কৃষক শাহজাহান বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় মূল সময়ে রোপা আমন চাষ শুরু এবং বীজতলাও তৈরি করতে পারিনি পানির অভাবে। শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে কিছুটা বৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমন চাষ শুরু করি। বিলম্বে হলেও আশা করি রোপা আমন চাষ পুরোটাই করতে পারব, ইনশা আল্লাহ।’
রাঙ্গাবালীর উপজেলার কোড়ালিয়া এলাকার কৃষক সেলিম ফকির বলেন, ‘আবহাওয়ার যে-ই অবস্থা ছিল এবং বৃষ্টিপাত না হওনে মোরা তো ধইরাই নিছিলাম এই বছর রোপা আমন চাষ করতে পারমু না। আল্লাহ আমাগো মুখের দিকে তাকাইছেন, মোরা ভালায় ভালায় রোপা আমন চাষবাস করতে পারছি এবং বাকি কয়দিনের মধ্যেই সব চাষ কইর্যা হালাইতে পারমু।’
কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের কৃষক সোবাহন মৃধা বলেন, ‘সময় মতো বৃষ্টি হলে এত দিনে রোপা আমন চাষ হয়ে যেতো। সবে বৃষ্টিপাত হইছে, এই তো ১৮ / ২০ দিন হয় রোপা আমন চাষ শুরু করেছি। আশা করি ভাদ্র মাসের মধ্যেই আবাদ শেষ করতে পারমু।’
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘অনাবৃষ্টির কারণে আমন আবাদ বিলম্বে শুরু হলেও এখন শেষ মুহূর্তে পুরোদমে আবাদ শুরু হয়েছে। কৃষকেরা দিন-রাত চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সামনের দিকে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।’
পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপা আমন চাষে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। যদিও মৌসুমের শুরু থেকে খরা ও অনাবৃষ্টির ফলে আমন চাষে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এবং রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। তবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আমন আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৭৪ ভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯২৩ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী রয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ২১৫ হেক্টর, স্থানীয় ৮৩ হাজার ৬৩৮ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৭০ হেক্টর। মৌসুমের প্রায় শেষ মুহূর্তে এসে রোপা আমন আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৬ হেক্টর। অর্থাৎ ৭৪ দশমিক ১ ভাগ জমিতে আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার বাকি ৩৭ হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কৃষকসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, মির্জাগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার ৪৮ ভাগ, বাউফলে ৮৪ দশমিক ৯ ভাগ, গলাচিপায় ৯৭ দশমিক ৯ ভাগ, কলাপাড়ায় ৯৫ দশমিক ৮ ভাগ, দশমিনায় ৮৯ দশমিক ৯ ভাগ, দুমকিতে
৫৫ দশমিক ৮ ভাগ, রাঙ্গাবালীতে ৭৩ দশমিক ৯ ভাগ ও সদর উপজেলায় ৪৭ দশমিক ৪ ভাগ রোপা আমন আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে পটুয়াখালীর ৮টি উপজেলা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জ্যেষ্ঠ মাস থেকে আমন আবাদের মৌসুম শুরু হয় এবং ভাদ্র-আশ্বিন পর্যন্ত চলে। কিন্তু শ্রাবণ মাসের শেষ সপ্তাহে এবং ভাদ্রের প্রথম দিকে রোপা আমন আবাদের জন্য আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে আসে। দেরি হলেও মাঠজুড়ে চলছে রোপা আমন আবাদে কৃষকের ব্যস্ততা।
সদর উপজেলার বাহেরচরের কৃষক শাহজাহান বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় মূল সময়ে রোপা আমন চাষ শুরু এবং বীজতলাও তৈরি করতে পারিনি পানির অভাবে। শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে কিছুটা বৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমন চাষ শুরু করি। বিলম্বে হলেও আশা করি রোপা আমন চাষ পুরোটাই করতে পারব, ইনশা আল্লাহ।’
রাঙ্গাবালীর উপজেলার কোড়ালিয়া এলাকার কৃষক সেলিম ফকির বলেন, ‘আবহাওয়ার যে-ই অবস্থা ছিল এবং বৃষ্টিপাত না হওনে মোরা তো ধইরাই নিছিলাম এই বছর রোপা আমন চাষ করতে পারমু না। আল্লাহ আমাগো মুখের দিকে তাকাইছেন, মোরা ভালায় ভালায় রোপা আমন চাষবাস করতে পারছি এবং বাকি কয়দিনের মধ্যেই সব চাষ কইর্যা হালাইতে পারমু।’
কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের কৃষক সোবাহন মৃধা বলেন, ‘সময় মতো বৃষ্টি হলে এত দিনে রোপা আমন চাষ হয়ে যেতো। সবে বৃষ্টিপাত হইছে, এই তো ১৮ / ২০ দিন হয় রোপা আমন চাষ শুরু করেছি। আশা করি ভাদ্র মাসের মধ্যেই আবাদ শেষ করতে পারমু।’
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘অনাবৃষ্টির কারণে আমন আবাদ বিলম্বে শুরু হলেও এখন শেষ মুহূর্তে পুরোদমে আবাদ শুরু হয়েছে। কৃষকেরা দিন-রাত চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সামনের দিকে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫