নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দার কৃষকদের। টানা বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে পাকা রোপা আমনখেত। ভেসে গেছে পেঁয়াজের বীজতলা।
সেই সঙ্গে মুড়িকাটা পেঁয়াজখেতও তলিয়ে গেছে। ঝোড়ো বাতাসে হেলে পড়েছে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির পাকা ধানগাছ। ভেঙে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির হাজারো গাছপালা। বসতবাড়িরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঝড়ে আমাদের রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খেতের ধান বাতাসে হেলে গেছে। তা ছাড়া আমরা এই সময়টায় পেঁয়াজের দানা (বীজতলা) বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করি। ইতিমধ্যে অনেকেই তাঁদের জমিতে বীজতলা বপন করেছেন।
প্রতি কেজি দানা (বীজতলা) ছয়-সাত হাজার টাকায় কিনে জমিতে বপন করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে দানার খেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে বীজতলা। এখন জমির পানি শুকানোর পর আবার বীজতলা তৈরি করতে হবে। এতে যে ক্ষতি হয়েছে, কোনোভাবেই তা পোষানো সম্ভব নয়।’
উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের হারেজ মাতুব্বর, আওয়াল মৃধা, হাতেম সরদার, গট্টি ইউনিয়নের মজনু ফকির ও ছিরু মোল্যা বলেন, ‘আমরা এখন পাকা রোপা আমন ধান কেটে ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রায় ৯০ শতাংশ ধান পেকে গেছে। এর মধ্যে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে ধানের চরম ক্ষতি হয়ে গেল। প্রায় খেতের ধানই তলিয়ে গেছে। বাতাসে ধানগাছগুলো মাটিতে মিশে গেছে। ফলে গাছ থেকে ধান ঝরে পড়ছে পানিতে। এ ছাড়া ঝড়ের কারণে হাজারো কলাবাগানসহ সব ধরনের ফল ও কাঠের গাছ ভেঙে পড়েছে।
এক দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে আমাদের সারা বছরের স্বপ্ন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।’
উপজেলা সদরের ছাদবাগানচাষি ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘ঝড়ে আমার শতাধিক কুলগাছ হেলে পড়েছে। অন্যান্য ফল গাছেরও ক্ষতি হয়েছে।’
সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস বলেন, সিত্রাংয়ে সারা দেশের মতো সালথায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন ফসলি জমি পরিদর্শন করেছি। এখানে কলা, শাকসবজি, পেঁয়াজের বীজতলা ও রোপা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর রোপা আমনখেত এবং ৫ হেক্টর জমির পেঁয়াজের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি, যেসব জায়গায় পানি জমে আছে, সেসব জায়গার পানি বের করে ফেলার জন্য। আশার বিষয় হচ্ছে, আবহাওয়া এখনো অনুকূলে, তাই বেশি ক্ষতির আশঙ্কা নেই।’
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলক কুমার ঘোষ বলেন, প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ঝড়ে ১ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হেক্টর জমির কলাবাগান, ৩ হেক্টর জমির মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও ৪ হেক্টর জমির পেঁয়াজের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। আমরা কৃষকদের পাশে আছি।
তাঁদের এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দার কৃষকদের। টানা বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে পাকা রোপা আমনখেত। ভেসে গেছে পেঁয়াজের বীজতলা।
সেই সঙ্গে মুড়িকাটা পেঁয়াজখেতও তলিয়ে গেছে। ঝোড়ো বাতাসে হেলে পড়েছে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির পাকা ধানগাছ। ভেঙে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির হাজারো গাছপালা। বসতবাড়িরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঝড়ে আমাদের রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খেতের ধান বাতাসে হেলে গেছে। তা ছাড়া আমরা এই সময়টায় পেঁয়াজের দানা (বীজতলা) বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করি। ইতিমধ্যে অনেকেই তাঁদের জমিতে বীজতলা বপন করেছেন।
প্রতি কেজি দানা (বীজতলা) ছয়-সাত হাজার টাকায় কিনে জমিতে বপন করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে দানার খেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে বীজতলা। এখন জমির পানি শুকানোর পর আবার বীজতলা তৈরি করতে হবে। এতে যে ক্ষতি হয়েছে, কোনোভাবেই তা পোষানো সম্ভব নয়।’
উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের হারেজ মাতুব্বর, আওয়াল মৃধা, হাতেম সরদার, গট্টি ইউনিয়নের মজনু ফকির ও ছিরু মোল্যা বলেন, ‘আমরা এখন পাকা রোপা আমন ধান কেটে ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রায় ৯০ শতাংশ ধান পেকে গেছে। এর মধ্যে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে ধানের চরম ক্ষতি হয়ে গেল। প্রায় খেতের ধানই তলিয়ে গেছে। বাতাসে ধানগাছগুলো মাটিতে মিশে গেছে। ফলে গাছ থেকে ধান ঝরে পড়ছে পানিতে। এ ছাড়া ঝড়ের কারণে হাজারো কলাবাগানসহ সব ধরনের ফল ও কাঠের গাছ ভেঙে পড়েছে।
এক দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে আমাদের সারা বছরের স্বপ্ন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।’
উপজেলা সদরের ছাদবাগানচাষি ফুয়াদ চৌধুরী বলেন, ‘ঝড়ে আমার শতাধিক কুলগাছ হেলে পড়েছে। অন্যান্য ফল গাছেরও ক্ষতি হয়েছে।’
সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস বলেন, সিত্রাংয়ে সারা দেশের মতো সালথায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন ফসলি জমি পরিদর্শন করেছি। এখানে কলা, শাকসবজি, পেঁয়াজের বীজতলা ও রোপা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর রোপা আমনখেত এবং ৫ হেক্টর জমির পেঁয়াজের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি, যেসব জায়গায় পানি জমে আছে, সেসব জায়গার পানি বের করে ফেলার জন্য। আশার বিষয় হচ্ছে, আবহাওয়া এখনো অনুকূলে, তাই বেশি ক্ষতির আশঙ্কা নেই।’
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলক কুমার ঘোষ বলেন, প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ঝড়ে ১ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হেক্টর জমির কলাবাগান, ৩ হেক্টর জমির মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও ৪ হেক্টর জমির পেঁয়াজের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। আমরা কৃষকদের পাশে আছি।
তাঁদের এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫