Ajker Patrika

লোকসানে চা-পাতা বিক্রি ন্যায্যমূল্যের দাবি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ মে ২০২২, ১৭: ০৯
লোকসানে চা-পাতা বিক্রি  ন্যায্যমূল্যের দাবি

কাঁচা চা-পাতার উৎপাদন খরচ হয় কেজিতে ১৫ টাকা। কিন্তু ১২ টাকা কেজিতে পাতা বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা চা-পাতার ওজনে ২০-২৫ ভাগ কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে লোকসানে পড়ছেন পঞ্চগড়ের ক্ষুদ্র চা-চাষিরা। এ অবস্থায় চা-পাতার ন্যায্যমূল্যের দাবিতে গতকাল সোমবার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পঞ্চগড় জেলা চা বাগান মালিক সমিতি ও পঞ্চগড় চা চাষি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি।

গতকাল দুপুরে শহরের শেরেবাংলা পার্ক মুক্তমঞ্চে ওই সমাবেশ হয়। এর আগে তেঁতুলিয়া ও পঞ্চগড়ের চা-চাষিরা একই দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। ক্ষুদ্র চা চাষি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সায়েদ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চা কারখানা প্রতিষ্ঠা এবং চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পঞ্চগড়ের অর্থনীতি তথা বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর যখন ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, তখনই কারখানার মালিক এবং একশ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগীর চক্রান্তে এক কেজি কাঁচা চা-পাতা ২৫ টাকার পরিবর্তে ১২ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ক্ষুদ্র চা-চাষিরা। বছরের শুরুতে ২৪ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে কাঁচা চা-পাতা বিক্রি হলেও এখন তা নেমে এসেছে ১২ থেকে ১৪ টাকায়।

বক্তারা আরও বলেন, ‘১ কেজি কাঁচা চা-পাতা উৎপাদনে খরচ হয় ১৫ টাকা, অথচ চক্রের মাধ্যমে কারখানার মালিকেরা বিনা অজুহাতে ১ কেজি কাঁচা চা-পাতা শতকরা ২০ ভাগ কর্তন করে প্রতি কেজি কাঁচা চা-পাতার মূল্য দিচ্ছেন ১২ টাকা।’

সমাবেশ শেষে ১৩ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনরত ক্ষুদ্র চা-চাষিরা। এ সময় চা চাষি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শেখ মিলন, পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন, চা-চাষি আবু তোয়বুর রহমান, চা-চাষি আবু বকর ছিদ্দিকসহ জেলার ক্ষুদ্র চা-চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, ‘চলতি বছরের জন্য নতুন করে কাঁচা চা-পাতার মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। গত বছরের শেষ সভার সিদ্ধান্তে প্রতি কেজি কাঁচা চা-পাতার মূল্য ছিল সাড়ে ১৫ টাকা। নতুন করে মূল্য নির্ধারণ না হওয়ায় আগের মূল্যই বিদ্যমান রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে চা-কারখানার মালিকেরা প্রতি কেজি কাঁচা চা-পাতা ২০-২২ টাকা দরে কিনতে শুরু করেন। নতুন করে চা-পাতার মূল্য নির্ধারণ করলে চা-চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণে এখনো মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি।’

কারখানায় আনা কাঁচা চা-পাতার ওজনের ২০-২৫ ভাগ কেটে নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ আমাদের অভিযোগ করেনি। প্রমাণ দিয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমরা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ১৮ মে চা-পাতার মূল্য নির্ধারণী সভা আহ্বান করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত