Ajker Patrika

৩ শিল্প গ্রুপকে তলব ভোক্তা অধিদপ্তরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২২, ১২: ১৭
৩ শিল্প গ্রুপকে তলব ভোক্তা অধিদপ্তরে

দেশের শীর্ষ স্থানীয় তিন ভোজ্যতেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পরিশোধন মিল পরিদর্শন করে নানা অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা–অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠান তিনটি হচ্ছে এস আলম গ্রুপ, টিকে গ্রুপ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড। এসব অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানগুলোয় চিঠি দিয়ে তলব করেছে ভোক্তা অধিকার সংস্থাটি।

সম্প্রতি দেশে ভোজ্যতেলের দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী মিল মালিকদের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবে সাড়া দেয় সরকার। দফায় দফায় দাম বাড়ানো হলেও সরকার–নির্ধারিত দামে পণ্যটি পাচ্ছিল না ভোক্তারা। এ অবস্থায় সরবরাহ পর্যায়ে অনিয়মের অনুসন্ধানে নামে ভোক্তা–অধিকার অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে তিন মাসের আমদানি, পরিশোধন, বিতরণ ও উৎপাদন পরিস্থিতি জানতে আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী মিলগুলোয় চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠির জবাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্য যথাযথ কি না, তা সরেজমিন দেখতে মিল পরিদর্শন করে অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের পরিদর্শন দল মিলগুলোয় গিয়ে দেখতে পান, কোনো মিলে পরিশোধন শাখা বন্ধ রাখা হয়েছে। কোথাও আবার আমদানিকৃত পণ্যে ড্রামের গায়ে পণ্যের নাম, উৎপাদন তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ ও মূল্য উল্লেখ নেই। বোতলের গায়ে দাম লেখা আছে সরকার–নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার ইচ্ছাকৃতভাবে উৎপাদন বা পরিশোধন কমিয়ে দিয়েছে। মিল থেকে সরবরাহকৃত বিক্রয় আদেশেও (এসও) কোনো একক মূল্য উল্লেখ নেই। এ ছাড়া এসও বিভিন্ন হাতবদল হয়ে মিলে আসার প্রমাণ পায় ভোক্তা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, ১৩ মার্চ চট্টগ্রামের মইজ্জ্যারটেকে এস আলম গ্রুপের মিল পরিদর্শন করে ভোক্তা অধিদপ্তর। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ভোজ্যতেলের ড্রামের গায়ে পণ্যের নাম, মেয়াদ ও মূল্য—কোনো কিছুই উল্লেখ নেই। তেল পরিশোধন ও বোতলজাত সেকশনে দেখা যায়, ৫ লিটারের বোতলের গায়ে ৮৩৫ টাকা দাম লেখা রয়েছে, যা সরকার–নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি।

একই কারখানায় গত রোববারও পরিদর্শনে যায় অধিদপ্তরের পরিদর্শন টিম। সেদিন দেখা যায়, মিলের পরিশোধন ও বোতলজাত সেকশন চালু রয়েছে। বোতলের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) লেখা থাকলেও সরবরাহকৃত বিক্রয় আদেশ (এসও) একক দাম উল্লেখ নেই। এ ছাড়া এসও হাতবদল হয়ে মিলে আসার অনিয়ম খুঁজে পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম লাবুর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে একটি খুদে বার্তা পাঠানো হয়। তাতেও কোনো সাড়া দেননি।

এদিকে গতকাল টিকে গ্রুপের মিল পরিদর্শন করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরিদর্শনে দেখা গেছে, গত ফেব্রুয়ারির চেয়ে মার্চে সরবরাহ অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে।

জানতে চাইলে টিকে গ্রুপের পরিচালক সফিকুল আথার জানান, তাঁদের মিলে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। মাস শেষ হওয়ার আগেই তথ্য নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ফেব্রুয়ারির চেয়ে মার্চে কম সরবরাহ দেখা গেছে।

অন্যদিকে রোববার বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের মিল পরিদর্শন করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেখানেও দেখা যায়, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে সরবরাহের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের হেড অব ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট মোহাম্মদ দবিরুল ইসলাম জানান, তাঁরা উৎপাদন ক্যাপাসিটি অনুযায়ী সরবরাহ করে আসছেন। বিপুল পরিমাণ তেলে ভ্যাট দেওয়ার পর এসআরও জারি হয়। তাই লোকসান কমাতে সরবরাহ কিছুটা কমানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৯ হাজার মেট্রিক টন তেল বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...