সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ওপারে মেয়ে লিপি রানী, এপারে বাবা গণেশ রায়। দুজনের মাঝখানে কাঁটাতারের বেড়া। এর দুপাশে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁরা কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছেন। দুজনেরই অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের সঙ্গে এই প্রথম নাতিকে দেখলেন গণেশ। কিন্তু তাকে ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তবু দেখা ও কথা বলতে পেরে যেন সন্তুষ্ট তাঁরা। গতকাল শুক্রবার এমন দৃশ্য দেখা গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে। গণেশের বাড়ি জেলার সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চৌডাঙ্গা গ্রামে।
গতকাল হরিপুর উপজেলার চাপসার ও কোচল সীমান্তের তিন কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার পাশে এসে সমবেত হন দুই বাংলার হাজারো মানুষ। এ সময় তাঁরা স্বজনদের সঙ্গে ক্ষণিকের জন্য সাক্ষাৎ করেন।
জানা গেছে, প্রতিবছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শুক্রবার পাথরকালী পূজা উপলক্ষে সীমান্তে দুই বাংলায় আলাদা হয়ে থাকা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কথা বলার সুযোগ করে দিতে এই ব্যতিক্রমী মেলা উদ্যাপন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েক হাজার মানুষ তাঁদের আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন। অনেকে হাস্যোজ্জ্বল চোখে-মুখে প্রিয় স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা নিজেদের নানান গল্প সেরে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যান।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গাঙ্গর গ্রাম থেকে আসা বিনতী মালা বলেন, ‘অনেক বছর পর পিসি ও জেঠুর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। এটা মায়ার টান। হাতে হাত ছুঁয়ে দিতে না পারলেও একটু চোখজুড়ে দেখতে পেলাম। এটাই অনেক কিছু।’
সদর উপজেলার সৈয়দ পাঠান গেছেন ছিটমহল বিনিময়ের সময় ছেড়ে যাওয়া বোনের সঙ্গে দেখা করতে। অনেক দিন পর সাক্ষাতে তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সৈয়দ পাঠান বলেন, ‘আমার যদি পাসপোর্ট করার সামর্থ্য থাকত, তাহলে আমি পাসপোর্ট করে ভারতে যেতাম। বোনের সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা করে আমার প্রাণটা জুড়িয়ে গেল।’
পাকিস্তান শাসনামল থেকে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে করোনার কারণে দুই বছর মেলা হয়নি।
মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নগেন কুমার পাল বলেন, সীমান্তের মিলনমেলাটি জমজমাট হয়ে উঠেছিল। ঠাকুরগাঁওসহ পাশের জেলা দিনাজপুর, নীলফামারী ও পঞ্চগড় থেকে কয়েক হাজার লোক এসেছেন এই মেলায়।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম শরীফুল হক বলেন, মেলা চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সীমান্তে ভিড় ছিল। মেলা শেষে দুই দেশের নাগরিকেরা তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
ওপারে মেয়ে লিপি রানী, এপারে বাবা গণেশ রায়। দুজনের মাঝখানে কাঁটাতারের বেড়া। এর দুপাশে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁরা কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছেন। দুজনেরই অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের সঙ্গে এই প্রথম নাতিকে দেখলেন গণেশ। কিন্তু তাকে ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তবু দেখা ও কথা বলতে পেরে যেন সন্তুষ্ট তাঁরা। গতকাল শুক্রবার এমন দৃশ্য দেখা গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে। গণেশের বাড়ি জেলার সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চৌডাঙ্গা গ্রামে।
গতকাল হরিপুর উপজেলার চাপসার ও কোচল সীমান্তের তিন কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার পাশে এসে সমবেত হন দুই বাংলার হাজারো মানুষ। এ সময় তাঁরা স্বজনদের সঙ্গে ক্ষণিকের জন্য সাক্ষাৎ করেন।
জানা গেছে, প্রতিবছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শুক্রবার পাথরকালী পূজা উপলক্ষে সীমান্তে দুই বাংলায় আলাদা হয়ে থাকা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কথা বলার সুযোগ করে দিতে এই ব্যতিক্রমী মেলা উদ্যাপন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েক হাজার মানুষ তাঁদের আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন। অনেকে হাস্যোজ্জ্বল চোখে-মুখে প্রিয় স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা নিজেদের নানান গল্প সেরে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যান।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গাঙ্গর গ্রাম থেকে আসা বিনতী মালা বলেন, ‘অনেক বছর পর পিসি ও জেঠুর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। এটা মায়ার টান। হাতে হাত ছুঁয়ে দিতে না পারলেও একটু চোখজুড়ে দেখতে পেলাম। এটাই অনেক কিছু।’
সদর উপজেলার সৈয়দ পাঠান গেছেন ছিটমহল বিনিময়ের সময় ছেড়ে যাওয়া বোনের সঙ্গে দেখা করতে। অনেক দিন পর সাক্ষাতে তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সৈয়দ পাঠান বলেন, ‘আমার যদি পাসপোর্ট করার সামর্থ্য থাকত, তাহলে আমি পাসপোর্ট করে ভারতে যেতাম। বোনের সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা করে আমার প্রাণটা জুড়িয়ে গেল।’
পাকিস্তান শাসনামল থেকে মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে করোনার কারণে দুই বছর মেলা হয়নি।
মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নগেন কুমার পাল বলেন, সীমান্তের মিলনমেলাটি জমজমাট হয়ে উঠেছিল। ঠাকুরগাঁওসহ পাশের জেলা দিনাজপুর, নীলফামারী ও পঞ্চগড় থেকে কয়েক হাজার লোক এসেছেন এই মেলায়।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম শরীফুল হক বলেন, মেলা চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সীমান্তে ভিড় ছিল। মেলা শেষে দুই দেশের নাগরিকেরা তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪