সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা-পাইকাগাছা সড়কের মানিকখালী সেতু নির্মাণ হওয়ায় এলাকার যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য এসেছে নব জোয়ার। তবে স্থানীয় এই সেতু যতবার পার হতে হয় ততবারই যাতায়াতকারীদের দিতে হয় টোল। যা এলাকাবাসীর জন্য বোঝা হয়ে উঠেছে। তাই তাঁরা সেতুটি টোলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা-পাইকগাছা সড়কের মানিকখালী এলাকায় ৩০৫ মিটার সেতুটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা। সেতুটিতে স্প্যান রয়েছে ৭ টি। যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৩ মিটার। বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণে ধাবিত খোলপেটুয়া নদীতে সেতুটি নির্মিত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খোলপেটুয়া নদীর এ সেতু দিয়ে প্রতাপনগর ও খাজরাসহ ৫ ইউনিয়নের আড়াই লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। সম্প্রতি সাতক্ষীরা-আশাশুনি-গোয়ালডাঙ্গা-পাইকগাছা সড়কে মানিকখালী সেতুটি নির্মিত হওয়ায় খুবই খুশি এলাকার লোকজন।
এ বিষয়ে ট্রাকচালক রেজাউল ইসলাম জানান, আগে নদীর ওপারের আশাশুনি, পাইকগাছা ও কয়রা থেকে সাতক্ষীরায় ঢুকতে গেলে সুদূর আঠারো মাইল দিয়ে ঘুরতে হতো। সেটি ছিল অনেকটা ঘাড় বেড় দিয়ে কান ধরার মতন। আর এখন পাইকগাছা থেকে সাতক্ষীরায় আসা যায় দেড় ঘণ্টায়। আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া গ্রামের আছিরউদ্দীন বলেন, ‘আগে আশাশুনি যেতে মানিকখালী ফেরি পার হতাম। সে যে কি ভোগান্তি! মুমূর্ষু রোগীরা যেতে না পেরে অনেকে পথেই মারা যেতেন।’
তবে ঘাড়ের ওপর টোল চেপে বসায় বিরক্ত এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, ‘বহুদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে আমরা সেতুটি পেয়েছি। অথচ টোলের ঠেলায় এখন আমরা সেতুতে উঠতে ভয় পাই।’এ প্রসঙ্গে ভ্যান চালক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দরিদ্র এ এলাকায় ভাড়া কম। সারা দিনে খেটে-খুটে ১০০ টাকা আয় করি। অথচ প্রতিবার যাতায়াতে ৫ টাকা করে আমাকে প্রতিদিন পঞ্চাশ টাকা টোল গুনতে হয়। তাহলে আমি সংসার চালাব কি করে।’
একই কথা বলেন মোটরসাইকেল চালক আবদুল আলিম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিবার টোল দিতে হবে দশ টাকা। শুধু টোল দিতে দিতেই ১০০ টাকা শেষ। তাহলে আমাদের সেতু হয়ে লাভ কি হলো?
ইজিবাইকচালক শের আলী বলেন, ‘সেতু হয়ে আমাদের উপকার হলো কি? আয়ের অর্ধেকই চলে যায় টোল দিতে। আমরা এত অনুনয় করলাম একজনের থেকে দিনে একবারই টোল নিতে। অথচ তারা বলেন, যতবার যাবে, ততবারই টোল দিতে হবে।’
এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম বলেন, ‘মানিকখালী ব্রিজ নির্মাণ হওয়ায় ৫টি ইউনিয়ন সংযুক্ত হয়েছে। আগে সেতু পারাপারে মানুষের খুবই দুর্ভোগ ছিল। ঘেরসহ অন্যান্য ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়েছে। এ ছাড়া বড়দল হয়ে খুলনায় যাওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে অসুবিধা হলো, একজন ভ্যানচালক ১০০ টাকা রোজগার করছেন। অথচ তাঁকে টোল দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা। সুতরাং অর্থনৈতিক দিক থেকে এখনো পিছিয়ে পড়া এলাকা হওয়ায় সেতুটি টোল ফ্রি করলে সবাই উপকৃত হবে।’
টোলমুক্ত করার বিষয়ে সাতক্ষীরা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামউদ্দীন বলেন, ‘সেতুর দৈর্ঘ্য ২০০ মিটারের বেশি হলে টোল দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে সেতু মন্ত্রণালয়। তবে আমরা শিগগিরই ইজারাদার নিয়োগ করব। টোলমুক্ত করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমিকা রাখতে পারেন। আমাদের মতো মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে সেটা সম্ভব নয়।’
সাতক্ষীরা-পাইকাগাছা সড়কের মানিকখালী সেতু নির্মাণ হওয়ায় এলাকার যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য এসেছে নব জোয়ার। তবে স্থানীয় এই সেতু যতবার পার হতে হয় ততবারই যাতায়াতকারীদের দিতে হয় টোল। যা এলাকাবাসীর জন্য বোঝা হয়ে উঠেছে। তাই তাঁরা সেতুটি টোলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা-পাইকগাছা সড়কের মানিকখালী এলাকায় ৩০৫ মিটার সেতুটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা। সেতুটিতে স্প্যান রয়েছে ৭ টি। যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৩ মিটার। বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণে ধাবিত খোলপেটুয়া নদীতে সেতুটি নির্মিত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খোলপেটুয়া নদীর এ সেতু দিয়ে প্রতাপনগর ও খাজরাসহ ৫ ইউনিয়নের আড়াই লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। সম্প্রতি সাতক্ষীরা-আশাশুনি-গোয়ালডাঙ্গা-পাইকগাছা সড়কে মানিকখালী সেতুটি নির্মিত হওয়ায় খুবই খুশি এলাকার লোকজন।
এ বিষয়ে ট্রাকচালক রেজাউল ইসলাম জানান, আগে নদীর ওপারের আশাশুনি, পাইকগাছা ও কয়রা থেকে সাতক্ষীরায় ঢুকতে গেলে সুদূর আঠারো মাইল দিয়ে ঘুরতে হতো। সেটি ছিল অনেকটা ঘাড় বেড় দিয়ে কান ধরার মতন। আর এখন পাইকগাছা থেকে সাতক্ষীরায় আসা যায় দেড় ঘণ্টায়। আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া গ্রামের আছিরউদ্দীন বলেন, ‘আগে আশাশুনি যেতে মানিকখালী ফেরি পার হতাম। সে যে কি ভোগান্তি! মুমূর্ষু রোগীরা যেতে না পেরে অনেকে পথেই মারা যেতেন।’
তবে ঘাড়ের ওপর টোল চেপে বসায় বিরক্ত এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, ‘বহুদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে আমরা সেতুটি পেয়েছি। অথচ টোলের ঠেলায় এখন আমরা সেতুতে উঠতে ভয় পাই।’এ প্রসঙ্গে ভ্যান চালক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দরিদ্র এ এলাকায় ভাড়া কম। সারা দিনে খেটে-খুটে ১০০ টাকা আয় করি। অথচ প্রতিবার যাতায়াতে ৫ টাকা করে আমাকে প্রতিদিন পঞ্চাশ টাকা টোল গুনতে হয়। তাহলে আমি সংসার চালাব কি করে।’
একই কথা বলেন মোটরসাইকেল চালক আবদুল আলিম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিবার টোল দিতে হবে দশ টাকা। শুধু টোল দিতে দিতেই ১০০ টাকা শেষ। তাহলে আমাদের সেতু হয়ে লাভ কি হলো?
ইজিবাইকচালক শের আলী বলেন, ‘সেতু হয়ে আমাদের উপকার হলো কি? আয়ের অর্ধেকই চলে যায় টোল দিতে। আমরা এত অনুনয় করলাম একজনের থেকে দিনে একবারই টোল নিতে। অথচ তারা বলেন, যতবার যাবে, ততবারই টোল দিতে হবে।’
এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম বলেন, ‘মানিকখালী ব্রিজ নির্মাণ হওয়ায় ৫টি ইউনিয়ন সংযুক্ত হয়েছে। আগে সেতু পারাপারে মানুষের খুবই দুর্ভোগ ছিল। ঘেরসহ অন্যান্য ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়েছে। এ ছাড়া বড়দল হয়ে খুলনায় যাওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে অসুবিধা হলো, একজন ভ্যানচালক ১০০ টাকা রোজগার করছেন। অথচ তাঁকে টোল দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা। সুতরাং অর্থনৈতিক দিক থেকে এখনো পিছিয়ে পড়া এলাকা হওয়ায় সেতুটি টোল ফ্রি করলে সবাই উপকৃত হবে।’
টোলমুক্ত করার বিষয়ে সাতক্ষীরা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজামউদ্দীন বলেন, ‘সেতুর দৈর্ঘ্য ২০০ মিটারের বেশি হলে টোল দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে সেতু মন্ত্রণালয়। তবে আমরা শিগগিরই ইজারাদার নিয়োগ করব। টোলমুক্ত করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ভূমিকা রাখতে পারেন। আমাদের মতো মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে সেটা সম্ভব নয়।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫