Ajker Patrika

রাস্তার দুর্ভোগ পোহায় সবাই

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ১২
রাস্তার দুর্ভোগ পোহায় সবাই

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাংগা ইউনিয়নে ধরলা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন চরাঞ্চলের রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এতে বিদ্যালয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের ঘুরতে হয় দ্বিগুণ পথ। কৃষকদের পণ্য পরিবহনের খরচও বেশি পড়ে। তাই ভোগান্তিতে রয়েছেন এসব অঞ্চলের মানুষ।

ফুলবাড়ীর নাওডাংগা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ রাস্তা ভাঙাচোরা। রাস্তার অনেক স্থানে অনেক বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে আছে। যাত্রীবাহী যানের চালকেরা এসব এলাকায় যেতে চান না। স্থানীয়রা কাঁধে, মাথায় অথবা ঠেলা গাড়িতে করে পণ্য বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন পাকা রাস্তার ধারে। সেখান থেকে ভ্যানে তুলে নিয়ে যান আশপাশের বাজারে।

নাওডাংগা ইউনিয়নের আনন্দবাজার থেকে ইন্তুরঘাট পর্যন্ত রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ। বেহাল এই সড়কে হেঁটে চলাও দায়। এখন আর এই সড়কে কোনো যান চলাচল করে না। অথচ এই রাস্তা হয়েই নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাংলার হাটসহ নানা জায়গায় যেতে হয় চরবাসীর।

চরাঞ্চলে নেই কোনো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার দূরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পশ্চিম ফুলমতি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, নাওডাংগা ডিএস দাখিল মাদ্রাসা, নাওডাংগা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, বালারহাট আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষার জন্য যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে রাস্তা মাত্র একটি। বিকল্প পথে ঘুরতে হয় দ্বিগুণ পথ।

চর গোরকমন্ডল এলাকার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নূরনবী ও ১০ম শ্রেণির শামীম আহমেদ জানায়, তারা নাওডাংগা ডিএস দাখিল মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের বাড়ি থেকে মাদ্রাসার দূরত্ব ৪ কিলোমিটার, কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে তাঁদের যাতায়াত করতে হয়।

চর গোরকমন্ডলের নামাটারী এলাকার শফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, সুরুজ্জামাল হক ও হনুফা বেগম বলেন, এখানকার মানুষ মাঠে অনেক পরিশ্রম করে। পণ্য বেচতে নেওয়ার জন্য রাস্তায় বেশি খরচ হয়ে যায়। এ কারণে লোকসানে পড়তে হয়। খারাপ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় না।

চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে নাওডাঙ্গা ইউপির সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, ‘অল্প কিছু দিন হলো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। ভোটের প্রচারের সময় এসব রাস্তায় আমাকেও দুর্ভোগে পড়তে হয়। কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া আনন্দবাজার থেকে ইন্তুর ঘাটের রাস্তাটি বালু মাটির কারণে চলাচলের একদম অনুপযোগী।’

এলজিইডির-উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব বলেন, ‘চরাঞ্চলের বেশির ভাগ রাস্তাই সরকারি গেজেটের বাইরে। এরপরও যেসব রাস্তা গেজেটভুক্ত আছে, আমরা সেগুলোর জন্য আবেদন করেছি। ইন্তুর ঘাটে রাস্তাসহ ১১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দের আবেদন করা আছে। পাশ হলেই কাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

ঢাবিতে পাঁচ প্যানেলে ভোটের যুদ্ধ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত