আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের আবাসিক প্রকল্প ডিসি প্রজেক্টের ভেতরে গড়ে তোলা হয়েছে দুটি অবৈধ সিসার কারখানা। আশপাশে ও প্রকল্পে বসবাস করছে কয়েক শ পরিবার। কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
জানা যায়, এ ধরনের পদার্থ মানুষের শ্বাসকষ্ট, হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। আর কোনো পশু কারখানার আশপাশের ঘাস খেলে অসুস্থ কিংবা মারাও যেতে পারে। তাই এই সিসা কারখানা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিসি প্রজেক্টের প্রধান ফটক থেকে পাকা রাস্তা ধরে ২০০ গজের মধ্যে রাস্তার দুই পাশে দুটি সিসা গালানো কারখানা। সেখানে থাকা কয়েকজন শ্রমিক পরিত্যক্ত ব্যাটারির খোলস আলাদা করছেন। তাঁরা হাতে গ্লাভস পরে থাকলেও মুখ-পায়ে কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। অ্যাসিডমিশ্রিত বর্জ্যের ছোট বেশ কয়েকটি স্তূপ রয়েছে। কারখানার মাটির গর্ত করে সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে দুটি করে চুল্লি বানানো হয়েছে। চুল্লির পাশে ছোট ছোট সিসার টুকরা। কারখানার ভেতরে হাজারো পরিত্যক্ত ছোট-বড় ব্যাটারি। ওই ব্যাটারির কোষগুলো সিমেন্টের মতো জমাট বেঁধে যায়। চুল্লির মধ্যে কাঠ ও কয়লা দিয়ে অ্যাসিডমিশ্রিত জমাটবাঁধা বর্জ্য সাজানো হয়। এরপর আগুন ধরিয়ে দিয়ে একটি পাম্পের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক পাখা দিয়ে প্রচণ্ড বেগে বাতাস দেওয়া হয়। কাঠ ও কয়লা পুড়ে একটি আগুনের কুণ্ডলীর সৃষ্টি হয়। সিসা পুড়ে তরল হয়। এরপর একটি লম্বা চামচ দিয়ে বর্জ্য সরিয়ে সিসা লোহার তৈরি কড়াইয়ে রাখা হয়। ঘন ধূসর ধোঁয়া চিমনি দিয়ে বের হয়ে যায়।
জানা যায়, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সিসা তৈরির কাজ করা হয় কারখানা দুটিতে। এ সময় ধূসর ও কালো ধোঁয়ায় গ্রাম আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আশপাশের গাছপালা বিবর্ণ হয়ে গেছে। ধোঁয়া ও বর্জ্যে পরিবেশ দূষণের কবলে এখন আবাসিক প্রকল্প ও পাশের গ্রামগুলো। অ্যাসিডের ঝাঁজালো গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। অসুস্থ হয়ে পড়ছে আশপাশের বাড়ির মানুষ।
আবাসিক প্রকল্পের বাসিন্দা গৃহিণী ফৌজিয়া আক্তার বলেন, ‘প্রতি রাতে সিসা পড়ানোর ধোঁয়ার গন্ধে থাকা যায় না। খুব বাজে গন্ধ। নিশ্বাস নেওয়া যায় না। খুব দুর্ভোগের মধ্যে বসবাস করছি। এই সিসা কারখানা দুটি বন্ধ করা দরকার। তা না হলে আমরা কেউ বাঁচব না।’
আবাসিক প্রকল্পের বাসিন্দারা জানান, এখানে প্রতি রাতে ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা বের করা হয়। ব্যাটারি পোড়ানোর সময় গোটা এলাকায় ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায়। গ্রামের মানুষের কাশি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাচ্ছে। গাছপালা, ফলমূল সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন যেন দ্রুত এই অবৈধ সিসা কারখানা দুটি বন্ধ করে দেয়।
সিসা কারখানার শ্রমিক মো. আবুল বলেন, বাস ও ট্রাকের একটি পরিত্যক্ত ব্যাটারি থেকে গড়ে ২২-২৩ কেজি এবং ইজিবাইকের পরিত্যক্ত ব্যাটারি থেকে ৬-২৩ কেজি পর্যন্ত সিসা পাওয়া যায়।
কারখানার দুটির শ্রমিকেরা মালিকের নাম ও মোবাইল নম্বর দিতে রাজি হননি। তাই মালিকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বালুচর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানিয়েছি, কর্মকর্তারা এসে জব্বারের সিসা কারখানা অনেক দিন আগে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শুনেছি তিনি গোপনে আবার সিসা পোড়াচ্ছেন। এ ছাড়া আরেকটি কারখানায় সব সময়ই সিসা গলানো হয়। আমরা এটির বিষয়েও জানিয়েছি। কর্মকর্তারা এসে ব্যবস্থা নেবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম তানভীর বলেন, ‘এ ধরনের অবৈধ ব্যবসা কেউ পরিচালনা করলে অবিলম্বে কারখানা বন্ধের ব্যবস্থা করব।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের আবাসিক প্রকল্প ডিসি প্রজেক্টের ভেতরে গড়ে তোলা হয়েছে দুটি অবৈধ সিসার কারখানা। আশপাশে ও প্রকল্পে বসবাস করছে কয়েক শ পরিবার। কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
জানা যায়, এ ধরনের পদার্থ মানুষের শ্বাসকষ্ট, হৃদ্রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। আর কোনো পশু কারখানার আশপাশের ঘাস খেলে অসুস্থ কিংবা মারাও যেতে পারে। তাই এই সিসা কারখানা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিসি প্রজেক্টের প্রধান ফটক থেকে পাকা রাস্তা ধরে ২০০ গজের মধ্যে রাস্তার দুই পাশে দুটি সিসা গালানো কারখানা। সেখানে থাকা কয়েকজন শ্রমিক পরিত্যক্ত ব্যাটারির খোলস আলাদা করছেন। তাঁরা হাতে গ্লাভস পরে থাকলেও মুখ-পায়ে কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা নেই। অ্যাসিডমিশ্রিত বর্জ্যের ছোট বেশ কয়েকটি স্তূপ রয়েছে। কারখানার মাটির গর্ত করে সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে দুটি করে চুল্লি বানানো হয়েছে। চুল্লির পাশে ছোট ছোট সিসার টুকরা। কারখানার ভেতরে হাজারো পরিত্যক্ত ছোট-বড় ব্যাটারি। ওই ব্যাটারির কোষগুলো সিমেন্টের মতো জমাট বেঁধে যায়। চুল্লির মধ্যে কাঠ ও কয়লা দিয়ে অ্যাসিডমিশ্রিত জমাটবাঁধা বর্জ্য সাজানো হয়। এরপর আগুন ধরিয়ে দিয়ে একটি পাম্পের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক পাখা দিয়ে প্রচণ্ড বেগে বাতাস দেওয়া হয়। কাঠ ও কয়লা পুড়ে একটি আগুনের কুণ্ডলীর সৃষ্টি হয়। সিসা পুড়ে তরল হয়। এরপর একটি লম্বা চামচ দিয়ে বর্জ্য সরিয়ে সিসা লোহার তৈরি কড়াইয়ে রাখা হয়। ঘন ধূসর ধোঁয়া চিমনি দিয়ে বের হয়ে যায়।
জানা যায়, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সিসা তৈরির কাজ করা হয় কারখানা দুটিতে। এ সময় ধূসর ও কালো ধোঁয়ায় গ্রাম আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আশপাশের গাছপালা বিবর্ণ হয়ে গেছে। ধোঁয়া ও বর্জ্যে পরিবেশ দূষণের কবলে এখন আবাসিক প্রকল্প ও পাশের গ্রামগুলো। অ্যাসিডের ঝাঁজালো গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। অসুস্থ হয়ে পড়ছে আশপাশের বাড়ির মানুষ।
আবাসিক প্রকল্পের বাসিন্দা গৃহিণী ফৌজিয়া আক্তার বলেন, ‘প্রতি রাতে সিসা পড়ানোর ধোঁয়ার গন্ধে থাকা যায় না। খুব বাজে গন্ধ। নিশ্বাস নেওয়া যায় না। খুব দুর্ভোগের মধ্যে বসবাস করছি। এই সিসা কারখানা দুটি বন্ধ করা দরকার। তা না হলে আমরা কেউ বাঁচব না।’
আবাসিক প্রকল্পের বাসিন্দারা জানান, এখানে প্রতি রাতে ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা বের করা হয়। ব্যাটারি পোড়ানোর সময় গোটা এলাকায় ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায়। গ্রামের মানুষের কাশি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাচ্ছে। গাছপালা, ফলমূল সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন যেন দ্রুত এই অবৈধ সিসা কারখানা দুটি বন্ধ করে দেয়।
সিসা কারখানার শ্রমিক মো. আবুল বলেন, বাস ও ট্রাকের একটি পরিত্যক্ত ব্যাটারি থেকে গড়ে ২২-২৩ কেজি এবং ইজিবাইকের পরিত্যক্ত ব্যাটারি থেকে ৬-২৩ কেজি পর্যন্ত সিসা পাওয়া যায়।
কারখানার দুটির শ্রমিকেরা মালিকের নাম ও মোবাইল নম্বর দিতে রাজি হননি। তাই মালিকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বালুচর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানিয়েছি, কর্মকর্তারা এসে জব্বারের সিসা কারখানা অনেক দিন আগে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শুনেছি তিনি গোপনে আবার সিসা পোড়াচ্ছেন। এ ছাড়া আরেকটি কারখানায় সব সময়ই সিসা গলানো হয়। আমরা এটির বিষয়েও জানিয়েছি। কর্মকর্তারা এসে ব্যবস্থা নেবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম তানভীর বলেন, ‘এ ধরনের অবৈধ ব্যবসা কেউ পরিচালনা করলে অবিলম্বে কারখানা বন্ধের ব্যবস্থা করব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪