সিরাজদিখান ও গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আসছে বৈশাখ মাস। ইতিমধ্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। সড়কপথে যোগাযোগের উপায় না থাকায় উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়েই মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলায় যাওয়া-আসা করে এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। তবে কেউ মেঘনা নদীকে এড়িয়ে যাতায়াত করতে চাইলে অন্তত ৭২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েই মেঘনা নদী পাড়ি দিতে চরকিশোরগঞ্জ ও গজারিয়া লঞ্চঘাট নৌরুটে খেয়া পারাপার হচ্ছে মানুষ।
জানা যায়, জেলা শহর থেকে গজারিয়া উপজেলার দূরত্ব মাত্র সাত কিলোমিটার। কিন্তু সদর ও গজারিয়া উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে মেঘনা নদী। সেতু কিংবা সড়কপথে যোগাযোগের উপায় না থাকায় মেঘনা নদী পাড়ি দিয়েই সদর ও গজারিয়ায় যাওয়া-আসা এ অঞ্চলের মানুষের। তবে কেউ যদি মেঘনা নদীকে এড়িয়ে যাতায়াত করতে চান, তবে অন্তত ৭২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হবে। কারণ, জেলা শহর থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর ও সোনারগাঁ উপজেলা ঘুরে জনসাধারণকে গজারিয়ার গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। এদিকে মেঘনা নদী পাড়ি দিতে চরকিশোরগঞ্জ-গজারিয়া নৌরুটে একমাত্র ভরসা ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা ট্রলার। এ নৌপথে ২০ থেকে ২৫টি ট্রলার চলাচল করে থাকে। আর একটি ট্রলারেও নেই বয়া বা লাইফ জ্যাকেট।
সরেজমিনে উত্তাল মেঘনা নদী ট্রলারযোগে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে দেখা গেছে। যাতায়াতকারীরা বলেন, ‘মেঘনায় এখন অনেক ঢেউ। এতে ট্রলারে অনেক কম্পন সৃষ্টি হয়। ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারে পানি উঠে আসে। শরীর ভিজে যায়। অনেক সময় নারী ও শিশুরা ঢেউয়ের তোড়ে ঝাঁকুনি খেয়ে কান্না শুরু করে। সামনে কালবৈশাখী ঝড় উঠলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় আমাদের। জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ না থাকায় জেলার অপর চারটি উপজেলা এবং গজারিয়াবাসীকে যোগাযোগে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের পূর্বাঞ্চলের গজারিয়াকে মেঘনা নদী বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এতে করে জেলার পাঁচটি উপজেলার সঙ্গে গজারিয়ার যোগাযোগব্যবস্থা নেই বললেই চলে। অনেকেই আবার নদীপথ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দীর্ঘ পথ অতিক্রম ও অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ হয়ে সড়কপথে মুন্সিগঞ্জে আসা-যাওয়া করে থাকেন। ফলে গজারিয়া উপজেলা সদর, থানা ও হাইওয়ে সড়কে যেতে ট্রলার দিয়ে পার হতে হয় গজারিয়ার বাসিন্দাদের।
গজারিয়ার ইমামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আলী আহম্মদ প্রধান (৭৪) বলেন, ‘এখন বর্ষা আসছে। এখানে ট্রলারে চলাচল অনেক ঝুঁকি। আদালতে কাজ ছিল। কষ্ট করে, ভয় নিয়ে মেঘনা নদী পার হয়েছি। এখানে আবার আগের মতো ফেরি চালু করলে ভালো হয়।’
বাউশিয়া ইউনিয়নের মরিয়ম বেগম (৪০) বলেন, ‘আদালতে আমাদের মামলা আছে। কী করব, বাড়িতে পুরুষ নেই। তাই আমারই আসতে হয়েছে। ট্রলারে চোখ বন্ধ করে দোয়া পড়ে আসছি। আবার বিকেলে ফেরার সময় ঢেউ কেমন হয় জানি না। দেশের অনেক স্থানে বড় বড় সেতু হয়। এখানে একটি সেতু হলে জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ভালো হতো।’
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ নৌরুটে বয়া ও লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। যদি তা ব্যবহার না হয়ে থাকে, তাহলে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসছে বৈশাখ মাস। ইতিমধ্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। সড়কপথে যোগাযোগের উপায় না থাকায় উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়েই মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলায় যাওয়া-আসা করে এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। তবে কেউ মেঘনা নদীকে এড়িয়ে যাতায়াত করতে চাইলে অন্তত ৭২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েই মেঘনা নদী পাড়ি দিতে চরকিশোরগঞ্জ ও গজারিয়া লঞ্চঘাট নৌরুটে খেয়া পারাপার হচ্ছে মানুষ।
জানা যায়, জেলা শহর থেকে গজারিয়া উপজেলার দূরত্ব মাত্র সাত কিলোমিটার। কিন্তু সদর ও গজারিয়া উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে মেঘনা নদী। সেতু কিংবা সড়কপথে যোগাযোগের উপায় না থাকায় মেঘনা নদী পাড়ি দিয়েই সদর ও গজারিয়ায় যাওয়া-আসা এ অঞ্চলের মানুষের। তবে কেউ যদি মেঘনা নদীকে এড়িয়ে যাতায়াত করতে চান, তবে অন্তত ৭২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হবে। কারণ, জেলা শহর থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর ও সোনারগাঁ উপজেলা ঘুরে জনসাধারণকে গজারিয়ার গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। এদিকে মেঘনা নদী পাড়ি দিতে চরকিশোরগঞ্জ-গজারিয়া নৌরুটে একমাত্র ভরসা ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা ট্রলার। এ নৌপথে ২০ থেকে ২৫টি ট্রলার চলাচল করে থাকে। আর একটি ট্রলারেও নেই বয়া বা লাইফ জ্যাকেট।
সরেজমিনে উত্তাল মেঘনা নদী ট্রলারযোগে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে দেখা গেছে। যাতায়াতকারীরা বলেন, ‘মেঘনায় এখন অনেক ঢেউ। এতে ট্রলারে অনেক কম্পন সৃষ্টি হয়। ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারে পানি উঠে আসে। শরীর ভিজে যায়। অনেক সময় নারী ও শিশুরা ঢেউয়ের তোড়ে ঝাঁকুনি খেয়ে কান্না শুরু করে। সামনে কালবৈশাখী ঝড় উঠলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় আমাদের। জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ না থাকায় জেলার অপর চারটি উপজেলা এবং গজারিয়াবাসীকে যোগাযোগে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের পূর্বাঞ্চলের গজারিয়াকে মেঘনা নদী বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এতে করে জেলার পাঁচটি উপজেলার সঙ্গে গজারিয়ার যোগাযোগব্যবস্থা নেই বললেই চলে। অনেকেই আবার নদীপথ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দীর্ঘ পথ অতিক্রম ও অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ হয়ে সড়কপথে মুন্সিগঞ্জে আসা-যাওয়া করে থাকেন। ফলে গজারিয়া উপজেলা সদর, থানা ও হাইওয়ে সড়কে যেতে ট্রলার দিয়ে পার হতে হয় গজারিয়ার বাসিন্দাদের।
গজারিয়ার ইমামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আলী আহম্মদ প্রধান (৭৪) বলেন, ‘এখন বর্ষা আসছে। এখানে ট্রলারে চলাচল অনেক ঝুঁকি। আদালতে কাজ ছিল। কষ্ট করে, ভয় নিয়ে মেঘনা নদী পার হয়েছি। এখানে আবার আগের মতো ফেরি চালু করলে ভালো হয়।’
বাউশিয়া ইউনিয়নের মরিয়ম বেগম (৪০) বলেন, ‘আদালতে আমাদের মামলা আছে। কী করব, বাড়িতে পুরুষ নেই। তাই আমারই আসতে হয়েছে। ট্রলারে চোখ বন্ধ করে দোয়া পড়ে আসছি। আবার বিকেলে ফেরার সময় ঢেউ কেমন হয় জানি না। দেশের অনেক স্থানে বড় বড় সেতু হয়। এখানে একটি সেতু হলে জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ভালো হতো।’
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ নৌরুটে বয়া ও লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। যদি তা ব্যবহার না হয়ে থাকে, তাহলে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫