Ajker Patrika

এক প্রকল্পে কাজ করছেন আরেক প্রকল্পের শ্রমিক

রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া) 
এক প্রকল্পে কাজ করছেন আরেক প্রকল্পের শ্রমিক

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার আয়রা গ্রামে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা, ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো, ভরাট কাজে বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা, ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করাসহ নানা অভিযোগ এলাকাবাসীর।

উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় শেরপুরের মির্জাপুর ইউনিয়নের আয়রা গ্রামে ২৪টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। প্রতিটি ভূমিহীন পরিবারের আবাসনের জন্য ২ শতাংশ জমি ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নকশা অনুযায়ী দুই রুমের ঘরের সঙ্গে বারান্দা, রান্নাঘর ও টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে। এর জন্য ঘরপ্রতি প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ও মালামাল পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকল্পের নির্মাণকাজের শ্রমিকের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকলেও কাজ করানো হচ্ছে সরকারের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (৪০ দিনের কর্মসূচি) প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে।

এমনই একজন শ্রমিক রাজবাড়ি গ্রামের আছিয়া বেগম বলেন, ‘আমি ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিক। অফিসের নির্দেশে আমরা ১০ জন তিন দিন ধরে এখানে কাজ করছি।’

একই কথা বলেন কর্মরত মালা বেগম ও প্রমীলা রানি।

শিডিউল অনুযায়ী ঘরের মেঝে বালু দিয়ে ভরাট করার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে আবাদি জমির মাটি। এ জন্য তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে।

প্রকল্পে কর্মরত নীলফামারী থেকে আসা রাজমিস্ত্রি হরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘বালু কিনতে অনেক টাকা লাগে। তাই খাসজমি থেকে মাটি আনা হচ্ছে।’

এলাকার আবদুর রশিদ বলেন, এই জমিতে স্থানীয় একজন সরিষার চাষ করেছিলেন। প্রকল্পের ঘরের মাটির প্রয়োজনে ফসল নষ্ট করে প্রায় এক বিঘা জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। এভাবে সরকারি লোকজনই আইন ভঙ্গ করছেন।

জানতে চাইলে প্রকল্পের সচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামছুন্নাহার শিউলী বলেন, ‘আমার জানামতে সেখানে ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিক কাজ করার কথা নয়। আমি সচিব হলেও কাজটি ইউএনও স্যার দেখেন। তাই কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’

উপজেলা প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, ‘প্রকল্পের নির্মাণসামগ্রী ক্রয় বা কোনো কাজে আমাকে ডাকা হয়নি। তাই আমি কিছু বলতে পারব না।’

এ বিষয়ে শেরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, ‘সেখানে ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিকেরা কেন কাজ করছেন তা জানি না। প্রকল্পের ঘরগুলো ভরাট কাজের জন্য মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। পরে শিডিউল অনুযায়ী বালু ব্যবহার করা হবে।’

আবাদি জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে ইউএনও বলেন, মাটির জন্য উপযুক্ত জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। কাজটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের হওয়ায় পরিবহনের সুবিধার জন্য খাসজমি থেকে মাটি নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত