মো. মহসীন আলী

অনুমতি নিয়ে সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। স্যার বসতে বললেন। ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম।
চেয়ারম্যান স্যার: নাম কী? মায়ের নাম কী? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন?
মো. মহসীন আলী: মা-বাবার নাম বললাম এবং বললাম পড়াশোনা করেছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থেকে।
চেয়ারম্যান স্যার: বেগম রোকেয়া কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: উনি ছিলেন উপমহাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত।
চেয়ারম্যান স্যার: তিনি মূলত কী ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: তিনি মূলত একজন সাহিত্যিক ছিলেন।
চেয়ারম্যান স্যার: তাঁর সাহিত্য কর্মের নামগুলো বলুন?
মো. মহসীন আলী: অবরোধবাসিনী, সুলতানা’স ড্রিম, পদ্মরাগ...।
চেয়ারম্যান স্যার: অবরোধবাসিনী পড়েছেন?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার, পড়া হয়নি, তবে সুলতানা’স ড্রিম পড়ছি।
চেয়ারম্যান স্যার: আচ্ছা তাহলে সুলতানা’স ড্রিমের মূল ভাবটা বলেন।
মো. মহসীন আলী: সুলতানা’স ড্রিমের কেন্দ্রীয় চরিত্র সুলতানা একদিন স্বপ্নে দেখেন যে আমাদের সমাজের বড় বড় অবস্থানে নারীরা অবস্থান করছেন এমনকি দেশ পরিচালনা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব স্তরে নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতটুকু বলার সঙ্গে সঙ্গেই চেয়ারম্যান স্যার প্রশ্ন করলেন...
চেয়ারম্যান স্যার: এমন একজন নারীর নাম বলতে পারেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চেয়ারম্যান স্যার: তিনি নারীর ক্ষমতায়নে কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা।
চেয়ারম্যান স্যার: প্রাথমিক স্কুলে কতজন নারী?
মো. মহসীন আলী: ৬০ শতাংশ সংরক্ষিত।
চেয়ারম্যান স্যার এবার এক্সটারনাল-১-কে প্রশ্ন করতে বললেন।
এক্সটারনাল-১: আপনার পড়াশোনা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। বর্তমান ভিসি কে?
মো. মহসীন আলী: ড. হাসিবুর রশিদ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে?
মো. মহসীন আলী: নূরু-ন-নবী স্যার।
এক্সটারনাল-১: পয়েট অব পলিটিকস কি শুনছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার, এটা একটা উপাধি, যা ৫ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য নিউজ উইক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: জুলিও কুরি কী?
মো. মহসীন আলী: এটিও একটি পুরস্কার, যা বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: প্ল্যানেট ৫০-৫০ কী?
মো. মহসীন আলী: এটি একটি পুরস্কার, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে।
এক্সটারনাল-১: কিসের জন্য দেওয়া হয়েছে?
মো. মহসীন আলী: নারীর ক্ষমতায়ন।
এক্সটারনাল-১: না হয়নি। স্যার একটু ধারণা দিয়ে বললেন প্ল্যানেট ৫০-৫০ কথাটার মাঝেই তো উত্তর আছে।
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত, বলে উত্তর করলাম জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এক্সটারনাল-১: জলবায়ু নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: আইপিসিসি, ইউনেপ বলার পর আর কিছু মনে আসছিল না!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর নাম শুনেছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর পূর্ণ রূপ কী? এখন কততম হচ্ছে? কোথায় হচ্ছে?
মো. মহসীন আলী: Conference of the parties.
এক্স-১: আইপিসিসির পূর্ণ রূপ কী?
মো. মহসীন আলী: ভুল করে বললাম International Panel on Climate Change. স্যার ঠিক করে দিলেন Intergovernmental.
এক্সটারনাল-১: বাংলাদেশকে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, জানেন কিছু?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ০.৫৪ সেমি বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশর উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯% এলাকা লবণাক্ত পানির নিচে চলে যাবে।
এক্সটারনাল-১: আচ্ছা একটা সময়সীমা দিয়েছে। কবে সেটা বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, ২০৫০ সালের মধ্যে।
এক্সটারনাল-১: ঠিক আছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা আইন পাস হয়েছে। কী বলেন তো?
আমি: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠন আইন-২০২২।
এক্সটারনাল-১: নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি কতজন নিয়ে গঠিত এবং তাদের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার! ছয়জন সদস্য নিয়ে গঠিত। সদস্যের মধ্যে পাঁচজনের নাম বলার পর নারী সদস্যের নাম বলতে গিয়ে আর মনে পড়েছিল না। স্যার তখন বললেন, না, এই নামটা বলতেই হবে। পরে বলতে পেরেছিলাম; কিন্তু শেষে একটু ভুল বলে ফেলছিলাম ‘হক’-এর জায়গায় ‘রহমান’ বলে ফেলছিলাম।
এক্সটারনাল-১: স্যার বললেন, তোমাদের উত্তরবঙ্গেই বাড়ি। সাহিত্যিক শামসুল হকের স্ত্রী। বোর্ড মেম্বাররা তখন এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন! আমি বসে বসে তাদের আলোচনা শুনলাম। এরপর এক্সটারনাল-১ স্যার আবার আমার দিকে মনোনিবেশ করলেন আর বললেন, এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টি একটা ঘটনার দিকে! বলো তো কী ঘটনা?
মো. মহসীন আলী: ইউক্রেনের দিকে (তখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়নি, কিন্তু উত্তেজনা বিরাজ করছিল)।
এক্সটারনাল ১: কেন এই উত্তেজনা বলতে পারবা?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, সম্প্রতি ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিতে যাচ্ছে আর রাশিয়া কোনোভাবেই চায় না ইউক্রেন এই সামরিক জোটে যোগদান করুক।
এক্সটারনাল-১: ন্যাটো মূলত কোন দেশ চালায়?
মো. মহসীন আলী: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এক্সটারনাল-১: রাশিয়া ন্যাটোর বিপরীত একটা সংস্থা গঠন করেছিল, নাম জানো?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার! তখন স্যার বলে দিলেন ওয়াসপ্যাক্ট।
এক্সটারনাল-১: স্যার এবার এক্সটারনাল-২ স্যারকে প্রশ্ন করতে বললেন। আমি এক্সটারনাল-২ স্যারের দিকে তাকালাম।
এক্সটারনাল-২: আপনি তো পরিসংখ্যানের ছাত্র। আচ্ছা বলেন তো জনশুমারি কী? কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: জনশুমারি হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় পর পর একটি দেশের জনসংখ্যার গণনা, যেখানে জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা হয়।
এক্সটারনাল-২: কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: দশ বছর পর পর স্যার।
এক্সটারনাল-২: তাহলে সার্ভে কী?
মো. মহসীন আলী: সার্ভে একধরনের গণনা। যখন স্যাম্পল নিয়ে কাজ করা হয়, তখন তাকে আমরা স্যাম্পল সার্ভে বলি।
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা তো নীলফামারী (আসলে বাসা ঠাকুরগাঁও)? মো. মহসীন আলী: না স্যার, আমার বাসা ঠাকুরগাঁও।
এক্সটারনাল-২: এ অঞ্চলে ব্রিটিশ আমলে একটা আন্দোলন হয়েছিল—জানেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার! তেভাগা আন্দোলন। স্যার আন্দোলনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলেন। বললাম জমির ফসলের ৩ ভাগ পাবেন কৃষক আর ১ ভাগ পাবেন জমির মালিক। ইলা মিত্র নেতা ছিলেন। আর হাজী দানেশ এই আন্দোলনে বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলে কাজ করছিলেন, তাই ওনার নামও বললাম।
এক্সটারনাল-২: হাজী দানেশ তাঁর রাজনৈতিক জীবনে একটা বিতর্কিত কাজ করেছিলেন, সেটা কী?
মো. মহসীন আলী: হাজী দানেশ চুয়ান্নর নিবার্চনে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছিলেন…তিনি এটা করছিলেন বলার চেষ্টা করলাম। স্যার বললেন, এসব না!
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা ঠাকুরগাঁওয়ে, সেখানে কি এখনো সাহিত্য সংসদ আছে?
মো. মহসীন আলী: আমি না জেনে, না বুঝেই হ্যাঁ সূচক উত্তর করলাম। (সত্যি বলতে আমি এ-সম্পর্কে কিছুই জানি না)।
এক্সটারনাল-২: এ সংগঠনটি একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করত, নাম জানেন?
মো. মহসীন আলী: এবার সোজাসুজি দুঃখিত বললাম।
এক্সটারনাল-২: স্যার আর প্রশ্ন করলেন না। বললেন ওকে, আপনার সার্টিফিকেট নিন। আমি সার্টিফিকেট নিয়ে আসার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। সার্টিফিকেট নিতে যাব সেই মুহূর্তে চেয়ারম্যান স্যার বললেন, আপনার বাসা কোথায়? শুধু জেলার নাম বলায় একদম লোকেশন জানতে চাইলেন ইউনিয়ন, গ্রামসহ বিস্তারিত বললাম।
চেয়ারম্যান স্যার: আপনার বাবা কী করেন?
মো. মহসীন আলী: আমার বাবা কৃষক।
চেয়ারম্যান স্যার বললেন, Best of Luck! আমি ধন্যবাদ দিয়ে চলে এলাম।
মো. মহসীন আলী, সহকারী মহাহিসাবরক্ষক বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব) ৪০তম বিসিএস
অনুলিখন: মোছা. জেলি খাতুন।

অনুমতি নিয়ে সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। স্যার বসতে বললেন। ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম।
চেয়ারম্যান স্যার: নাম কী? মায়ের নাম কী? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন?
মো. মহসীন আলী: মা-বাবার নাম বললাম এবং বললাম পড়াশোনা করেছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থেকে।
চেয়ারম্যান স্যার: বেগম রোকেয়া কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: উনি ছিলেন উপমহাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত।
চেয়ারম্যান স্যার: তিনি মূলত কী ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: তিনি মূলত একজন সাহিত্যিক ছিলেন।
চেয়ারম্যান স্যার: তাঁর সাহিত্য কর্মের নামগুলো বলুন?
মো. মহসীন আলী: অবরোধবাসিনী, সুলতানা’স ড্রিম, পদ্মরাগ...।
চেয়ারম্যান স্যার: অবরোধবাসিনী পড়েছেন?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার, পড়া হয়নি, তবে সুলতানা’স ড্রিম পড়ছি।
চেয়ারম্যান স্যার: আচ্ছা তাহলে সুলতানা’স ড্রিমের মূল ভাবটা বলেন।
মো. মহসীন আলী: সুলতানা’স ড্রিমের কেন্দ্রীয় চরিত্র সুলতানা একদিন স্বপ্নে দেখেন যে আমাদের সমাজের বড় বড় অবস্থানে নারীরা অবস্থান করছেন এমনকি দেশ পরিচালনা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব স্তরে নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতটুকু বলার সঙ্গে সঙ্গেই চেয়ারম্যান স্যার প্রশ্ন করলেন...
চেয়ারম্যান স্যার: এমন একজন নারীর নাম বলতে পারেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চেয়ারম্যান স্যার: তিনি নারীর ক্ষমতায়নে কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা।
চেয়ারম্যান স্যার: প্রাথমিক স্কুলে কতজন নারী?
মো. মহসীন আলী: ৬০ শতাংশ সংরক্ষিত।
চেয়ারম্যান স্যার এবার এক্সটারনাল-১-কে প্রশ্ন করতে বললেন।
এক্সটারনাল-১: আপনার পড়াশোনা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। বর্তমান ভিসি কে?
মো. মহসীন আলী: ড. হাসিবুর রশিদ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে?
মো. মহসীন আলী: নূরু-ন-নবী স্যার।
এক্সটারনাল-১: পয়েট অব পলিটিকস কি শুনছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার, এটা একটা উপাধি, যা ৫ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য নিউজ উইক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: জুলিও কুরি কী?
মো. মহসীন আলী: এটিও একটি পুরস্কার, যা বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: প্ল্যানেট ৫০-৫০ কী?
মো. মহসীন আলী: এটি একটি পুরস্কার, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে।
এক্সটারনাল-১: কিসের জন্য দেওয়া হয়েছে?
মো. মহসীন আলী: নারীর ক্ষমতায়ন।
এক্সটারনাল-১: না হয়নি। স্যার একটু ধারণা দিয়ে বললেন প্ল্যানেট ৫০-৫০ কথাটার মাঝেই তো উত্তর আছে।
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত, বলে উত্তর করলাম জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এক্সটারনাল-১: জলবায়ু নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: আইপিসিসি, ইউনেপ বলার পর আর কিছু মনে আসছিল না!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর নাম শুনেছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর পূর্ণ রূপ কী? এখন কততম হচ্ছে? কোথায় হচ্ছে?
মো. মহসীন আলী: Conference of the parties.
এক্স-১: আইপিসিসির পূর্ণ রূপ কী?
মো. মহসীন আলী: ভুল করে বললাম International Panel on Climate Change. স্যার ঠিক করে দিলেন Intergovernmental.
এক্সটারনাল-১: বাংলাদেশকে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, জানেন কিছু?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ০.৫৪ সেমি বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশর উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯% এলাকা লবণাক্ত পানির নিচে চলে যাবে।
এক্সটারনাল-১: আচ্ছা একটা সময়সীমা দিয়েছে। কবে সেটা বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, ২০৫০ সালের মধ্যে।
এক্সটারনাল-১: ঠিক আছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা আইন পাস হয়েছে। কী বলেন তো?
আমি: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠন আইন-২০২২।
এক্সটারনাল-১: নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি কতজন নিয়ে গঠিত এবং তাদের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার! ছয়জন সদস্য নিয়ে গঠিত। সদস্যের মধ্যে পাঁচজনের নাম বলার পর নারী সদস্যের নাম বলতে গিয়ে আর মনে পড়েছিল না। স্যার তখন বললেন, না, এই নামটা বলতেই হবে। পরে বলতে পেরেছিলাম; কিন্তু শেষে একটু ভুল বলে ফেলছিলাম ‘হক’-এর জায়গায় ‘রহমান’ বলে ফেলছিলাম।
এক্সটারনাল-১: স্যার বললেন, তোমাদের উত্তরবঙ্গেই বাড়ি। সাহিত্যিক শামসুল হকের স্ত্রী। বোর্ড মেম্বাররা তখন এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন! আমি বসে বসে তাদের আলোচনা শুনলাম। এরপর এক্সটারনাল-১ স্যার আবার আমার দিকে মনোনিবেশ করলেন আর বললেন, এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টি একটা ঘটনার দিকে! বলো তো কী ঘটনা?
মো. মহসীন আলী: ইউক্রেনের দিকে (তখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়নি, কিন্তু উত্তেজনা বিরাজ করছিল)।
এক্সটারনাল ১: কেন এই উত্তেজনা বলতে পারবা?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, সম্প্রতি ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিতে যাচ্ছে আর রাশিয়া কোনোভাবেই চায় না ইউক্রেন এই সামরিক জোটে যোগদান করুক।
এক্সটারনাল-১: ন্যাটো মূলত কোন দেশ চালায়?
মো. মহসীন আলী: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এক্সটারনাল-১: রাশিয়া ন্যাটোর বিপরীত একটা সংস্থা গঠন করেছিল, নাম জানো?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার! তখন স্যার বলে দিলেন ওয়াসপ্যাক্ট।
এক্সটারনাল-১: স্যার এবার এক্সটারনাল-২ স্যারকে প্রশ্ন করতে বললেন। আমি এক্সটারনাল-২ স্যারের দিকে তাকালাম।
এক্সটারনাল-২: আপনি তো পরিসংখ্যানের ছাত্র। আচ্ছা বলেন তো জনশুমারি কী? কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: জনশুমারি হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় পর পর একটি দেশের জনসংখ্যার গণনা, যেখানে জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা হয়।
এক্সটারনাল-২: কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: দশ বছর পর পর স্যার।
এক্সটারনাল-২: তাহলে সার্ভে কী?
মো. মহসীন আলী: সার্ভে একধরনের গণনা। যখন স্যাম্পল নিয়ে কাজ করা হয়, তখন তাকে আমরা স্যাম্পল সার্ভে বলি।
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা তো নীলফামারী (আসলে বাসা ঠাকুরগাঁও)? মো. মহসীন আলী: না স্যার, আমার বাসা ঠাকুরগাঁও।
এক্সটারনাল-২: এ অঞ্চলে ব্রিটিশ আমলে একটা আন্দোলন হয়েছিল—জানেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার! তেভাগা আন্দোলন। স্যার আন্দোলনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলেন। বললাম জমির ফসলের ৩ ভাগ পাবেন কৃষক আর ১ ভাগ পাবেন জমির মালিক। ইলা মিত্র নেতা ছিলেন। আর হাজী দানেশ এই আন্দোলনে বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলে কাজ করছিলেন, তাই ওনার নামও বললাম।
এক্সটারনাল-২: হাজী দানেশ তাঁর রাজনৈতিক জীবনে একটা বিতর্কিত কাজ করেছিলেন, সেটা কী?
মো. মহসীন আলী: হাজী দানেশ চুয়ান্নর নিবার্চনে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছিলেন…তিনি এটা করছিলেন বলার চেষ্টা করলাম। স্যার বললেন, এসব না!
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা ঠাকুরগাঁওয়ে, সেখানে কি এখনো সাহিত্য সংসদ আছে?
মো. মহসীন আলী: আমি না জেনে, না বুঝেই হ্যাঁ সূচক উত্তর করলাম। (সত্যি বলতে আমি এ-সম্পর্কে কিছুই জানি না)।
এক্সটারনাল-২: এ সংগঠনটি একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করত, নাম জানেন?
মো. মহসীন আলী: এবার সোজাসুজি দুঃখিত বললাম।
এক্সটারনাল-২: স্যার আর প্রশ্ন করলেন না। বললেন ওকে, আপনার সার্টিফিকেট নিন। আমি সার্টিফিকেট নিয়ে আসার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। সার্টিফিকেট নিতে যাব সেই মুহূর্তে চেয়ারম্যান স্যার বললেন, আপনার বাসা কোথায়? শুধু জেলার নাম বলায় একদম লোকেশন জানতে চাইলেন ইউনিয়ন, গ্রামসহ বিস্তারিত বললাম।
চেয়ারম্যান স্যার: আপনার বাবা কী করেন?
মো. মহসীন আলী: আমার বাবা কৃষক।
চেয়ারম্যান স্যার বললেন, Best of Luck! আমি ধন্যবাদ দিয়ে চলে এলাম।
মো. মহসীন আলী, সহকারী মহাহিসাবরক্ষক বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব) ৪০তম বিসিএস
অনুলিখন: মোছা. জেলি খাতুন।
মো. মহসীন আলী

অনুমতি নিয়ে সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। স্যার বসতে বললেন। ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম।
চেয়ারম্যান স্যার: নাম কী? মায়ের নাম কী? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন?
মো. মহসীন আলী: মা-বাবার নাম বললাম এবং বললাম পড়াশোনা করেছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থেকে।
চেয়ারম্যান স্যার: বেগম রোকেয়া কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: উনি ছিলেন উপমহাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত।
চেয়ারম্যান স্যার: তিনি মূলত কী ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: তিনি মূলত একজন সাহিত্যিক ছিলেন।
চেয়ারম্যান স্যার: তাঁর সাহিত্য কর্মের নামগুলো বলুন?
মো. মহসীন আলী: অবরোধবাসিনী, সুলতানা’স ড্রিম, পদ্মরাগ...।
চেয়ারম্যান স্যার: অবরোধবাসিনী পড়েছেন?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার, পড়া হয়নি, তবে সুলতানা’স ড্রিম পড়ছি।
চেয়ারম্যান স্যার: আচ্ছা তাহলে সুলতানা’স ড্রিমের মূল ভাবটা বলেন।
মো. মহসীন আলী: সুলতানা’স ড্রিমের কেন্দ্রীয় চরিত্র সুলতানা একদিন স্বপ্নে দেখেন যে আমাদের সমাজের বড় বড় অবস্থানে নারীরা অবস্থান করছেন এমনকি দেশ পরিচালনা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব স্তরে নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতটুকু বলার সঙ্গে সঙ্গেই চেয়ারম্যান স্যার প্রশ্ন করলেন...
চেয়ারম্যান স্যার: এমন একজন নারীর নাম বলতে পারেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চেয়ারম্যান স্যার: তিনি নারীর ক্ষমতায়নে কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা।
চেয়ারম্যান স্যার: প্রাথমিক স্কুলে কতজন নারী?
মো. মহসীন আলী: ৬০ শতাংশ সংরক্ষিত।
চেয়ারম্যান স্যার এবার এক্সটারনাল-১-কে প্রশ্ন করতে বললেন।
এক্সটারনাল-১: আপনার পড়াশোনা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। বর্তমান ভিসি কে?
মো. মহসীন আলী: ড. হাসিবুর রশিদ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে?
মো. মহসীন আলী: নূরু-ন-নবী স্যার।
এক্সটারনাল-১: পয়েট অব পলিটিকস কি শুনছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার, এটা একটা উপাধি, যা ৫ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য নিউজ উইক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: জুলিও কুরি কী?
মো. মহসীন আলী: এটিও একটি পুরস্কার, যা বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: প্ল্যানেট ৫০-৫০ কী?
মো. মহসীন আলী: এটি একটি পুরস্কার, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে।
এক্সটারনাল-১: কিসের জন্য দেওয়া হয়েছে?
মো. মহসীন আলী: নারীর ক্ষমতায়ন।
এক্সটারনাল-১: না হয়নি। স্যার একটু ধারণা দিয়ে বললেন প্ল্যানেট ৫০-৫০ কথাটার মাঝেই তো উত্তর আছে।
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত, বলে উত্তর করলাম জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এক্সটারনাল-১: জলবায়ু নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: আইপিসিসি, ইউনেপ বলার পর আর কিছু মনে আসছিল না!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর নাম শুনেছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর পূর্ণ রূপ কী? এখন কততম হচ্ছে? কোথায় হচ্ছে?
মো. মহসীন আলী: Conference of the parties.
এক্স-১: আইপিসিসির পূর্ণ রূপ কী?
মো. মহসীন আলী: ভুল করে বললাম International Panel on Climate Change. স্যার ঠিক করে দিলেন Intergovernmental.
এক্সটারনাল-১: বাংলাদেশকে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, জানেন কিছু?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ০.৫৪ সেমি বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশর উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯% এলাকা লবণাক্ত পানির নিচে চলে যাবে।
এক্সটারনাল-১: আচ্ছা একটা সময়সীমা দিয়েছে। কবে সেটা বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, ২০৫০ সালের মধ্যে।
এক্সটারনাল-১: ঠিক আছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা আইন পাস হয়েছে। কী বলেন তো?
আমি: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠন আইন-২০২২।
এক্সটারনাল-১: নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি কতজন নিয়ে গঠিত এবং তাদের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার! ছয়জন সদস্য নিয়ে গঠিত। সদস্যের মধ্যে পাঁচজনের নাম বলার পর নারী সদস্যের নাম বলতে গিয়ে আর মনে পড়েছিল না। স্যার তখন বললেন, না, এই নামটা বলতেই হবে। পরে বলতে পেরেছিলাম; কিন্তু শেষে একটু ভুল বলে ফেলছিলাম ‘হক’-এর জায়গায় ‘রহমান’ বলে ফেলছিলাম।
এক্সটারনাল-১: স্যার বললেন, তোমাদের উত্তরবঙ্গেই বাড়ি। সাহিত্যিক শামসুল হকের স্ত্রী। বোর্ড মেম্বাররা তখন এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন! আমি বসে বসে তাদের আলোচনা শুনলাম। এরপর এক্সটারনাল-১ স্যার আবার আমার দিকে মনোনিবেশ করলেন আর বললেন, এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টি একটা ঘটনার দিকে! বলো তো কী ঘটনা?
মো. মহসীন আলী: ইউক্রেনের দিকে (তখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়নি, কিন্তু উত্তেজনা বিরাজ করছিল)।
এক্সটারনাল ১: কেন এই উত্তেজনা বলতে পারবা?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, সম্প্রতি ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিতে যাচ্ছে আর রাশিয়া কোনোভাবেই চায় না ইউক্রেন এই সামরিক জোটে যোগদান করুক।
এক্সটারনাল-১: ন্যাটো মূলত কোন দেশ চালায়?
মো. মহসীন আলী: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এক্সটারনাল-১: রাশিয়া ন্যাটোর বিপরীত একটা সংস্থা গঠন করেছিল, নাম জানো?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার! তখন স্যার বলে দিলেন ওয়াসপ্যাক্ট।
এক্সটারনাল-১: স্যার এবার এক্সটারনাল-২ স্যারকে প্রশ্ন করতে বললেন। আমি এক্সটারনাল-২ স্যারের দিকে তাকালাম।
এক্সটারনাল-২: আপনি তো পরিসংখ্যানের ছাত্র। আচ্ছা বলেন তো জনশুমারি কী? কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: জনশুমারি হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় পর পর একটি দেশের জনসংখ্যার গণনা, যেখানে জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা হয়।
এক্সটারনাল-২: কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: দশ বছর পর পর স্যার।
এক্সটারনাল-২: তাহলে সার্ভে কী?
মো. মহসীন আলী: সার্ভে একধরনের গণনা। যখন স্যাম্পল নিয়ে কাজ করা হয়, তখন তাকে আমরা স্যাম্পল সার্ভে বলি।
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা তো নীলফামারী (আসলে বাসা ঠাকুরগাঁও)? মো. মহসীন আলী: না স্যার, আমার বাসা ঠাকুরগাঁও।
এক্সটারনাল-২: এ অঞ্চলে ব্রিটিশ আমলে একটা আন্দোলন হয়েছিল—জানেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার! তেভাগা আন্দোলন। স্যার আন্দোলনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলেন। বললাম জমির ফসলের ৩ ভাগ পাবেন কৃষক আর ১ ভাগ পাবেন জমির মালিক। ইলা মিত্র নেতা ছিলেন। আর হাজী দানেশ এই আন্দোলনে বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলে কাজ করছিলেন, তাই ওনার নামও বললাম।
এক্সটারনাল-২: হাজী দানেশ তাঁর রাজনৈতিক জীবনে একটা বিতর্কিত কাজ করেছিলেন, সেটা কী?
মো. মহসীন আলী: হাজী দানেশ চুয়ান্নর নিবার্চনে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছিলেন…তিনি এটা করছিলেন বলার চেষ্টা করলাম। স্যার বললেন, এসব না!
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা ঠাকুরগাঁওয়ে, সেখানে কি এখনো সাহিত্য সংসদ আছে?
মো. মহসীন আলী: আমি না জেনে, না বুঝেই হ্যাঁ সূচক উত্তর করলাম। (সত্যি বলতে আমি এ-সম্পর্কে কিছুই জানি না)।
এক্সটারনাল-২: এ সংগঠনটি একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করত, নাম জানেন?
মো. মহসীন আলী: এবার সোজাসুজি দুঃখিত বললাম।
এক্সটারনাল-২: স্যার আর প্রশ্ন করলেন না। বললেন ওকে, আপনার সার্টিফিকেট নিন। আমি সার্টিফিকেট নিয়ে আসার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। সার্টিফিকেট নিতে যাব সেই মুহূর্তে চেয়ারম্যান স্যার বললেন, আপনার বাসা কোথায়? শুধু জেলার নাম বলায় একদম লোকেশন জানতে চাইলেন ইউনিয়ন, গ্রামসহ বিস্তারিত বললাম।
চেয়ারম্যান স্যার: আপনার বাবা কী করেন?
মো. মহসীন আলী: আমার বাবা কৃষক।
চেয়ারম্যান স্যার বললেন, Best of Luck! আমি ধন্যবাদ দিয়ে চলে এলাম।
মো. মহসীন আলী, সহকারী মহাহিসাবরক্ষক বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব) ৪০তম বিসিএস
অনুলিখন: মোছা. জেলি খাতুন।

অনুমতি নিয়ে সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। স্যার বসতে বললেন। ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম।
চেয়ারম্যান স্যার: নাম কী? মায়ের নাম কী? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন?
মো. মহসীন আলী: মা-বাবার নাম বললাম এবং বললাম পড়াশোনা করেছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থেকে।
চেয়ারম্যান স্যার: বেগম রোকেয়া কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: উনি ছিলেন উপমহাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত।
চেয়ারম্যান স্যার: তিনি মূলত কী ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: তিনি মূলত একজন সাহিত্যিক ছিলেন।
চেয়ারম্যান স্যার: তাঁর সাহিত্য কর্মের নামগুলো বলুন?
মো. মহসীন আলী: অবরোধবাসিনী, সুলতানা’স ড্রিম, পদ্মরাগ...।
চেয়ারম্যান স্যার: অবরোধবাসিনী পড়েছেন?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার, পড়া হয়নি, তবে সুলতানা’স ড্রিম পড়ছি।
চেয়ারম্যান স্যার: আচ্ছা তাহলে সুলতানা’স ড্রিমের মূল ভাবটা বলেন।
মো. মহসীন আলী: সুলতানা’স ড্রিমের কেন্দ্রীয় চরিত্র সুলতানা একদিন স্বপ্নে দেখেন যে আমাদের সমাজের বড় বড় অবস্থানে নারীরা অবস্থান করছেন এমনকি দেশ পরিচালনা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব স্তরে নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতটুকু বলার সঙ্গে সঙ্গেই চেয়ারম্যান স্যার প্রশ্ন করলেন...
চেয়ারম্যান স্যার: এমন একজন নারীর নাম বলতে পারেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চেয়ারম্যান স্যার: তিনি নারীর ক্ষমতায়নে কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা।
চেয়ারম্যান স্যার: প্রাথমিক স্কুলে কতজন নারী?
মো. মহসীন আলী: ৬০ শতাংশ সংরক্ষিত।
চেয়ারম্যান স্যার এবার এক্সটারনাল-১-কে প্রশ্ন করতে বললেন।
এক্সটারনাল-১: আপনার পড়াশোনা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। বর্তমান ভিসি কে?
মো. মহসীন আলী: ড. হাসিবুর রশিদ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে কে ছিলেন?
মো. মহসীন আলী: নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ স্যার।
এক্সটারনাল-১: তার আগে?
মো. মহসীন আলী: নূরু-ন-নবী স্যার।
এক্সটারনাল-১: পয়েট অব পলিটিকস কি শুনছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার, এটা একটা উপাধি, যা ৫ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য নিউজ উইক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: জুলিও কুরি কী?
মো. মহসীন আলী: এটিও একটি পুরস্কার, যা বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দিয়েছিল।
এক্সটারনাল-১: প্ল্যানেট ৫০-৫০ কী?
মো. মহসীন আলী: এটি একটি পুরস্কার, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে।
এক্সটারনাল-১: কিসের জন্য দেওয়া হয়েছে?
মো. মহসীন আলী: নারীর ক্ষমতায়ন।
এক্সটারনাল-১: না হয়নি। স্যার একটু ধারণা দিয়ে বললেন প্ল্যানেট ৫০-৫০ কথাটার মাঝেই তো উত্তর আছে।
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত, বলে উত্তর করলাম জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এক্সটারনাল-১: জলবায়ু নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: আইপিসিসি, ইউনেপ বলার পর আর কিছু মনে আসছিল না!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর নাম শুনেছেন?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার!
চেয়ারম্যান স্যার: COP-এর পূর্ণ রূপ কী? এখন কততম হচ্ছে? কোথায় হচ্ছে?
মো. মহসীন আলী: Conference of the parties.
এক্স-১: আইপিসিসির পূর্ণ রূপ কী?
মো. মহসীন আলী: ভুল করে বললাম International Panel on Climate Change. স্যার ঠিক করে দিলেন Intergovernmental.
এক্সটারনাল-১: বাংলাদেশকে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, জানেন কিছু?
মো. মহসীন আলী: জি স্যার। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ০.৫৪ সেমি বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশর উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯% এলাকা লবণাক্ত পানির নিচে চলে যাবে।
এক্সটারনাল-১: আচ্ছা একটা সময়সীমা দিয়েছে। কবে সেটা বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, ২০৫০ সালের মধ্যে।
এক্সটারনাল-১: ঠিক আছে, সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা আইন পাস হয়েছে। কী বলেন তো?
আমি: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠন আইন-২০২২।
এক্সটারনাল-১: নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি কতজন নিয়ে গঠিত এবং তাদের নাম বলতে পারবেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার! ছয়জন সদস্য নিয়ে গঠিত। সদস্যের মধ্যে পাঁচজনের নাম বলার পর নারী সদস্যের নাম বলতে গিয়ে আর মনে পড়েছিল না। স্যার তখন বললেন, না, এই নামটা বলতেই হবে। পরে বলতে পেরেছিলাম; কিন্তু শেষে একটু ভুল বলে ফেলছিলাম ‘হক’-এর জায়গায় ‘রহমান’ বলে ফেলছিলাম।
এক্সটারনাল-১: স্যার বললেন, তোমাদের উত্তরবঙ্গেই বাড়ি। সাহিত্যিক শামসুল হকের স্ত্রী। বোর্ড মেম্বাররা তখন এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন! আমি বসে বসে তাদের আলোচনা শুনলাম। এরপর এক্সটারনাল-১ স্যার আবার আমার দিকে মনোনিবেশ করলেন আর বললেন, এখন সারা বিশ্বের দৃষ্টি একটা ঘটনার দিকে! বলো তো কী ঘটনা?
মো. মহসীন আলী: ইউক্রেনের দিকে (তখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়নি, কিন্তু উত্তেজনা বিরাজ করছিল)।
এক্সটারনাল ১: কেন এই উত্তেজনা বলতে পারবা?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার, সম্প্রতি ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিতে যাচ্ছে আর রাশিয়া কোনোভাবেই চায় না ইউক্রেন এই সামরিক জোটে যোগদান করুক।
এক্সটারনাল-১: ন্যাটো মূলত কোন দেশ চালায়?
মো. মহসীন আলী: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এক্সটারনাল-১: রাশিয়া ন্যাটোর বিপরীত একটা সংস্থা গঠন করেছিল, নাম জানো?
মো. মহসীন আলী: দুঃখিত স্যার! তখন স্যার বলে দিলেন ওয়াসপ্যাক্ট।
এক্সটারনাল-১: স্যার এবার এক্সটারনাল-২ স্যারকে প্রশ্ন করতে বললেন। আমি এক্সটারনাল-২ স্যারের দিকে তাকালাম।
এক্সটারনাল-২: আপনি তো পরিসংখ্যানের ছাত্র। আচ্ছা বলেন তো জনশুমারি কী? কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: জনশুমারি হচ্ছে নির্দিষ্ট সময় পর পর একটি দেশের জনসংখ্যার গণনা, যেখানে জনসংখ্যা নিয়ে কাজ করা হয়।
এক্সটারনাল-২: কত বছর পর পর হয়?
মো. মহসীন আলী: দশ বছর পর পর স্যার।
এক্সটারনাল-২: তাহলে সার্ভে কী?
মো. মহসীন আলী: সার্ভে একধরনের গণনা। যখন স্যাম্পল নিয়ে কাজ করা হয়, তখন তাকে আমরা স্যাম্পল সার্ভে বলি।
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা তো নীলফামারী (আসলে বাসা ঠাকুরগাঁও)? মো. মহসীন আলী: না স্যার, আমার বাসা ঠাকুরগাঁও।
এক্সটারনাল-২: এ অঞ্চলে ব্রিটিশ আমলে একটা আন্দোলন হয়েছিল—জানেন?
মো. মহসীন আলী: হ্যাঁ স্যার! তেভাগা আন্দোলন। স্যার আন্দোলনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলেন। বললাম জমির ফসলের ৩ ভাগ পাবেন কৃষক আর ১ ভাগ পাবেন জমির মালিক। ইলা মিত্র নেতা ছিলেন। আর হাজী দানেশ এই আন্দোলনে বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলে কাজ করছিলেন, তাই ওনার নামও বললাম।
এক্সটারনাল-২: হাজী দানেশ তাঁর রাজনৈতিক জীবনে একটা বিতর্কিত কাজ করেছিলেন, সেটা কী?
মো. মহসীন আলী: হাজী দানেশ চুয়ান্নর নিবার্চনে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছিলেন…তিনি এটা করছিলেন বলার চেষ্টা করলাম। স্যার বললেন, এসব না!
এক্সটারনাল-২: আপনার বাসা ঠাকুরগাঁওয়ে, সেখানে কি এখনো সাহিত্য সংসদ আছে?
মো. মহসীন আলী: আমি না জেনে, না বুঝেই হ্যাঁ সূচক উত্তর করলাম। (সত্যি বলতে আমি এ-সম্পর্কে কিছুই জানি না)।
এক্সটারনাল-২: এ সংগঠনটি একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করত, নাম জানেন?
মো. মহসীন আলী: এবার সোজাসুজি দুঃখিত বললাম।
এক্সটারনাল-২: স্যার আর প্রশ্ন করলেন না। বললেন ওকে, আপনার সার্টিফিকেট নিন। আমি সার্টিফিকেট নিয়ে আসার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। সার্টিফিকেট নিতে যাব সেই মুহূর্তে চেয়ারম্যান স্যার বললেন, আপনার বাসা কোথায়? শুধু জেলার নাম বলায় একদম লোকেশন জানতে চাইলেন ইউনিয়ন, গ্রামসহ বিস্তারিত বললাম।
চেয়ারম্যান স্যার: আপনার বাবা কী করেন?
মো. মহসীন আলী: আমার বাবা কৃষক।
চেয়ারম্যান স্যার বললেন, Best of Luck! আমি ধন্যবাদ দিয়ে চলে এলাম।
মো. মহসীন আলী, সহকারী মহাহিসাবরক্ষক বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব) ৪০তম বিসিএস
অনুলিখন: মোছা. জেলি খাতুন।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

অনুমতি নিয়ে সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। স্যার বসতে বললেন। ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম। চেয়ারম্যান স্যার: নাম কী? মায়ের নাম কী? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন? মো. মহসীন আলী: মা-বাবার নাম বললাম এবং বললাম পড়াশোনা করেছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থেকে।
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

অনুমতি নিয়ে সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। স্যার বসতে বললেন। ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম। চেয়ারম্যান স্যার: নাম কী? মায়ের নাম কী? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন? মো. মহসীন আলী: মা-বাবার নাম বললাম এবং বললাম পড়াশোনা করেছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থেকে।
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

অনুমতি নিয়ে সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। স্যার বসতে বললেন। ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম। চেয়ারম্যান স্যার: নাম কী? মায়ের নাম কী? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন? মো. মহসীন আলী: মা-বাবার নাম বললাম এবং বললাম পড়াশোনা করেছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থেকে।
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

অনুমতি নিয়ে সালাম দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। স্যার বসতে বললেন। ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম। চেয়ারম্যান স্যার: নাম কী? মায়ের নাম কী? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন? মো. মহসীন আলী: মা-বাবার নাম বললাম এবং বললাম পড়াশোনা করেছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থেকে।
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫