রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুর হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। তাঁরা কম খরচে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রোগী ও স্বজনদের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অধিক অর্থ ব্যয় করে নাকাল হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
ভৌগোলিক কারণে সৈয়দপুরের ১০০ শয্যা হাসপাতালটি এ অঞ্চলের রোগীদের ভরসার স্থল হয়ে উঠেছে। এখানে পাশের চিরিরবন্দর, খানসামা, পার্বতীপুর, বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জের রোগীরাও সেবা নিতে আসেন। এসব রোগীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী দালাল চক্র। এতে হাসপাতালের অসাধু চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা যুক্ত রয়েছেন বলে দাবি রোগী ও স্বজনদের।
গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে জরুরি বিভাগের সমানে গিয়ে দেখা যায় একদল মানুষ জটলা করে দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় এক রোগী ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন তাঁকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর জন্য নিতে টানাটানি শুরু করেন।
এ সময় নাম গোপন রাখার শর্তে এক দালাল বলেন, উপজেলায় প্রায় দেড় শ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক হাসপাতালের স্টাফ, অ্যাম্বুলেন্স ও ইজিবাইকচালকদের নিয়ে চক্র তৈরি করেছেন। এতে ২০ জনের মতো দালাল আছেন। তাঁরা পরীক্ষা করানোর জন্য রোগীদের নির্দিষ্ট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। বিশেষ করে গ্রামের লোকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। একজন রোগী নিয়ে আসতে পারলে একজন দালাল ১০০ টাকা পেয়ে থাকেন। একইভাবে সমপরিমাণ টাকা কমিশন পান হাসপাতালের স্টাফ।
হাসপাতালের রোগনির্ণয় কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এখানে এক্স-রে করাতে ২০০, ইসিজিতে ৩০০ ও রক্তের পরীক্ষায় (সিবিসি) ৩৫০ টাকা খরচ হয়।
অপরদিকে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে করাতে ৬০০, ইসিজিতে ৭০০ ও সিবিসি পরীক্ষায় ১ হাজার ৭০০ টাকা খরচ হয়।
এদিকে দালাল চক্রের হস্তক্ষেপে রোগীদের অনেক অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন ঘটনার শিকার শহরের কয়া গোলাহাট এলাকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর বাবা আমিনুল ইসলাম পড়ে গিয়ে কোমরে আঘাত পান। পরে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক ব্যবস্থাপত্র নেওয়ার পর এক দালাল ভালো চিকিৎসার কথা বলে তাঁদের প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে আট ধরনের পরীক্ষা করানো হয়। চিকিৎসা করাতে তাঁর ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
তবে সৈয়দপুর ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি ও গ্রামীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সৈয়দ মাহফুজ হোসেন পাপ্পু বলেন, ‘ঢালাওভাবে সবাইকে দোষারোপ করা ঠিক হবে না। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গুটিকয়েক অসাধু মালিকের জন্য প্রতিটি বেসরকারি ক্লিনিক মালিককে লজ্জায় পড়তে হচ্ছে।’
মাহফুজ হোসেনের মতে, উপজেলা হাসপাতালে দালালদের তৎপরতা বন্ধে স্থায়ীভাবে পুলিশ বা আনসার সদস্য মোতায়েন করা উচিত। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন কঠোর হলে তাদের সহযোগিতা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাজমুল হুদা বলেন, ‘দালালদের বিষয়ে আমার জানা নেই। কেউ এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগও দেননি। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একই কথা বলেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাফি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দালাল কিংবা তাঁদের সঙ্গে জড়িত হাসপাতালের স্টাফদের সম্পর্কে কেউ যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেন তাহলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নীলফামারীর সৈয়দপুর হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। তাঁরা কম খরচে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রোগী ও স্বজনদের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অধিক অর্থ ব্যয় করে নাকাল হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
ভৌগোলিক কারণে সৈয়দপুরের ১০০ শয্যা হাসপাতালটি এ অঞ্চলের রোগীদের ভরসার স্থল হয়ে উঠেছে। এখানে পাশের চিরিরবন্দর, খানসামা, পার্বতীপুর, বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জের রোগীরাও সেবা নিতে আসেন। এসব রোগীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী দালাল চক্র। এতে হাসপাতালের অসাধু চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা যুক্ত রয়েছেন বলে দাবি রোগী ও স্বজনদের।
গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে জরুরি বিভাগের সমানে গিয়ে দেখা যায় একদল মানুষ জটলা করে দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় এক রোগী ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন তাঁকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর জন্য নিতে টানাটানি শুরু করেন।
এ সময় নাম গোপন রাখার শর্তে এক দালাল বলেন, উপজেলায় প্রায় দেড় শ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক হাসপাতালের স্টাফ, অ্যাম্বুলেন্স ও ইজিবাইকচালকদের নিয়ে চক্র তৈরি করেছেন। এতে ২০ জনের মতো দালাল আছেন। তাঁরা পরীক্ষা করানোর জন্য রোগীদের নির্দিষ্ট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। বিশেষ করে গ্রামের লোকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। একজন রোগী নিয়ে আসতে পারলে একজন দালাল ১০০ টাকা পেয়ে থাকেন। একইভাবে সমপরিমাণ টাকা কমিশন পান হাসপাতালের স্টাফ।
হাসপাতালের রোগনির্ণয় কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এখানে এক্স-রে করাতে ২০০, ইসিজিতে ৩০০ ও রক্তের পরীক্ষায় (সিবিসি) ৩৫০ টাকা খরচ হয়।
অপরদিকে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে করাতে ৬০০, ইসিজিতে ৭০০ ও সিবিসি পরীক্ষায় ১ হাজার ৭০০ টাকা খরচ হয়।
এদিকে দালাল চক্রের হস্তক্ষেপে রোগীদের অনেক অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন ঘটনার শিকার শহরের কয়া গোলাহাট এলাকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর বাবা আমিনুল ইসলাম পড়ে গিয়ে কোমরে আঘাত পান। পরে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক ব্যবস্থাপত্র নেওয়ার পর এক দালাল ভালো চিকিৎসার কথা বলে তাঁদের প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে আট ধরনের পরীক্ষা করানো হয়। চিকিৎসা করাতে তাঁর ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
তবে সৈয়দপুর ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি ও গ্রামীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সৈয়দ মাহফুজ হোসেন পাপ্পু বলেন, ‘ঢালাওভাবে সবাইকে দোষারোপ করা ঠিক হবে না। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গুটিকয়েক অসাধু মালিকের জন্য প্রতিটি বেসরকারি ক্লিনিক মালিককে লজ্জায় পড়তে হচ্ছে।’
মাহফুজ হোসেনের মতে, উপজেলা হাসপাতালে দালালদের তৎপরতা বন্ধে স্থায়ীভাবে পুলিশ বা আনসার সদস্য মোতায়েন করা উচিত। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন কঠোর হলে তাদের সহযোগিতা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নাজমুল হুদা বলেন, ‘দালালদের বিষয়ে আমার জানা নেই। কেউ এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগও দেননি। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একই কথা বলেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাফি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দালাল কিংবা তাঁদের সঙ্গে জড়িত হাসপাতালের স্টাফদের সম্পর্কে কেউ যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেন তাহলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫