চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় টানা তিন দিন ধরে অব্যাহত আছে শৈত্যপ্রবাহ। আজ রোববার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
এর আগে গতকাল শনিবার এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। জেলা আবহাওয়া কার্যালয় বলছে, চলমান এ শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন বয়ে যেতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই জেলায় তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার এক দিনে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরদিন শুক্রবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেই এ জেলায় শুরু হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
হিমেল হাওয়া আর তীব্র শীতে কষ্টে আছেন এই অঞ্চলের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছে না কেউ।
আজ সকালে শহর ও শহরতলীর আশপাশে ঘুরে দেখা গেছে, শীতে মানুষের জবুথবু অবস্থা। বিভিন্ন স্থানে শীত নিবারণে আগুন জ্বালিয়ে গরম হওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। বিশেষ করে মাঠে কাজ করা কৃষক শ্রেণির এই শীতে কষ্ট বেড়েছে কয়েক গুণ। কাজ পাচ্ছেন না দিনমজুরেরা।
শহরের হাসান চত্বর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা দিনমজুর আক্কাস আলী বলেন, ‘প্রতিদিন ভোর থেকে আমরা এখানেই দাঁড়াই। মহাজন বা গেরস্তরা এখান থেকে আমাদের দিন চুক্তিতে নিয়ে যান। শীত আসলে কাজ কমে যায়। বেশির ভাগ দিন কাজ হয় না। আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। আবার হাত পাতার জায়গা নেই।
একই স্থানে ভোর থেকে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ না পেয়ে বেলা ৯টার দিকে ফিরে যাচ্ছিলেন আকবর আলী। তিনি বলেন, ‘বাপু, শীতে হাত কালা (ঠান্ডা) হয়ে যাচ্ছে। সাইকেল ঠেলে ভোরবেলা আইছি। কাজ-মাজ হলো না। শীতে আমাদের বিরাট কষ্ট। একটা কম্বল দেওয়ার লোকও নেই। এভাবে প্রতিদিন কাজ না হলে খাব কি।’
শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের পাশে চা বিক্রি করেন আলতাফ মালিথা। শীতে কাজ করতে পারছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খুব শীত। হাতে বল-টল পাচ্ছিনে। পানিতে তো হাত দিতিই কষ্ট হইছে। সকালে বাজারে লোকজন আসছে কম। বেচা-বিক্রিও কম।’
বড় বাজারে সবজি বিক্রি করতে এসেছিলেন সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক কচিমদ্দিন বিশ্বাস। তিনি বলেন, পাইকারি বিক্রি করে চলে যাব। অন্যসময় হলে আমিই খুচরা বিক্রি করতাম। এখন বাজারে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা কম।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী দুর্জয় কুমার বলেন, ভোর থেকে আমরা কাজ করি। এই শীত আসলেই খুব কষ্ট হয়। হাত অবশ হয়ে যায়। শীতে কাজ করতে পারি না।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ সকাল ৬টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আর একটু কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকবে।
চুয়াডাঙ্গায় টানা তিন দিন ধরে অব্যাহত আছে শৈত্যপ্রবাহ। আজ রোববার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
এর আগে গতকাল শনিবার এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। জেলা আবহাওয়া কার্যালয় বলছে, চলমান এ শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন বয়ে যেতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই জেলায় তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার এক দিনে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরদিন শুক্রবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেই এ জেলায় শুরু হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
হিমেল হাওয়া আর তীব্র শীতে কষ্টে আছেন এই অঞ্চলের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছে না কেউ।
আজ সকালে শহর ও শহরতলীর আশপাশে ঘুরে দেখা গেছে, শীতে মানুষের জবুথবু অবস্থা। বিভিন্ন স্থানে শীত নিবারণে আগুন জ্বালিয়ে গরম হওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। বিশেষ করে মাঠে কাজ করা কৃষক শ্রেণির এই শীতে কষ্ট বেড়েছে কয়েক গুণ। কাজ পাচ্ছেন না দিনমজুরেরা।
শহরের হাসান চত্বর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা দিনমজুর আক্কাস আলী বলেন, ‘প্রতিদিন ভোর থেকে আমরা এখানেই দাঁড়াই। মহাজন বা গেরস্তরা এখান থেকে আমাদের দিন চুক্তিতে নিয়ে যান। শীত আসলে কাজ কমে যায়। বেশির ভাগ দিন কাজ হয় না। আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। আবার হাত পাতার জায়গা নেই।
একই স্থানে ভোর থেকে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ না পেয়ে বেলা ৯টার দিকে ফিরে যাচ্ছিলেন আকবর আলী। তিনি বলেন, ‘বাপু, শীতে হাত কালা (ঠান্ডা) হয়ে যাচ্ছে। সাইকেল ঠেলে ভোরবেলা আইছি। কাজ-মাজ হলো না। শীতে আমাদের বিরাট কষ্ট। একটা কম্বল দেওয়ার লোকও নেই। এভাবে প্রতিদিন কাজ না হলে খাব কি।’
শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের পাশে চা বিক্রি করেন আলতাফ মালিথা। শীতে কাজ করতে পারছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খুব শীত। হাতে বল-টল পাচ্ছিনে। পানিতে তো হাত দিতিই কষ্ট হইছে। সকালে বাজারে লোকজন আসছে কম। বেচা-বিক্রিও কম।’
বড় বাজারে সবজি বিক্রি করতে এসেছিলেন সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক কচিমদ্দিন বিশ্বাস। তিনি বলেন, পাইকারি বিক্রি করে চলে যাব। অন্যসময় হলে আমিই খুচরা বিক্রি করতাম। এখন বাজারে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা কম।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী দুর্জয় কুমার বলেন, ভোর থেকে আমরা কাজ করি। এই শীত আসলেই খুব কষ্ট হয়। হাত অবশ হয়ে যায়। শীতে কাজ করতে পারি না।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ সকাল ৬টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আর একটু কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, আজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে আছে উগান্ডার কাম্পালা। শহরটির বায়ুমান ১৮০, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো যথাক্রমে—পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, বাহরাইনের মানামা ও চিলির সান্তিয়াগো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৫২,১৫০, ১৩১ ও ১৩০।
১১ ঘণ্টা আগেআজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শনিবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেবেশ কিছুদিন সহনীয় পর্যায়ে থাকার পর আবারও বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে ঢাকায়। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে আজ ১০ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। আজ বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সূচক ১১২।
২ দিন আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মুহুরী, গোমতী, সোমেশ্বরী ও তিস্তা নদীর পানি বাড়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
২ দিন আগে