Ajker Patrika

ঢাকার বায়ুমানে সামান্য উন্নতি, দূষণের শীর্ষে লাহোর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে আজও খুব খুশি হওয়ার মতো খবর নেই। তবে, গতকালের তুলনায় দূষণ কিছুটা কমেছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৪৪, যা সংবেদনশীল স্বাস্থ্যের মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাস।

তবে, বায়ুদূষণের তালিকায় আজও দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে ঢাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৭২ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই ছিল ঢাকা। গতকাল ঢাকার বাতাস ছিল অস্বাস্থ্যকর।

আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ১৪৫। বাংলাদেশ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, উজবেকিস্তানের তাশকেন্ট ও উগান্ডার কাম্পালা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৩২, ১৩০ ও ১২৭

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চাল রপ্তানিতে নতুন শর্ত দিল ভারত, বাংলাদেশে কতটা প্রভাব পড়বে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির প্রার্থী বাছাই শেষ হওয়ার পথে

মামুনুরের খোঁজ মেলেনি ৫ দিনেও, ক্লু নেই সিসিটিভি ফুটেজে

নীলক্ষেতে ব্যালট পেপার ছাপানোর অভিযোগ তদন্ত করছে ডাকসু নির্বাচন কমিশন

বাংলাদেশের বিদায়ে ৪১ বছরে প্রথমবার ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত