Ajker Patrika

অবশেষে প্যানেল দিল ছাত্রদল ও বাগছাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৭ পদে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৭ পদে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গতকাল বুধবার প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা করেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। এ ছাড়া বাম তিন সংগঠনের ‘অপরাজেয় ৭১ ও অদম্য ২৪’ ও ‘ইসলামী ছাত্র আন্দোলন’—এই দুই প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে গতকাল।

গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা করেন। এই প্যানেলে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবিদুল ইসলাম খানকে সহসভাপতি (ভিপি), কবি জসীমউদ্‌দীন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামিমকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করা হয়েছে।

প্যানেল ঘোষণার পর ছাত্রদলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে ঢাবির সিনেট ভবনে যান। সেখানে যাওয়ার আগে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তাঁরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আনাসের কবর জিয়ারত করবেন। এর মধ্য দিয়ে ছাত্রদলের নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে।

তন্বীকে সমর্থন

ডাকসুতে ২৮টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ঢাবির শিক্ষার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বীর সম্মানে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদটি শূন্য রেখে তাঁকে সমর্থন দিয়েছে ছাত্রদল। তন্বী এই পদে ডাকসুতে নির্বাচন করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বাগছাসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, এই পদে তাঁদের কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন না।

বাগছাসের প্যানেলে যাঁরা

গতকাল বিকেলে ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের’ প্যানেল ঘোষণা করে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্যানেলের প্রার্থীদের নামগুলো পড়ে শোনান। এই প্যানেল থেকে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) পদে আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো. আবু বাকের মজুমদার ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাঁরা তিনজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।

আরও লড়ছেন যাঁরা

এ ছাড়া বামপন্থী তিন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা করা হয় গতকাল। দুপুরে ঢাবির মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই প্যানেল ঘোষণা দেওয়া হয়। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহির শাহরিয়ার ১৫ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করেন। ‘অপরাজেয় ৭১ ও অদম্য ২৪’ নামে এ প্যানেল ঘোষণা করা হয়। প্যানেলে প্রধান প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে নাঈম হাসান হৃদয়, জিএস পদে এনামুল হাসান অনয় এবং এজিএস পদে অদিতি ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

শঙ্কায় প্রার্থীরা

ডাকসুর ২৮ পদে ৫০৯টি ও হল সংসদে ১ হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। গতকাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে এ তথ্য নিশ্চিত করে নির্বাচন কমিশনারের সদস্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।

ডাকসুতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৫০৯ জন প্রার্থীর মধ্য অনেকে ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে সদ্য সাবেক এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও ডিইউ ফার্স্ট থেকে স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী মাহিন সরকার বলেন, একটি ছাত্রসংগঠনের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য মনোনয়ন সংগ্রহের সময়সীমা বর্ধিত করেছে। এখানেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বড় দল হিসেবে তাদের যদি এমন সুবিধা দেয়, তাহলে নির্বাচনের মাঠে সুবিধা দেবে না, এমন কি গ্যারান্টি আছে?

ছাত্র অধিকার প্যানেলের ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসনের পক্ষপাতের আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে, বিশেষ করে একটি দলের প্রতি। ডাকসু নির্বাচন ঠেকাতে কখনো কখনো ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ক্যাম্পাসে। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা শঙ্কা থেকে যায়।

‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের’ ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ছাত্রদলের জিএস পাঁচের অধিক লোক নিয়ে মনোয়ন সংগ্রহে স্লোগান দিয়েছেন, যা আচরণবিধির লঙ্ঘন। এটার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পক্ষপাত করেছে তারা। এ থেকে প্রশ্ন থেকে যায়, সামনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না।

তবে ছাত্রদল থেকে মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে, সেটার বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখানে তারা কোনো অসংগতি দেখতে পায়নি। সুতরাং, যেটা বলা হচ্ছে, সেটা অপপ্রচার ও গুজব।

এদিকে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, আপাতত ডাকসু নির্বাচনের যথেষ্ট পরিবেশ-পরিস্থিতি আছে। ক্যাম্পাসে যে রাজনৈতিক পরিবেশ আপাতত সহাবস্থানে আছে, তা যেকোনো মুহূর্তে অস্থিতিশীল হতে পারে।

তবে ডাকসু নির্বাচন কমিশনাররা শঙ্কা দেখছেন না। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা তো কোনো শঙ্কা দেখছি না। কেউই আমাদের কাছে অভিযোগও দেয়নি। সুষ্টু নির্বাচনের দিকেই আমরা হাঁটছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

‎ডিপ ফ্রিজে লাশ উদ্ধার: পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার ‎

স্ত্রীর সম্পদ পুনরুদ্ধারে মামলা করা যায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমাদের যে ছবিযুক্ত ভোটার, সেটা তো অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করেনি: চবি উপ-উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. কামাল উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. কামাল উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. কামাল উদ্দিন বলেছেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটার এবং সার্বিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনকে শতভাগ অনুসরণ করিনি, বরং ডাকসু নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে সেখানে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য নিজেদের বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করেছি।’

আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের যে ছবিযুক্ত ভোটার, সেটা তো অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। আমরা করেছি এবং এটা অনেক কষ্টসাধ্য কাজ, সেটা আমরা সমাধান করেছি। এখানে ওএমআর মেশিন পর্যাপ্ত পরিমাণ আমরা রেখেছি। আমরা যেন খুব সুন্দরভাবে অল্প সময়ে ভোট গণনা করতে পারি, সে জন্য আমরা মাল্টিপল চেক, সেটা করেছি। আর আমাদের ভোট গ্রহণ থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত যে প্রক্রিয়া, প্রতিটি প্রক্রিয়ায় আপনি একজন পার্ট। আপনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন, আপনারা দেখবেন আমরা অযথা টাইম বিলম্ব করছি কি না।’

চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বলেন, ‘আমরা ত্রুটিযুক্ত কাজ করতে চাই না। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে নিখুঁতভাবে কাজ শেষ করতে যতটুকু সময় প্রয়োজন, ততটুকু দিতে হবে।’

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন হচ্ছ। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়েছে ভোট, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তথ্যে পাঁচটি অনুষদের ১৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬০টি কক্ষে ৬৮৯টি বুথে একযোগে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বাধিক ৫০০ শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারবেন। একজন ভোটার কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ২৬টি ও হল সংসদের জন্য ১৪টি, মোট ৪০টি ভোট দেবেন।

এবার চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ ১৩টি প্যানেল থেকে ৯০৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৮৪ এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

‎ডিপ ফ্রিজে লাশ উদ্ধার: পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার ‎

স্ত্রীর সম্পদ পুনরুদ্ধারে মামলা করা যায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাকসু নির্বাচনে কারচুপির শঙ্কা ছাত্রদল-সমর্থিত ভিপি প্রার্থীর

চবি প্রতিনিধি 
ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাকসু নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার না করায় ভোটে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবন কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

ভোট দিয়ে বের হয়ে সাংবাদিকের কাছে তিনি বলেন, ‘কালিটা মুছে যাচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনারকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম, যাতে একজন ভোটার একাধিকবার ভোট প্রয়োগ করতে না পারে। কিন্তু আমি এই মাত্র ভোট দিয়ে বেরোলাম, আমার হাতে কোনো কালি নেই। একটু ঘষা দিলেই যেখানে কালি মুছে যাচ্ছে, সেখানে যদি কোনো সাবান বা লিকুইড ব্যবহার করি, সেটা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে একদম নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে, একদম মুছে যাবে।’

ছাত্রদল-সমর্থিত ভিপি প্রার্থী বলেন, ‘সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যদি হয়, যে ফলাফল আসবে তা মেনে নেব। কিন্তু আমাদের বারবার দাবি ছিল যে একটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে কালি দেওয়া হবে, তা যাতে মুছে না যায়। কারণ, কালি যদি মুছে যায়, তখন সেই ভোটার একাধিক ভোট প্রয়োগ করতে পারে। আমরা এটা বিভিন্ন সময় দেখেছি। নির্বাচন কমিশন এখানে অবহেলা করেছে কিংবা কী উদ্দেশ্যে তাঁরা পার্মানেন্ট কালি ব্যবহার করেননি, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। এখন আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি যে এখানে ভোট কারচুপির আশঙ্কা রয়েছে এবং একজন ভোটার একাধিকবার ভোট দিতে পারবে। এখানে তাদেরকে চিহ্নিত করার কার্যকর উদ্যোগ আমরা দেখছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

‎ডিপ ফ্রিজে লাশ উদ্ধার: পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার ‎

স্ত্রীর সম্পদ পুনরুদ্ধারে মামলা করা যায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিন ধাপে চেক, কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই: চাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ওমর ফারুক, চবি থেকে
চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর আঙুলের কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এতে কোনো সমস্যা দেখছে না কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে পাঁচ কেন্দ্রে চলছে চাকসুর ভোট গ্রহণ।

ইতিমধ্যে দ্রোহ পর্ষদ, ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের পক্ষ থেকে কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার অমোচনীয় কালি ব্যবহারের কথা বললেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। প্রশাসন ইতিমধ্যে তাদের দায় স্বীকার করেছে। এটা ভোটের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

এদিকে ভোট দিয়ে বের হওয়া মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ওমর হাসনাত ছিদ্দিক তন্ময় বলেন, ‘আমি বিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছি। ভোট খুব সুন্দরভাবে চলছে।’ কালি মুছে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার হাতে যে কালি দেওয়া হয়েছে, সেটাও উঠে গেছে। তবে আমি মনে করি, এতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, ভোটার তালিকায় ভোটারের ছবি দেখে ক্রসচেক করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাক্ষরও নেওয়া হচ্ছে। তাই যে একবার ভোট দিচ্ছে, তার দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। শেষ পর্যন্ত এভাবে চললে আশা করছি, সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।’

চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগটি আমাদের কাছে এসেছে। তবে আমরা বাংলাদেশে এর চেয়ে ভালো কালি পাইনি। এর চেয়ে ভালো কালি দিতে হলে বিদেশ থেকে আনতে হবে। কিন্তু কালি মুছে গেলেও একজন ভোটারের দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, সবাইকে তিন ধাপে চেক করা হচ্ছে, প্রথমে ভোটারের সিরিয়াল নম্বর চেক করা হচ্ছে, এরপর আইডি নম্বর, এরপর ভোটারের নাম ও ছবি মিলিয়ে দেখে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। তাই কারও পক্ষে দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়া সম্ভব নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

‎ডিপ ফ্রিজে লাশ উদ্ধার: পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার ‎

স্ত্রীর সম্পদ পুনরুদ্ধারে মামলা করা যায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোটের ধীরগতি ও কালি নিয়ে শঙ্কা ছাত্রশিবির-সমর্থিত ভিপি প্রার্থীর

চবি, প্রতিনিধি
মো. ইব্রাহীম হোসেন রনি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মো. ইব্রাহীম হোসেন রনি। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাকসু নির্বাচনে ভোটের ধীরগতি ও কালি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন রনি। আজ ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েকটি জায়গায় শুনেছি, ভোটের ধীর গতি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাব, যেহেতু ভোটার সংখ্যা অনেক বেশি, ২৮ হাজার ভোটার, তো অবশ্যই প্রধান নির্বাচনার কমিশনার স্যারসহ যাঁরাই দায়িত্বে আছেন, তাঁরা বিষয়টা দেখবেন।’

ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে এ রকম যেন না হয় যে আমাদের কোনো ভাইবোন ভোট দিতে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পারেননি। এটা হলে আমাদের আসলে কষ্ট থেকে যাবে। এ জন্য আমরা আহ্বান জানাব, ভোটের গতি কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, এটা নিয়ে কাজ করার।’

ভোটের কালি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেন, ‘আমি মাত্র ভোট দিয়ে বের হয়ে আসলাম। আমি মুছতেছি আপনাদের সামনেই। কালিটি মুছে যাচ্ছে।’

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবন কেন্দ্রে ভোট দেন ইব্রাহীম হোসেন রনি। তিনি বলেন, ‘আমি সোহরাওয়ার্দী হলের একজন ভোটার এবং প্রার্থীও। ভোটের পরিবেশ খুব ভালো মনে হয়েছে। আমার মনে হয়, ভোট গ্রহণের সিস্টেম সবকিছু মিলিয়ে ভালো ছিল। আমরা বলেছিলাম, শিক্ষার্থী ভাইবোনেরা যদি নিরাপদে ক্যাম্পাসে আসতে পারে, এই যাতায়াতটা যদি সহজ হয়, সকলেই ভোটকেন্দ্রে আসবে বলে আমি মনে করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

‎ডিপ ফ্রিজে লাশ উদ্ধার: পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার ‎

স্ত্রীর সম্পদ পুনরুদ্ধারে মামলা করা যায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত