ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌন হয়রানির শিকার অষ্টম শ্রেণির সেই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষেতলাল থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম।
মিলির পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাঘাপাড়া গ্রামের তিন সন্তানের জনক রফিকুল ইসলাম প্রায় এক বছর ধরে ওই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। গত ৭ নভেম্বর স্থানীয় স্কুলের এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল সে। অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে শাহিনুর রহমানের সঙ্গে দেখা হয় তার। পরে তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায় এবং শারীরিক নির্যাতন করলে সে চিৎকার করে। পরে সে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন শিক্ষার্থীর বাবা বাঘাপাড়া গ্রামের মিলন আকন্দ বাদী হয়ে রফিকুল ও শারিনুরকে আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার পর পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অন্যদিকে, গত ১৪ নভেম্বর জয়পুরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়ে জবানবন্দিও দেয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহারুল আলম।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, `গত ৮ নভেম্বর ক্ষেতলালের বাঘাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও বড়তারা গ্রামের শাহিনুর রহমান নামে দুজনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু আসামিরা গ্রেপ্তার না হলেও ঘটনার ১০ দিন পর আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।'
শিক্ষার্থীর বাবা আরও বলেন, `আমার মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিল। সে স্কুলে যাতায়াত করলে ভালো থাকবে—এই ভেবে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অনেক অনুরোধ করে মেয়েটাকে স্কুলে ভর্তি করান। কিন্তু কে জানে স্কুলে ভর্তি করার কারণেই মেয়েটাকে এভাবে জীবন দিতে হবে! মামলা করলাম, কিন্তু আসামিরা ধরা পড়েনি। মেয়ের এই অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। আমি আমার মেয়ের নির্যাতনকারীদের বিচার চাই।'
শিক্ষার্থীর চাচা ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে অভিযোগ করে বলেন, `আসামিরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় উল্টো আমাদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। ওই ঘটনার পর থেকে আমার ভাতিজি স্বাভাবিক হতে পারেনি।'
এ নিয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্র নাথ মণ্ডল বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করা হলেও তদন্তে আত্মহত্যায় প্ররোচনার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ওই ধারায় তাদের বিরুদ্ধে আবার মামলা হবে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌন হয়রানির শিকার অষ্টম শ্রেণির সেই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষেতলাল থানার ওসি (তদন্ত) শাহ আলম।
মিলির পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাঘাপাড়া গ্রামের তিন সন্তানের জনক রফিকুল ইসলাম প্রায় এক বছর ধরে ওই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। গত ৭ নভেম্বর স্থানীয় স্কুলের এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল সে। অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে শাহিনুর রহমানের সঙ্গে দেখা হয় তার। পরে তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায় এবং শারীরিক নির্যাতন করলে সে চিৎকার করে। পরে সে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন শিক্ষার্থীর বাবা বাঘাপাড়া গ্রামের মিলন আকন্দ বাদী হয়ে রফিকুল ও শারিনুরকে আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার পর পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অন্যদিকে, গত ১৪ নভেম্বর জয়পুরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়ে জবানবন্দিও দেয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহারুল আলম।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, `গত ৮ নভেম্বর ক্ষেতলালের বাঘাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও বড়তারা গ্রামের শাহিনুর রহমান নামে দুজনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু আসামিরা গ্রেপ্তার না হলেও ঘটনার ১০ দিন পর আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।'
শিক্ষার্থীর বাবা আরও বলেন, `আমার মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিল। সে স্কুলে যাতায়াত করলে ভালো থাকবে—এই ভেবে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অনেক অনুরোধ করে মেয়েটাকে স্কুলে ভর্তি করান। কিন্তু কে জানে স্কুলে ভর্তি করার কারণেই মেয়েটাকে এভাবে জীবন দিতে হবে! মামলা করলাম, কিন্তু আসামিরা ধরা পড়েনি। মেয়ের এই অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। আমি আমার মেয়ের নির্যাতনকারীদের বিচার চাই।'
শিক্ষার্থীর চাচা ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে অভিযোগ করে বলেন, `আসামিরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় উল্টো আমাদের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। ওই ঘটনার পর থেকে আমার ভাতিজি স্বাভাবিক হতে পারেনি।'
এ নিয়ে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্র নাথ মণ্ডল বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করা হলেও তদন্তে আত্মহত্যায় প্ররোচনার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ওই ধারায় তাদের বিরুদ্ধে আবার মামলা হবে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১১ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
২২ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
২৩ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫