নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে আবার জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
অন্যদিকে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি আবার পিছিয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ অভিযোগ গঠন বিষয়ে ও জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু প্রথমে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময় মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২১ জুন, ৬ জুলাই ও ১১ আগস্ট সম্রাটকে আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি হয়নি।
পরে সম্রাটের পক্ষে জামিন আবেদনের ওপর শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। তিনি আদালতকে বলেন, সম্রাট অসুস্থ। তিনি বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত। তাঁকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া দরকার। আর তিনি তো পলাতক হবেন না। তিনি ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা। জামিনের পক্ষে উচ্চ আদালতের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত পরে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানান। বিকেল সাড়ে ৪টায় আদালত জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
আসামি গুরুতর অসুস্থ বিবেচনায় পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার শর্তে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত এ জামিন বহাল থাকবে।
এর আগে গত ২৪ মে সম্রাট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওই দিনই তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্রাটের জামিন বাতিল করেছিলেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে তাঁকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে আত্মসমর্পণের পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল দুদক। এ মামলায় গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। ওই দিনই আড়াই বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছিলেন সম্রাট। পরে আবার হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিলের আদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বহাল রাখেন।
গত ২২ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমলে নেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৬-এ স্থানান্তর করেন।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে তার ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁকে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরদিন র্যাব বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই সব মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। পরে সিআইডি অর্থপাচারের অভিযোগে এবং দুদক জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরও দুটি মামলা করে।
মাদকের মামলায় এবং অর্থ পাচার ও অস্ত্র আইনে করা পৃথক তিনটি মামলায় সম্রাটকে ঢাকার তিনটি পৃথক আদালত আগেই জামিন দিয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে আবার জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
অন্যদিকে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি আবার পিছিয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ অভিযোগ গঠন বিষয়ে ও জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু প্রথমে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময় মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২১ জুন, ৬ জুলাই ও ১১ আগস্ট সম্রাটকে আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি হয়নি।
পরে সম্রাটের পক্ষে জামিন আবেদনের ওপর শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। তিনি আদালতকে বলেন, সম্রাট অসুস্থ। তিনি বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত। তাঁকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া দরকার। আর তিনি তো পলাতক হবেন না। তিনি ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা। জামিনের পক্ষে উচ্চ আদালতের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত পরে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানান। বিকেল সাড়ে ৪টায় আদালত জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
আসামি গুরুতর অসুস্থ বিবেচনায় পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার শর্তে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত এ জামিন বহাল থাকবে।
এর আগে গত ২৪ মে সম্রাট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওই দিনই তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্রাটের জামিন বাতিল করেছিলেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে তাঁকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে আত্মসমর্পণের পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল দুদক। এ মামলায় গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। ওই দিনই আড়াই বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছিলেন সম্রাট। পরে আবার হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিলের আদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বহাল রাখেন।
গত ২২ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আমলে নেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৬-এ স্থানান্তর করেন।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে তার ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁকে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরদিন র্যাব বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই সব মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। পরে সিআইডি অর্থপাচারের অভিযোগে এবং দুদক জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরও দুটি মামলা করে।
মাদকের মামলায় এবং অর্থ পাচার ও অস্ত্র আইনে করা পৃথক তিনটি মামলায় সম্রাটকে ঢাকার তিনটি পৃথক আদালত আগেই জামিন দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে প্রতারণা, ভারতে সোনা চোরাচালান এবং ৬০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিআইডি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করে।
১০ দিন আগেঢাকার পল্লবীতে অভিনব কায়দায় প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চাকরির লোভ দেখিয়ে ও ব্যবসায়িক অংশীদারির আশ্বাস দিয়ে কোরআন ছুঁয়ে শপথ করিয়ে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিত চক্রটি।
১২ দিন আগেফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
১৯ দিন আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২২ দিন আগে