
এক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলেন, আরেক প্রেসিডেন্ট সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন। এটাই বুঝি আধুনিক কনগ্লোমারেটের শক্তিমত্তার একটি বড় দৃষ্টান্ত।
স্যামসাং উত্তরাধিকারী লি জায়ে-ইয়ং ২০১৭ সালে ঘুষ ও অর্থ তছরুপের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। এরপরও দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাঁকে বিশেষ ক্ষমতাবলে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান পুঁজিপতি অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম লি। সাবেক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে লি দুবার কারাবরণ করেছেন। এই ঘটনায় ক্ষমতা হারিয়েছেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
ঘুষ নেওয়া ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার তথ্য ফাঁস হলে ছয় বছর আগে সিউলে গণ-বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট পাক জিউন হাই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু এরপর রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্ব নিয়ে বড় ধরনের সংকটে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়া।
এত কিছুর পরও স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী বা কার্যত প্রধান লিকে ক্ষমা ঘোষণার একটি যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে সরকার। এই পদক্ষেপের ন্যায্যতা প্রমাণে সরকার বলছে, মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দেশের বৃহত্তম কোম্পানির ডি-ফ্যাক্টো (কার্যত) নেতাকে প্রয়োজন ছিল।
লিকে বিক্ষোভকারীরা বলতেন, ‘স্যামসাংয়ের ক্রাউন প্রিন্স’। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক এবং তাঁর সহযোগীকে ৮০ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি। একটি মার্জারের (একাধিক কোম্পানি একীভূতকরণ) পক্ষে সমর্থন নিশ্চিত করতে তিনি এটি করেছিলেন। কারণ শেয়ারহোল্ডাররা এই মার্জারের বিরোধিতা করছিলেন। এই একীভূতকরণের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের পক্ষে স্যামসাং সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ আরও পাকাপোক্ত হতে পারত।
এই তথ্য ফাঁস হয় ২০১৬-১৭ সালের শীতকালে। এরপর সপ্তাহান্তে নিয়ম করে লক্ষাধিক দক্ষিণ কোরীয় মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে পার্কের সরকার ও রাজনীতি এবং ব্যবসার মধ্যে স্বার্থের সংঘাত মেটানোর দাবি জানান। কোরিয়ার পার্লামেন্ট পার্কের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। ২০১৭ সালে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে।
স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী লি, পশ্চিমে জে ওয়াই লি নামেও পরিচিত। তৎকালীন প্রেসিডেন্টের বন্ধুর মেয়ের জন্য ৮ লাখ ডলারে ঘোড়া কিনেছিলেন কোম্পানির টাকায়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোম্পানির অর্থ তছরুপের অপরাধে ঘটনার এক বছর পরই তাঁকে জেলে পাঠানো হয়।
নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন রাজনীতি ও অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু খুব একটা অগ্রগতি করতে পারেননি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ দিনগুলোর মধ্যে পূর্বসূরিকে (আগের প্রেসিডেন্ট) ক্ষমা করেন। এর আট মাস পর আরেক প্রেসিডেন্ট স্যামসাং-এর কার্যত প্রধানকেও ক্ষমা করলেন।
কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। এটি খুবই বাজে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল বলে মনে করছেন তাঁরা। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি ও শিল্প নীতির অধ্যাপক সানগিন পার্ক বলেন, ‘এটি হলো পিছু হটা। এবং এর অর্থ সেই মোমবাতি জ্বালানো বিক্ষোভের দিনগুলোর আগের যুগে ফিরে গেল কোরিয়া।’
লির এই ঘটনা সেই জনপ্রিয় ধারণাকেই আবার প্রতিষ্ঠিত করল যে—বড় ব্যবসায়ীরা সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন, তাঁরা আইনের ঊর্ধ্বে!
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে বিশাল কনগ্লোমারেটগুলোর আধিপত্য। শীর্ষ ১০টি কোম্পানিরই জিডিপিতে অবদান প্রায় ৮০ শতাংশ। এগুলোকে কোরীয় ভাষায় বলে চেবোল। পরিবার-নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য এগুলো। এলজি, হুন্দাই, লোটে এবং এসকে এগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই চেবোলগুলোর মধ্যে স্যামসাং সবচেয়ে বড় এবং ক্ষমতাবান; বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা এবং বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড। তবে নিজ দেশে এই কোম্পানি আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে। যেমন: হাসপাতাল, হোটেল, বিমা, বিলবোর্ড, শিপইয়ার্ড এবং এমনকি থিম পার্ক!
এ ব্যাপারে টরন্টো ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ইউনকিউং লি বিবিসিকে বলেন, ‘স্যামসাং এবং অন্য চেবোলগুলো এতটাই সর্বব্যাপী যে তারা “অক্টোপাস ফার্ম” নামে পরিচিত।’
এই বৃহৎ কোম্পানিগুলো দীর্ঘকাল আগেই কোরিয়ার রাজনীতির সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করেছে। অধ্যাপক লি ২০১৬ সালের প্রতিবাদ বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দেখেছেন, নাগরিকদের রাগ মূলত প্রেসিডেন্ট পার্কের ব্যক্তিগত কার্যকলাপ কেন্দ্রিক। কিন্তু শ্রমিক অধিকার কর্মী এবং অন্যরা সরকারের মধ্যে চেবোলদের প্রভাব-প্রতিপত্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
কোরীয় যুদ্ধের পর সরকার চেবোলদের ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে। তাদের কম দামে বিদ্যুৎ এবং কর প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। ‘দেশীয় পণ্য কেনার’ একটি নীতি নিয়েছিল সরকার। এমনকি শিল্প-কারখানাগুলোতে শ্রমিক ইউনিয়ন আন্দোলন দমনে সরাসরি সহায়তা করেছিল খোদ সরকার।
এতে জায়ান্টগুলো আরও অবয়বে বাড়তে থাকে কিন্তু একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ ধ্বংস করে দেয় এবং শ্রমিক আন্দোলন দমন করা হয়। এভাবে স্বাধীন ও স্বেচ্ছাচারী চর্চার একপর্যায়ে প্রবেশ করে অনিয়ম। কয়েক দশক ধরে ঘুষ ও দুর্নীতির জালে জড়িয়ে যায় চেবোলগুলো।
অধ্যাপক লি বলেন, বহুবার ধরা পড়লেও অনেক ক্ষেত্রে নির্বাহীদের লঘু দণ্ড বা সাময়িক বরখাস্ত করার মতো সাজা দেওয়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে বিচারকেরা বলেছেন, যদি কোনো চেবোল নেতাকে তাঁর কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্যামসাংয়ের বর্তমান প্রধান লি-এর বাবা লি কুন-হি ১৯৯০-এর দশকে ঘুষ এবং জালিয়াতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি স্যামসাং চেয়ারম্যান। কিন্তু একদিনও জেল খাটেননি।
তাই ২০১৭ সালে যখন লি কুন হির ছেলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পান এবং গরাদ ঘরের বাসিন্দা হন তখন অধিকার কর্মীরা আশা করেছিলেন, এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হতে যাচ্ছে।
কিন্তু শিগগিরই এই আশার গুড়ে বালি ঢেলেছে সরকার। আদালতে আইনি লড়াই বছরের পর বছর ধরে চলেছে। বারবার ঘটনা নানা দিকে মোড় নিয়েছে। একটি আপিল আদালত তাঁকে মুক্তি দেন। একটি উচ্চ আদালত তারপর আবার বিচারের আদেশ দেন, যেখানে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু দ্বিতীয়বার কারাগারে পাঠানোর মাত্র কয়েক মাস পরে মুন সরকার তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেয়। যুক্তি হিসেবে ‘জাতীয় স্বার্থের’ কথা বলে সরকার।
এরপর থেকে লি স্যামসাংয়ের প্রধান মুখে পরিণত হন। গত মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাণিজ্য সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানান লি।
কোম্পানির আর্থিক মূল্যায়নে কারচুপি, হিসাব জালিয়াতি এবং শর্ত লঙ্ঘন করে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ফৌজদারি অপরাধ কাঁধে নিয়ে ঘুরছেন লি। এই ধরনের একজন অপরাধীকে ক্ষমা করার অর্থ হলো তিনি তাঁর নির্বাহী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে যোগ্য বিবেচিত হবেন।
যুদ্ধ পরবর্তী কোরিয়ার ইতিহাস বলে, সাজা পাওয়া চেবোল নেতাদের ক্লিন চিট দেওয়ার একটি ঐতিহ্য এ দেশে রয়েছে। কারণ আনুষ্ঠানিক ক্ষমতার কথা বললে সামনে আসে—প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং জাতীয় পরিষদ—যারা আইন তৈরি করে। কিন্তু যখন রাজনৈতিক প্রভাব বা সাংস্কৃতিক প্রভাবের কথা আসে বা কোরীয় সমাজে চেবোলের প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ নাগরিকেরা কীভাবে ভাবছে—তখন পুরো চিত্রটি একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক অভিজাতদের জোটের ধারণায় পর্যবসিত হয়, যাদের সম্পর্ক নির্ধারিত হয় পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে।
লি-কে সাধারণ ক্ষমা করার পক্ষে যুক্তি হিসেবে ‘অর্থনীতির জন্য চেবোল নেতাদের প্রয়োজনের’ কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন, এর সপক্ষে শক্ত প্রমাণ নেই। যেমন: লি যখন কারাগারে বা কারাগারের বাইরে বিচ্ছিন্ন ছিলেন তখনো কিন্তু স্যামসাং বেশ ভালোই চলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর। সুতরাং এই চেবোলদের ওপর নির্ভরতা কমানোর এটাই সময়। তা ছাড়া বহু আলোচিত অর্থনীতির ‘ট্রিকল ডাউন’ (সম্পদ ওপর থেকে নিচে চুঁয়ে পড়া) তত্ত্ব একাধিক গবেষণায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতি ও চেবোলদের প্রভাব মোকাবিলার ইচ্ছে সরকারের রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ চর্চা থেকে বেরিয়ে আসার পেছনে একটি আসন্ন মন্দা এবং বিশ্ব মঞ্চে কোরিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী স্যামসাংয়ের গর্ব খর্ব হওয়ার ভয় ও উদ্বেগ কাজ করছে।

এক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলেন, আরেক প্রেসিডেন্ট সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন। এটাই বুঝি আধুনিক কনগ্লোমারেটের শক্তিমত্তার একটি বড় দৃষ্টান্ত।
স্যামসাং উত্তরাধিকারী লি জায়ে-ইয়ং ২০১৭ সালে ঘুষ ও অর্থ তছরুপের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। এরপরও দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাঁকে বিশেষ ক্ষমতাবলে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান পুঁজিপতি অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম লি। সাবেক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে লি দুবার কারাবরণ করেছেন। এই ঘটনায় ক্ষমতা হারিয়েছেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
ঘুষ নেওয়া ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার তথ্য ফাঁস হলে ছয় বছর আগে সিউলে গণ-বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট পাক জিউন হাই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু এরপর রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্ব নিয়ে বড় ধরনের সংকটে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়া।
এত কিছুর পরও স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী বা কার্যত প্রধান লিকে ক্ষমা ঘোষণার একটি যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে সরকার। এই পদক্ষেপের ন্যায্যতা প্রমাণে সরকার বলছে, মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দেশের বৃহত্তম কোম্পানির ডি-ফ্যাক্টো (কার্যত) নেতাকে প্রয়োজন ছিল।
লিকে বিক্ষোভকারীরা বলতেন, ‘স্যামসাংয়ের ক্রাউন প্রিন্স’। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক এবং তাঁর সহযোগীকে ৮০ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি। একটি মার্জারের (একাধিক কোম্পানি একীভূতকরণ) পক্ষে সমর্থন নিশ্চিত করতে তিনি এটি করেছিলেন। কারণ শেয়ারহোল্ডাররা এই মার্জারের বিরোধিতা করছিলেন। এই একীভূতকরণের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের পক্ষে স্যামসাং সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ আরও পাকাপোক্ত হতে পারত।
এই তথ্য ফাঁস হয় ২০১৬-১৭ সালের শীতকালে। এরপর সপ্তাহান্তে নিয়ম করে লক্ষাধিক দক্ষিণ কোরীয় মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে পার্কের সরকার ও রাজনীতি এবং ব্যবসার মধ্যে স্বার্থের সংঘাত মেটানোর দাবি জানান। কোরিয়ার পার্লামেন্ট পার্কের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। ২০১৭ সালে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে।
স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী লি, পশ্চিমে জে ওয়াই লি নামেও পরিচিত। তৎকালীন প্রেসিডেন্টের বন্ধুর মেয়ের জন্য ৮ লাখ ডলারে ঘোড়া কিনেছিলেন কোম্পানির টাকায়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোম্পানির অর্থ তছরুপের অপরাধে ঘটনার এক বছর পরই তাঁকে জেলে পাঠানো হয়।
নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন রাজনীতি ও অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু খুব একটা অগ্রগতি করতে পারেননি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ দিনগুলোর মধ্যে পূর্বসূরিকে (আগের প্রেসিডেন্ট) ক্ষমা করেন। এর আট মাস পর আরেক প্রেসিডেন্ট স্যামসাং-এর কার্যত প্রধানকেও ক্ষমা করলেন।
কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। এটি খুবই বাজে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল বলে মনে করছেন তাঁরা। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি ও শিল্প নীতির অধ্যাপক সানগিন পার্ক বলেন, ‘এটি হলো পিছু হটা। এবং এর অর্থ সেই মোমবাতি জ্বালানো বিক্ষোভের দিনগুলোর আগের যুগে ফিরে গেল কোরিয়া।’
লির এই ঘটনা সেই জনপ্রিয় ধারণাকেই আবার প্রতিষ্ঠিত করল যে—বড় ব্যবসায়ীরা সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন, তাঁরা আইনের ঊর্ধ্বে!
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে বিশাল কনগ্লোমারেটগুলোর আধিপত্য। শীর্ষ ১০টি কোম্পানিরই জিডিপিতে অবদান প্রায় ৮০ শতাংশ। এগুলোকে কোরীয় ভাষায় বলে চেবোল। পরিবার-নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য এগুলো। এলজি, হুন্দাই, লোটে এবং এসকে এগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই চেবোলগুলোর মধ্যে স্যামসাং সবচেয়ে বড় এবং ক্ষমতাবান; বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা এবং বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড। তবে নিজ দেশে এই কোম্পানি আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে। যেমন: হাসপাতাল, হোটেল, বিমা, বিলবোর্ড, শিপইয়ার্ড এবং এমনকি থিম পার্ক!
এ ব্যাপারে টরন্টো ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ইউনকিউং লি বিবিসিকে বলেন, ‘স্যামসাং এবং অন্য চেবোলগুলো এতটাই সর্বব্যাপী যে তারা “অক্টোপাস ফার্ম” নামে পরিচিত।’
এই বৃহৎ কোম্পানিগুলো দীর্ঘকাল আগেই কোরিয়ার রাজনীতির সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করেছে। অধ্যাপক লি ২০১৬ সালের প্রতিবাদ বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দেখেছেন, নাগরিকদের রাগ মূলত প্রেসিডেন্ট পার্কের ব্যক্তিগত কার্যকলাপ কেন্দ্রিক। কিন্তু শ্রমিক অধিকার কর্মী এবং অন্যরা সরকারের মধ্যে চেবোলদের প্রভাব-প্রতিপত্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
কোরীয় যুদ্ধের পর সরকার চেবোলদের ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে। তাদের কম দামে বিদ্যুৎ এবং কর প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। ‘দেশীয় পণ্য কেনার’ একটি নীতি নিয়েছিল সরকার। এমনকি শিল্প-কারখানাগুলোতে শ্রমিক ইউনিয়ন আন্দোলন দমনে সরাসরি সহায়তা করেছিল খোদ সরকার।
এতে জায়ান্টগুলো আরও অবয়বে বাড়তে থাকে কিন্তু একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ ধ্বংস করে দেয় এবং শ্রমিক আন্দোলন দমন করা হয়। এভাবে স্বাধীন ও স্বেচ্ছাচারী চর্চার একপর্যায়ে প্রবেশ করে অনিয়ম। কয়েক দশক ধরে ঘুষ ও দুর্নীতির জালে জড়িয়ে যায় চেবোলগুলো।
অধ্যাপক লি বলেন, বহুবার ধরা পড়লেও অনেক ক্ষেত্রে নির্বাহীদের লঘু দণ্ড বা সাময়িক বরখাস্ত করার মতো সাজা দেওয়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে বিচারকেরা বলেছেন, যদি কোনো চেবোল নেতাকে তাঁর কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্যামসাংয়ের বর্তমান প্রধান লি-এর বাবা লি কুন-হি ১৯৯০-এর দশকে ঘুষ এবং জালিয়াতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি স্যামসাং চেয়ারম্যান। কিন্তু একদিনও জেল খাটেননি।
তাই ২০১৭ সালে যখন লি কুন হির ছেলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পান এবং গরাদ ঘরের বাসিন্দা হন তখন অধিকার কর্মীরা আশা করেছিলেন, এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হতে যাচ্ছে।
কিন্তু শিগগিরই এই আশার গুড়ে বালি ঢেলেছে সরকার। আদালতে আইনি লড়াই বছরের পর বছর ধরে চলেছে। বারবার ঘটনা নানা দিকে মোড় নিয়েছে। একটি আপিল আদালত তাঁকে মুক্তি দেন। একটি উচ্চ আদালত তারপর আবার বিচারের আদেশ দেন, যেখানে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু দ্বিতীয়বার কারাগারে পাঠানোর মাত্র কয়েক মাস পরে মুন সরকার তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেয়। যুক্তি হিসেবে ‘জাতীয় স্বার্থের’ কথা বলে সরকার।
এরপর থেকে লি স্যামসাংয়ের প্রধান মুখে পরিণত হন। গত মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাণিজ্য সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানান লি।
কোম্পানির আর্থিক মূল্যায়নে কারচুপি, হিসাব জালিয়াতি এবং শর্ত লঙ্ঘন করে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ফৌজদারি অপরাধ কাঁধে নিয়ে ঘুরছেন লি। এই ধরনের একজন অপরাধীকে ক্ষমা করার অর্থ হলো তিনি তাঁর নির্বাহী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে যোগ্য বিবেচিত হবেন।
যুদ্ধ পরবর্তী কোরিয়ার ইতিহাস বলে, সাজা পাওয়া চেবোল নেতাদের ক্লিন চিট দেওয়ার একটি ঐতিহ্য এ দেশে রয়েছে। কারণ আনুষ্ঠানিক ক্ষমতার কথা বললে সামনে আসে—প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং জাতীয় পরিষদ—যারা আইন তৈরি করে। কিন্তু যখন রাজনৈতিক প্রভাব বা সাংস্কৃতিক প্রভাবের কথা আসে বা কোরীয় সমাজে চেবোলের প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ নাগরিকেরা কীভাবে ভাবছে—তখন পুরো চিত্রটি একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক অভিজাতদের জোটের ধারণায় পর্যবসিত হয়, যাদের সম্পর্ক নির্ধারিত হয় পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে।
লি-কে সাধারণ ক্ষমা করার পক্ষে যুক্তি হিসেবে ‘অর্থনীতির জন্য চেবোল নেতাদের প্রয়োজনের’ কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন, এর সপক্ষে শক্ত প্রমাণ নেই। যেমন: লি যখন কারাগারে বা কারাগারের বাইরে বিচ্ছিন্ন ছিলেন তখনো কিন্তু স্যামসাং বেশ ভালোই চলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর। সুতরাং এই চেবোলদের ওপর নির্ভরতা কমানোর এটাই সময়। তা ছাড়া বহু আলোচিত অর্থনীতির ‘ট্রিকল ডাউন’ (সম্পদ ওপর থেকে নিচে চুঁয়ে পড়া) তত্ত্ব একাধিক গবেষণায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতি ও চেবোলদের প্রভাব মোকাবিলার ইচ্ছে সরকারের রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ চর্চা থেকে বেরিয়ে আসার পেছনে একটি আসন্ন মন্দা এবং বিশ্ব মঞ্চে কোরিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী স্যামসাংয়ের গর্ব খর্ব হওয়ার ভয় ও উদ্বেগ কাজ করছে।

এক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলেন, আরেক প্রেসিডেন্ট সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন। এটাই বুঝি আধুনিক কনগ্লোমারেটের শক্তিমত্তার একটি বড় দৃষ্টান্ত।
স্যামসাং উত্তরাধিকারী লি জায়ে-ইয়ং ২০১৭ সালে ঘুষ ও অর্থ তছরুপের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। এরপরও দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাঁকে বিশেষ ক্ষমতাবলে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান পুঁজিপতি অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম লি। সাবেক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে লি দুবার কারাবরণ করেছেন। এই ঘটনায় ক্ষমতা হারিয়েছেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
ঘুষ নেওয়া ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার তথ্য ফাঁস হলে ছয় বছর আগে সিউলে গণ-বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট পাক জিউন হাই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু এরপর রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্ব নিয়ে বড় ধরনের সংকটে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়া।
এত কিছুর পরও স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী বা কার্যত প্রধান লিকে ক্ষমা ঘোষণার একটি যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে সরকার। এই পদক্ষেপের ন্যায্যতা প্রমাণে সরকার বলছে, মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দেশের বৃহত্তম কোম্পানির ডি-ফ্যাক্টো (কার্যত) নেতাকে প্রয়োজন ছিল।
লিকে বিক্ষোভকারীরা বলতেন, ‘স্যামসাংয়ের ক্রাউন প্রিন্স’। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক এবং তাঁর সহযোগীকে ৮০ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি। একটি মার্জারের (একাধিক কোম্পানি একীভূতকরণ) পক্ষে সমর্থন নিশ্চিত করতে তিনি এটি করেছিলেন। কারণ শেয়ারহোল্ডাররা এই মার্জারের বিরোধিতা করছিলেন। এই একীভূতকরণের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের পক্ষে স্যামসাং সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ আরও পাকাপোক্ত হতে পারত।
এই তথ্য ফাঁস হয় ২০১৬-১৭ সালের শীতকালে। এরপর সপ্তাহান্তে নিয়ম করে লক্ষাধিক দক্ষিণ কোরীয় মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে পার্কের সরকার ও রাজনীতি এবং ব্যবসার মধ্যে স্বার্থের সংঘাত মেটানোর দাবি জানান। কোরিয়ার পার্লামেন্ট পার্কের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। ২০১৭ সালে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে।
স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী লি, পশ্চিমে জে ওয়াই লি নামেও পরিচিত। তৎকালীন প্রেসিডেন্টের বন্ধুর মেয়ের জন্য ৮ লাখ ডলারে ঘোড়া কিনেছিলেন কোম্পানির টাকায়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোম্পানির অর্থ তছরুপের অপরাধে ঘটনার এক বছর পরই তাঁকে জেলে পাঠানো হয়।
নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন রাজনীতি ও অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু খুব একটা অগ্রগতি করতে পারেননি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ দিনগুলোর মধ্যে পূর্বসূরিকে (আগের প্রেসিডেন্ট) ক্ষমা করেন। এর আট মাস পর আরেক প্রেসিডেন্ট স্যামসাং-এর কার্যত প্রধানকেও ক্ষমা করলেন।
কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। এটি খুবই বাজে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল বলে মনে করছেন তাঁরা। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি ও শিল্প নীতির অধ্যাপক সানগিন পার্ক বলেন, ‘এটি হলো পিছু হটা। এবং এর অর্থ সেই মোমবাতি জ্বালানো বিক্ষোভের দিনগুলোর আগের যুগে ফিরে গেল কোরিয়া।’
লির এই ঘটনা সেই জনপ্রিয় ধারণাকেই আবার প্রতিষ্ঠিত করল যে—বড় ব্যবসায়ীরা সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন, তাঁরা আইনের ঊর্ধ্বে!
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে বিশাল কনগ্লোমারেটগুলোর আধিপত্য। শীর্ষ ১০টি কোম্পানিরই জিডিপিতে অবদান প্রায় ৮০ শতাংশ। এগুলোকে কোরীয় ভাষায় বলে চেবোল। পরিবার-নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য এগুলো। এলজি, হুন্দাই, লোটে এবং এসকে এগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই চেবোলগুলোর মধ্যে স্যামসাং সবচেয়ে বড় এবং ক্ষমতাবান; বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা এবং বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড। তবে নিজ দেশে এই কোম্পানি আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে। যেমন: হাসপাতাল, হোটেল, বিমা, বিলবোর্ড, শিপইয়ার্ড এবং এমনকি থিম পার্ক!
এ ব্যাপারে টরন্টো ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ইউনকিউং লি বিবিসিকে বলেন, ‘স্যামসাং এবং অন্য চেবোলগুলো এতটাই সর্বব্যাপী যে তারা “অক্টোপাস ফার্ম” নামে পরিচিত।’
এই বৃহৎ কোম্পানিগুলো দীর্ঘকাল আগেই কোরিয়ার রাজনীতির সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করেছে। অধ্যাপক লি ২০১৬ সালের প্রতিবাদ বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দেখেছেন, নাগরিকদের রাগ মূলত প্রেসিডেন্ট পার্কের ব্যক্তিগত কার্যকলাপ কেন্দ্রিক। কিন্তু শ্রমিক অধিকার কর্মী এবং অন্যরা সরকারের মধ্যে চেবোলদের প্রভাব-প্রতিপত্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
কোরীয় যুদ্ধের পর সরকার চেবোলদের ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে। তাদের কম দামে বিদ্যুৎ এবং কর প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। ‘দেশীয় পণ্য কেনার’ একটি নীতি নিয়েছিল সরকার। এমনকি শিল্প-কারখানাগুলোতে শ্রমিক ইউনিয়ন আন্দোলন দমনে সরাসরি সহায়তা করেছিল খোদ সরকার।
এতে জায়ান্টগুলো আরও অবয়বে বাড়তে থাকে কিন্তু একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ ধ্বংস করে দেয় এবং শ্রমিক আন্দোলন দমন করা হয়। এভাবে স্বাধীন ও স্বেচ্ছাচারী চর্চার একপর্যায়ে প্রবেশ করে অনিয়ম। কয়েক দশক ধরে ঘুষ ও দুর্নীতির জালে জড়িয়ে যায় চেবোলগুলো।
অধ্যাপক লি বলেন, বহুবার ধরা পড়লেও অনেক ক্ষেত্রে নির্বাহীদের লঘু দণ্ড বা সাময়িক বরখাস্ত করার মতো সাজা দেওয়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে বিচারকেরা বলেছেন, যদি কোনো চেবোল নেতাকে তাঁর কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্যামসাংয়ের বর্তমান প্রধান লি-এর বাবা লি কুন-হি ১৯৯০-এর দশকে ঘুষ এবং জালিয়াতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি স্যামসাং চেয়ারম্যান। কিন্তু একদিনও জেল খাটেননি।
তাই ২০১৭ সালে যখন লি কুন হির ছেলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পান এবং গরাদ ঘরের বাসিন্দা হন তখন অধিকার কর্মীরা আশা করেছিলেন, এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হতে যাচ্ছে।
কিন্তু শিগগিরই এই আশার গুড়ে বালি ঢেলেছে সরকার। আদালতে আইনি লড়াই বছরের পর বছর ধরে চলেছে। বারবার ঘটনা নানা দিকে মোড় নিয়েছে। একটি আপিল আদালত তাঁকে মুক্তি দেন। একটি উচ্চ আদালত তারপর আবার বিচারের আদেশ দেন, যেখানে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু দ্বিতীয়বার কারাগারে পাঠানোর মাত্র কয়েক মাস পরে মুন সরকার তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেয়। যুক্তি হিসেবে ‘জাতীয় স্বার্থের’ কথা বলে সরকার।
এরপর থেকে লি স্যামসাংয়ের প্রধান মুখে পরিণত হন। গত মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাণিজ্য সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানান লি।
কোম্পানির আর্থিক মূল্যায়নে কারচুপি, হিসাব জালিয়াতি এবং শর্ত লঙ্ঘন করে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ফৌজদারি অপরাধ কাঁধে নিয়ে ঘুরছেন লি। এই ধরনের একজন অপরাধীকে ক্ষমা করার অর্থ হলো তিনি তাঁর নির্বাহী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে যোগ্য বিবেচিত হবেন।
যুদ্ধ পরবর্তী কোরিয়ার ইতিহাস বলে, সাজা পাওয়া চেবোল নেতাদের ক্লিন চিট দেওয়ার একটি ঐতিহ্য এ দেশে রয়েছে। কারণ আনুষ্ঠানিক ক্ষমতার কথা বললে সামনে আসে—প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং জাতীয় পরিষদ—যারা আইন তৈরি করে। কিন্তু যখন রাজনৈতিক প্রভাব বা সাংস্কৃতিক প্রভাবের কথা আসে বা কোরীয় সমাজে চেবোলের প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ নাগরিকেরা কীভাবে ভাবছে—তখন পুরো চিত্রটি একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক অভিজাতদের জোটের ধারণায় পর্যবসিত হয়, যাদের সম্পর্ক নির্ধারিত হয় পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে।
লি-কে সাধারণ ক্ষমা করার পক্ষে যুক্তি হিসেবে ‘অর্থনীতির জন্য চেবোল নেতাদের প্রয়োজনের’ কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন, এর সপক্ষে শক্ত প্রমাণ নেই। যেমন: লি যখন কারাগারে বা কারাগারের বাইরে বিচ্ছিন্ন ছিলেন তখনো কিন্তু স্যামসাং বেশ ভালোই চলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর। সুতরাং এই চেবোলদের ওপর নির্ভরতা কমানোর এটাই সময়। তা ছাড়া বহু আলোচিত অর্থনীতির ‘ট্রিকল ডাউন’ (সম্পদ ওপর থেকে নিচে চুঁয়ে পড়া) তত্ত্ব একাধিক গবেষণায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতি ও চেবোলদের প্রভাব মোকাবিলার ইচ্ছে সরকারের রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ চর্চা থেকে বেরিয়ে আসার পেছনে একটি আসন্ন মন্দা এবং বিশ্ব মঞ্চে কোরিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী স্যামসাংয়ের গর্ব খর্ব হওয়ার ভয় ও উদ্বেগ কাজ করছে।

এক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলেন, আরেক প্রেসিডেন্ট সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন। এটাই বুঝি আধুনিক কনগ্লোমারেটের শক্তিমত্তার একটি বড় দৃষ্টান্ত।
স্যামসাং উত্তরাধিকারী লি জায়ে-ইয়ং ২০১৭ সালে ঘুষ ও অর্থ তছরুপের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। এরপরও দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাঁকে বিশেষ ক্ষমতাবলে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান পুঁজিপতি অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম লি। সাবেক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে লি দুবার কারাবরণ করেছেন। এই ঘটনায় ক্ষমতা হারিয়েছেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
ঘুষ নেওয়া ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার তথ্য ফাঁস হলে ছয় বছর আগে সিউলে গণ-বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট পাক জিউন হাই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু এরপর রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্ব নিয়ে বড় ধরনের সংকটে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়া।
এত কিছুর পরও স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী বা কার্যত প্রধান লিকে ক্ষমা ঘোষণার একটি যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে সরকার। এই পদক্ষেপের ন্যায্যতা প্রমাণে সরকার বলছে, মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দেশের বৃহত্তম কোম্পানির ডি-ফ্যাক্টো (কার্যত) নেতাকে প্রয়োজন ছিল।
লিকে বিক্ষোভকারীরা বলতেন, ‘স্যামসাংয়ের ক্রাউন প্রিন্স’। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক এবং তাঁর সহযোগীকে ৮০ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি। একটি মার্জারের (একাধিক কোম্পানি একীভূতকরণ) পক্ষে সমর্থন নিশ্চিত করতে তিনি এটি করেছিলেন। কারণ শেয়ারহোল্ডাররা এই মার্জারের বিরোধিতা করছিলেন। এই একীভূতকরণের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের পক্ষে স্যামসাং সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ আরও পাকাপোক্ত হতে পারত।
এই তথ্য ফাঁস হয় ২০১৬-১৭ সালের শীতকালে। এরপর সপ্তাহান্তে নিয়ম করে লক্ষাধিক দক্ষিণ কোরীয় মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে পার্কের সরকার ও রাজনীতি এবং ব্যবসার মধ্যে স্বার্থের সংঘাত মেটানোর দাবি জানান। কোরিয়ার পার্লামেন্ট পার্কের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। ২০১৭ সালে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে।
স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী লি, পশ্চিমে জে ওয়াই লি নামেও পরিচিত। তৎকালীন প্রেসিডেন্টের বন্ধুর মেয়ের জন্য ৮ লাখ ডলারে ঘোড়া কিনেছিলেন কোম্পানির টাকায়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোম্পানির অর্থ তছরুপের অপরাধে ঘটনার এক বছর পরই তাঁকে জেলে পাঠানো হয়।
নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন রাজনীতি ও অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু খুব একটা অগ্রগতি করতে পারেননি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ দিনগুলোর মধ্যে পূর্বসূরিকে (আগের প্রেসিডেন্ট) ক্ষমা করেন। এর আট মাস পর আরেক প্রেসিডেন্ট স্যামসাং-এর কার্যত প্রধানকেও ক্ষমা করলেন।
কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। এটি খুবই বাজে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল বলে মনে করছেন তাঁরা। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি ও শিল্প নীতির অধ্যাপক সানগিন পার্ক বলেন, ‘এটি হলো পিছু হটা। এবং এর অর্থ সেই মোমবাতি জ্বালানো বিক্ষোভের দিনগুলোর আগের যুগে ফিরে গেল কোরিয়া।’
লির এই ঘটনা সেই জনপ্রিয় ধারণাকেই আবার প্রতিষ্ঠিত করল যে—বড় ব্যবসায়ীরা সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন, তাঁরা আইনের ঊর্ধ্বে!
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে বিশাল কনগ্লোমারেটগুলোর আধিপত্য। শীর্ষ ১০টি কোম্পানিরই জিডিপিতে অবদান প্রায় ৮০ শতাংশ। এগুলোকে কোরীয় ভাষায় বলে চেবোল। পরিবার-নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য এগুলো। এলজি, হুন্দাই, লোটে এবং এসকে এগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই চেবোলগুলোর মধ্যে স্যামসাং সবচেয়ে বড় এবং ক্ষমতাবান; বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা এবং বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড। তবে নিজ দেশে এই কোম্পানি আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে। যেমন: হাসপাতাল, হোটেল, বিমা, বিলবোর্ড, শিপইয়ার্ড এবং এমনকি থিম পার্ক!
এ ব্যাপারে টরন্টো ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ইউনকিউং লি বিবিসিকে বলেন, ‘স্যামসাং এবং অন্য চেবোলগুলো এতটাই সর্বব্যাপী যে তারা “অক্টোপাস ফার্ম” নামে পরিচিত।’
এই বৃহৎ কোম্পানিগুলো দীর্ঘকাল আগেই কোরিয়ার রাজনীতির সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করেছে। অধ্যাপক লি ২০১৬ সালের প্রতিবাদ বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দেখেছেন, নাগরিকদের রাগ মূলত প্রেসিডেন্ট পার্কের ব্যক্তিগত কার্যকলাপ কেন্দ্রিক। কিন্তু শ্রমিক অধিকার কর্মী এবং অন্যরা সরকারের মধ্যে চেবোলদের প্রভাব-প্রতিপত্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
কোরীয় যুদ্ধের পর সরকার চেবোলদের ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে। তাদের কম দামে বিদ্যুৎ এবং কর প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। ‘দেশীয় পণ্য কেনার’ একটি নীতি নিয়েছিল সরকার। এমনকি শিল্প-কারখানাগুলোতে শ্রমিক ইউনিয়ন আন্দোলন দমনে সরাসরি সহায়তা করেছিল খোদ সরকার।
এতে জায়ান্টগুলো আরও অবয়বে বাড়তে থাকে কিন্তু একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিযোগিতার পরিবেশ ধ্বংস করে দেয় এবং শ্রমিক আন্দোলন দমন করা হয়। এভাবে স্বাধীন ও স্বেচ্ছাচারী চর্চার একপর্যায়ে প্রবেশ করে অনিয়ম। কয়েক দশক ধরে ঘুষ ও দুর্নীতির জালে জড়িয়ে যায় চেবোলগুলো।
অধ্যাপক লি বলেন, বহুবার ধরা পড়লেও অনেক ক্ষেত্রে নির্বাহীদের লঘু দণ্ড বা সাময়িক বরখাস্ত করার মতো সাজা দেওয়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে বিচারকেরা বলেছেন, যদি কোনো চেবোল নেতাকে তাঁর কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্যামসাংয়ের বর্তমান প্রধান লি-এর বাবা লি কুন-হি ১৯৯০-এর দশকে ঘুষ এবং জালিয়াতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি স্যামসাং চেয়ারম্যান। কিন্তু একদিনও জেল খাটেননি।
তাই ২০১৭ সালে যখন লি কুন হির ছেলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পান এবং গরাদ ঘরের বাসিন্দা হন তখন অধিকার কর্মীরা আশা করেছিলেন, এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হতে যাচ্ছে।
কিন্তু শিগগিরই এই আশার গুড়ে বালি ঢেলেছে সরকার। আদালতে আইনি লড়াই বছরের পর বছর ধরে চলেছে। বারবার ঘটনা নানা দিকে মোড় নিয়েছে। একটি আপিল আদালত তাঁকে মুক্তি দেন। একটি উচ্চ আদালত তারপর আবার বিচারের আদেশ দেন, যেখানে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু দ্বিতীয়বার কারাগারে পাঠানোর মাত্র কয়েক মাস পরে মুন সরকার তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেয়। যুক্তি হিসেবে ‘জাতীয় স্বার্থের’ কথা বলে সরকার।
এরপর থেকে লি স্যামসাংয়ের প্রধান মুখে পরিণত হন। গত মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাণিজ্য সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানান লি।
কোম্পানির আর্থিক মূল্যায়নে কারচুপি, হিসাব জালিয়াতি এবং শর্ত লঙ্ঘন করে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ফৌজদারি অপরাধ কাঁধে নিয়ে ঘুরছেন লি। এই ধরনের একজন অপরাধীকে ক্ষমা করার অর্থ হলো তিনি তাঁর নির্বাহী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে যোগ্য বিবেচিত হবেন।
যুদ্ধ পরবর্তী কোরিয়ার ইতিহাস বলে, সাজা পাওয়া চেবোল নেতাদের ক্লিন চিট দেওয়ার একটি ঐতিহ্য এ দেশে রয়েছে। কারণ আনুষ্ঠানিক ক্ষমতার কথা বললে সামনে আসে—প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং জাতীয় পরিষদ—যারা আইন তৈরি করে। কিন্তু যখন রাজনৈতিক প্রভাব বা সাংস্কৃতিক প্রভাবের কথা আসে বা কোরীয় সমাজে চেবোলের প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ নাগরিকেরা কীভাবে ভাবছে—তখন পুরো চিত্রটি একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক অভিজাতদের জোটের ধারণায় পর্যবসিত হয়, যাদের সম্পর্ক নির্ধারিত হয় পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে।
লি-কে সাধারণ ক্ষমা করার পক্ষে যুক্তি হিসেবে ‘অর্থনীতির জন্য চেবোল নেতাদের প্রয়োজনের’ কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন, এর সপক্ষে শক্ত প্রমাণ নেই। যেমন: লি যখন কারাগারে বা কারাগারের বাইরে বিচ্ছিন্ন ছিলেন তখনো কিন্তু স্যামসাং বেশ ভালোই চলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর। সুতরাং এই চেবোলদের ওপর নির্ভরতা কমানোর এটাই সময়। তা ছাড়া বহু আলোচিত অর্থনীতির ‘ট্রিকল ডাউন’ (সম্পদ ওপর থেকে নিচে চুঁয়ে পড়া) তত্ত্ব একাধিক গবেষণায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্নীতি ও চেবোলদের প্রভাব মোকাবিলার ইচ্ছে সরকারের রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ চর্চা থেকে বেরিয়ে আসার পেছনে একটি আসন্ন মন্দা এবং বিশ্ব মঞ্চে কোরিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী স্যামসাংয়ের গর্ব খর্ব হওয়ার ভয় ও উদ্বেগ কাজ করছে।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৩ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান পুঁজিপতি অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম লি। সাবেক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে লি দুবার কারাবরণ করেছেন। এই ঘটনায় ক্ষমতা হারিয়েছেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান পুঁজিপতি অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম লি। সাবেক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে লি দুবার কারাবরণ করেছেন। এই ঘটনায় ক্ষমতা হারিয়েছেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান পুঁজিপতি অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম লি। সাবেক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে লি দুবার কারাবরণ করেছেন। এই ঘটনায় ক্ষমতা হারিয়েছেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৩ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান পুঁজিপতি অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম লি। সাবেক প্রেসিডেন্টকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে লি দুবার কারাবরণ করেছেন। এই ঘটনায় ক্ষমতা হারিয়েছেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
১২ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৩ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৬ দিন আগে