সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বাজারের ধান-চাল ব্যবসায়ী নাসিম মিয়া। পৌর সদর বাজারে ছিল তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তাঁর অধীনে ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করতেন। ব্যবসায় উন্নতি হচ্ছিল ভালোই।
হঠাৎ সঙ্গদোষে অনলাইনভিত্তিক শিলং তীর নামের জুয়ায় জড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে যান নাসিম মিয়া। প্রায় ৫০ লাখ টাকার দেনা নিয়ে ভিটেবাড়ি বিক্রি করে পরিবার-পরিজনসহ রাতের আঁধারে চট্টগ্রামের উদ্দেশে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
শুধু নাসিম মিয়াই নন, শিলং তীর খেলার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে শত শত পরিবার। হাওরের জমিজমা বিক্রি করে এখন তাঁরা সর্বহারা। রাতের আঁধারে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে এভাবেই চলছে শিলং তীর নামের জুয়া। এই জুয়া খেলে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে অনেক পরিবার। ঘরছাড়া হয়েছেন অনেক তরুণ। অভিযোগ রয়েছে, আজমিরীগঞ্জ থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করেই জুয়ার এমন কর্মকাণ্ড চলছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তীর খেলা মূলত ভারতের শিলং থেকে পরিচালিত হয়। সেখানকার ক্লাবের মধ্যস্বত্বভোগীরা বাংলাদেশে এজেন্ট নিয়োগ দেয়। বাংলাদেশি এজেন্টরা আবার বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের বিক্রয়কর্মী নিয়োগ করে। এই বিক্রয়কর্মীদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ধরনের লোভ দিয়ে শিলং তীরে আসক্ত করা হয়। এ খেলার জন্য ভারতের শিলংভিত্তিক ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত ১ থেকে ৯৯ পর্যন্ত নম্বরগুলো বিক্রি করা হয়ে থাকে। এই নম্বরগুলো যাঁরা কেনেন তাঁদের সঙ্গে বিক্রয়কর্মীরা (স্থানীয় ভাষায় মুহরি) যোগাযোগ করেন। তখন জুয়াড়িরা বিক্রয়কর্মীর কাছে নম্বর ও বিভিন্ন অংকের টাকা দেন। বিক্রয়কর্মীরা বিক্রীত এই নম্বরের বিপরীতে টাকা এজেন্টের কাছে দেন।
ভারতের শিলংয়ে শনি ও রোববার ছাড়া সপ্তাহের পাঁচ দিন বিকেলে এই জুয়া খেলার প্রথম রাউন্ড ও দ্বিতীয় রাউন্ড নামে দুটি ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ থেকে ৯৯-এর মধ্যে একটি নম্বর বিজয়ী হয়। যাঁরা ওই নম্বর কেনেন তাঁরা বিজয়ী হিসেবে গণ্য হন এবং বিজয়ীরা নম্বরের ক্রয়মূল্যের ৭০ গুণ টাকা এজেন্টের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন; কিন্তু বেশির ভাগ জুয়াড়ি বিজয়ী হতে না পেরে তাঁদের পুঁজি হারিয়ে ফেলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই খেলায় জড়িত এক যুবক জানান, কয়েক মাস ধরে আজমিরীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে কয়েকটি চক্র। তাঁরা পুরোনো জুয়াড়িদের পাশাপাশি নতুন যুবকদের শিলং তীর খেলায় উদ্বুদ্ধ করছেন। এমনকি উপজেলার অনেক নারীও এই জুয়া খেলায় আসক্ত। তিনি জানান, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভায় পাঁচটি চক্রের মাধ্যমে অন্তত ৪০ জন সেলসম্যান সক্রিয় রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুয়াড়ি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি গ্রুপের সদস্যদেরই থানায় মাসোহারা দিতে হয়। কেউ ১০ হাজার, আবার কেউবা ৩ হাজার টাকা করে দেন। মূলত পুলিশকে ম্যানেজ করেই আমরা এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী বলেন, ‘শিলং তীর জুয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে সঠিক কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া পুলিশকে ম্যানেজ করার বিষয়টি ভুয়া। জুয়া বা মাদকের পেলেই, সেখানে অভিযান চালাই।’
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বাজারের ধান-চাল ব্যবসায়ী নাসিম মিয়া। পৌর সদর বাজারে ছিল তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তাঁর অধীনে ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করতেন। ব্যবসায় উন্নতি হচ্ছিল ভালোই।
হঠাৎ সঙ্গদোষে অনলাইনভিত্তিক শিলং তীর নামের জুয়ায় জড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে যান নাসিম মিয়া। প্রায় ৫০ লাখ টাকার দেনা নিয়ে ভিটেবাড়ি বিক্রি করে পরিবার-পরিজনসহ রাতের আঁধারে চট্টগ্রামের উদ্দেশে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
শুধু নাসিম মিয়াই নন, শিলং তীর খেলার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে শত শত পরিবার। হাওরের জমিজমা বিক্রি করে এখন তাঁরা সর্বহারা। রাতের আঁধারে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে এভাবেই চলছে শিলং তীর নামের জুয়া। এই জুয়া খেলে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে অনেক পরিবার। ঘরছাড়া হয়েছেন অনেক তরুণ। অভিযোগ রয়েছে, আজমিরীগঞ্জ থানা-পুলিশকে ম্যানেজ করেই জুয়ার এমন কর্মকাণ্ড চলছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তীর খেলা মূলত ভারতের শিলং থেকে পরিচালিত হয়। সেখানকার ক্লাবের মধ্যস্বত্বভোগীরা বাংলাদেশে এজেন্ট নিয়োগ দেয়। বাংলাদেশি এজেন্টরা আবার বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের বিক্রয়কর্মী নিয়োগ করে। এই বিক্রয়কর্মীদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ধরনের লোভ দিয়ে শিলং তীরে আসক্ত করা হয়। এ খেলার জন্য ভারতের শিলংভিত্তিক ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত ১ থেকে ৯৯ পর্যন্ত নম্বরগুলো বিক্রি করা হয়ে থাকে। এই নম্বরগুলো যাঁরা কেনেন তাঁদের সঙ্গে বিক্রয়কর্মীরা (স্থানীয় ভাষায় মুহরি) যোগাযোগ করেন। তখন জুয়াড়িরা বিক্রয়কর্মীর কাছে নম্বর ও বিভিন্ন অংকের টাকা দেন। বিক্রয়কর্মীরা বিক্রীত এই নম্বরের বিপরীতে টাকা এজেন্টের কাছে দেন।
ভারতের শিলংয়ে শনি ও রোববার ছাড়া সপ্তাহের পাঁচ দিন বিকেলে এই জুয়া খেলার প্রথম রাউন্ড ও দ্বিতীয় রাউন্ড নামে দুটি ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ থেকে ৯৯-এর মধ্যে একটি নম্বর বিজয়ী হয়। যাঁরা ওই নম্বর কেনেন তাঁরা বিজয়ী হিসেবে গণ্য হন এবং বিজয়ীরা নম্বরের ক্রয়মূল্যের ৭০ গুণ টাকা এজেন্টের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন; কিন্তু বেশির ভাগ জুয়াড়ি বিজয়ী হতে না পেরে তাঁদের পুঁজি হারিয়ে ফেলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই খেলায় জড়িত এক যুবক জানান, কয়েক মাস ধরে আজমিরীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে কয়েকটি চক্র। তাঁরা পুরোনো জুয়াড়িদের পাশাপাশি নতুন যুবকদের শিলং তীর খেলায় উদ্বুদ্ধ করছেন। এমনকি উপজেলার অনেক নারীও এই জুয়া খেলায় আসক্ত। তিনি জানান, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভায় পাঁচটি চক্রের মাধ্যমে অন্তত ৪০ জন সেলসম্যান সক্রিয় রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুয়াড়ি বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি গ্রুপের সদস্যদেরই থানায় মাসোহারা দিতে হয়। কেউ ১০ হাজার, আবার কেউবা ৩ হাজার টাকা করে দেন। মূলত পুলিশকে ম্যানেজ করেই আমরা এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী বলেন, ‘শিলং তীর জুয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে সঠিক কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া পুলিশকে ম্যানেজ করার বিষয়টি ভুয়া। জুয়া বা মাদকের পেলেই, সেখানে অভিযান চালাই।’
ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
৩ দিন আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৭ দিন আগেআন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
১৮ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
২৫ দিন আগে